Wednesday, March 16, 2016

দুই রুমের বাসা


দুই রুমের বাসা। তিলপা পাড়ায়। একটা খাট, ছোট একসেট সোফা, আর একটি আলমারি। সংসার সুরু।

দারুন খুশী, আজকের সারাফের মা। রাত যেগে গল্প করতাম। সারাদিন কাজে থাকতাম। সন্ধার পর, বাসাবো ক্লাবে আড্ডা। আর রাতে, চুপচাপ বউ এর, নানারকম কথা সুনতাম। আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি, তখন বাবা মারা যায়। বাবার সাইকেলে চরে প্রতিদিন স্কুলে যেতাম। অনেক ভালোবাসতো বাবা আমাকে, সবার ছোট ছিলামতো, তাই। 
প্রেম/ট্রেম, আসেনাই জিবনে?? নাকি আমার আসায় বসেছিলে!! প্রেম ঠিক না, তবে---, নড়ে/চড়ে বসলাম, তবে কি?? তবে কিছু না। আরে বলে ফেলো, নো প্রবলেম। এই দেখো আমি, ভালোবাসতে/বাসতে, জিবনটা ফানা/ফানা করে ফেলছি!!!! 

এই ভাবেই যেতো, নানারংগের দিনগুলি। 

স্নানঘর


আমাদের বাসা টা মানে স্টিল মিলস কলোনি টা যদিও ছিল অনেক দূরে শহর থেকে,তবুও মেহমানের কমতি ছিল না।আজ নানি,কাল ফুফাত বোন, পরশুদিন মামাত ভাই সবসময় মেহমান লেগেই থাকত।কিন্তু বাথরুম ছিল একটা। তাই মেহমানরা আসলে ঝামেলা হত।

তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি।বাসায় মেহমান এসেছে অনেক।স্কুলে যাব। গোসল করতে হবে কিন্তু বাথরুম খালি নাই।কি করি! আগেই বলেছি বিল্ডিং এ সবার ঘরে যেকোন প্রয়োজনে চলে যাওয়া যেত।আম্মা বললেন,রিপা আপাদের বাসায় যেতে।আমিও আম্মার কথামত ছুটলাম উনাদের বাসায়।কারন খালাম্মা মানে রিমন ভাইয়ের আম্মা সবসময় গুছানো থাকতেন,ঘরদোর পরিস্কার রাখতেন।তাই বাথরুম টা ছিল দারুন পরিচ্ছন্ন।

খালাম্মা কে বাথরুম এর কথা বলতেই উনি নিঃসংকোচ এ যেতে বললেন।গোসল শেষ হবার পরে পিছনে ফিরতেই দেখি বাথরুম এর দুই দরজায় দুইজন বিদেশিনী মডেলের ছবি লাগানো। মেয়েগুলো এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন এতক্ষণ ধরে আমাকেই দেখছিল।মনে কি আসল জানিনা,দৌড়ে তাড়াতাড়ি বাথরুম থেকে বেরিয়ে বাসায় চলে আসলাম

csm স্কুলে ক্লাস 4 এ পড়ি ১৯৯৯


csm স্কুলে ক্লাস 4 এ পড়ি ১৯৯৯
মানে এখানকার সিনিয়ার ভাই বেরাদারদের তুলনায় দুধভাত tongue emoticon
মূলকথায় অাসা যাক,স্কুলে নাজিমুদ্দিন স্যার ছিলেন ইংলিশ পড়াতেন। বেশ ভাল বেত চালাতেন!
হুম্মম ঠিক ধরছেন আমাদের গায়ের
উপর smile emoticon
যথারীতি বাসায় এসে অাব্বারে বিচার দিলাম "অাব্বা নাজিমুদ্দিন স্যার বেশি মারে "
আব্বা বলল পড়া না শিখলে তো মারবেই.....
পরের দিন অামার বড় ভাই ও আব্বাকে বলল নাজিমুদ্দিন স্যার ওরে ও কিলান দিছে। তাই অাব্বা অামাকে আর আমার ভাইকে একটা দোয়া শিখাই দিলেন(ফাবি আ...লা... ই রাব্বি কুমা তুকাজ্জিবান) অার বললেন স্যারের সামনে এটা মনে মনে পড়তে...

কলেজ যাওয়ার আগেই কলেজ বাসে যাওয়া আসা করতাম


কলেজ যাওয়ার আগেই কলেজ বাসে যাওয়া আসা করতাম, একসময় কলেজে ভত্তি হলাম,কলেজে ভত্তি হওয়াতে মনের মধ্যে অন্য রকম ভাব কাজ করতো, কলেজ বাসে যাওয়ার সময় একটা নিয়ম ছিল বড় ভাইরা সামনে বসতো আর মেয়েরা মাঝে বসতো আর যারা নতুন তারা একদম পিছনে,আসার সময় আবার এই নিয়ম ছিল না, আমরা এমনে পিছনে বসার মধ্যে মজা পেতাম কারণ পিছনে বসলে সামনে কি হচেছ না হচেছ সব জানতে পারতাম,কলেজ বাসের দরজা ছিল দুইটা,কলেজে যাওয়ার সময় সবাই মোটামটি মাঞ্জা মেরে যেত, শত হলে নিজেকে জাহির করে যেতে হতোনা,বাসের মধ্যে মরা রাশেদ উঠলে তো কথাই নেই গান চলতো আর পিছনে চিল্লাচিল্লি প্রতিদিন চলতো,আমি বেশির ভাগ সময় ভিতরে না বসে পিছনের দরজায় দাড়িয়ে থাকতাম,পিছনের দরজায় দাড়ানো জন্য আমার সাথে অনেক কে ফাইট করা লাগতো,হেলপার এর পাটও নিতাম,কলেজ বাস ছাড়তো মেডিকেলের পিছন থেকে মেডিকেলের পাশে মোটা মোটা লোহার থাম দিয়ে গেইট ছিল,বাস ঐ গেইট দিয়ে মোড় ঘুরে বের হতো,তো একদিন আমি ভালো মতো মাঞ্জা মারতে মারতে দেরি হয়ে গেলো দৌড়ে কোনমতে পিছনের দরজায় উঠলাম বাসও মোড় ঘুরতেছে আমার হাত যে বাহিরে সে দিকে খেয়াল নেই হঠাৎ চোখে সষে ফুল কি থেকে কি হয়ে গেলো আমি চিৎকার করে উঠলাম,আমার বাম হাত নাড়াইতে পারছিনা সাথে সাথে আমাকে ধরে পাশে হাসপাতালে নিয়ে গেলো পুরো বাম হাত অবশ এই হাত যে আমাকে বহুত দিন ভোগাইছে

Anisur Rahman Reza ভাই উনার প্রায় কমেন্টস এ আমাকে কপাইল্যা বলেন


Anisur Rahman Reza ভাই উনার প্রায় কমেন্টস এ আমাকে কপাইল্যা বলেন। আমি ধর্ম কর্ম তেমন পালন না করলেও এই কপালের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে সব সময় কৃতজ্ঞ থাকি।

১৯৯৯ সালে যখন স্টিল মিল বন্ধ হচ্ছে হচ্ছে অবস্থা ঠিক সেই সময় আমার ঢাকায় বসুন্ধরাগ্রুপ এ চাকুরী হয়। ওই মূহুর্তে এ চাকুরী সৃষ্টি কর্তার কত বড় দয়া তা ভাষায় প্রকাশের মমত নয়।এর পর ৭/৮ বছর মোটামুটি চলছিল, পুরো পরিবার চিটাগাং , আমি ঢাকায় থাকি, সবাইকে ঢাকা নিয়ে আসলাম, ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের বাবা হলাম তার কিছুদিন পরে বিনা মেঘে বজ্রপাত, অফিসের নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে এক দিনের নোটিশে চাকুরী নেই, সর্ষে ফুলের চেয়ে হলুদ কোন ফুল থাকলে বোধ হয় সে ফুলই দেখছিলাম। ঢাকা শহরে চলার মত মাস দুয়েকের টাকা জমা আছে,এর পর কি হবে সে চিন্তায় অস্থির, কিন্তু সৃষ্টি কর্তা আবারো আমার প্রতি অসীম দয়া দেখালেন,দেড় মাসের মাথায় আবার চাকুরী তে পুনর্বহাল এবং আমাকে হয়রানির করার ক্ষতিপূরণবাবদ দুই লাখ টাকা প্রদান, সৃষ্টিকর্তা যা করেন বোধ হয় ভালোর জন্য করেন। 

অপুর হয়ে গতকাল পুলক একটি পোস্ট করেছে


অপুর হয়ে গতকাল পুলক একটি পোস্ট করেছে।রক্ত দরকার সেখানে আমাদের লিটন ৯৪ ব্যাচ, আমি ফোন করেছিলাম লিটনকে, সে বলল আসলাম রক্ত পাওয়া গেছে, আমি তাকে অপুর সাথে যোগাযোগ করতে বললাম।আমি অপুকে ফোন করে বুজতে পারলাম অপু খুব ব্যাস্ত রোগী নিয়ে,আমি লিটন এর কথা বলাতে অপু আমাকে লিটনের নাম্বার এসএমএস করে দিতে বলে।পরে পুলক বলল ৭ টার দিকে রক্ত দেওয়া হবে।

লিটন আমকে একদিন বলেছিল আসলাম রক্ত লাগলে আমাকে জানাইস,আমার মায়ের রক্তের দরকার হলে আমি লিটনকে বলেছিলাম,সে চেষ্টা করেছে লিটন বন্ধু তোকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্ট টা লেখার কারণ আমরা যদি সিএসএম বাসী সুখে- দুঃখে একসাথে থাকি,তাহলে আমরা যে কোন কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবো।ইনশাআল্লাহ।

এক‌টি দুপুর‌বেলা ও অামার স্বাধীনতা :


দুপু‌রের খাওয়া শেষ ক‌রে অামার ছোট ভাই‌ অা‌নোয়া‌র এর প্রিয় "GREEN TEA" পরখ ক‌রে দেখব ভে‌বে এক কাপ হা‌তে নিলাম, ধীর গ‌তি‌তে টি‌ভি রু‌মে ঢুকলাম, চা‌য়ের কা‌পে চুমুক দি‌তেই FEEL করলাম কেন অামার ছোট ভাই এই GREEN TEA এত পছন্দ ক‌রে!!! 

নি‌জের অজা‌ন্তেই কখন যে টি‌ভি রি‌মোর্ট হা‌তে নিলাম টেরই পেলাম না, হই‌তো চা এর স্বাদই এর জন্য দায়ী,,,,,যাক সে কথা, POWER BUTTON চাপ দি‌তেই সেই অ‌তি প‌রি‌চিত ভারতীয় চ্যা‌নেল চো‌খের সাম‌নে ভে‌সে উঠ‌লো, কিন্তু অামার ম‌নের খোরাক ঐ ভারতীয় চ্যা‌নেলগু‌লো নয়,,,হয়‌তোবা অার কেউ দেখ‌ছি‌লো এবং সে অবস্থা‌তেই টি‌ভি বন্ধ ক‌রে‌ছে। যা হোক, কেবল অপা‌রেট‌রের সি‌লেক্ট করা ২০ নম্বর চ্যা‌নেলটা চাপ দিলাম, GTV (gazi tv). নাহ, কোন খেলার পুনঃপ্রচারও নেই। সোজা চ‌লে গেলাম খেলার চ্যা‌নেলগু‌লো‌তে। ৩৮ থে‌কে ৪৭ পর্যন্ত খেলার চ্যা‌নেল। শুরু‌তেই ৩৮ নম্বর চ্যা‌নেল। হ্যাঁ, এটাই‌তো খোজঁ কর‌ছিলাম। বাংলা‌দে‌শের খেলা পুনঃপ্রচার। বাংলা‌দেশ বনাম অায়ারল্যান্ড। শেষ চুমুকটুকু দি‌য়ে চা‌য়ের কাপটা টে‌বি‌লের উপর রে‌খে ঘাড়টা টি‌ভির দি‌কে ফিরা‌তেই সেই "যন্ত্রণাময়" বিজ্ঞাপন বির‌তি। ধুর শালা....‌রি‌মোর্ট হা‌তে নি‌য়ে যেই চ্যা‌নেল চ্যান্জ কর‌তে যাব ঠিক সে সময় টি‌ভি পর্দায় ভে‌সে উঠল নিম্মরুপ:

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss