Thursday, July 21, 2016

জীবনের প্রথম যে জিনিস টা করা হয় সেটা মনে হয় কোন দিনই ভুলা যায়না


আমি কনফার্ম এই একটা লাইন পড়েই পাঠক বৃন্দ ( আমার এইসব আজাইরা প্যাঁচাল কয় জনে পাঠক পড়ে আল্লাহই জানে) নড়েচড়ে উঠেছে এটা ভেবে এইযে " এই গাধা টা মনে হয় তার কোন প্রেমের কাহিনী নিয়া আসছে"------ হুম ঠিকই আছে আমি আসলেই গাধা, কারন গাধারাই প্রেমে পড়ে, আর তার চেয়ে বড় গাধারা ওই প্রেম কাহিনী বলে বেড়ায়। সে হিসেবে আমি বড়সড় একটা গাধাই।

যা হোক আমি কোন আজ গাধামি করবনা, অর্থাৎ প্রেম পিরিতি নিয়ে কোন কিছু লিখবনা। আমি আজ লিখব আমার প্রথম মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে কাহিনী।

২০০৩ সাল, মোটামুটি অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, এমনকি আমার অফিসের ( তখন আমি বসুন্ধরাগ্রুপে)পিওন ও মোবাইল চালায়। আশেপাশে র সহকর্মী রা তো আছেই, শুধু আমার কোন মোবাইল নেই।অল্প বেতন পাই তখন, মোবাইল কেনার সাহস করতেও পারিনা। অফিসে আমিই একমাত্র মোবাইল বিহীন মানুষ। নিজেকে কেমন জানি তুচ্ছ লাগছিল। 

( আমি জানি এ ধরনের চিন্তা ভাবনা ঠিক না)। এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে অফিস থেকে অল্প কিছু সেলস বোনাস পেলাম, তখন সিদ্ধান্ত নিলাম মোবাইল কিনার, নিজে কিছু টাকা যোগাড় করলাম, এবার মোবাইল পছন্দ করার পালা, সাদা স্লিম সনি এরিকসনের একটি সেট পছন্দ হলো, সিম সহ লাগবে ১২০০০ টাকা, নিজেকে অসহায় লাগলো, আমার যা বাজেট এই সেট কিনতে গেলে আরো প্রায় ৫০% টাকা লাগবে, একজন থেকে কিছু লোন নিলাম, খালার কাছ থেকে নিলাম ২৫০০ টাকা। যদিও খালা এই টাকা আর ফেরত নেননি। অবশেষে কিনলাম সেই কাংখিত ফোন। কি যে আনন্দ লেগেছিল সেদিন। আমার আচার আচরন সেদিন ছোট বাচ্চাদের মত হয়ে গিয়েছিল। রাতের বেলা মোবাইল সেট আর সেটের বক্স পাশে রেখে ঘুমিয়েছিলাম। মাঝরাতে ঘুম ভেংগে মোবাইল সেট টি নেড়েচেড়ে দেখেছি। হাস্যকর সব কাজ। এমন কি এই সেট কেনার তারিখ টিও মনে আছে, ২৮ এপ্রিল ২০০৩,টানা তিন বছর এ মোবাইল সেট টি ব্যবহার করেছি। তারপর নষ্ট হয়ে যায়, এরপর সেট টি কোথায় যেন হারিয়ে যায়। আজ এই মোবাইল সেট টির কথা খুব মনে পড়ছে। জীবনের প্রথম সেট তাও আবার নিজের টাকায় কেনা একমাত্র সেট। এরপর যে সেটই কিনেছি সবগুলার বিল অফিস থেকে পেতাম।

আবার রঙ নিয়ে রংবাজি শুরু হই গেছে


আবার রঙ নিয়ে রংবাজি শুরু হই গেছে। এবারের রংবাজ হচ্ছে Farhana Islam Rony . তবে স্বস্তিদায়ক ব্যাপার হচ্ছে এই রংবাজি কোন ফুল নিয়ে নয়। এবারের রংবাজি পরনের জামার কালার নিয়া।আজকের রংবাজির রঙ ছিল সবুজ ( আল্লাহ বাচাইছে গোলাপি রঙ যে না)। যাই হোক রনির এই রংবাজিতে অনেকের পাশাপাশি আমার নাম ও চেহারা খানিও স্থান পাইছে। সে জন্য রনিকে সবুজ রঙ এর যে কোন ফুলের শুভেচ্ছা। ( অনির্দিষ্টকালের জন্য গোলাপ শুভেচ্ছা নিষিদ্ধ আছে তাই, গোলাপ শুভেচ্ছা কইলাম না)। 

যাই হোক গোয়েন্দা সূত্রে রিপোর্ট পাওয়া গেছে যে রনি এরপর হলুদ কালারের রংবাজি করবে,, তাই আমি যাতে ওই রংবাজি লিস্টে থাকি তাই এই ছবি খানা দেওয়া হইল। রনি রনির মত করিয়া ছবি সাইজ কইরা নিও।

( স্টিলার তিন প্রজন্ম।
২০১৩ সালের ঈদুল ফিতরে তোলা ছবি, উল্লেখ্য আমি তখন জংগী থুক্কু ডেঙ্গু আক্রমনের শিকার, মানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান ছিলাম)

তানিয়া আপু


স্কুল লাইফে যে কজন আপুর সাথে আমি এবং আমরা বেশি দুষ্টমি করতাম তার মধ্যে অন্যতম ছিল তানিয়া আপু। আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাহেদ এর বড় বোন হলেন এই তানিয়া আপু। উনার সাথে যখন আমরা দুষ্টমি করতাম উনি তখন শুধু হাসত কিন্তু কোনদিন আমাদের বকা দেন নি বা বিরক্ত হননি। জাহেদ কে বলতাম আমরা আপুকে এত রাগাই তারপর আপু কেন আমাদের কিছু বলে না। জাহেদ বলত আপু তোদেরকে খুব পছন্দ করে তাই কিছু বলে না। এই তানিয়া আপুর সাথে আমার সর্বশেষ দেখা হইছে এবং কথা হইছে সেই ২০০০ সালে। আমি উনাকে মনে হয় ভুলেই গিয়েছিলাম।

এরপর উনাকে দেখলাম ২৯ জানুয়ারি ২০১৬ তে। আমাদের প্রিয় গ্র্যান্ড আড্ডায়। আমি দাঁড়িয়ে আছি আর উনি আমার সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। আমি বললাম আপু আসসালামুয়ালাইকুম। উনি সালামের উত্তর নিল। আমি বললাম আপু আমাকে চিনছেন। উনার চাহুনি দেখে বুজলাম উনি আমাকে চিনতে পারছে না বা চিনতে কষ্ট হচ্ছে। আমি বললাম আমি সুজন, আপনার ছোট ভাই জাহেদ এর ফ্রেন্ড। উনি তারপরও আমাকে ঠিকমত চিনতে পারলনা। তারপরও বলল চিনছি। যাই হোক আড্ডায় উনার সাথে আমার আর কথা বা দেখা হয়নি কিন্তু আমি উনার প্রাণবন্ত উপস্থাপনা খুবই উপভোগ করেছি।

আড্ডার পর ভাবলাম আপুকে ফ্রেন্ড রেকুএসট পাঠাবো। কিন্তু আমি ফ্রেন্ড রেকুএসট পাঠানোর আগেই উনি আমাকে ফ্রেন্ড রেকুএসট পাঠাল। বুজলাম উনি আমাকে চিনতে পেরেছে। তারপর একদিন অনেক্ষণ উনার সাথে চ্যাট হল। বলল একদিন উনার সাথে দেখা করার জন্য, আমাকে আইচক্রিম খায়াবে। কিন্তু আর দেখা করা হয়নি।

এরপর আবার দেখা হল গ্র্যান্ড ইফতার পার্টিতে। কিন্তু সময়ের অভাবে উনার সাথে ঠিকমত কথা বলা হয়নি।

গত ১৭ জুলাই রাতে গিয়েছিলাম বাবু ভাইয়ের ছেলে আর টিপু ভাইয়ের ভাতিজার জন্মদিনে।আবার দেখা হলো তানিয়া আপুসহ অনেক ভাইয়া আপুদের সাথে। আপুকে বললাম আমাকে এইবার চিনতে পেরেছেন। আপু হেসে বলল তোরে চিনব না, তুই হল ......।

এরপর অনেকক্ষণ আপুর সাথে কথা হল। তারপর আপুর সাথে একটা সেলফি তুললাম।

কিছু স্মৃতি


ছোট বেলায় আমার বেশির ভাগ সময় কাটতো জাফর ভাইদের বাসায়।ওনাদের একমাত্র বোন মুন্নী আপার সাথে।সারাক্ষন আমি ওনার সাথেই থাকতাম।ঈদের সময়ও ওনার সাথেই বেড়াতে যেতাম।জাফরভাই, সফি আলম ভাই,খালাম্মা, কাকা সবাই খুব আদর করতো।এমনকি ওনাদের বাড়ি থেকে যত মেহমান আসতো সবাই আমাকে চিনত। খুব মিস করি সেসব দিনগুলো।

পোস্টমর্টেম : পর্ব ২


লেখকের পোস্টমর্টেম থুক্কু লেখকের লেখার পোস্টমর্টেম শুরু করি দেই কি বলেন। আচ্ছা শুরু করি।

Ahsanul Tarique ফাইটার বয়, খুব কম লেখে, যখন লিখে কলোনি টা কে চোখের সামনে নিয়ে আসে।

Al Amin Billah Shujon : ওরে কি লেখক বলব না গবেষক বলব, নাকি পরিসংখ্যান বিদ বলব এটা নিয়া পোস্টমর্টেম রিপোর্টে কনফিউশন দেখা দিছে।

Aslamuddin Mamun ওর লেখায়ও কনফিউশন সৃষ্টি হইছে এজন্য যে এগুলা কি তথ্য অধিদফতর এর প্রেস নোট নাকি সরকারি গেজেট?

Farhana Sammi Farhana Sammi :পারিবারিক বোঝাপড়া গুলো চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে।

Farhana Islam Rony আচমকা দারুন সব ফিচার নিয়ে হাজির হয়। ( যেমন আজ সবুজ রঙ এর জামা)

Shajib Kumer Dey মগা মাঝেমধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিবের মত স্টেটমেন্ট দিয়া দেয়। এই স্টেটমেন্টে আবেগও থাকে। কমেন্টস গুলো কিছুটা এটাকিং হয়।

Monirul Islam Monir এই শালা যে এতো ভালো লেখতে পারে আমি জানতাম না। কলোনিতে শালার লেখালেখি প্রতিভা ছিল পিকনিকের বাজারের লিস্ট তৈরি আর ফার্মেসি তে ঔষধ বিক্রির হিসাব পর্য্যন্ত।

Jashim Uddin ভাই, প্রেমিক পুরুষ, বলা যায় বিদ্রোহী প্রেমিক পুরুষ, সংগ্রামী প্রেমিক এবং অতি অবশ্যই সফল প্রেমিক। তাই লেখায় বিপ্লবী রোমান্স থাকে।

Samee Sam ওর লেখা পোস্টমর্টেম করতে গিয়া বাংলা টু বাংলা ডিকশনারি লাগছে, বাংলা একাডেমী ও ছুটাছুটি করা লাগছে। আর হিহি হি তো আছেই।

যাই হোক আজকের ময়নাতদন্ত এ পর্য্যন্তই, আরো কিছু লাশ ধুর আবারো মিস্টেক করি ফেললাম, আরো কিছু লেখকের লেখা ময়নাতদন্ত দেখি করা যায় কিনা।

কয়েক দিন আগে-বড় বড় তিনটা ফোড়া উঠিল দুইটি পিছনের দুই রানের শুরুর অংশে


কয়েক দিন আগে-বড় বড় তিনটা ফোড়া উঠিল দুইটি পিছনের দুই রানের শুরুর অংশে এবং বাকিটা পেটের নাভির একটু উপরে-অনেকটা আগের বঙ্গভূমির মানচিত্র-‘‘ব” দ্বীপের মত। অনেকে বলে বাগ্মীফোড়া, অনেকে বলে-বিষ ফোড়া। ফোড়ার এরূপ নামের রহস্য উৎঘাটন করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ফোন করিলাম-কেহ বলিল-এইরূপ ফোড়া উঠিলে টাকা পাওয়ার সম্ভবনা, কেউ বলিল-শরীরের সমস্ত দুর্ষিত বিষ ফোড়াকারে শরীর হইতে বাহির হয়, কেহ বলিল-ফোড়া উঠায় অনেক ব্যাথা ও কষ্ট সহ্য করতে হয়-তাই এর নাম বিষ ফোড়া। বন্ধু রেজা বলিল-দোস্ত এগুলো ডায়বেটিক হওয়ার প্রাথমিক লক্ষন। তারাতারি চিনি রোগ পরীক্ষা কর। মাথায় যেন বাজ পড়িল। অফিসের নিচে এক ফার্মিসিতে গিয়া পরীক্ষা করিলাম-রিডিং আসিল 11.3 মানে পুরা চিনি রোগ। মনকে সান্তনা দিলাম-বাবার আছে, মার ছিল, প্রকৃতি হয়ত সেই সুবাদে-উহা আমাকে দান করিয়াছে। রক্তে চিনির পরিমান-11.3 শুনিয়া আমার মিষ্টি চেহারাটা করলার তেতোরমত হইয়া গেল। বন্ধু নাজমুল কে ফোন করিয়া বিষয়টি অবহিত করিলাম। শুনিয়া নাজমুল-কাদো কাদো কণ্ঠে বলিল, দোস্ত তুই যে হাটোছ-তাতে তোর চিনি রোগ হাওয়ার কথা না। অনন্ত জলিলেরমত বলিল-দোস্ত চিন্তা করিছ না তোর চিনি রোগ হয় নাই। সব ঠিক হইয়া যাইবে-আমি তো অনেক আগের থেকে সাবধান হইয়া গিয়াছি। বন্ধু রেজা সবসময় পকেটে বাচ্চা ছেলে-মেয়েদের মত পকেটে চকলেট নিয়া ঘুরিয়া বেড়ায়। 

জিজ্ঞাসা করিলে বলে-চিনির বিষয়গুলো বরাবরই একটু ঘোরালো। রক্তে চিনি বেশি হইলে বিপদ-‘‘কিডনি ড্যামেজ” থেকে শুরু করে আরও কত কি। আবার চিনি কম হলেও বিপদ। এক চামুচ চিনির ঘাটতিতে অনেকে পটল তুলে। ডায়বেটিস হলে মানুষকে এভাবে জ্বালায়। তাই রেজার এই অভিনব ব্যবস্থা। নিজের অবুঝ মনকে চিনি থেকে দুরে থাকার জন্য শান্তনা দিলাম-চিনি নাকি শরীরের জন্য ‘‘হোয়াইট পয়জন”। যেন তেন রকমের না, একেবারে সিগেরেট বা মদের সাথে তুলানা করা যায়। আহা রে নিরীহ চিনির একে অবস্থা! আমি-চিনি হইতে কিভাবে দুরে থাকিব কারণ সুখবর মানেই তো মিষ্টমুখ। সুধু তাই নয় ‍দুঃখের খবরেও তো মিষ্টিমুখ করতে হয়। বোঝা গেলে না বোধহয়। একটু খুলে বলেলই -বুঝা যাবে।মানুষ মারা যাওয়ার তিন/চার দিনে মাথায় বাড়ীতে মিলাদ দেওয়া হয়। আর মিলাদ মানে মিষ্টি। দুঃখে স্বরণে কেন মিষ্টি দেওয়া হয়, তার হয়তো ব্যাখ্যা আছে কিন্ত আমার জানা নেই। কারও জানা থাকলে জানাবেন। আতিকের কাক্কুর সরকারের আমলে চিনি নিয়ে এক মন্ত্রী এমন কেলংকারী করেছিলেন যে মানুষ চিনিকে গাল হিসেবে ব্যবহার করতো। পরে শুনেছিলাম ঐ মন্ত্রীকে চিনি রোগে ছাড়ে নাই। ওটাই উনার কাল হয়েছিল। চিনি যদি বিষ হয় তাহলে মৌমাছির কি অবস্থা হবে-ঘটনাটি একটু খোলসা করে বলি। 

