পৃথিবীর সব বাপগুলা হইল বট গাছের মত যতদিন থাকে আমরা বুজিনা কি এটা.... যখন ছোট ছিলাম ঈদে বাড়ি গেলেই দেকতাম দাদু আব্বুকে বিভিন্ন কারনে বকা দিতেসে আর আব্বু মাথা নিচু করে দাঁড়ায় থাকতো। মজা লাগতো অনেক আব্বু ও বকা খায় এটা চিন্তা করে। আমার দাদা ছিল আবার মেম্বার তার উপর কঠিন রাগি..... আমার নিজের চোখে দেখা আমার আব্বু কি পরিমান সম্মান করতো দাদুকে আর যখন দাদু মারা যাই তখন আব্বুর কান্না দেখে বুঝসিলাম কি পরিমান ভালবাসত আব্বু দাদুকে..........
তখন আমি ক্লাস ৭ এ পরি দাদু খুব অসুস্ত ছিল..... আব্বু অফিস শেষ করে বাড়িতে গেল দাদুকে দেকতে.... বাসায় আসলো ১১টা বাজে আব্বুর সাথে ভাত খাব বলে ঘুমায় গেলাম....আব্বু ডেকে বল্লো চল ভাত খাব (আমি তখন আবার ম্মাম্মি ডেডি ছিলাম)... ভাত খেতে খেতে আব্বুকে দেরি করার কারন জিজ্ঞেস করলাম আব্বু বললো তোমার দাদু খুব অসুস্থ তাই ....
দাদু অসুস্থ কেন???
উনার বয়স হয়ছে তাই???
তো উনি মারা যায়না কেন????
আম্মু সাথে সাথে বললো চুপ বিয়াদব......
আমার আব্বু একটু থামলো....... (তার আগে বলে নি আমার আব্বু হচ্ছে খুবই পজেটিব মাইন্ডের একজন লোক..... ছোট বেলা থেকে আমাদের যাই বলতো ডিরেক্ট বলতো কোন প্রশ্ন করলে কখনো বিরক্ত হতনা আর মঞ্চনাটক করতো তাই মনে হয় খুব গুছিয়ে কথা বলতে পারতো)
আব্বূ আমাকে ১টা গ্রামের গল্প বলা শুরু করলো...... ১টা গ্রাম ছিল এক জায়গায় ঠিক তোমাদের গ্রামের মত ওখানে একটা অনেক বড় নদী ছিল সাথে ছিল ১টা বিশাল বট গাছ...... বট গাছটি ছিল নদী পাশে একটা রাস্তায়... মানুষ যখন হেটে ক্লান্ত হত ওই বট গাছের তলাই বসতো ওখানে মেলা হোত মানূষ বিভিন্ন হাসি কান্নার কথা ওই গাছকে বলতো.....১টা সময় মানুষের বুদ্ধিহল তারা চিন্তা করলো এই বটগাছ কোন ফল দেনা তাই এটা কেটে তারা রাস্তা বড়ো করবে..... সেই কথামত বটগাছটি কাটা হোল... তারপর দেখাগেল আস্তে আস্তে নদীর পাড় ভাংগা শুরুহল ভাংগতে ভাংতে গ্রামে বন্যা হয়ে গেল অনেক মানুষ মারা গেল তখন গ্রামের লোকগুলা বুজতে পারলো আই বটগাছটাই এতদিন তাদের নদী থেকে রক্ষা করেছে...... বাবারে তোমার দাদু হচ্ছে আমাদের ফেমেলির অই বটগাছ উনি যতদিন বেচে থাকবে আমাদের কেউ ক্ষতি করতে পারবেনা..... আল্লাহর কসম অই দিন আমি আব্বুর কথার আগামাতা বুজি নায় বাট এখন বুঝি উনি আমাকে কেন কাহিনী বলসিলেন আর বট গাছ কেন দরকার.........আল্লাহ পৃথিবী সব বটগাছ গুলোকে বাচিয়ে রাখুক.... আর প্রতিটি মানুষ তাদের বটগাছ গুলোর দেখাশোনা করুক.....
No comments:
Post a Comment