Monday, June 27, 2016

মগের মুল্লুক


ক্লাস ফাইভে উঠার পর আমরা টিফিন ছুটিতে দুপুরের খাবার খেতে বাসায় আসতাম। এভাবে একদিন ক্লাস এইটে পড়ার সময় বাসায় এসে খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছি, হঠাত ঘুম থেকে উঠে দেখি স্কুলে যাবার সময় পেরিয়ে গেছে।মানে ১ টা ক্লাস শেষ। আস্তে করে পরের ক্লাসের বই শার্ট এর ভেতর নিয়ে স্কুলে গেলাম।দেখি বিউটি আপা ক্লাস নিচ্ছেন।আমাকে দেখে ভেতরে আসতে বললেন।উনি বুঝতে পারেন নি আমি আগের ক্লাস মিস করছি। ভাবছেন আমি পানি খেতে বাইরে গেছি। এভাবে পরের দুটা ক্লাস করে বাসায় ফিরে এলাম।

পরের দিন আমাদের ক্লাস টিচার না আসায় বিউটি আপাই এলেন ক্লাস নিতে। উনি রোল কল করছেন, এমন সময় আমার নামের পাশে দেখেন এবসেন্ট লিখা। উনি জিজ্ঞেস করলেন আসল ঘটনা টা কি? 

খুলে বললাম, ঘুমিয়ে যাবার কারণে টিফিনের পরের ঘন্টা মিস করি যেটা মাহফুজ স্যার নিয়েছিলেন এবং উনি রোল কল করে আমার নামের পাশে absent লিখেছেন।

বিউটি আপা বললেন, স্কুল টা কি একটা মগের মুল্লুক হয়ে গেল নাকি! যার যখন খুশি আসবে, যাবে।যে ক্লাস ইচ্ছা করবে, করবে না হলে বাসায় ঘুমাবে।আমরা কি মগের মুল্লুক এর টিচার ইত্যাদি ইত্যাদি। 

সেদিন হয়ত আপা কে বলতে পারিনি যে স্যার আপাদের শাসনের মাঝেও একধরণ এর অদৃশ্য প্রশ্রয় ছিল যা আমাদের স্কুল টাকে বন্দীশালা নয়, মগের মুল্লুক ভাবতে মন চাইত

সময় বদলায়, বদলায় মানুষ


সুবর্ণা মুস্তাফার যখন বয়স যখন ২০ তখন নাটকে তার চাহিদা ব্যাপক, বলতে লাগলেন, ভাল নাটক গুলো সব তার কাছেই আসে।তিনি যেগুলো ফিরিয়ে দেন, সেগুলো অন্যরা অভিনয় করেন।

সুবর্ণার বয়স যখন ৩২, তখন নতুন কিছু মুখ এসেছে, শমী, বিপাশা,মিমি এরা। তিনি বললেন, এরা ত বই পড়েনা,অভিনয় করবে কি।

সুবর্ণার বয়স যখন ৪০, তখন তিনি বললেন, এখন ত কেউ নাটক দেখেনা।এদের অভিনয় দেখলে যা শিখেছি, তাও ভুলে যাব।তাই টিভি দেখি না। 

উনার বয়স যখন ৫০, তখন বলতে লাগলেন, ইয়ং ব্লাড অলওয়েজ পজিটিভ। আগে আমি খুব দ্রুত রিএক্ট করতাম।এখন আমার ধৈর্য বেড়েছে।তাই চুপ থাকি।

উপরে র ব্যাপার টাতে একটা বিষয় খেয়াল করা যায়, সময়ের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ভাবনা বদলায়।যখন কোন মানুষ কোন পক্ষে অবস্থান নেয়, তখন তার পেছনে যুক্তি থাকে। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত অন্যের ভাবনা বা মতামত কে সম্মান করা, যেরকম সে নিজের টাকে সম্মান করে। মন্তব্য না করে কিছু বিষয় সময়ের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত

দুই এক্কে দুই


এক অফিসে ছিল নিয়াজ নামে এক বস। তার অধীনে কাজ করত মাসুদ নামের এক অফিসার।এই অফিসারকে নিয়াজ সাহেব দুই চোখে দেখতে পারতেন না। সব কাজে ভুল ধরতেন। কোন কাজ না জিজ্ঞেস করে করলে বলতেন, আমাকে জিজ্ঞেস না করে কেন করছেন।আবার নিজ থেকে কোন কাজ করলে বলতেন, সব কাজ যদি আমাকে বলে দিতে হয়, তাহলে আপনাকে এত টাকা বেতন দিচ্ছি কেন।

এভাবে নানাভাবে মাসুদ সাহেবের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলছিলেন। মাসুদ সাহেব তক্কে তক্কে থাকতেন কিভাবে নিয়াজ সাহেব কে শায়েস্তা করা যায়। উনার খুব ইচ্ছা করত নিয়াজ সাহেব কে নিয়াইজ্জা নিয়াইজ্জা বলে ডাকতে, কিন্তু পারতেন না।

একদিন মাসুদ সাহেবের বাসায় নতুন ছেলে এল বাচ্চা দেখতে। তার নাম জনি।মাসুদ সাহেব জানতেন তার বসের ডাক নাম জনি।

অফিসে ত বসের সাথে কিছু করতে পারতেন না, বাসায় এসে জনি ছেলেটাকে কিছু হলেই ডাকতেন, জইন্না, ওই জইন্না। এই পানি নিয়ে আয়। ছেলেটা পানি নিয়ে এলে বলতেন, কিরে এত পানি আনছিস কেন, আমি কি গোসল করব। আবার কম আনলে বলত, কিরে পানির বিল কি তুই দিস না আমি দিব। 

এটা করে মনে মনে শান্তি পেতেন।কিন্তু তার স্ত্রী বুঝত না কেন তিনি জনি নামের ছেলেটার সাথে এমন করেন। একদিন জানতে চাইলে বললেন, তুমি জান না জনি নামের ছেলেগুলা রে কিভাবে ঠিক করতে হয়।

এদিকে মাসুদ সাহেব জনি ছেলেটা কে যতই বকা দিক, সে কিন্তু কিছু মনে করত না। মুচকি মুচকি হাসত আর বকা শুনে ওয়াশরুমে ঢুকে যেত। তারপর মাসুদ সাহেবের টুথব্রাশ দিয়ে কমোড টা পরিস্কার করতে শুরু করত।

আমি মনে হয় ক্লাস টু কিংবা থ্রি তে পড়ি


আমি মনে হয় ক্লাস টু কিংবা থ্রি তে পড়ি তখন থেকে আমাদর ঝুমুর আপু যেমন সুন্দরী ছিলেন এখনও একই রকম আছেন।মাশাআললাহ উনিও আমাকে একদম ছোট বেলা থেকেই খুব আদর করতেন।সেদিন সিএসএম এর মিলাদ মাহফিলে প্রায় পনের বছর পর দেখা হয়েছে।আপু আমাকে জড়িয়ে ধরতে চাছচে কিনতু আপুর ছেলে তো কোনো ভাবেই দিবে না।তারপরও উনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।পাশে উনি রানু আপু ছোট বেলায় সকুলে দেখেছিলাম একটু একটু মনে আছে।তবে ঝুমুর আপুদের বাসার সামনে যে পার্ক ছিল আমরা সেখানে গিয়ে খেলতাম।তখন থেকে ঝুমুর আপু একা আপুরা গলপ করতেন।আমার দুজনকেই খুব সুন্দর লাগতো।

বেশ কয়দিন থেকে এই গ্রুপটির ক্রিয়েটর সহ সকল সদ্যসদের ধন্যবাদ জানাতে খুব ইচ্ছা করছে


বেশ কয়দিন থেকে এই গ্রুপটির ক্রিয়েটর সহ সকল সদ্যসদের ধন্যবাদ জানাতে খুব ইচ্ছা করছে বিশেষ করে বড় ভাই Mosaddeque Ali কে। উনার মাধ্যমে আমি কাদের চাচাকে খুজে পেয়েছি প্রায় বিশ বছর পর।অনেক বছর ধরে আমি উনাকে খুজছিলাম হয়ত ভুল ওয়েতে। উনি অনেকের পরিচিত। তবুও আমি যে ভাবে উনাকে দেখেছি তার সামান্য বনর্না করব আমাদের ছোট ভাই বোনদের inspired করার জন্য। আমার কর্ম জীবন উনার হাত ধরেই শুরু। ১৯৯৩/৯৪ তে স-ইচ্ছায় স্টিল মিলের আরামের চাকুরি ছেড়ে গাজীপুরে ছোট্ট একটি ষ্টিল মিলে(এলিট স্টিল মিল) প্রজেক্ট ম্যনেজার হিসেবে যোগদেন। বেশ কয় মাস পর উনারর মাধ্যমে আমিও উনার সাথে যোগ দিই। আমি দেশে এবং বাহিরে অনেকের সাথে কাজ করেছি কিন্তু উনার মত এমন পরিশ্রমিক আর কর্ম পাগল মানুষ দেখিনি। মিলটি আমাদের মত বিশাল বড় না হলেও কাজ কিন্তু একই। পুরানো লোহা লক্কর গ্রেডিং স্কেলিং থেকে শুরু করে লোহার বার তৈরি, ল্যবরেটরি টেস্ট সর্ব শেষে ডেলিভারি পর্যন্ত সব কিছু এত দক্ষতার সাথে পরিচালন করতেন। জিবনে একটানা ৪৮ ঘন্টা কজ করার অভিজ্ঞতাও উনার সাথে হয়েছে। অতীতে মিলটির বড় কোন যান্ত্রিক ত্রুটি হলে ভারত থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে সলভ করত কিন্তু প্রথমবারের মত উনি উর্ধতন কতৃপক্ষ কে না জানিয়ে নিজ প্রচেষ্টায় মিলটি সচল করেন। কাজে যে কি আনন্দ সেদিন প্রথম অনুভব করেছি। প্রচন্ড গরমে যখন সবাই অস্হির তখন সবাইকে গুরের শরবত খাওয়াতেন আবার যে দিন প্রোডাকশন টার্গেট পূর্ন হতো পকেট থেকে টাকা বের করে দিতেন শ্রমিকদের বাজি ফুটানোর জন্য। এত কথা বলার একটাই কারন যে যেমন কাজই করি না কেন আনন্দ এবং আগ্রহ নিয়ে করার চেষ্টা করা উচিত।

রোজা শেষ হয়ে এলো


রোজা শেষ হয়ে এলো। সামনে খুশির ঈদ। কিন্তু এই খুশিটা সবার জন্য এক রকম না। কারো কারো জন্য দু:খটা চেপে রেখে পিছনের আনন্দ দিনের জাবর কাটা।
ছিল একদিন এমন আনন্দ মূখর, বন্ধু বিভোর;
এখন কেন যে জীবন নিথর।
সবামী-সন্তানে কেটেছে দিবস সবপ্ন রঙিন,
সেই মুখখানিও আজি হয়েছে মলিন।।
বলছিলাম আমাদের পাপ্পু আর চন্দন চাচীর কথা।
আমরা সবাই মিলে কিছু কি করতে পারি তাদের জন্য। অন্তত তারা যেন ভাবতে পারে-

"সব হারিয়েও আমরা একা না "।
ছোট ভাইদের প্রতি অনুরোধ - কিছু কি করা যায়?

ঈদ চলে এসেছে


ঈদ চলে এসেছে। শাটল বাসে গিয়ে হর্কাস মার্কেট থেকে ১৮০ টাকার অর্ডারী প্যান্ট টি আনতে হবে। হর্কাস মার্কেট থেকে প্যান্ট ও শার্ট বা গেন্জী কিনে এমন ভাব ধরে নিউ মার্কেটে ঘুরাঘুরি করতাম যেন প্যান্ট,শার্ট নিউমার্কেট থেকে কিনেছি।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss