Monday, July 25, 2016

শিরিন আপু ,আপনার কথা রাখলাম


শিরিন আপু ,আপনার কথা রাখলাম ।আমরা CSM এর বাহিরে বিয়ে করেছি বলে কি আমাদের দাম নাই ?ধন্যবাদ আপু ।সুযোগ যখন পেয়েছি একটু ঢোল ও পিটায় লই ।আমি ঝুমুর ।এককালে চাঁদের বুড়ি নামে কলোনিতে খ্যাতি ছিল ।৯৫ ব্যাচ ।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন শাস্ত্রে অনার্স .মাস্টার্স করেছি ।এম .এড ও করেছি ।আমি পড়ালেখা করেছি সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য ।মূলত আমি সৃজনশীল মনের মানুষ ।তাই ১৮ বছর বয়স থেকেই আমি ফ্যাশন ডিজাইনে কাজ শুরু করেছি ।২০০৪ সালে একাত্ন দর্শন নামে নিজের একটি ফ্যাশন হাউজ চালু করি ।চট্টগ্রাম ,ঢাকা মিলিয়ে ছয়টি আউট লেট আমার ছিল ।পর পর সাত বছর বেস্ট সেলার এবং পাঁচ বার বেস্ট ডিজাইনার নির্বাচিত হই ।এখন কাজ কমিয়ে দিয়েছি প্রায় দেড় বছর ।অন লাইন ভিত্তিক কিছু ডিজাইনের কাজ এখন ও করছি তবে তা খুব স্বল্প ।ও আচ্ছা ,আমি হিলভিউ পাবলিক স্কুলে আছি ।সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে ।কামরুল ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্সে আছে AVP . আমাদের একমাত্র সন্তান আরিন ।বয়স ছয় ।আমার স্কুলে ক্লাস ওয়ানে পড়ে ।আমাদের জন্য দোয়া রাখবেন ।ভাল থাকবেন সবাই ।

সাধাসিধা সেই মানুষ টি


আমরা যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করি তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন প্রয়াত শ্রদ্ধেয় আহমদ কবির স্যার। উনার আগে নাকি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন প্রয়াত শ্রদ্ধেয় ইউনুস স্যার। তবে স্যারকে দেখতাম দোতলার খালেক কাকার বাসায় উনার মেয়েদের কে পড়াতেআসতেন।

রিনা আপার সাথে পড়তেন Jashim Uddin ভাইয়ের বউ রুবা আপা। পলি আপাও আসতেন।আর রুমা আপার সাথে আমার আপারা পড়তেন। স্যারকে দেখতাম পাঞ্জাবী পড়ে আসতেন।দুপুরবেলা। ধীরে ধীরে হাটতেন। মাটির দিকে তাকিয়ে।চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। হাতে ইংরেজি বই। 

বড়দের মুখে শুনতাম স্যার ইংরেজি খুব ভাল পড়াতেন। ইংরেজি অভিধান স্যারের নাকি মুখস্থ ছিল। ১৯৯৩ এর পর স্যারকে আর দেখিনি।আমি যদিও স্যারের ছাত্র ছিলাম না, কিন্তু উনার প্রতি এক ধরনের শ্রদ্ধা অনুভব করতাম।

মন বসে না পড়ার টেবিলে


তখন ৯০ এর দশক।মোবাইল,ফেসবুক ছিল না। রাত ৯ টা।কলোনি র কোন ১ টা বাসা। ২য় তলা। বাসার কোনার রুমে জানালার পাশে টেবিলে বসে বড় মেয়েটি পড়ছে। কালকে ক্লাস টেস্ট। বাসার সবাই অন্য রুমে টিভি দেখছে। মেয়েটি অনেক করে চাইছে পড়ায় মন বসাতে। এমন সময় অন্য আরেক বিল্ডিং এর ছেলেটা বের হয়। সিগারেট এ আগুন ধরায়। হাটতে শুরু করে।এমন সময় মেয়েটি র চোখ যায় ছেলেটির দিকে। সে কিছু বলতে চায়। কিন্তু ছেলেটি সেদিকে খেয়াল করেনা। যদিও তারও কিছু বলার আছে মেয়েটি কে। এদিকে মেয়েটি চিতকার করতে পারছে না। বাসার সবাই,আশেপাশের সবাই টের পেয়ে যাবে। কি করবে সে,ছেলেটা কেন তার দিকে ফিরে তাকাচ্ছে না। এদিকে সে ত পড়ায় মন বসাতে পারছেনা। কাগজ মুড়ে ছেলেটার দিকে ছুড়ে মারে যাতে সে ফিরে তাকায়

কয়েক দিন ধরে পেইজে-কলোনীর সকল জুগলের সাফল্লের ছবি ছাপা হচ্ছে


কয়েক দিন ধরে পেইজে-কলোনীর সকল জুগলের সাফল্লের ছবি ছাপা হচ্ছে। কিন্ত ব্যার্থতার কোন স্থান এখানে নেই। তাই হালকার উপর ত্রি-বন্ধুর ব্যার্থতার কাহিনী এবং আমার এক প্রিয় ছাত্রী-মনিরুন নাহার ময়না-বন্ধু অনুপ সম্পর্কে কিছু লেখার জন্য অনুরোধ করেছিল। আমিও কথা দিয়েছিলাম লিখব বলে-তাই এই লেখা। এফ-10নং বিল্ডিং এ আমারা টিন-এইজ তিনজন ছিলাম-আমাদের ওস্তাদ অনুপ (কৃষ্ণ)/সম্রাট সাহেব-বাবু (চন্ডি দাস) আর আমি (ফরহাদ)। আমাদের প্রেম কুঞ্জ ছিল এফ-10নং বিল্ডিং এর 24নং রুম। রুমটি আমারা আমাদের আর এক বন্ধু এখন হালিশহরে থাকে নাম-মনির, এখন দাড়ি রেখেছে, মাঝে মাঝে ফেসবুকে ডু মারে। মনিররা হালিশহেরে চলে যাওয়ায়-তখন স্টিল মিলের রুম ভাড়া দেওয়ার রেওয়াজ না থাকায় আমাদের অভিভাবকগণ ছেলেদের একটু ভাল লেখা-পড়ার জন্য আমি আর অনুপ ঐ রুমেই লেখা-পড়া করতাম। আমাদের ভাল লাগার মুনেষেরা থাকত এফ-11নং বিল্ডিংএ। আমাদের জানালার পাশ দিয়েই তারা স্কুলে যেত। আমরা উপর থেকে দেখতাম। অনুপ কে বললাম-কিরে? কোন কিছুতো বুছতে পারতেছি না। তখন অনুপ দার্শনিকের মত বলত-‘‘লাইফ ইজ রেইস”। অপেক্ষা কর। আমি আর সম্রাট সাহেব ছিলাম-অনুপের সাইট নায়ক অনেকটা সখার মত। সে একদিন আমার পছন্দের মেয়েটিকে গিয়ে-আমার সম্পর্কে অনেক কিছু বলল এবং ‘‘হুজরের পাতে দই নেই”-স্টাইলে ওর ভাল লাগার কথা ওর পছন্দের মেয়েটিকে বলতে বললো। ওর পছন্দের মেয়েটিছিল অসম্বব বুদ্ধিমতী, মেয়ে শুনে বললো-মুখের কথায় হবে না। ডুকেমেন্ট লাগবে। অনুপ বললো-দোস্ত, আমাকে একটা চিঠি লিখে দেয়। নিজের জন্য নয়-অনুপের জন্য জীবনের প্রথম প্রেম পত্র লেখা। ওয়ার্কার ক্লাবের জানালা দিয়ে-টেলিভিশনের নাটক থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণের চেষ্টা করতাম। অনুপ আমাকে বিভিন্ন নাটক থেকে কিছু টিপস দিল-মেয়েদেরকে সব সময় দৌড়ের উপর রাখতে হবে, তাহলেই সাড়া দিবে, মাঝে মাঝে রূপের প্রসংশা করতে হবে আর নায়ক আফজাল হোসেন এর মত কবিতা বলতে হবে-‘‘সুরঞ্জনা ঐ খানে যেও নাকো তুমি, বলোনাতো কথা ঐ যুবুকের সাথে, ফিরে এসো সুরঞ্জনা” এই স্টাইলে।েআমি বললাম-দৌড়ের উপর রাখবি কি করে? তুই নিজেইতো দৌরের উপর থাকস! অনেক কষ্ট করে আমরা অনুপের জন্য কবিতা লিখলাম-
কাজল কালো চোখ দুটো তোমার 
স্নিগ্ধ কোমল হাসি, 
শ্যামলা বরন মেয়ে তোমাকে 
বড্ড ভাল বাসি।

বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ Al Amin Billah Shujon এর পরিসংখ্যান মতে


বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ Al Amin Billah Shujon এর পরিসংখ্যান মতে Atiq Csm লেখালেখির ক্ষেত্রে ৩৩৯ দিনে ৩০০ টা লেখার পোষ্ট দিয়েছে। যা আতিককে এই পেইজের সর্বোচ্চ লেখক হিসাবে ভুষিত করেছে। এত অল্প সময়ে আতিকের কাছাকাছি যেতে পারে আর এক জন সে হলো Niaz Morshed জনি। জনি ছাড়া আর কেউ এত অল্প সময়ে ৩০০ টি লেখার পোষ্ট দিতে পারলেও অন্তত আমি দিতে পারবো না। 

আতিক আজকে একটা পোষ্ট দিয়েছে। সেই পোষ্টটা ভাল করে পড়ে দেখলাম সেখানে লাইক দেওয়ার মত কিছু নাই। তাছাড়া পোষ্টটা আমার পছন্দ হয় নাই। আর এখানে লাইক দেওয়া মানে আতিকের ঐ পোষ্টের শেষ লাইন দুটিকে মেনে নেওয়া। তাই লাইক দিলাম না। 

আতিকের পোষ্টে আতিক লিখছে - তার ভান্ডারে আর কিছু নাই, তাই হয়তো এটা তার শেষ লেখা। আতিকের সাথে আমার এই ব্যাপারে দ্বিমত আছে। কারন যারা লিখতে পারে তাদের স্টক শেষ বলে কিছু নেই। তারা যে কোন বিষয় নিয়ে লিখতে পারে। তাই মনে হচ্ছে এটা কোন অজুহাত হতে পারে না। তবে আমার ধারনা হয়তো অন্য কারনে আতিক তার লেখা বন্ধ রাখতে চাইছে।

আতিক এই পেইজে অনেক সময় দেয়। অনেক লেখালেখি করে তাই হয়তো ও একটু টায়ার্ড কিংবা ওর কাছে হয়তো একঘেয়েমি লাগছে। যদি সেটা হয়ে থাকে তাহলে আতিককে বলবো পেইজে সময় একটু কমিয়ে দাও বা লেখার সংখা কমিয়ে দাও। তারপরেও লেখা দিতে হবে। কোন কিছুতেই লেখা বন্ধ করা যাবে না।

আর এখানে যারা লেখে তারা সবাই মনের আনন্দে লেখে। কে কি বললো এটা চিন্তা করে এখানে কেউ লেখে না। আর এটি চিন্তা করলে একটা লেখাও আসত কিনা সন্দেহ। অন্তত পক্ষে আমি দিতাম না।

পরিশেষে আতিককে বলতে চাই আদেশ, আবদার, আর অনুরোধ যেটাই মনে করনো কেন তোমাকে বলছি তুমি তোমার লেখা চালিয়ে যাও।

দু'দিন আগে মোর জুটির পিছনের গল্প সংক্ষেপে বলিয়াছিলাম


দু'দিন আগে মোর জুটির পিছনের গল্প সংক্ষেপে বলিয়াছিলাম।এখানে দুষ্টু কয়েকজন ছোট ভাই আছে।তাহারা যেখানে কিছু দেখিবে, সেখানে খুজিয়া দেখিবে, যদি কিছু পাওয়া যায় মন্দ কি!কিছুক্ষন আনন্দ পাইলাম তাতে ক্ষতি কি!কিন্তু মজা পাওয়ার তেমন কিছু আর নাই তাই লিখিলাম না।মামুন পরে একটি প্রসংশনীয় উদ্যোগ নিয়াছে 'সি এস এম জুটি'(স্বইচ্ছায় /অভিভাবকের ইচ্ছায়)।সকলকে দেখিতে ভালই লাগিতেছে।তবে যাহারা সি এস এম এর বাহিরে জুটিবদ্ধ হইয়াছেন উনারাও উনাদের ছবি দিলে ভাল লাগিবে।

নামে কি আসে যায়


নাম নিয়ে আমার মধ্যে কিছু কুসংস্কার আছে। নিজের নাম নিয়েও।আমার কেন জানি মনে হয় শ, আ,দিয়ে যাদের নামের শুরু এই মানুষগুলো অল্পতেই অনেক কিছু পেয়ে যায়। এইটা ভাবে আমি স্কুলে থাকতে একবার আমার নাম বদলাতে চেয়েছিলাম। আপা বলত, ক্লাস নাইনে রেজিস্ট্রেশন এর সময় নাম বদলান যায়। সেভাবে চিন্তা করে আমি শ দিয়ে একটা নাম ঠিক করে স্কুলে গেলাম।যাক,এবার আমার নাম বদলাবে।আর মন্দ ভাগ্য দূর হবে।কিন্তু না, বাদল স্যার এসে বললেন,সবাই যে নাম আছে,সে নাম লিখবে। বদলান যাবেনা।স্যারের মুখের উপর কিছু বলতে সাহস হল না।আমার নাম সেরকম থেকে গেল।

এই কথা টা মনে আসার কারন হল, একটা নাম ইদানীং আমার চোখে আসছে। জন্মের পর আমার বড় আপা আমার নাম রেখেছিলেন জিসান। কিন্তু আম্মার নাকি নাম টা অমুসলিম অমুসলিম মনে হত। তাই জিসান নামের স্থায়িত্ব বেশিদিন হল না।সে নাম বদলে হল জনি।এই নাম টা এমনিতেই আমার পছন্দ না।অনেকে ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারেনা। স্কুলে বন্ধুরা,জনি প্রিন্ট শাড়ি বলতে পারত না,বলত জনি প্রেম শাড়ি।

তাই জিসান নাম টার প্রতি আমার ভাল লাগা থেকে যাবে।

গতাকাল একটু আরামে ছিলাম


গতাকাল একটু আরামে ছিলাম। একদিন আরাম করলে পরদিন ঘাম ছুটে যায়। কিন্তু আজকেও কাজ কম। আজকেও রিলাক্স থাকতে ইচ্ছে করছে, কারন আগামি দুই/তিন দিন আবার চাপে থাকবো। ছোট একটা কাজ ছিল বালুছড়ায়। কাজটা খুবই ছোট কিন্তু সিস্টেমে পড়লে অনেক সময় অনেক সময় লাগে। অফিসে কাজ যেহেতু কম তাই আজকে বালুচড়ায় (অক্সিজেনের পরে) মনে করেছিলাম এখানে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু বিশ মিনিটের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলো। তারপর কোন কাজ নাই তাই আর কি করবো। তাই অনন্যা আবাসিকে একটু ঘুরতে আসলাম। খুব সুন্দর জায়গা, সুন্দর রাস্তা। নিরিবিলি পরিবেশ।

শৈশবের দুরন্তপনা


বেয়ারিং দিয়ে কাঠের এইরকম বানানো গাড়ি প্রথম দেখেছিলাম ক্লাস সিক্স/সেভেন এ থাকতে বিএইচ১ এর তৃতীয় তলায় রুবেলের মামার কাছে। সে গাড়িতে বসে আর আমি তাকে পিছন দিক থেকে ঠেলতে থাকি।এক সময় আমিও বসে চালালাম।পরবর্তিতে আমিও বিয়ারিং জোগার করে বানালাম এক গাড়ি।বিল্ডিং এর করিডোরে কত খেলা, পিছন থেকে বেশী ঠেলা দেওয়াতে হাত স্টিয়ারিং এর নিচে পড়ে কত হাত ছিঁড়েছি ।।

শৈশবের আরেকটা খেলা ছিল লোহার শিক কে নিচের দিকে বাঁকিয়ে ছোট গাড়ির চাকার টায়ার দিয়ে খেলা।শিকের বাঁকানো অংশে টায়ার দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।বিএইচ১ এর নিচের এবং ৩ তলায় এই খেলা খেলতাম , মাঝে মাঝে রাস্তায় যেতাম।অনেকে আবার টায়ার এর পরিবর্তে লোহার রিং ব্যাবহার করত, ওইটাতেও একটা সুন্দর আওয়াজো হতো।

শীতকালে দেশের বার্ষিক পরীক্ষার পর বাড়িতে বেড়াতে গেলে বড় গাছের বড় পাতা ওয়ালা ডাল ভেঙ্গে, ডালের চওড়া অংশে বসতাম আর আরেকজন সরু অংশ ধরে টানতো।খুবই মজার খেলা ছিল।।



পেজে কেমন যেন উৎসব উৎসব মূখরিত


পেজে কেমন যেন উৎসব উৎসব মূখরিত । দেখে ভালই লাগছে ,যেমন :- আমি পাগলও এখন পেজে লিখি , ভাবতে ভালই লাগছে । ২০শে আগষ্ট পেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী , ঐ দিন নিঁয়ে অনেকে অনেক রকমের ভাবনা । আমি এতো ভাবনা বা পরিকল্পনায় নেই , সবাই মিলে একটু আড্ডা দিবো গল্প করবো এতো টুকুই । গ্র্যান্ড আড্ডাটা ছিল ভিন্ন , পুরো দুইটা মাস ছিল উৎসব মূখরিত । কুপন বিক্রয় বা বিলিতে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না , তারপরও নিজ তাগিতে কুপন বিলি করি চট্টগ্রাম শহরের এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে । শুধু কি শহর ? শহরের বাহিরেও গিয়েছিলাম এই কুপন বিলি করিতে ! পুরনো মানুষ গুলোর সাথে আবার যোগাযোগ বৃদ্বি হয় । গ্র্যান্ড আড্ডার দিন আমার মেয়েটা অনেক মজা করেছে । গত ১৬ই জুলাই আমার মেয়ে নুসফিকার জন্মদিন গেল , মেয়ের পিরাপিরিতে ঘরে ছোট আকারে প্রোগ্রাম করতে হয় এতে- জসিম ভাই, নাজমুল ভাই, নিরু ভাই, মাসুক ভাই, মামুন ভাই, পুলক, টিপু, সুজন উপস্তিত হয় । মেয়েটা অনেক খুশি হয় , তার মামা, নানী ও খালার সাথে ফোন আলাপে বলতে শুনলাম - সিএসএম তার জন্মদিনে এসেছে । নাজমুল ভাইয়ের হাত থেকে পুতুল একটা পেয়ে মহাখুশি , তার স্কুলেও নাকি বলেছে সিএসএম তার বার্থ ডে তে পুতুল দিছে । মেয়ে আমার যা বুঝেছে তাই বলেছে । মোবাইল হাতে নিয়ে ফেইসবুকে বসতে দেখলেই মেয়েটা বল উঠবে- বাবা এখন সিএসএম-এ । আমার বৌটাও মাঝে মাঝে খুবই ক্ষেপে উঠে বকবক করে বলতে থাকে - সারাদিন ফেইসবুক , সারাদিন কিসের সিএসএম কিন্তু ফোনে তার মা ও ভাইদের সাথে আলাপ কালে সিএসএম-এর অনেকের প্রসংশা করতেও শুনেছিলাম । ২৯শে জুলাই রোজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় স্কুলে যাবো শুনে, সেও রাজি আমাদের স্টিল মিলস্ স্কুল দেখতে যাবে । সাথে ছোট বোন রেশমাও যাবে । ২০শে আগষ্ট পেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রোগ্রাম নিয়েও আমার বৌয়ে ভাল কৌতুহল দেখতেছি যেমন- প্রোগ্রাম কয়টা থেকে শুরু , কতজন হবে . কে কে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি । আমার ২বছর ৬মাসের ছেলেটাও সুজনের গাওয়া- হায় সিএসএম ,হ্যালো সিএসএম গানটা পছন্দ করে ও মাঝে মাঝে গায়ও - "আয় সিএম" । 

আসুন ২০শে আগষ্ট পেজের সবাই একত্রিত হয়ে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীটাকে সফল করি ।।

১২ আগস্ট ২০১৫ কলোনি স্মৃতি নিয়ে আমার টাইম লাইনে পরপর কয়েক টি লেখা দিলাম


১২ আগস্ট ২০১৫ কলোনি স্মৃতি নিয়ে আমার টাইম লাইনে পরপর কয়েক টি লেখা দিলাম, অনেকের কাছ থেকে উৎসাহ আসতে লাগলো। আমিও মনের আনন্দে লিখতে লাগলাম প্রতিদিন। ১৮ আগস্ট ২০১৫, বনানির এক রেস্টুরেন্টে রেজা ভাইয়ের সাথে একত্রে দুপুরের খাবার খেতে খেতে অনেক আলাপ হলো, এর মধ্যে তারিকের চিকিৎসার প্রাথমিক পরিকল্পনা সহ আরো দুয়েক টি চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে। ১৯ আগস্ট ২০১৫ আমার টাইম লাইনে মিঠু ভাইয়ের কোক কাহিনী নিয়ে লিখায় ব্যাপক ভার্চুয়াল আড্ডা যার নাম দিয়েছিলাম ট্যাংকির নিচের আড্ডা, সেখান থেকে আলাদা একটি পেজের প্রয়োজনীয়তা অনুভব, আর সেখান থেকেই Mahmudur Rashid Pulak তৈরি করল সবার প্রিয় এই পেজ। তারপরের ইতিহাস তো সবারই জানা। মনের আনন্দে বা জমানো সকল কথা শেয়ার করার জন্য একের পর এক লিখে গেছি এখানে। জানিনা আমি কি লিখেছি,, তবে কলোনি তে না যতটুকু পরিচিত তার চেয়েও বেশি পরিচিতি পেয়েছি এই পেজে, এই পেজে লেখালেখির জন্যই সুদূর আমেরিকা,কানাডা থেকে আমাকে ফোন করে আমার ব্যাক্তিগত ভালোমন্দ খোজ খবর নেয়। অথচ কলোনিতে হয়ত উনাদের সাথে আমার কথাই হয়নি। এই ভালোবাসা আর স্নেহ এই পেজের কল্যানেই। এখনতো আরো পরিপূর্ন হয়েছে এই পেজ, কয়েকজন তো খুবই ভালো মানের লেখক আছে এখানে, আছে ইর্ষনীয় কিছু দক্ষ সংগঠক। যে কোন অনুষ্ঠান আয়োজন ও সফল করার ক্ষমতা আছে।

আমার এতোসব লেখায় হয়ত অনেকে মনে কষ্ট পেয়েছেন, আমি তাদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আর যদি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করে দেন বিতর্কিত লেখা গুলো, তাহলে আমি ঐ সব লেখা গুলো প্রত্যাহার করে নিব।
Al Amin Billah Shujon এর কাছ থেকে জানলাম আমার লেখা ৩০০ পার হয়েছে। যদিও আমি লেখা কাউন্টিং টাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে করিনা। তারপরেও মনে একটা তৃপ্তি আসে। আমার ভান্ডারে শেয়ার করার মত আর কিছু নেই, আর আগের মত লিখে সেই মনের আনন্দও আর পাচ্ছিনা। তাই হয়ত আমি আর লিখবনা। এটাই সম্ভবত আমার শেষ লেখা।

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।



গতকাল একটি পোস্ট দিয়েছিলাম সেখানে বিখ্যাত হিন্দি ছবি দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েংগে'র নাম এসেছিল


গতকাল একটি পোস্ট দিয়েছিলাম সেখানে বিখ্যাত হিন্দি ছবি দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েংগে'র নাম এসেছিল। ৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কঠিন রোমান্টিক এই ছবিটি আমার মত, মতান্তরে এরশাদ কাক্কুর মত রোমান্টিক বালক দেখলোনা কেন সেটা এখনো মাথায় আসছেনা। দেখলাম তো দেখলাম সাত বছর পর ২০০২ সালে, যখন এরশাদ কাকুও বুড়া হই গেছে আর রোমান্টিসিজমও শেষ হয়ে গেছে।আসলে আমি মনে হয় তখন ( ছবিটির মুক্তিপ্রাপ্ত সময় ৯৫ সাল)এত রোমান্টিক ছিলাম যে আশেপাশে অন্য কিছু আর রোমান্টিক মনে হয়নি।

দোস্ত Riman Babu মামমা, তোমার কি মনে পড়ে ৯১/৯২ সালে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্য্যন্ত তোমার বাসায় হিন্দি ছবি দেখার আসর বসত। সাথে ছিল বুড়া মিয়া, Monir Zaman বাবু, মরাইয়া Mamunur Rashid Rashed। বিখ্যাত কেয়ামত সে কেয়ামত তক থেকে শুরু করে অঘা মগা যত রোমান্টিক হিন্দি ছবি আছে সবই আমরা দেখতাম। আমাদের নীতি ছিল " বাদ যাবেনা একটি রোমান্টিক ছবিও"-----------

"যুগ যুগ বেঁচে থাকো সব রোমিও
বেঁচে থাকো এরশাদ কাক্কু তুমিও"

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss