Tuesday, April 12, 2016

কিছুদিন আগে একটা কমেন্ট এ বলেছিলাম, আমাদের এই পেইজে silent member আছেন


কিছুদিন আগে একটা কমেন্ট এ বলেছিলাম, আমাদের এই পেইজে silent member আছেন যারা শুধু দেখেন কিন্তু কোন পোষ্ট লাইক কমেন্ট এ যান না। সেই রকম একজন মানুষ নিয়ে আমার এই লেখা। কলোনিতে থাকাকালীন আমাদের সমসাময়িক কালে অর্থাৎ আশির দশক থেকে নব্বই দশক এর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত কলোনির অত্যন্ত প্রিয় মুখ বেবী আপা এবং বুলা আপা(শিখা,মানিক,সুমন,সুজন এবং নমির বড় বোন)।বেবী আপার ফেইসবুক আইডি আছে কিনা আমার জানা নেই কিন্তু Salma Akter বুলা আপা আমাদের সাথেই আছেন। সেই ছোট বেলায় হাউজিং কলোনিতে আমরা পাশাপাশি ছিলাম এবং পরবর্তী সময় যখন স্টিলমিল কলোনিতে আসি কাকতালীয় ভাবে পাশাপাশি বাসায়ই ছিলাম। নিজের বোন ছিলোনা কিন্তু বেবী আপা এবং বুলা আপা সবসময় নিজের ছোট ভাই মনে করতেন। উনাদের পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের খুব ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিলো যা আজো বিদ্যমান। কলোনিতে দেখেছি বেবী আপা ভীষন উচ্ছল ছিলেন, সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন। সেই তুলনায় বুলা আপা কিছুটা চাপা স্বভাবের মানুষ ছিলেন। আমাদের এই পেইজেও তিনি আছেন,আমাদের দেখছেন। আমরা চাই তিনি আমাদের জন্য কিছু লিখুন। ভালো থাকুন আপা।

আমি যখন বছরের শেষে গ্রামে যেতাম তখন পাকা ধান দেখতে আমার খুবই ভালো লাগতো


আমি যখন বছরের শেষে গ্রামে যেতাম তখন পাকা ধান দেখতে আমার খুবই ভালো লাগতো। আমার ফুফাতো ভাই ও দুই পাড়াতো ভাই আমি গ্রামে গেলেই আমার সাথে সাথেই থাকতো। গ্রামে প্রতিটি বাড়ীতে দুপুর আর রাতের খাবারের জন্য আমাকে কখনোই ভাবতেই হয় নাই, বরঞ্চ চিন্তায় থাকতাম আজ কাকে কাকে বাদ দিবো।

একদিন সকালে চিন্তা করলাম আজকে কোথাও খাবো না জমিনের দিকে যাবো। তখন ছিলো মাইলের পর মাইল জমিন। জমিনে মটরশুটি আরো কি কি যনো চাষ করছিলো। আনুমানিক ১০টার দিকে দেখলাম আমার পাড়ার এক চাচা গামছা বিছিয়ে খাওয়ার আয়োজন করছে। আমাদের দেখে ডাকদিলো। বললো তুই সোলেমানের ছেলে না? কথা শেষ করে চলে যাচ্ছিলাম, তিনি বললেন "ওয়া পানি ভাত খাইবানা! তোয়ারা তো শরগো মানুষ ন খ'ও পানলার"। আমি অনেকবার পানতা ভাত খাইছি বাসায় শখ করে। গরম ভাতে পানি ঢেলে লবন দিয়ে মেখে গরুর মাংসের ঝোল দিয়ে অনেকবার খাইছি। এখনো সময় পেলে খাই। 

আমি গত দুয়েক দিন ধরে অফিসে বসে ইউটিউবে বিভিন্ন ছবি বা গান দেখছি


আমি গত দুয়েক দিন ধরে অফিসে বসে ইউটিউবে বিভিন্ন ছবি বা গান দেখছি, এগুলো নিয়ে মজা করে এ পেজে শেয়ার করছি, পুরা ব্যাপারটিই একটা ফান বা মজা। আজকাল প্রযুক্তি এতো সহজ যে, যে কেউ যে কোন স্থানে বসেই ইউটিউব এ এগুলো দেখতে পারে, এটা তেমন উল্লেখ করার মত কিছুই না। একটু মজা করার জন্যই এটা শেয়ার করা।

অনেকে আমার কাছে ব্যাক্তি গত ভাবে জানতে চেয়েছেন, আমি অফিসে এসে সারাদিন কি এগুলো নিয়ে পড়ে থাকি কিনা? বা অফিসে আমার কোন কাজ নেই কিনা?

তাদের উদ্দেশ্যেই বলছি, আমার অফিসে আমার কাজ খুবই গোছানো, রুটিন কাজ গুলো সকালেই এসে সেরে রাখি, তবে একদিনেই এই অবস্থা আসেনি দিনের পর দিন প্রচন্ড পরিশ্রম করে এই পরিবেশ সৃষ্টি করেছি, অনেক টা রিলাক্সে কাজ করি এখন। তবে অফিসে কোন কাজেই সমস্যা করে আমি কিছু করিনা। আর অফিসের প্রয়োজনেই আমি সার্বক্ষণিক নেটে থাকি।

আরেক টা ব্যাপার বলি, আমরা এখানে যতই ফান বা মজা করিনা কেনো আমরা সবাই আমাদের যার যার পরিবার, সমাজ, বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ। পেজের ফান পেজ পর্য্যন্তই সীমাবদ্ধ। বাইরে আসার কোন সুযোগ নেই।

অফিসের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল আজ


অফিসের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল আজ,বস কাল বলে ছিল আজ মার্কেটে একটা ভিজিট করার জন্য। আমি যাব যাব বলেছি। কিন্ত বাইরে যে রোদ, পানি ভর্তি চাল পাতিলে ভরে বাইরে আধা ঘন্টা রেখে দিলে আধা ঘন্টায় ফুটে পুরো ভাত হয়ে যাবে। তার উপর আমার পাইলট ছুটিতে। 

অসম্ভব! এ চাল ফুটানো রোদে বাইরে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। এর চেয়ে অফিসে বসে জুহি চাওলার সিনেমা দেখা উত্তম, বসরে ম্যানেজ করে আগামীকালের মার্কেট ভিজিট প্রোগ্রামও ক্যান্সেল করেছি, চিন্তা করছি শ্রাবণ না আসা পর্য্যন্ত নো বাইরে যাওয়া যাওয়ি।
শ্রাবন তুমি জলদি চলে এসো।

বৈশাখী পারিবারিক ছবি উথসবে আজ আমিও নাম লিখালাম...


বৈশাখী পারিবারিক ছবি উথসবে আজ আমিও নাম লিখালাম...। অনেক খোঁজা খজি করে অবশেষে পরিবারের সবাইকে একসাথে খুজে পেলাম... বড় পরিবারের এইটি একটা বড় সমস্যা সবাইকে একসাথে পাওয়া আর তার মধ্যে যদি সবাই চাকরিজীবী হয়। যাই হোক উপরের দিকে বাম পাশ থেকে শুরু করছি। আমার মেঝ ভাই মইনুল হুদা, বড় ভাই নাজমুল হুদা, আমার মেঝ ভাবি অ্যাডভোকেট কানিয কাওসার চৌধুরী, বড় ভাবি অধ্যাপিকা নাজমা বেগম,নাজমুল ভাই এর বড় ছেলে নাযিব হুদা, মইনুল ভাই এর এক মাত্র ছেলে মুহতাসিম হুদা, আমার স্রদ্দেয় আব্বা শামসুল হুদা, আমি ইমরুল হুদা আমার কোলে মইনুল ভাই এর এক মাত্র কন্যা যাহারা তাসনিম, আমার স্ত্রী শাহিদা সুলতানা এবং আমার স্রদ্ধেয় আম্মা ফেরদউস আক্তার।

উহ এর পরেও একজন বাদ পরে গেল। সে অবশ্য তখন এই দুনিয়াতে আসেনি। আমার মেয়ে আনাবিয়া আফশীন। আলাদা করে তার ছবি পোস্ট করলাম। ধন্যবাদ।

আমরা কি আয়েশি হয়ে যাচ্ছি, নাকি সহ্য ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, গরমে সবাই আহ!


আমরা কি আয়েশি হয়ে যাচ্ছি, নাকি সহ্য ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, গরমে সবাই আহ! উহ! মরে গেলাম পুড়ে গেলাম শুরু করে দিয়েছি । অথচ এমন গরম নুতন নয়, এই সিজনে এই গরম টা পড়বেই,এটাই প্রকৃতির স্বাভাবিকতা। বরং গরম না পড়লেই অস্বাভাবিক ছিল। 

কলোনি তে থাকার সময় এই গরমেই সকাল থেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা ক্রিকেট খেলেছি বিকেলে আবার ফুটবল, কত দৌড় ঝাপ, আরো কত কিছু। আর এখন একটুতেই হাপিয়ে উঠছি। 

আসলেই আমাদের সহ্য ক্ষমতা কমে গিয়েছে, সহ্য ক্ষমতা বাড়লে বোধ করি গরম টা কমে যাবে

ধরেন, আপনি বাস থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে গেলেন

- Towsif Noor Kabbo

ধরেন,
আপনি বাস থেকে তাড়াহুড়ো করে
নামতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে
গেলেন। পিছন থেকে আরেকটা বাস
এসে আপনাকে চাপা দিয়ে পিষ্ট
করলো। আপনি মারা গেলেন। আপনি
মারা যাওয়ায় আপনার বন্ধুরা মিলে
সেই বাস কোম্পানির বাসগুলো
ভাংচুর শুরু
করলো। আগুন ধরালো। এর ফলে
বাসের
পেট্রোলের টাংকিতে আগুন ধরে
প্রচন্ড
বিস্ফোরন ঘটলো।

সীমানা হারিয়ে সীমানায়


নিরাপদ প্রাচীরে ঘেরা সংরক্ষিত এক আবাসিক কলোনীর নাম সি এস এম জরুরী আবাসিক কলোনী। জনজীবনের চাহিদার সকল সুবিধা বিদ্যমান ছিলো সেই কলোনীতে। স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, খেলার মাঠ, খোলামেলা পরিবেশ। সারিসারি নারিকেল গাছ আর নানা রকমের ফলের গাছের সমারোহে কলোনীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিলো শীতল সবুজ।
বৃহতাকার এই সুন্দর কলোনীটেতে বসবাস ছিলো চিটাগাং স্টীল মিলস নামক দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহত মিলটির চাকুরী জীবি ও তাদের পরিবারের বর্গের।

প্রতিটি পরিবারের সাথে প্রতিটি পরিবারের দৃঢ় সামাজিক বন্ধন, সুখে দুঃখে একে অপরের পাশে দাড়ানোর এক অনন্য বৈশিষ্ট্য ছিলো কলোনীর বাসিন্দাদের মাঝে।

চাকুরী জীবিদের সন্তানদের নানা রকম কর্ম কান্ডে মুখরিত থাকতো কলোনীর পরিবেশ। খেলাধুলা, আড্ড,া সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চাকুরীজীবীদের সন্তানদের মাঝে গড়ে তুলেছিল বন্ধুত্ব আর ভাতৃত্বের দৃঢ় বন্ধন।

নব বর্ষ-এ, ইলিশ পান্তা খেতে হবে


নব বর্ষ-এ, ইলিশ পান্তা খেতে হবে! পান্তা না হয় খেলাম কিন্তু ইলিশ! এত দাম দিয়ে কিনে এই আহ্লাদের মানে কি? মাথায় ঢুকেনা এই বদমায়েশি টা এলো কোথা থেকে!? আমি অন্তত আমার ছোট বেলায় এই সংস্কৃতি টা দেখি নাই। পুর্ব পুরুষ গ্রামের মানুষ, সেখানেও তো চর্চা হয় নাই। কলেজ লাইফ টায় দেখলাম, রমনা বটমুলে, ইলিশ/পান্তা! কালচারাল পার্টি দের নাচ গান গেয়ে বর্ষ বরন আয়োজন। বর্ষ বরন আমাদের অধিকার। এই রমনা পার্কে জুটে গেলো, বড় বড় মানি ম্যান! কালচারাল পার্টদের নাচ গান এর সাথে, বড় বড় মানি ম্যানদের ইলিশ পান্তা আহ্লাদ! এখন জাতির রন্ধে রন্ধে ঢুকে গেছে! ইলিশ পান্তা খেতে হবে! হাতের কব্জির সমান একটা ইলিশের দাম, ১০০০টাকার উপড়ে বা তারো বেশি! কয় জন মানুষের সাধ্যি আছে! বর্ষ বরন আমরা করবো কিন্তু এই ইলিশ পান্তা কালচার টা কে একটা লাথি মারলে কেমন হয়??? এর চেয়ে আতিকের ডাল ভাত কর্ম সুচিকে স্বাগত জানাই। যেটা প্রায়ই সবার জন্য সম্ভব।

পৃথিবীর সব বাপগুলা হইল বট গাছের মত যতদিন থাকে আমরা বুজিনা কি এটা


পৃথিবীর সব বাপগুলা হইল বট গাছের মত যতদিন থাকে আমরা বুজিনা কি এটা.... যখন ছোট ছিলাম ঈদে বাড়ি গেলেই দেকতাম দাদু আব্বুকে বিভিন্ন কারনে বকা দিতেসে আর আব্বু মাথা নিচু করে দাঁড়ায় থাকতো। মজা লাগতো অনেক আব্বু ও বকা খায় এটা চিন্তা করে। আমার দাদা ছিল আবার মেম্বার তার উপর কঠিন রাগি..... আমার নিজের চোখে দেখা আমার আব্বু কি পরিমান সম্মান করতো দাদুকে আর যখন দাদু মারা যাই তখন আব্বুর কান্না দেখে বুঝসিলাম কি পরিমান ভালবাসত আব্বু দাদুকে..........

তখন আমি ক্লাস ৭ এ পরি দাদু খুব অসুস্ত ছিল..... আব্বু অফিস শেষ করে বাড়িতে গেল দাদুকে দেকতে.... বাসায় আসলো ১১টা বাজে আব্বুর সাথে ভাত খাব বলে ঘুমায় গেলাম....আব্বু ডেকে বল্লো চল ভাত খাব (আমি তখন আবার ম্মাম্মি ডেডি ছিলাম)... ভাত খেতে খেতে আব্বুকে দেরি করার কারন জিজ্ঞেস করলাম আব্বু বললো তোমার দাদু খুব অসুস্থ তাই .... 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss