Friday, March 11, 2016

আমার যেদিন অনেক টাকা হবে সেইদিন গ্রামে গিয়ে নদীর ধারে একটা টিনের ঘর করে জীবনটা কাটিয়ে দিবো


আমার যেদিন অনেক টাকা হবে সেইদিন গ্রামে গিয়ে নদীর ধারে একটা টিনের ঘর করে জীবনটা কাটিয়ে দিবো। জনি বলেছিলো কারেন্ট থাকবে না। সত্যি বলতে এই জীবনটা বিতৃষ্না হয়ে গেছে। কারেন্ট কেনো লাগবে!!!! আমার জীবনধারা হবে এইভাবে:

প্রতিদিন সকালের আজানের সময় ঘুম থেকে উঠে প্রার্থনা শেষে প্রাতভ্রমন, নাশ্তা শেষ করে আবার একটু ঘুম। তারপর ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে একটা স্কুল চালাবো, ফ্রী সার্ভীস। বিকাল চারটার পর একটা বুড়াদের স্কুল চালাবো যাতে তারা পত্রিকাটা পড়তে পারে। সন্ধ্যার পর কুপির আলোতে গল্পর বই পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে যাবো বলতেই পারবো না। জোৎসা যেদিন থাকবে সেইদিন সবাইকে নিয়ে মাঠে রান্না করে খাবো। সম্পূর্ণ নিরিবিলি। জেনারেটরের আওয়াজের ও প্রয়োজন নাই। সঙে আতিক ভাই থাকলেতো সোনায় সোহাগা। আর আমার বিশ্বাস অল্প কিছুদিন যেতে না যেত ওটা একটা CSM গ্রাম্য পল্লি হয়ে যাবে..... smile emoticon 

আমরা সবায় রাজা.....

খেলা অফ এখন লিখা যাইবো


খেলা অফ এখন লিখা যাইবো।তখন ক্লাস নাইনে পড়ি এই বয়সে মনটা একটু উড়াঁ উড়াঁ ভাব থাকে,এর আগে আমার কিছু দোস্ত প্রেমের পাঠশালা পড়ালিখা করতাছে,আমার মনে এই সব চিন্তা ভুলেও আসতো না,আরো তাদের বকাঝকা করতাম,সারাদিন বাহিরে বাহিরে ঘুরতাম, আমি তারিক,বিপুল,ডালিম,শিপন রতন, টিটু ভাই টিংকু ভাই সারাদিন খেলাধুলা নিয়া পড়ে থাকতাম,বাসায় তখন ও টিভি আসে নাই টিভি দেখার উছিলায় বিভিন্ন বাসায় ডু মারতাম,এই জন্য মায়ের হাতে বহুত মার খেয়েছি,তো এই বাসা ঐ বাসা ঘুরতে একটা মেয়ে কে খুবই ভালো লেগে গেল.(মেয়ে তো বলা যায় না একটা ছদ্ম নাম না হয় দিই শত হলেও ভালোলাগার মানুষ মিমি না হয় নাম দিলাম)ঐ বাসায় সকাল বিকাল রাত সব সময় অবাধ যাতাযাত ছিল,মিমিকে অল্প অল্প ভালো লাগা শুরু তখন থেকে,মিমি ও আমার সাথে একই ক্লাসে পড়তো,ছোট ছোট অনেক ভাই বোন ছিল তার,চাচীও আমাকে খুব পছন্দ করতো,চাচী ছিল সহজ সরল মহিলা,চাচী আমাকে বলে তুমি তো সারাদিন বাহিরে বাহিরে থাক সময় পেলে আমার ছেলেমেয়েকে একবেলা পড়াইয়ো,তোমাকে কিছু হাত খরচ দিবো,আমি তো মহা খুশি এই তো শুরু মেঘ না চাইতে জল,সকাল, বিকাল,দুপুর বিকাল,রাত সারাদিন পারলে পড়াই, রাতে বেশি সময় নিয়া পড়াইতাম কারণ সবাই এক সাথে ডাইনিং টেবিলে বসে পড়তাম আমি একপাশে বসলে মিমি আপর পাশে বসতো আর নিচেতো পা ছোঁয়াছুয়ি চলতো, এভাবে বহুদিন গেলো এতো ঘন ঘন আসা যাওয়াতে মিমির বাবা একটু সন্দেহের চোখে দেখতো,আস্তে আস্তে ভালোলাগার দৈঘ্য বড় হতে শুরু করলো,তখন বাসায় যেতে না পারলে জানালায় দিয়ে কথাবাতা চলতো এভাবে চলাতে আশেপাশের অনেকের নজর পরে গেলো বাসায়ও জেনে গেলো ১৪৪ধারা জারী হলো ঐবাসায় আর যাবি না, এখন হাতের লিখা ছাড়া আর কোন উপায় নেই,এটা ও শেষ পষন্ত ধরা পড়লো,হঠাৎ একদিন শুনি মিমিকে মিমির বাবা ঢাকায় নিয়ে গেছে,আমার তো এদিকে খবর হয়ে যাচেছ কি করে খবর নিই, ৪/৫দিন পর মিমির বাবা আসলো একা, লোক মারফত খবর নিলাম মিমি কয়েকদিন পর আসবে ১৫/২০দিন হয়ে গেলো শেষ পষন্ত চাচীর কাছে গেলাম সালাম দিলাম তারপর জানতে চাইলাম মিমির কি খবর শুনলাম চাচা ঢাকায় নিয়ে মিমিকে বিয়ে দিয়ে দিছে,কোনমতে বাসা থেকে বের হয়ে সোজা ওয়াসার পিছনে, এই শোক ভুলতে পারি নাই সহজে মনে হলো কি যেন হারিয়ে ফেলছি,মনে আছে একটা ক্যসেটে একটা গান পুরা রেকডিং করছিলাম,((গানটা হলো বেদনা মধুর হয়ে যায় তুমি যদি দাও))

আকাশ কুসুম


ছোটবেলায় আমরা কমবেশি সবাই ছবি মানে সিনেমা দেখতে ভাকবাসতাম। মাঝে মাঝে ভাবতাম নিজের চেহারার সাথে অমুক নায়কের চেহারা মিল আছে।এবং ওই নায়কের সিনেমা দেখার সময় নায়িকার পাশে ওই নায়কের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করতাম।কলোনি তে অনেক হিরো র মত ভাইয়া ছিলেন,বলেন ত নিজেকে কোন নায়কের মত ভাবতেন আর আপুরা নিজেকে কোন নায়িকার মত।কোন রকম সংকোচ না রেখে বলে ফেলুন ত দেখি

যে আমারে বাঁধিবার চায়......


রেজা ভাইয়ের এই পোস্টে ভাবীর (সারাফের মা) ফেসবুক বিরোধী আচরনের কারনে একটা গল্প মনে পড়ে গেল।

একবার এক বয়স্কা মহিলা পরিচিত আরেক বয়স্কা মহিলাকে বলছেন "জানেন আমার মেয়ের জামাই কি ভাল? সবসময় বৌকে সব কাজে সাহায্য করে। বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যায়, মাঝে মধ্যে ঘরের ছোট খাট কামকাজ করে আমার মেয়েটাকে সাহায্য করে। অনেক সময় রান্নাবান্নার কাজটাও মেয়ের জামাই করে দেয়। আমার মেয়ে অনেক সময় জোড় খাটিয়ে ওর জামাইকে দিয়ে কাপড় কাঁচিয়েও নেই ইত্যাদি ইত্যাদি।" বলে ইয়া বড় একটা ভেটকি দিলেন।
কিন্তু "আমার ছেলের বৌটা দুনিয়ার বদ। আমার ছেলের কথাতো শুনেই না। সবসময় পায়ের উপর পা তুলে বৌ মা থাকতে চায়। ছেলেটাকে দিয়ে হেন কোন কাজ নেই করায়না। সবকিছু আমার ছেলেটাকেই করতে হয়। কিযে বলবো - বৌটা কাজ করিয়ে আমার ছেলেটার লাইফটাই বারোটা বাজিয়ে দিল ইত্যাদি বলে ইয়া বড় এক দীর্ঘশ্বাষ ছাড়লেন""।
সবাই বুঝতেই পারছেন তিনি কি রাইট ওয়েতে আছেন নাকি wrong ওয়েতে আছেন? তিনি কোন নীতি অবলম্বন করেছেন বোঝা একদম কঠিন নয়

সময় কথা বলে


আল্লাহ মানুষকে সেরা জীব হিসেবে বানিয়েছেন।তেমনি দিয়েছেন অসীম ক্ষমতা,প্রতিভা।এটা দিয়ে মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।নিজের মনের সুপ্ত ইচ্ছগুলোকে পুরণ করতে পারে,মানুষের কল্যাণ এ কাজ করতে পারে।যুগে যুগে মানুষ তার সেই ক্ষমতার চমক দেখিয়েছে।

তবে সবসময় মানুষ যা চায় তা নাও হতে পারে। সময়ের উপরে কিছু জিনিস ছেড়ে দেয়া ভাল।কিছু কিছু কাজের ফল সাথে সাথে নাও পেতে পারে।অপেক্ষা করতে হয়।সময়ের কাছে হার মানতে হয়,পরাজয় স্বীকার করে নিতে হয়,সে যত বড় ক্ষমতাশালী বা প্রতিভাবান হোক না কেন,যে কোন কিছুরর জন্য ধৈর্য ধরতে হয়।সময় একসময় সঠিক জবাব নিয়ে আসে,উত্তর দেয়।যারা সময়ের কাছে হার মানতে চায় না,তারা হেরে যায়।এজন্যই বলে, " রেগে গেলেন ত হেরে গেলেন"।তাই সবসময় নিজের ক্ষমতার কারিগরি না দেখিয়ে সময়ের উপরে কিছু জিনিস ছেড়ে দেয়া ভাল।কারন কোন একসময় ঠিকই " সময় কথা বলে"

আজ থেকে ১২ বছর আগে, বিয়ের ঠিক আগে আগে, এই কবিতাটি সারাফের মা আমাকে সুনিয়েছিলো


যে আমারে বাঁধিবার চায়
অনিত্য সংসার মেলায়
ভালোবাসা দিয়ে
সেই তোমাকে ভালোবাসি
আজ থেকে ১২ বছর আগে, কে যেন কবিতাটি সুনিয়েছিলো!!!

মহা যন্ত্রনায় কয়টা দিন পার করলাম। ঘরে/বাহিরে/অফিসে। মাঝে মাঝে আমরা বড় অবুঝ হয়ে পড়ি। একটি দেশের সকল কার্যক্রমও আমাদের কাছে হার মানবে!!!!