Friday, March 11, 2016

খেলা অফ এখন লিখা যাইবো


খেলা অফ এখন লিখা যাইবো।তখন ক্লাস নাইনে পড়ি এই বয়সে মনটা একটু উড়াঁ উড়াঁ ভাব থাকে,এর আগে আমার কিছু দোস্ত প্রেমের পাঠশালা পড়ালিখা করতাছে,আমার মনে এই সব চিন্তা ভুলেও আসতো না,আরো তাদের বকাঝকা করতাম,সারাদিন বাহিরে বাহিরে ঘুরতাম, আমি তারিক,বিপুল,ডালিম,শিপন রতন, টিটু ভাই টিংকু ভাই সারাদিন খেলাধুলা নিয়া পড়ে থাকতাম,বাসায় তখন ও টিভি আসে নাই টিভি দেখার উছিলায় বিভিন্ন বাসায় ডু মারতাম,এই জন্য মায়ের হাতে বহুত মার খেয়েছি,তো এই বাসা ঐ বাসা ঘুরতে একটা মেয়ে কে খুবই ভালো লেগে গেল.(মেয়ে তো বলা যায় না একটা ছদ্ম নাম না হয় দিই শত হলেও ভালোলাগার মানুষ মিমি না হয় নাম দিলাম)ঐ বাসায় সকাল বিকাল রাত সব সময় অবাধ যাতাযাত ছিল,মিমিকে অল্প অল্প ভালো লাগা শুরু তখন থেকে,মিমি ও আমার সাথে একই ক্লাসে পড়তো,ছোট ছোট অনেক ভাই বোন ছিল তার,চাচীও আমাকে খুব পছন্দ করতো,চাচী ছিল সহজ সরল মহিলা,চাচী আমাকে বলে তুমি তো সারাদিন বাহিরে বাহিরে থাক সময় পেলে আমার ছেলেমেয়েকে একবেলা পড়াইয়ো,তোমাকে কিছু হাত খরচ দিবো,আমি তো মহা খুশি এই তো শুরু মেঘ না চাইতে জল,সকাল, বিকাল,দুপুর বিকাল,রাত সারাদিন পারলে পড়াই, রাতে বেশি সময় নিয়া পড়াইতাম কারণ সবাই এক সাথে ডাইনিং টেবিলে বসে পড়তাম আমি একপাশে বসলে মিমি আপর পাশে বসতো আর নিচেতো পা ছোঁয়াছুয়ি চলতো, এভাবে বহুদিন গেলো এতো ঘন ঘন আসা যাওয়াতে মিমির বাবা একটু সন্দেহের চোখে দেখতো,আস্তে আস্তে ভালোলাগার দৈঘ্য বড় হতে শুরু করলো,তখন বাসায় যেতে না পারলে জানালায় দিয়ে কথাবাতা চলতো এভাবে চলাতে আশেপাশের অনেকের নজর পরে গেলো বাসায়ও জেনে গেলো ১৪৪ধারা জারী হলো ঐবাসায় আর যাবি না, এখন হাতের লিখা ছাড়া আর কোন উপায় নেই,এটা ও শেষ পষন্ত ধরা পড়লো,হঠাৎ একদিন শুনি মিমিকে মিমির বাবা ঢাকায় নিয়ে গেছে,আমার তো এদিকে খবর হয়ে যাচেছ কি করে খবর নিই, ৪/৫দিন পর মিমির বাবা আসলো একা, লোক মারফত খবর নিলাম মিমি কয়েকদিন পর আসবে ১৫/২০দিন হয়ে গেলো শেষ পষন্ত চাচীর কাছে গেলাম সালাম দিলাম তারপর জানতে চাইলাম মিমির কি খবর শুনলাম চাচা ঢাকায় নিয়ে মিমিকে বিয়ে দিয়ে দিছে,কোনমতে বাসা থেকে বের হয়ে সোজা ওয়াসার পিছনে, এই শোক ভুলতে পারি নাই সহজে মনে হলো কি যেন হারিয়ে ফেলছি,মনে আছে একটা ক্যসেটে একটা গান পুরা রেকডিং করছিলাম,((গানটা হলো বেদনা মধুর হয়ে যায় তুমি যদি দাও))

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss