নিরাপদ প্রাচীরে ঘেরা সংরক্ষিত এক আবাসিক কলোনীর নাম সি এস এম জরুরী আবাসিক কলোনী। জনজীবনের চাহিদার সকল সুবিধা বিদ্যমান ছিলো সেই কলোনীতে। স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, খেলার মাঠ, খোলামেলা পরিবেশ। সারিসারি নারিকেল গাছ আর নানা রকমের ফলের গাছের সমারোহে কলোনীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিলো শীতল সবুজ।
বৃহতাকার এই সুন্দর কলোনীটেতে বসবাস ছিলো চিটাগাং স্টীল মিলস নামক দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহত মিলটির চাকুরী জীবি ও তাদের পরিবারের বর্গের।
প্রতিটি পরিবারের সাথে প্রতিটি পরিবারের দৃঢ় সামাজিক বন্ধন, সুখে দুঃখে একে অপরের পাশে দাড়ানোর এক অনন্য বৈশিষ্ট্য ছিলো কলোনীর বাসিন্দাদের মাঝে।
চাকুরী জীবিদের সন্তানদের নানা রকম কর্ম কান্ডে মুখরিত থাকতো কলোনীর পরিবেশ। খেলাধুলা, আড্ড,া সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চাকুরীজীবীদের সন্তানদের মাঝে গড়ে তুলেছিল বন্ধুত্ব আর ভাতৃত্বের দৃঢ় বন্ধন।
বিভিন্ন কারনে দক্ষিন এশিয়ার বৃহত মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। কলোনীর বাসিন্দারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কারো মন থেকে কলোনীর নানান রঙের স্মৃতি বিজড়িত দিন গুলির কথা বিস্মৃত হয় না। কাজের ফাকে, অলস অবসরে, ঘুম না আসা গভীর রাতে সবারই মন স্মৃতিকাতর হয়ে যায় ফেলে আসা কলোনীর সীমানায় কাটানো সেই দিনগুলিতে
সীমানা ছেড়েছে সবাই অনেক আগেই কিন্তু মন পড়ে আছে সেই কলোনীর সীমানায়।
যুগের পরিবর্তন প্রযুক্তির উন্নয়ন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কত গতি এনে দিয়েছে। ইন্টারনেট ফেসবুকের জগত কতো বিশাল কিন্তু এই বিশাল জগত ও সিএসএম কলোনীর বাসিন্দাদের মনকে টানতে পারেনি।
বাস্তব জগতে তো আর সি এস এম কলোনী গড়া যাবে না। তাই তারা এই ভার্চুয়াল জগতে গড়ে তুলেছে সি এস এম কলোনী নামের একটি সীমানা। একটি ফেসবুক গ্রুপ।
ভার্চুয়াল জগতের সীমানা হলেও বাস্তবিক জগতে এর আবেদন কোনো অংশেই কম নয়। সি এস এম কলোনী বাসী এই ভার্চুয়াল জগতের গড়ে উঠা গ্রুপটিকে পেয়ে মনে হয় যেনো তারা সত্যিকারের কলোনীর সীমানাকেই পেয়েছে।
সীমানা হায়ারিয়ে আবার তারা সীমানায়।
তাইতো তারা কাজের ফাকে, অবসরে, দিনে রাতে গেয়ে উঠে
এই মুখরিত জীবনের চলার বাকে
অজানা হাজার কতো কাজের মাঝে
ছোট্ট বেলার সেই রঙ কাড়া মুখ
সুর তুলে আজো এই মনকে ঘিরে।
No comments:
Post a Comment