ওয়ার্কার ক্লাবের এই জায়গা টা আমার খুব চেনা


ওয়ার্কার ক্লাবের এই জায়গা টা আমার খুব চেনা। কারন যখন আমাদের ১০:১৫ তে ক্লাস শেষ হয়ে যেত,বন্ধুদের অনেক কে দেখতাম ক্লাবের সামনের জায়গাটা তে খেলতে যেত।আমার যেতে ইচ্ছা করলেও যেতাম না।ভাবতাম আম্মা হয়ত চিন্তা করবে। তাই বাসায় চলে যেতাম।তবে এই ক্লাবের ভেতরে একটা দোকান ছিল আর বাইরে টিনের একটা দোকান ছিল। ভেতরের দোকান টাতে গোলাপি আর ঘিয়া রং এর এক ধরনের চকলেট পাওয়া যেত,যাকে আমরা পাওয়া যেত সন্দেশ। আর গোলাপি আর হলুদ রং এর লাঠি চকলেট আর মার্বেল এর মত গোল চকলেট পাওয়া যেত।মাঝেমাঝে ওই চকলেট গুলো কিনতে ক্লাবের জায়গা টাতে আসতে হত। তবে ক্লাবের ভেতরে কখনো ঢোকা হয়নি। চকলেট কিনেই বাসায় চলে আসতাম ভাল ছেলের মত। ছোটবেলায় কেন জানি বেশি দূরে খেলতে যেতে ইচ্ছা করত না, আবার সুমন ভাই,আরিফ ভাই,মাসুদ এরা যখন কর্নফুলী নদী দেখতে বা জিপসামের খনি দেখতে যেত, সেখানেও যেতে ইচ্ছা করত না।মনে হত আম্মা বুঝি এই আমাকে খুজবেন আর না দেখলে চিন্তা করবেন।আর এই ভেবে ভেবে আমার পুরো কলোনি র অনেক কিছুই দেখা হয়নি

সানজিদা আহমেদ সুইটি


সানজিদা আহমেদ সুইটি। Jashim Uddin ভাইয়ের বড় মেয়ে। শুধু জসিম ভাইয়ের না আমাদের পরিবারের বড় মেয়ে। ওর ডাকনাম অনেক গুলি। আমরা ডাকি সুইটি, কলেজে ডাকে রিশা, জসিম ভাই ডাকে বুড়ি আর ওর মা ডাকে মনি। ওর জন্মের আগে আব্বা ওর নাম রেখেছিল সুইটি। দেখতে দেখতে আমাদের ছোট্ট সুইটি অনেক বড় হয়ে গেলো। সে এখন আগ্রাবাদ মহিলা কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়ে। অতিরিক্ত বা আহামরি কোন চাহিদা নাই যা পায় বা দেয় তাতেই ও সন্তুষ্ট। পড়ালেখায় ভাল, শান্ত ও চাপা স্বভাবের মেয়ে। সুইটির জন্য সবাই ওর দোয়া করবেন। Tafsi Fariha, Ahmed Nazim, Towsif Noor Kabbo.

ঘাসের থেকে একটু রং চুরি


ঘাসের থেকে একটু রং চুরি
সবুজ পাতায় আলোর লুকোচুরি...
মামুন ভাই সবার পরিচয় দেয়,কিন্তু আমার সাথে শত্রুতা মনে হয়।তাই,নিজের ঢোল নিজেই পিটাই।হাহাহাহাহা।
১৯৯৫ এর এই মুখরা রমনী কে তার ব্যাচের পোলাপান খুব ভাল করে চিনে। :-)
সিমু অথবা সিমকা যাই হই না কেনো, আমার কোন ও আলো নেই।স্টীল মিলের হেমায়েত চাচা আর শিউলি আপার আলোয় কিঞ্চিৎ উঁকিঝুঁকি মারি আলোর নেশায়।
ছোট বোন রনির সবুজ জালে নিজেকে আমি ও জড়ালাম। হু......

মামুনের একটি পোষ্ট এর মাধ্যামে জানতে পারলাম সি এস এম পেইজের এক বছর পূর্ণ হল


মামুনের একটি পোষ্ট এর মাধ্যামে জানতে পারলাম সি এস এম পেইজের এক বছর পূর্ণ হল।এক বছরে মধ্যে আমরা ভালো মানের লেখক পেয়েছি।মানবতার সেরা উদারণ হল আমাদের সি এস এম ভাই ও বোনেরা।একজনের বিপদে কিভাবে সহযোগীতা করতে হয় তা সি এস এস বাসীর চেয়ে কেউ বেশি জানে না।তাদের এই সহযোগীয় নেই কোন রাজনৈতিক উদ্যেশ্য।নেই কোন হীনমনতা। সি এস এম বাসী জানে কিভাবে নিজেদের মধ্যে সুখ দুঃখ ভাগ করে নিতে হয়। সি এস এম পেইজে কিছু অগোছালো লেখকও আছে যেমন আমি।আমরা যারা অগোছালো লেখক তারা মূলত সি এস এম বাসীকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করি।লজ্জা কিসের আমরা আমরাই তো । যতই দূরে থাকি না কেন মনেে হয় সবাই সিএস এম তে আছি ।কিছু কিছু লেখকের লেখা প্রচন্ড অভিমান থাকে। আসলে পেইজে মান অভিমান না থাকলে পেইজ জমে না। কিছু লেখায় প্রচুর রোমান্টিকের ছোয়া থাকে যেমন রেজা ভাই ও মানিক ভাই।কিছু লেখায় আবেগ ভর্তি থাকে যেমন আমার নিরু মামা। 

জন্মদিন - ২০শে আগস্ট


জন্মদিন। ২০শে আগস্ট। এই পেজটির। এক বোতল পাওনা কোক। পানির ট্যাঙ্ক। একদিন একটি জমজমাট আড্ডা।আতিক/পুলক/টিংকু/শাহিন/নাজমুল এবং পরে এদের সাথে আমি আর জসিম। শুরু হলো csm পেজের যাত্রা। আজ এই পেজের মেম্বার সংখ্যা- ৬৯০+। আগামী ২০শে আগস্ট এক বছর পুর্ন হবে।

কেক কেটে উদযাপন করলে কেমন হয়?? গত একটি বছর আমরা এই পেজটিতে প্রচুর সময় দিয়েছি। জিবনে কোনদিন আমরা যারা লেখালিখিতে ছিলাম না, আজ আমরা সেই সকল ভাই/বোন, এই পেজের দয়ায় বিশাল লেখক!!!!!!!। কিছু/কিছু সেবা মুলক কাজও আমরা করেছি। বিশাল একটি আড্ডার পর, ছোট/খাট আড্ডা-তো লেগেই আছে। csm হারানো ভাই/বোনেরা, এই পেজটিতে csm খুজে পেয়েছে। 

হয়ে যাক, জন্মদিন পালনটি। দরজা/জানালা খুলাই আছে। সবার অংশগ্রহনে মুখরিত হয়ে উঠুক, জন্মদিবসটি। একসাথে সবাই বলি, শুভজন্ম দিন- csm colony.

ছোটবেলায় আমাদের পেন্সিল দিয়ে লিখতে হত


ছোটবেলায় আমাদের পেন্সিল দিয়ে লিখতে হত। ক্লাস টু তে উঠার পর আমাদের কে কলম দিয়ে লিখতে দেয়া হল।মাঝে মাঝে ক্লাসে লিখতে গিয়ে আমার কলমের কালি শেষ হয়ে যেত। তখন ক্লাস মেট দের কাছে কলম না পেলে আমার বড় বোনের ক্লাসে ছুটে যেতাম কলম আনতে। আপা যখন এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে স্কুল থেকে বের হয়ে গেলেন, তখন ভরসা হলেন দেলোয়ার ভাই।উনি ক্লাস চলাকালীন সময়ে কলম নিয়ে আসতেন পকেট এ করে।কারো কলম লাগবে কিনা জানতে চাইতেন। আমাদের যারা কলমের কালি শেষ করে ফেলতাম, তারা কলম কিনতাম। দেলোয়ার ভাইয়ের কলম গুলো ছিল নানা ডিজাইনের। আর তাছাড়া সাথে সাথে টাকা না দিলেও চলত। উনার কাছে সিগারেট এর মত এক রকম কলম ছিল।কিনতে ইচ্ছা করত খুব।অনেকেই কিনেছিল। কিন্তু মানুষ খারাপ ভাবে এইজন্য কিনতাম না। ওই বয়সে মানুষের ভাল লাগা কে মন্দ লাগাকে কেন এত গুরুত্ব দিতাম তাই বুঝিনা।
photo- Shadiqul Hoque Polash vai

গত ১৭ জুলাই Babu Csm Club এর ছেলে তাজদারের জন্মদিনে


গত ১৭ জুলাই Babu Csm Club এর ছেলে তাজদারের জন্মদিনের অনুষ্টান সিএসএম কলনির E/9 এর দখলে ছিলো। যে কোন অনুষ্টান এই বিল্ডিংয়ের অধিবাসীদের দখলে থাকে। অর্থাৎ যে কোন অনুষ্টানে এই বিল্ডিংয়ের লোকসংখ্যা সবসময় বেশি থাকে। আবার যে কোন অনুষ্টানে লোক সংখ্যা যতই কম হোক E/9 এর কেউ না কেউ থাকবে। জসিম ভাই, শাহিন ভাই, তারিক ভাই,জাফর ভাই, খোকন ভাই, শফি আলম, বাবু দা, অপু, রনি, মুন্নি, নাজিম, বাবু, মনিকা, নাদিম, ফেন্সি, স্বপন, মানিক, জসিম, টিপু দে, বিথী, যুথি, লিপি এবং এই মুহুর্তে নাম মনে না পড়া আরো অনেকে। এখানে যাদের নাম উল্লেখ তারা সবাই ফেইসবুকে মুটামুটি ভাবে সক্রিয়। এদের কাউকে না কাউকে যে কোন অনুষ্টানে পাওয়া যাবে। আমরা E/9 এর বাসিন্দারা কাউকে না করতে পারি না, তাই দাওয়াত মিস করি না। Jashim Uddin, Reajul Islam Shahin, Jafar Alam Alam, Tarique Hoque, Khokan Didarul Alam, Md Shafiul Alam, Rajib Kumer Dey, Deepa Dey Tipu, Shajib Kumer Dey, Farhana Islam Rony, Mahabur Rahman Manick, Mostafizur Rahman Shapon, Bgm Khadiza, Tafsi Fariha, Ahmed Nazim Jashim Uddin, Shamima Bithi, Shazi Khan, ইউনুস রেজা, Babu Zahid, Nadeem Ahmed Shah, Tanjina Huda

এখন আমি যেখানে চাকরি করছি তা হলো আমাদের csm এর main gate এর opposite side


এখন আমি যেখানে চাকরি করছি তা হলো আমাদের csm এর main gate এর opposite side. মহাজন টাওয়ার ।আমাদের সময় যা ছিল হিন্দু পারা বা নারিকেল তলা নামে পরিচিত ।এখন এখানকার চেহারা একেবারে আলাদা ।আগে বিকেল বেলায় অফিস ছুটির পর csm এর employees রা main gate দিয়ে বের হত। এখন সেটা KEPZ এর gate ।এখন garments ছুটি হয়েছে ।দলে দলে সব garments এর মেয়ে রা বের হচ্ছে ।আমার অফিস মহাজন টাওয়ার এর 3 তলায় ।এখানে থেকে দেখা যায় মাটিতে মিলিয়ে যাওয়া csm এর উপর বড় বড় সব কারখানা কিভাবে বুক চিতিয়ে আছে ।হঠাত্ আজ সেদিকে তাকিয়ে csm এর তিন চুল্লি র কথা মনে পরে গেল ।অনেক দুর থেকে যা দেখা যেত। এখন সবই অতিত।

C 1 বিল্ডিং যেখান থেকে শুরু হয়েছিল


C 1 বিল্ডিং যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, সেখান এ শেষ হয়েছিল D টাইপের বিল্ডিং। C 1 বিল্ডিং এর একটা বৈশিষ্ট্য ছিল, এখানে যারা থাকতেন, তারা সবাই এতই সিনিয়র ছিলেন যে আমাদের সমবয়সী খেলার কেউ ছিল না।তাই এই বিল্ডিং এর সামনে তেমন বাচ্চাদের খেলতে দেখা ছিল না। নিচতলায় থাকতেন মিতু ভাই আর টিটু ভাইয়েরা। তাদের সামনে ছিল বিরাট ফুলের বাগান। দোতলায় শুভ্রা আপারা, আরেক পাশে মিমি আপারা।মিমি আপার ছোট ভাই বাবু( যাকে ডিম্পল ডাকা হত) আমাদের সাথে খেলতেন। তিন তলায় রুমা আপা আর মিশু আপারা। একসময় পুরনো মানুষ গুলো চলে যেতে থাকে সেখানে আসেন নতুন মানুষ। তিন তলার রুমা আপারা চলে যাবার পর জুয়েল ভাইরা।উনারা চলে যাবার পর মোমিন চাচা এলেন।উনারা চলে যাবার পর আতিক ভাই রা আসলেন। ওদিকে মিমি আপারা চলে যাবার পর মিতু ভাইরা উপরে এলেন।টিটু ভাই রা চলে যাবার পর মুনমুন রা।মোমিন চাচা বসার জন্য কয়েক টা পাকা বেঞ্চ করে দিয়েছিলেন।তবুও ওই বিল্ডিং টার সামনে নিরিবিলি নিরিবিলি ভাব টা যায়নি। ওইরকম থেকে গিয়েছিল।

গতকাল আমাদের csm কয়েকজন ভাই তাদের কচি সবুজ পাতার মত


গতকাল আমাদের csm কয়েকজন ভাই তাদের কচি সবুজ পাতার মত জীবনের সময়টুকুতে বিচরণ করেছিলেন।তাদের মধুময়,বিষাদময়,ছন্দময় জীবনের আংশিক বিনিময় করেছিলেন ছন্দে ছন্দে।তারা আবেগে কিছুক্ষন সময় নিমজ্জিত ছিলেন। জসীম ভাই ছিলেন উপস্হাপক, বিশেষ অথিতি ছিলেন রিপন ভাই,যিনি অনেকের প্রেমপত্র লিখতেন নগদ টাকার বিনিময়ে।আরো কয়েকজন রোমান্টিক কবিও জোগ দিয়েছিলেন।

সমাবেশ ভালই জমে উঠেছিল।আমি সরাসরি পাঠক ছিলাম।অনেকে আড়াল থেকে পড়েছেন আর চেয়ে চেয়ে দেখেছেন।আজও মানিক ভাই csm এর সকাল বেলার আবেগের কথা না বলে পারলেন না। এনাদের বয়স বাড়তেছে না কমতেছে!রনির মনেও ছোঁয়া লেগেছে।সে সবুজের সম্ভার নিয়ে বসেছে আজ।ভাই-বোনেরাও চীরসবুজে মেতে উঠেছে।ভালই লাগছে।সবুজ মনের মত সবুজ রং চোখের জন্য ভাল।সকলে যেন তাই থাকে।

সকলেই যেন চিরসবুজ


সকলেই যেন চিরসবুজ। রং বলে কথা নয় মনের দিক থেকেও সকলে যেন চিরসবুজ। পেইজে সবসময় গোলাপি আর আকাশী রংয়ের কাপড়ের কথা শুনে আসছি কিন্তু এইযে দেখছি ভিন্ন সকল স্টীলারের গায়ে গাড় সবুজ বা হালকা সবুজের সমাহার। সবুজের মাঝে সবাইকে দারুণ লাগছে তাইনা? আপনাদের মতামত কি?

পরিচয় পর্ব - ১


আজ আমাকে সবার সাথে পরিচয় করানোর প্রচেষ্টায় আমার বাবা-মায়ের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরার প্রয়োজন মনে করছি। আমার বাবা-মায়ের পাঁচ সন্তান, আমি বাবু , নিপা, টিপু, এ্যানি ও রিংকি। বাবা কাষ্টিং এন্ড ফরজিং শপ এ চাকরীরত ছিলেন। কলোনীর বিভিন্ন কাজ এবং মসজিদের সেবাও নিয়োজিত ছিলেন। আমাদের বাসা ছিলো E-7-Gতে। যে বিল্ডিং এর সামনে ছিলো কলোনীর একমাত্র স্লিপ। কতো পেন্ট যে ফুটো হয়েছে সেখানে তার হিসাব দেয়া মুসকিল। টিপুতো হাত দু টুকরো করেছিলো টারজান খেলতে গিয়ে। সে অনেক কাহীনি, পরে বলি। আমার বাবা ছিলেন অসম্ভব/বেসম্ভব একজন রাগী মানুষ। কিন্তু ছিলেন চরম এক আড্ডাবাজ। ডাঃ কাকা (আমিনুল হক সিদ্দিকী) সপ্তাহে মিনিমাম চারদিন রাত দশটার পর আমাদের বাসায় এসে বাবার সাথে আড্ডা দিতেন। চা পর্ব চলতো আর আমার মা যতক্ষন না ঘুমে ঢলে না পড়তেন তার মানে চায়ের সাপ্লায় যতক্ষন না বন্ধ হতো আড্ডা ততক্ষন চলতো। ওনি ছিলে পরোপকারী, এমন পরোপকারী যে নিজের ক্ষতি হলেও পিছ পা হতেন না। কেহ এক্সিডেন্ট করলে বা কারো কোন অসুখ করলে সবার আগে ঝাপিয়ে পড়তেন তিনি। দিনের পর দিন তিনি পার করে দিতেন অথছ নিজের ঘরের লোকজনের খাবার আছে কিনা সেই দিকে তার নজর ছিলো না। আমরা ও কিছু বলতে পারতাম না কারন সিদ্ধান্ত নেয়ার বেলায় সব সময়ই তিনি ছিলেন স্বাধীন।

আমরা সত্যিকার অর্থে তার মতো বাবা পেয়ে গর্বিত।

আরো একটা পরিচয় তার আছে, তা হলো তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধকালীন কমান্ডার।

আমার মা সদা সহজ সরল এবং কোন প্রকার ঝামেলা বিহীন একজন সাধারন মানুষ। খুবই সাধারন কিন্তু এটায় তাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরলো অসাধারন করে। আমাদের পড়াশুনা, খাওয়া দাওয়া ইত্যাদির প্রতি তার ছিলো বিশেষ মনোযোগ। বাসায় ছিলো সর্বোক্ষনিক মেহমান, কিন্তু তিনি বিন্দুমাত্রও বিরক্ত হতেন না। মানুষকে রেধেঁ খাওয়াতেও তিনি পছন্দ করেন।

আমরা গর্বিতো যে আমরা তাদের সন্তান।
দোয়া করবেন তারা যেনো আজীবন স্বাধীন থাকেন এবং সুস্থ ও শান্তিতে থাকেন। আমিন

মরহুম শ্রদ্ধেয় মালেক স্যারের কোন ক্লাস করার সৌভাগ্য আমার হয়নি


মরহুম শ্রদ্ধেয় মালেক স্যারের কোন ক্লাস করার সৌভাগ্য আমার হয়নি। তার আগেই স্যার প্রয়াত হন।তবে ছোটবেলায় এই ক্লাস রুমে আমাদের ক্লাস থ্রি র ক্লাস হত। বন্যা পরবর্তী কালীন সময়।সুজন,খোকন, আফরোজ ক্লাসে অনুপস্থিত। ওদের মুসলমানি হয়ছিল।ওদের অনুপস্থিতি তে আমি ছেলেদের ক্যাপ্টেন। প্রতিদিন বিজ্ঞান ক্লাস নিতেন মাকসুদা আপা।উনার কথামত বেত আনতে পাশের ক্লাসে যেতে হত,সেখানে মালেক স্যার ক্লাস সিক্সের ক্লাস নিতেন।আমি গিয়ে সালাম দিয়ে বলতাম,
স্যার, মাকসুদা আপা বেত টা দিতে বলছেন,
স্যার বলতেন, কেন?
আমি বলতাম, লাগবে উনার,
স্যার বলতেন, কেন লাগবে?
আমি বলতাম, স্যার,দেরি হলে আপা বকা দিবেন।
এটা শুনে স্যার হেসে বেত টা দিয়ে দিতেন। স্যারের এই মজা করাটা আমিও উপভোগ করতাম। স্যার কোন দিন আমার ক্লাসে পরীক্ষার নিরীক্ষক হিসেবে আসেন নি।কিন্তু বড় যারা উনার ক্লাস পেয়েছেন,তাদের মুখে শুনেছি, স্যার খুব ভাল মানুষ ছিলেন। আমি হয়ত সেই ভাগ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছি।আল্লাহ যেন স্যার কে জান্নাতে শান্তিতে রাখেন।photo- Mahabub Rashel vai

আমার গায়ের কালার অনুয়ায়ী নাকি সাদা রং টা বেশী মানায়


আমার গায়ের কালার অনুয়ায়ী নাকি সাদা রং টা বেশী মানায়। তাই আমারও সাদা রং টা বেশী পছন্দ। যদিও পাঠ্যপুস্তক অনুয়ায়ী সাদা কোন রং নয়। তারপরেও বাধ্যহয়ে সাদাকে এক নম্বরে রাখতে হয়। আমার বেশীর শার্ট, পাঞ্জাবী হয় সাদা না হয় সাদার উপর স্ট্রাইপ কিংবা চেক। বয়সের কারনে মনটা সবুজ থেকে আস্তে আস্তে একটু হালকা সুবজের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু চেষ্টা করছি পুরোপুরি সবুজ রাখার জন্য। তাই ইদানিং কালারের দিকে যাচ্ছি। তবে সবুজ ছাড়া। উপরে কালারফুল পড়ে বুঝানোর চেষ্টা করছি মনটা এখনো সবুজ আছে। অবশ্য আমি যে সব কালারফুল জামা পড়ি এগুলি একটাও কালারফুল না সবই হালকা কালার। অর্থাৎ সাদার পরে আমার প্রিয় হালকা কালারগুলি হচ্ছে, ক্রীম, গোলাপী, পেস্ট, আকাশী, মিষ্টি কালার ইত্যাদি। যদি এই জাতীয় কালারগুলিয়ে ফেলি। কোনটা ক্রীম কোনটা হালকা গোলাপী।

এখানে চার নম্বরের যে পাঞ্জাবিটা আছে তা কখনও কিনি নাই। মনে হয় ভবিষ্যতেও কিনবো না। তবে কেউ গিফট দিলে তখন ব্যবহার করি। এবারের ঈদে এইটা অবশ্য আমাকে একজনে গিফট দিয়েছে। আর বাকি যে গুলা আছে সেগুলিও সব আমাকে টাকা দিয়ে কিনতে হয় নাই, তবে চয়েস করতে হয়েছে।

একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত কলোনি র পুকুর পাড় টা আমার কাছে রহস্য জনক জায়গা মনে হত


একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত কলোনি র পুকুর পাড় টা আমার কাছে রহস্য জনক জায়গা মনে হত। চারদিকে বেড়া দেয়া। সেই বেড়া বেয়ে উঠেছে কিছু লতানো গাছ। পুকুর টা নাকি কারা ইজারা নিয়েছিল। তাই সবাই ঢুকতে পারেনা।একটা লুংগি পড়া লোক কে দেখতাম ভেতরে। কখনো কাছে যেতে ইচ্ছা করত না পুকুর টার। সেই লোক গুলো র ইজারার মেয়াদ শেষ হলে পুকুর টা সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। কেউ কেউ গোসল করত,আবার কাউকে দেখতাম মাছ ধরার জন্য ঘন্টা র পর ঘন্টা বসে আছে।আমি তাদের ধৈর্য দেখে অবাক হতাম কিন্তু আমার পানিভীতি র কারনে পুকুরে যেতাম না।আম্মাও চাইতেন না আমি পুকুরের কাছে যাই। একবার মানিক ভাইয়ের সাথে গিয়েছিলাম। তাছাড়া পুকুরে কেউ নাকি গোসল করতে গেলে তাকে পানি টেনে নেয়।এসব কথা ছোটবেলায় খুব বিশ্বাস করতাম। পরে চলে আসার পর শুনেছি জুনিয়ারা আপার ছোট ছেলে মুরাদ পুকুরে গোসল করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।

photo- Taskin Ashiq

FAREWELL DINNER FOR S S KIBRIA 8th BATCH ( CIVIL )


S S Kibria ( Kibria Vai) retired as Chief Engineer of BEPZA on 30th April, 2016. He joined BEPZA back in 1984.Before joining here he served as Lecturer in CEC.

Kibria vai had a lot of contributions to build BEPZA as a prestigious organization of Bangladesh throughout the world. As an engineer he is talented, knowledgeable, sincere and professional. As a man he is polite,humble a friendly with a pleasant personality.

I had the opportunity to work with him for few months. I will remember the days for the rest of my life which I spent with him.

I pray for him and his family to remain safe,sound and happy for many years to come. All CEC an are requested to pray for him.

May Allah bless us.

মাঠের পাড়ে দূরের দেশ


ছোটবেলায় একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমি আমাদের বাসার সামনের মাঠেই খেলতাম। দূরে কোথাও যেতাম না। আর C 2 এর বিল্ডিং এর চারপাশে ও খেলতাম।কিন্তু আস্তে আস্তে যখন সবাই বড় হতে লাগল, তখন মাঠে খেলতে আসা মানুষের সংখ্যা কমতে লাগল।এক সময় ত খেলার জন্য কাউকে পাওয়া যেত না। তখন অন্য বিল্ডিং এর মাঠের সামনে যাওয়া শুরু করলাম।কখনো তারিক ভাইদের সামন, কখনো তাসকিন ভাইদের সামনে।তাসকিন ভাইদের বাসার সামনে বিশাল বড় মাঠ ছিল। অনেকেই খেলতে পারত।তাছাড়া ঘাসে ভরা হওয়াতে দৌড়ানোর। সময় আরাম পেতাম। আস্তে আস্তে এই মাঠ টাতে বেশি আশা শুরু করলাম।যদিও বাসা থেকে কিছুটা দূরে। তবুও।

আমাদের বাসায় যারা বেড়াতে আসতেন,তারা প্রায় বলতেন বাসার সামনে এত বড় মাঠ সবখানে থাকেনা। আর এখন ত মাঠে বাচ্চারা খেলবে ব্যাপার টা অনেক টা অভূতপূর্ব ঘটনার মত।বাসা থেকে দূরে এই মাঠ টার ছবি টা দেখতেই তাই মনে হল

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss