Wednesday, February 24, 2016

"খানা খাজানা" পর্ব- ১


যখন আমাকে আপ্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া তখন থেকেই আমার আড্ডার মজা অনেকটা পানসে হয়ে গেলো। কারন দায়িত্বটা এমনই সবাইকে শতভাগ সন্তুষ্ট করা যায় না। তারপরেও অনুরোধে ঢেঁকি গিলার মতো রাজি হলাম। জানুয়ারি মাসের ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত এদিক ওদিক করে কাটালাম। কাজ শুরু করতে যাব এমন সময় জানুয়ারি ৩য় সপ্তাহে ব্যক্তিগত কাজে দুইদিনের জন্য ঢাকায় গেলাম। যাওযার আগে অবশ্যই কিছু কাজ আগাইয়া রাখছিলাম। আড্ডায় কতজন অংশগ্রহন করবে সে হিসাবটা দুপুর বেলা খাওয়ার আগে পর্যন্ত জানতে পারিনি। অনুষ্টানের আগে বড় ভাইদের কাছে কতবার জানতে চেয়েছি কতজন হবে? কেউ বলতে পারেনি। 

কেউ বলে ১২০০ হবে, কেউ ১৫০০ হবে, আর মাসুক ভাইরে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলতো ১২০০ এর চেয়ে কম হবে। কেউ বলে সকালের নাস্তা ভারি হলে ভাল হয়, কেউ বলে হালকা। কেউ বলে দুপুরের মেনুতে আমরা মেজবান খাবো আর নন মুসলিমরা কি শুধু এক পিস মুরগি খাবে? ছাগলও লাগবে। এবার একজন বললো আমরা যেহেতু গরুর নলা খাবো ওরা কি শুধু মরগি আর ছাগলের মাংস খাবে? তাহলে? আরেকটা আইটেম বাড়াতে হবে। বাজেট একবার বাড়ে, একবার কমে। এক রকম অনিশ্চয়তার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।

২৯ এ জানুয়ারি ২০১৬ ইং এ সিএসএম কলোনীর সকল ছোট- বড় ভাই- বোনরা মিলে এক আড্ডার আয়োজন করি


২৯ এ জানুয়ারি ২০১৬ ইং এ সিএসএম কলোনীর সকল ছোট- বড় ভাই- বোনরা মিলে এক আড্ডার আয়োজন করি।যেখানে আমাদের মা- বাবা,ভাই- বোন,ছেলে- মেয়ে,শিক্ষক -শিক্ষিকারা অংশগ্রহন করে এই আড্ডাকে সফল করেছে।
আড্ডা নিয়ে ৪ মাস আগে যখন নাজমুল ভাই বলেছিল আমরা এরকম একটা অনুষ্ঠান করবো যেখানে আমাদের মা- বাবারা অংশ নিবে,এবং সেই রকম একটা অনুষ্ঠান হবে।তারপর থেকে মিটিং, আলোচনা হল,তারিখ ঠিক হল ২৯/১/১৬ ইং।সবার মতামতের মাধ্যমে ভেন্যু নির্ধারণ হল গার্ণাস ক্লাব হালিশহর।কিন্তু জানুয়ারী মাসের প্রথমে আমরা জানতে পারলাম সরকারী সিদ্ধান্তের কারণে গার্ণাস ক্লাবে আমরা প্রোগ্রাম করতে পারছি না।

একদিন সন্ধায় জসিম ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম আজ কোথাও যাবেননা কূপন দিতে।জসিম ভাই একটা ঝারি মারল।বুঝলাম কোন কারণে জসিম ভাইয়ের মন খারাপ।পরে আমাকে বলল যে আমরা গার্নাস ক্লাব পাচ্ছি না।তারপর নাজমুল ভাই,সুজন এল। আমরা নয়াবাজার গিয়ে এক দোকানে বসে চা খাচ্ছি।তখন আমি শারীরিক শিক্ষা কলেজ এর কথা বলতে নাজমুল ভাই বলল চল দেখে আসি।সুজন ও টিটু মটর সাইকেলে এবং আমি,জসিম ভাই,নাজমুল ভাই সিএনজি করে ভেন্যু দেখতে গেলাম।সবার পছন্দ হল।তারপরের দিন আমি ও জসিম ভাই ওখানকার স্টাফ ইছা ভাইয়ের সাথে কথা বললাম,এবং ইছা ভাই আমাদের ভেন্যু নেওয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা করল,এবং প্রিন্সিপাল স্যারকে আমাদের ব্যাপারে সব বলে তার আত্বিয় পরিচয় দিয়ে আড্ডা করার ব্যাবস্হা করে দিল।

ADDA


ADDA.AMON EKTA ONUVUTI,JA AMI GUCHIE BA SUNDOR KORE LIKHTE PARBONA.ADDAR DATE NIRDHARITO HOBAR POR THEKE KONO KAJE MON BOSTO NA.SHUDHU VABTAM KOBE DINTA ASBE?KOBE JABO PORICHITO MANUSGULIR SATHE DEKHA KORTE,KOTHA BOLTE R ANONDO KORTE.SOBAI MILA JE ANONDO KORLAM SETA SHUDHU AMI KENO AMAR DHARONA KEW VULTE PARBE NA.SEI KHUNSHUTI,ADOR,MAN-OVIMAN,VALO LAGA VULAR NOY.JANINA KI LIKHLAM?AMAR VULGULI ASHA KORI SOBAI KHOMA SUNDOR DRISTITE DEKHBE.SOBAI KHUB,KHUB,KHUB VALO THAKBEN.

সি এস এম এর প্রথম আড্ডার কথা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না


সি এস এম এর প্রথম আড্ডার কথা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না, শুধু এই কথা বলে বুজাতে চাই যে কি পরিমান আবেগ আমার কাজ করেছিল সেই প্রথম আড্ডা।যেখানে আমার জোরে চলাফেরা করা নিষেধ সেই সময় আমার এতোটাই আবেগ কাজ করেছিল আমি কিছু চিন্টা না করে ছোট ভাইদের খুশি করতে এই বয়সে নাচতে এক বিন্ধু চিন্টা করি নাই।এর চেয়ে বেশি কিছু লিখে সবার মনের কস্ট বারাতে চাই না।ছিলাম, আছি,থাকবো এই সি এস এম এর সাতে যত দিন বাচবো।

উল্লেখঃ ৩৫ বসর জন্ম থেকে ছিলাম, যেখানে আমার জানা মতে সব ছেয়ে বেশি সংখ্যক ছেলে মেয়ে ভাই বোন ভাগনা ভাগ্নি এক জাগায় থেকেছে, পড়েছে সেই পরিবার এর আমি এক জন স্টিল্লার, আমার বাবার নাম ছিলঃ আহ ম্মেদ উল্লাহ, কঃনংঃ ই-১১-ডি

স্লিপারের সামনের বিল্ডিং টাই আমাদের E-7


স্লিপারের সামনের বিল্ডিং টাই আমাদের,E-7, দোতলাই থাকতাম,দোপুর সময়টাতে আম্মা অনেক বকাবকি করত ঘুমের জন্যে।আমার ঘুম আসতনা,প্রায় বকা খেতাম ঐ টাইমটাতে,মন খারাপ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম,,,,আচ্ছা আমাদের সি এস এম এর আকাশ আর এখনকার আকাশ কোন মিল নাই,,এই পারতক্য যারা সি এস এম এ ছিল তারাই বুজবেন। তখন কার নিলীয়মান আকাশে তাকালেই মন ভাল হয়ে যেত। অনেক চিল এক সাথে ডানা মেলে রাউন্ড দিচ্ছে,হঠাত কত্তেখে এক পনকিরাজ ঘুড়ি দেখা গেল, যা নিয়ে চিলেরা খেলছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
অনেক মিস করি,অনেক মিস।

প্রথম প্রাপ্তিটা সব সময় মধুর


প্রথম প্রাপ্তিটা সব সময় মধুর। আর তা যদি হয়ে থাকে, "২৯ শে জানুয়ারি"। প্রথম স্কুলে যাওয়া, বাবার একটি সাইকেল কিনে দেওয়া, চাদা দিয়ে একটি ফুটবল কিনা, প্রথম ভালোবাসা(যদিও আমি একবারমাত্র ভালোবেসেছি), প্রথম বিবাহ(এখানেও আমার ২য় বারের কোনো chance নাই), প্রথম সন্তান, এই সব প্রাপ্তি বড় আনন্দের, বড় আবেগের। মনের মনি কোঠায় গেথে থাকে।

২৯শে জানুয়ারি ঠিক তাই। এত আপনজন, একটা দিন, একটি বিন্দুতে!!!! বাধ ভাংগা আনন্দ, আবেগ, ভালোবাসায় সব কষ্ট যেন আমরা ভুলে গেলাম।

"একটা চাবি মেরে" সবাইকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়ছে, কোথাও কারো নিয়ন্ত্রন নেই!!! আবার চুল পরিমান " অনিয়ম" নেই!!! কি করে সম্ভব!!!????
এখানেই আমরা "স্টীলার"!! এবং "আমরা আমরাইতো"!!

রিমানের লুঙী কাহিনী তখনো শুরু হয়নি


২১ শে ফেব্রুয়ারির আগের রাতে বন্ধু রিমানের লুঙী কাহিনী তো আগেই বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে ভিলেন মরাইয়া রাশেদ, আজ জানাবো বন্ধু বদরুলের গায়ে কফ নিক্ষেপ কাহিনী, এবং এখানেও ভিলেন যথারীতি মরাইয়া।

রিমানের লুঙী কাহিনী তখনো শুরু হয়নি, আমরা সবাই, মানে এপ্রিল 29 এর সদস্য রা পানির ট্যাংকীর নীচে রাস্তায় আল্পনা করছিলাম, বদরুল লুঙ্গি হাঁটু পর্য্যন্ত তুলে উবু হয়ে (অনেক টা নামাজের রুকু দেওয়ার ভঙ্গিমায়) খুব মনোযোগ দিয়ে আল্পনায় ফিনিশিং টাচ দিচ্ছিলো, ঠিক তখনই রাশেদের মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি খেলে গেলো, বদরুলের পিছনে গিয়ে তার লুঙ্গী টি তুলে সর্বশক্তি দিয়ে একদলা কফ (মরাইয়ার প্রায় সময় সর্দি লেগে থাকতো) রাশেদ বদরুলের পশ্চাৎ দেশে মারল, ঘটনার আকষ্মিকতায় বদরুল পুরোপুরি হতবিহবল, রাগারাগি করার চেতনাও লোপ পেয়েছে বদরুলের, সম্বিৎ ফিরে পাওয়ার পর জাস্ট রাশেদ কে "তুই ওজ্ঞা ফেরোত" (তুই একটা নোংরা) বলতে বলতে, লুঙ্গি টি উচিয়ে ধরে বাসায় গিয়ে এই মাঝরাতে গোসল করে আবার ট্যাংকীর নীচে এলো বদরুল।

তারপর তো ঘটলো রিমানের লুঙ্গী ট্রাজেডি। এভাবে হাসি ঠাট্টা, আনন্দ,মজার মধ্যে দিয়ে ভোরে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আসি। সম্ভবত কলোনীতে এটাই ছিলো আমার শেষ একুশে ফেব্রুয়ারি পালন এবং এখনো পর্য্যন্ত এটাই শেষ একুশে পালন।

মানব প্রজাতির মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেনী বহুল আলোচিত


মানব প্রজাতির মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেনী বহুল আলোচিত। দুনিয়ার যত বড় বড় কবি লেখক আছে তাঁরা মিডল ক্লাসদের নিয়ে সাহিত্য চর্চা করেই বিখ্যাত হয়েছেন। তাতে অবশ্য মধ্যবিত্তদের কোন লাভ বা ক্ষতি বৃদ্ধি হয়নি। মধ্যবিত্তদের কিছু আইকনিক স্বভাব আছে। হাজার চেষ্টা করলেও কেউ এসব থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। 
মধ্যবিত্তদের টিভি রিমোট পলিথিন দিয়ে মোড়ানো থাকে। যখন টিভির রিমোট নষ্ট হলে হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হতো তখন থেকে শুরু। এখন পঞ্চাশ টাকায় রিমোট পাওয়া যায় তবুও মধ্যবিত্তদের টিভি রিমোট এখনো পলিথিনের ভেতর থেকে বের হয়ে আসেনি। 

মধ্যবিত্তদের ভাই-বোন-মা-বাবা সবার সাথে সম্পর্ক থাকে গভীর। মা বছরের ৩৬৫ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রান্না ঘরের কাজ করতে করতে মৃতপ্রায়। কারো সেদিকে দৃষ্টি নেই। বরং তরকারিতে লবণটা বেশি হলে, ঝালটা কম হলে রান্না শিক্ষা সম্পর্কে মাকে বিরাট লেকচার দেয়া হয়ে যায়। সেই ভাই বোনেরাই মায়ের একটু সর্দি জ্বর হলে চাকরি-বাকরি, স্কুল কলেজ বাদ দিয়ে মায়ের সেবায় লেগে থাকে। বলা বাহুল্য মায়ের সুস্থতা আর ছেলে মেয়েদের পুরনো রুটিনে ফিরে আসা সমানুপাতিকভাবে ঘটে। 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss