Friday, October 2, 2015

7 /13


আমার উপর লাকি নাম্বার ৭ & আনলাকি নাম্বার ১৩ দুই টার প্রভাব আছে ।প্রথমে আনলাকি ১৩ এর পার্ট শেষ করে নেই । আপদ যত তাড়াতাড়ি বিদায় হবে ততই ভালো tongue emoticon . আমার জন্ম তারিখ ১৩ জুলাই । স্টিল মিল স্কুলে ভর্তি হয়ে প্রথম রোল পেলাম ১৩ ।আন লাকি কি জিনিষ তখন বুঝে উঠার ক্ষমতা হয় নি । আমার ভাগ্নে সৌম্যর জন্ম দিন ও ১৩ অক্টোবর । এই খানেও ১৩ । এক ভাগ্নির জন্মদিন ১৪ এপ্রিল। লিপিয়ার এর বছর না হলে সেও ১৩ হতো।
আমার আনলাকি এই খানেই শেষ ।
এইবার দেখি লাকি আপুর কি অবস্থা !!!

অতঃপর তাহাকে আমি পাইলাম।।

- Jashim Uddin


শিক্কক: হোম ওয়ার্ক করেন নাই?
ছাত্র: মাথা গরম আগে বলো সিগারেট আনছো নাকি?
বাহ কি শ্রদ্বেয় সম্পর্ক!!! ছাত্র শিক্ককের মধ্যে।আড্ডা, ডাব চুরি, মুরগি চুরি,সবই একসাথে হয় আবার যার যা সম্মান তা পালন করা হয়।ছাত্র বয়সে অনেক বড় হলেও এস এস সি পাশের ইচ্ছা পোষন করলো শিক্কক সে মিশনে যোগ দিয়ে নিজেকে ইতিহাসের স্বাক্কী করতে বদ্বপরিকর।শিক্কক গোপনে ছাত্রকে এমন এক স্কুলে ভর্তি করালো যেখানে অনায়াসে নকল করা যায়।তারপর মহাউৎসাহের সাথে শুরু করে দিল প্রস্তুতি। ছাত্রের চেয়ে শিক্ককের ব্যস্ততাই বেশী।প্রস্তুতি নিতে গিয়ে দেখা গেল ছাত্র দেখে দেখে ও লিখতে পারে না।সো রেগুলার হোম ওয়ার্ক হচ্ছে দেখে দেখে লেখা।পরীক্কা সন্নিকটে শুনলাম মহাধুমধামের সাথে চলছে পরীক্কার প্রস্তুতি। অবুঝ মনকে বুঝাতে না পেরে একদিন দেখতে গেলাম।সত্যই মহা আয়োজন, বাজার থেকে আনা নুতন নুতন গাইড বইয়ের ম্যাক্সিমাম পাতাই নাই।টেবিলের উপর ছড়ানো চিটানো চুরি, কাছি,বই সেলানোর সুই সুতা,ইলাস্ট্রিক ইত্যাদি ইত্যাদি।পরীক্কার সাথে এসবের সম্পর্ক কি জানতে চাইলে উত্তর এলো - যা বুঝসনা তা নিয়ে কথা বলবি না। ধমক খেয়ে চুপচাপ।

হক্কল সালম এর বর পাতা


কলোনিতে কিছু মানুষ ছিলো যাদেরকে আমরা বলতাম, " হক্কল সালম এর বর পাতা " বা "আলু " কারন তারা ছোট বাড় সবার সাথে মিশতো, অনেকেই তখন Confused হয়ে যেত, কারন বুঝা যেত না ওনারা আসলে কোন ব্যাচ এর, এমন কিছু স্পেশাল নাম,
*** বেলাল ( টারজান বেলাল, E-11) 
*** সুমন ( বেকা, ৯৬ ব্যাচ )
*** বাইট্টা আক্তার ( ভাই ভাই ষ্টোর )
*** বেলাল ভাই ( ভাই ভাই ষ্টোর ) 
*** ইউনুস ভাই ( সাত্তার ষ্টোর )
মোকাদ্দেস ভাইকেও এই লিস্টে রাখা যেতে পারে।

শ্রদ্ধা জানাচ্ছি চ, ই, কা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক- শিক্ষিকাবৃন্দকে


জাফর স্যারকে দেখলেই মনে পড়ে চশমার উপর দিয়ে পিটপিট করে চাহনী আর ঠোঁটে মৃদু হাসির একজন ব্যাক্তির কথা

আর আনোয়ার স্যারকে দেখলেই মনে পড়ে মোটামুটি গম্ভীর স্বভাবের হিটলারী গোঁফ ওয়ালা একজন ব্যাক্তির কথা

দুজনেরই মার এর স্টাইল ছিল ভিন্ন।। ভয়ংকর ছিল জাফর স্যার মাত্র কয়েক সে: আমাদের পিঠে কত ঘা দিয়ে দিতেন হিসেব কষার সময়ই পেতাম না বেচারা স্যার এই স্বল্প সময়েই হাপিয়ে উঠতেন আর চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিতেন আর জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতেন মনে হত ডাক্তার বুঝি বুকে স্টেথিস্কোপ চেপে ধরে ঘন ঘন শ্বাস নিতে বলছেন।।।।।


শ্রদ্ধা জানাচ্ছি , , কা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক- শিক্ষিকাবৃন্দকে।।। যে যেখানেই আছেন ভাল থাকবেন

বৃষ্টি যদি না হয় কখনো


[গতবছর এক গরমের দিনে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বৃষ্টির উপর রাগ করে একটা কবিতা লিখে ফেলেছিলাম। আজকেও গরমে অতিষ্ঠ, আজকেও বৃষ্টির উপর রাগ তাই গতবছরের মাল আবার ঝেড়ে দিলাম grin emoticon ]

বৃষ্টি যদি না হয় কখনো
--------------------------
বৃষ্টি যখন হবেনা সহসা আর
ছাতা হাতে নিয়ে বেরুনো কি দরকার?
বর্ষাতি গুলো ভাজ হয়ে পড়ে থাক
বোবা মেঘগুলো দিবেনাই যদি ডাক।
বড় গামবুট, প্লাস্টিক জুতো
জানালা বাঁধার দড়িদড়া সুতো,
কার্নিশে বসা ভিজে যাওয়া দাঁড়কাক
এগুলো নাহয় সব হারিয়ে যাক।
রাত্রি বেলার ঝিরঝির গান,
মাটির সোঁদা ভেজা ভেজা ঘ্রান,
দুলে দুলে চলা কাগজের নাও,
বর্ষা বিহীন সব যে উধাও।
ভুনা খিচুরি ইলিশের ধুম,
ঝুম দুপুরের কাঁথামুড়ি ঘু্‌ম
পর্দা লাগানো লাজুক রিকশার
বুঝিনা কি দরকার
বৃষ্টি যদি হবেনা কিছুতে আর।।
(২৫/০৪/২০১৪)

বৃষ্টি ভেজার দিন



বাস থেকে নামতেই বৃষ্টি শুরু হল। এতক্ষণ কটকটে রোদ ছিল। হঠাৎ আকাশ কালো করে বৃষ্টি। আমি মাথা নিচু করে দৌড়ে একটা দোকানের ঝাপের নিচে ঠাই নিলাম। আমার বুক পকেটে একটা চিঠি। চিঠিটা ভেজেনি দেখে আশ্বস্ত হলাম।

আমার বুক পকেটে আমার ভাইয়ার চিঠি। ভাইয়া এক বছর হল চাকরিতে ঢুকেছে ভাল একটা লিজিং কম্পানিতে। ও আমার পাঁচ বছরের বড় কিন্তু সম্পর্কটা বন্ধুর মতো। তুই তোকারি করি, মাঝে মাঝে ডাকিও নাম ধরে। ওকে দেখে আমার কখনো সিগারেট লুকাতে হয়নি। ও একদিন হঠাৎ একটা চিঠি আমাকে দিয়ে বলল ছোটন যা তো এটা মিতুকে দিয়ে আয়। আমি আকাশ থেকে পড়লাম। মিতু কে, কি পরিচয় কিছুই তো জানিনা। তাছাড়া ভাইয়ার মেয়ে বিষয়ক আগ্রহের কথাও কখনো শুনিনি। ভাইয়াই বলে দিল নাসিরাবাদ ওমেন্সের সামনে জামিল স্টোরে দাঁড়াবি মিতুই তোকে চিনে নিবে। আমি খানিকটা বিরক্ত হয়ে বললাম চিঠির দরকার কি ফোন করতে পারিস না? ভাইয়া বলল মিতুর নাকি চিঠি পেতে ভাল লাগে। আমি চিঠি নিয়ে গিয়ে জামিল স্টোরে দাঁড়ালাম। একটু পর একটা মেয়ে এলো। ছিপছিপে গড়ন। শ্যামলা চেহারা। মায়া মায়া দুটা চোখ। আমার চেয়ে বছর দুয়েকের বড় হবে। প্রথমদিন মিতুর সাথে আমার টুকটাক কিছু কথা হল।