২৯ এ জানুয়ারি ২০১৬ ইং এ সিএসএম কলোনীর সকল ছোট- বড় ভাই- বোনরা মিলে এক আড্ডার আয়োজন করি।যেখানে আমাদের মা- বাবা,ভাই- বোন,ছেলে- মেয়ে,শিক্ষক -শিক্ষিকারা অংশগ্রহন করে এই আড্ডাকে সফল করেছে।
আড্ডা নিয়ে ৪ মাস আগে যখন নাজমুল ভাই বলেছিল আমরা এরকম একটা অনুষ্ঠান করবো যেখানে আমাদের মা- বাবারা অংশ নিবে,এবং সেই রকম একটা অনুষ্ঠান হবে।তারপর থেকে মিটিং, আলোচনা হল,তারিখ ঠিক হল ২৯/১/১৬ ইং।সবার মতামতের মাধ্যমে ভেন্যু নির্ধারণ হল গার্ণাস ক্লাব হালিশহর।কিন্তু জানুয়ারী মাসের প্রথমে আমরা জানতে পারলাম সরকারী সিদ্ধান্তের কারণে গার্ণাস ক্লাবে আমরা প্রোগ্রাম করতে পারছি না।
একদিন সন্ধায় জসিম ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম আজ কোথাও যাবেননা কূপন দিতে।জসিম ভাই একটা ঝারি মারল।বুঝলাম কোন কারণে জসিম ভাইয়ের মন খারাপ।পরে আমাকে বলল যে আমরা গার্নাস ক্লাব পাচ্ছি না।তারপর নাজমুল ভাই,সুজন এল। আমরা নয়াবাজার গিয়ে এক দোকানে বসে চা খাচ্ছি।তখন আমি শারীরিক শিক্ষা কলেজ এর কথা বলতে নাজমুল ভাই বলল চল দেখে আসি।সুজন ও টিটু মটর সাইকেলে এবং আমি,জসিম ভাই,নাজমুল ভাই সিএনজি করে ভেন্যু দেখতে গেলাম।সবার পছন্দ হল।তারপরের দিন আমি ও জসিম ভাই ওখানকার স্টাফ ইছা ভাইয়ের সাথে কথা বললাম,এবং ইছা ভাই আমাদের ভেন্যু নেওয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা করল,এবং প্রিন্সিপাল স্যারকে আমাদের ব্যাপারে সব বলে তার আত্বিয় পরিচয় দিয়ে আড্ডা করার ব্যাবস্হা করে দিল।
আড্ডাতে আমার মায়ের আসার খুব ইচ্ছা ছিল,আমার মোট ১৫ টি কুপন ছিল।কিন্তু আড্ডার কয়েকদিন আগে হঠাৎ আমার মা অসুস্থ হয়ে পরে।সেটা সবাই জানে।প্রত্যেক কমিটির সকলে আমাকে ফোন করে আগে মায়ের খবর নিয়েছে।সে জন্য আমি সকলের নিকট কৃতগ্গ।
তারপর আড্ডা হল।আমার দায়িত্ব ছিল খেলাধূলা, তবে আড্ডার দিন বাবুর দায়িত্ব কিছুটা আমাকে করতে হয়েছে,আমাকে আবু হোরায়রা খুব সাহায্য করেছে।এখন আমরা কতটা সফল বা বিফল তা আপনারা ভাল বলতে পারবেন।বিফল হলে তার ভার আমাদের আমরা যারা দায়িত্বে ছিলাম,আর সফল হলে তার ভাগ সকলের।
No comments:
Post a Comment