গ্রান্ড আড্ডার পর থেকে আবার একটা মিলন মেলার সুযোগ খুজছিলাম।ছোট ছোট আড্ডা দিয়ে প্রান ভরছিল না। কোথায় যেন বারবার অতৃপ্তি থেকেই যাচ্ছিল। ইফতার পার্টি বা ইফতার মাহফিল সেই অতৃপ্তিকে অনেকখানি পুরন করে দিল। ঢাকা, চট্টগ্রাম,চাদপুর একই সাথে ইফতার আয়োজন, স্টীলারদের প্রাণবন্ত উপস্হিতি আবার বিশ্বাস তৈরী করে দিল আমরা যত দূরেই থাকিনা কেন, আমাদের আছে আত্মার এক সুদৃঢ় বন্ধন। আমরা চাইলেও আলাদা হতে বা থাকতে পারবো না। ফিরে আসতেই হবে সি এস এম নীড়ে। ইফতার আয়োজন নিয়ে যখন কাজ করছিলাম তখন প্রতিদিন সবার কাছ থেকে তথ্য পাচ্ছিলাম, অনুমান করতে পারছিলাম আবার মিলন মেলা হবে।হলোও তাই। ধন্যবাদ সি এস এম কলোনীর সকল মেম্বারদের। আজ আরেকবার ধন্যবাদ জানাতে চাই সেই সকল বড়ভাই, বন্ধু,ছোটভাইদের যাদের সকল প্রকার সহযোগীতার মাধ্যমে আমাদের ইফতার আয়োজনের সফলতা। আরও একবার ধন্যবাদ জানাই সেই স্টীলারদের কারন যেকোন সহযোগীতায় তারা কখনো না বলেনী। আমার মনে হয় সি এস এম ব্যাপারে তারা না বলতে শিখেনি। আজ সবার কাছে নুতন করে বলতে ইচ্ছে করছেঃ এভাবেই একসাথে থাকবো, যতদিন বাচবো।সারা বাংলাদেশের সকল স্টীলারদের এই বন্ধন অটুট থাক, এই মোর কামনা।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Saturday, June 25, 2016
ছোট ভাই Jahed Tipu র টিপুর পোষ্ট এর পর থেকেই চিন্তা ভাবনা শুরু
ছোট ভাই Jahed Tipu র টিপুর পোষ্ট এর পর থেকেই চিন্তা ভাবনা শুরু। ভেবেছিলাম ছোট্ট পরিসরে একটি ইফতার আড্ডার আয়োজন করবো। কিন্তু Mahmudur Rashid Pulak এর পোষ্ট এর পরে সবার রেসপন্স দেখে আরো বড় করা যায় কিনা এটা নিয়ে বড় ভাই Jashim Uddin ভাইয়ের সাথে কথা বললাম, আরো বড় করার বিষয়ে উনিও মত দিলেন। বড় আয়োজনের ক্ষেত্রে টাকা একটা বড় ব্যাপার। আমাদের সবসময়ের শুভাকাঙ্ক্ষী বড়ভাই Drmozammel Hoque ভাই,Ziaul Hasan ভাই, Masuk Elahi ভাই, বন্ধু Mainuddin Ahmed Siddique Titu এবংছোট ভাই Shahabuddin Liton এর সাথে কথা বললাম। তারা আশ্বস্ত করলেন। হোটেল বুকিং দিয়েছিলাম ৫০ জন দিয়ে, এরপর বাড়তে বাড়তে সেই সংখ্যা ১৩০ এ নিয়ে গেলাম। ইফতারের আগে আমাকে অবাক করে দিয়ে উপস্থিতি সংখ্যা ১৬৫ ছাড়িয়েছে। হোটেল কতৃপক্ষের আন্তরিকতা এবং আমাদের স্টিলারদের ভালোবাসায় ইফতারি সময়ে কোন সমস্যাই মনে হয় নাই। এই ধরনের অনুষ্ঠানে ভালোবাসার এত ছড়াছড়ি থাকেযে ছোটখাটো সমস্যাকে সমস্যাই মনে হয়না। ২৯ জানুয়ারি সারাদিন অনুষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও অনেকের সাথে দেখা না হওয়ায় আক্ষেপ ছিল। কিন্তু গতকাল ইফতার অনুষ্ঠানে প্রায় প্রত্যেকের সাথেই কথা হয়েছে। ভীষন ভালোলাগার অনুষ্ঠানে এত স্টিলারের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। সবার নিকট অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ইচ্ছা শক্তিটাই বড় কথা
ইচ্ছা শক্তিটাই বড় কথা। আমরা তাদের পাশে দাড়াবো কিনা? আমাদের সাধ্যমত। ইচ্ছা করলেই আমরা পারি। আমরা এর আগেও করে দেখিয়েছি। পাপ্পু অনেক দিন যাবত অসুস্থ। পাপ্পু এখন পঙ্গু। দীর্ঘদিন ধরে সে বিছানায়। প্রচুর টাকার দরকার তার চিকিতসার জন্য। এত টাকা হয়তো আমরা যোগার করতে পারবো না। এমনও হতে পারে, পাপ্পু হয়তো কোনোদিন সুস্থ হবেনা। কিন্তু আমরাতো তার পাশে দাড়াতে পারি। কিছুটা হলেও, আমরা তার দিকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। আমাদের এই সহযোগিতার বাড়িয়ে দেয়া হাত, পাপ্পু হয়তো একটু হলেও ভালো থাকবে।
চন্দন চাচি। স্বামী সন্তান হারা একজন অসহায় মহিলা। চাচি নিজেও একজন অসুস্থ মানুষ। বহু কস্টে যিনি দিন যাপন করেন। csm কলোনিতে, চাচি অনেককেই গান শিখিয়েছেন। প্রানবন্ত একজন মানুষ ছিলেন। কিন্তু আজ তিনি বড় অসহায়। এই দুনিয়াতে তার অতি আপনজন বলতে কেও নেই। আমরা একটু ইচ্ছা করলেই চাচির পাশে দাড়াতে পারি। আমাদের এই পাশে দাড়ানোতে, চাচি একটু হলেও ভালো থাকবেন।
একজন ভাই ও একজন মা সমতুল্য চাচির কথা বললাম। তারা দুজনেই অসুস্থ। এই দুইজন স্টিলারের পাশে আমরা আমাদের সাধ্যমত দাড়াবো কিনা, সেটা নির্ভর করছে আমাদের ইচ্ছা আর আন্তরিকতার উপর।
অজস্র ধন্যবাদ
গতকাল ১৮ রমজান ঢাকা, চট্টগ্রামে হয়ে গেল সিএসএম কলনী ইফতার পার্টি। নিখাদ আন্তরিকতা, উদ্যোগ-আয়োজন আর বিপুল অংশ গ্রহনের মাধ্যমে উদযাপিত এ ইফতার পার্টিতে সকলের সম্পৃক্ততাই প্রমান করে আমাদের বন্ধনের দৃঢ়তা।
অফিসের ব্যস্ততা সত্তেও অনুষ্ঠানে সপ্রিবারে অংশ গ্রহন করতে পেরে ভালো লাগছে। নাহলে 'কি যেন হারিয়েছি, কি যেন মিস করেছি- এমনতর অতৃপ্তি বয়ে বেড়াতে হোত।
যাহোক এমন সুন্দর অনুষঠান উপহার দেবার জন্য আতিক,রফিক,রেজা,অপু,রিপন সহ সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা সকল অংশ গ্রহনকারী ভাই- বোন,তাদের স্পাউজ,ছেলেমেয়েদের প্রতি।
শেষ করি একটা কবিতার লাইন দিয়ে--
" তুমি নেই, তোমার বন্ধন পড়ে আছে --"
কবি হয়তো তার প্রেয়সী কে নিয়েই লিখেছেন;
আমি এখানে স্টিল মিল কলোনীকেই মিন করছি !!
সবার জন্য শুভকামনা !!!
রোজার আগেই একটি ইফতার পার্টি নিয়ে মাথায় প্ল্যান ঘুরছিল
রোজার আগেই একটি ইফতার পার্টি নিয়ে মাথায় প্ল্যান ঘুরছিল, কয়েকজনের সাথে এটা নিয়ে আলাপও করেছিলাম বোধ হয়। রোজার শুরু থেকেই অফিসের কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এদিকে আর মন দিতে পারছিলাম না, এর মধ্যে Anisur Rahman Reza Reza] ভাই আর বন্ধু Monirul Islam Monir এর ফোন, দু জনেরই ইফতার পার্টি আয়োজনের ব্যাপারে কথা বলল, আমি তখন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান হাশেম সাহেবের দৌড়ের উপর আছি। রেজা ভাই আর মনিরুল দু জনকেই সেই "সরকারী " টাইপ উত্তর দিলাম "দেখছি"। এদিকে Abdullah Al Mamun অপু ভাই আছেন বারাক ওবামার দেশে আর Rafiqul Islam ভাই সৌদি সফর শেষ করে চায়না মালয়েশিয়া করছেন। ইফতার পার্টি আয়োজন করতে গেলে এই দুজনের সাথেও বসা দরকার।
অবশেষে গত ১৮ জুন সকালেই আধা ঘন্টার নোটিশে ঢাকার ইফতার পার্টির ভেন্যু, মেন্যু আর তারিখ নির্ধারণ করে পোস্ট দেওয়া হলো। এর আগে ২০০০ ব্যাচ আয়োজিত ইফতার পার্টির উদ্যোক্তা হিসেবে Abu Naser এর অভিজ্ঞতার জন্য রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ এর সাথে যোগাযোগ সহ যাবতীয় কাজের দায়িত্ব দেওয়া হলো এই নাসের কে।
প্রথম দিকে একটু সংশয়ে ছিলাম অংশগ্রহণকারী হয়তো বেশি হবেনা, এটা নিয়ে ভিতরে ভিতরে একটু টেনশন কাজ করছিল। যাহোক আমরা অভিভূত যে প্রায় ১৪০ জন আমাদের এই ইফতার পার্টিতে অংশ নেয়।অংশ গ্রহনকারীদের প্রতি সেজন্য আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিশেষ করে সুদূর ময়মনসিংহ থেকে বন্ধু Anisur Rahman ওরফে জুয়েল " কাকা" আর নারায়ণগঞ্জ থেকে "জ্যাডা" Rezaul Karim লিটনের উপস্থিতি ছিল সবার জন্য আনন্দদায়ক। জুয়েলের সাথে দীর্ঘ ২২ বছর পর দেখা হলো এই ইফতার পার্টির সৌজন্যে।
গতকাল একসাথে ঢাকা, চিটাগাং ও চাদঁপুরে ইফতার পার্টি হল
গতকাল একসাথে ঢাকা, চিটাগাং ও চাদঁপুরে ইফতার পার্টি হল।সবাই ইফতার নিয়ে দু - তিন লাইন করে লিখলে ভাল হয়। যেমন মামুন ভাই আমেরিকা থেকে এসে ইফতার পার্টিতে যোগদান করেছে।তারপর টিটু কক্সবাজার থেকে এসেছে।বান্দরবান থেকে বর সহ এসেছে রনি, জুয়েল ভাই ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ইফতারে এসেছে,তাদের এতদিন পর কেমন লেগেছে? অনেকে আড্ডা তে আসতে পারেনি কিন্তু ইফতারে এসেছে তাদের অনুভূতি কেমন, অনেকদিন পর অনেকের সাথে দেখা। কি বলি সবাই কারন এখানে সব আমরা আমরাইতো।
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!