Sunday, January 10, 2016

এ্যারে এইখানে কে রে, কার ডিউটি


সিকিউরিটি চীফ আতিক কাকা প্রায় দিনই রাতের বেলা কলোনির বিভিন্ন গার্ড পোস্টে পরিদর্শনে যেতেন, সেখানে কর্তব্যররত গার্ড কে যথা স্থানে না পেলে উনি উনার ভারী গলায় চিৎকার করে বলতেন " এ্যারে এইখানে কে রে, কার ডিউটি ", কাকার এই চিৎকারে সেখানকার দায়িত্বররত গার্ড দৌড়ে কাকার সামনে এসে যা বলার বলত, এই ব্যাপার টি খেয়াল করেছিলো বন্ধু বদরুল, সে আবার মানুষের গলা ভালো নকল করতে পারতো, বদরুল কয়েক দিন পর পরই এভাবে অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে কাকার গলা নকল করে বলত " এরে এইখানে কে, কার ডিউটি " এমন আওয়াজ শুনে সেখানকার গার্ড তো পড়িমরি করে ছুটে আসতো, কিন্তু এসে কাউকে দেখতোনা, আর বদরুল তো চিৎকার দিয়েই পগারপার। এভাবে কয়েক রাত ধরেই বিভিন্ন পোস্টের গার্ড দের বদরুল বিভ্রান্ত করতে লাগলো,। কিছুদিন পরই আতিক কাকা বিষয়টি জানতে পারলেন, পরে উনি আমাদের কয়েকজন কে ডেকে নিয়ে বললেন " এ্যারে তুগো মইদ্যে কনে জানি আঁর গলা নকল করি আঁর গার্ড বেজ্ঞুনেরে হেরেস কইত্যেসে তুরা বেয়াকে সাবধান হই যা"

এর পরও কিছুদিন বিরতি দিয়ে বদরুল আবার একই কাজ করতে লাগলো। কিন্তু আজ পর্য্যন্ত কাকা বুঝতে পারেন নি এই কাজ টা কে করেছে। এই লেখাটি চোখে পড়লে অাজ যদি উনি বুঝতে পারেন। 

গ্রান্ড আড্ডার দিন আমার মনে হয় এ ধরনের একটি আওয়াজের আয়োজন করা যেতে পারে।

আমাদের স্মরনিকা নিয়ে কিছু বিতর্ক


গতকাল ০৯.০১.১৫ইং তারিখে রাঙ্গামটি পিকনিকে যাওয়ার কারনে সারাদিন FB তে ঢুকি নাই। রাত প্রায় 12টা হয়েছিল বাসায় ফিরতে FB তে দেখলাম আমাদের স্মরনিকা নিয়ে কিছু বিতর্ক। এই ব্যাপারে আমার স্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য আমার এই লিখা। আমরা যারা চট্টগ্রামে বসবাস করি আমাদের গ্র্যান্ড আড্ডার আনুষাঙ্গিক কাজ নিয়ে ব্যাস্ততার কারণে স্মরনিকার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়ে গিয়েছিল। স্মরণিকা বের করার ব্যাপারে অনেকের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে আমি ঢাকায় যারা থাকে তাদের মধ্যে জাবেদকে জিজ্ঞাস করলাম ’26/27 দিন সময় আছে এর মধ্যে স্মরণিকা বের করা সম্ভব কিনা ‘ জাবেদ জানালো আপনাদের সহযোগিতা পেলে অবশ্যই সম্ভব। 

ছেলেটা চ্যালেন্জ নিল। আমি রেজা ভাই, জসিম ভাই, আতিকের সাথে কথা বললাম তারাও একমত হলেন। রিপন, বন্যা, কমু, টিটু, পূলক, নোমি, আপেলসহ অন্যাদের সহযোগিতা নিয়ে জাবেদ কাজ শুরু করল। রাতদিন পরিশ্রম করছে এই গ্রুপটা। এতবড় একটা অনুষ্ঠান করছি আমরা অথচ একটা স্মরণিকা থাকবে না এইটা বেমানান। সুন্দর এর প্রতি আমার সমর্থন সবসময় ছিল তোমাদের সবার সহযোগিতায় 29 শে জানুয়ারী একটি সুন্দর স্মরণিকা প্রকাশিত হোক এটাই অমার কামনা। সবার মঙ্গল কামনা করছি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

ম্যাগাজিনের ব্যাপারে


ম্যাগাজিনের ব্যাপারে নাজমুল ভাই সকালে একটি চমৎকার পোস্ট দিয়েছেন, আমি নাজমুল ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে আরেকটু বলতে চাই, যতটুকু জানি সময় স্বল্পতার কারনে এখানে নতুন কোন লেখা নেওয়া হয়নি,ফেসবুকের পুরানো লেখা গুলো থেকে বাছাই করে লেখা দেওয়া হচ্ছে, এমন কি আমি নিজেও জানিনা আমার কোন লেখাটা এখানে দেওয়া হচ্ছে বা আদৌ দিবে কিনা। প্রথম বার কাজ করতে গিয়ে হয়ত একটু কাজ অগোছালো হচ্ছে, ইনশাল্লাহ পরের বার সব ঠিক হয়ে যাবে, সবার কাছে আমি হাত জোড় করে অনুরোধ করছি আসুন আমরা একে অপর কে সহযোগিতা করি, সবই তো আমরাই। আমার এ পোস্ট টিতে প্লিজ কমেন্টস করবেন না, জাস্ট আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ নিয়ে এসেছি। আমি জানি আপনারা আমাকে নিরাশ করবেন না, আমি খুব আশাবাদী একজন মানুষ।

সারপ্রাইজ


গতকাল তারিক কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, ব্যস্ততার কারনে অনেক দিন পর সেখানে গিয়েছি, তাছাড়া ৮ জানুয়ারী তারিকের জন্মদিন ছিলো, এ সুযোগে তাকে দেরীতে হলেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম, কিন্ত তারিক আমাকে বা আমাদের উপহার দিলো সারপ্রাইজ, দীর্ঘ ৬ বছর পর সে কোন সহায়তা ছাড়া বিছানা থেকে নিজে নিজে উঠে দাঁড়াতে বা বসতে পারে।

সবাই আমরা দোয়া করি সে যেনো এ রকম আরো সারপ্রাইজ আমাদের উপহার দেয়।

video Link: https://www.facebook.com/atique.atiq.7?fref=nf

স্মরনিকা নিয়ে কিছু বিতর্ক



বিষয়টি নিয়ে আমি কোন কথা বলবো না বলে সিদ্ধিন্ত নিছিলাম। কিন্তু দেখলাম সবায় মিলে একটা সাধারন প্রস্তাবকে বির্তক বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আমাদের উচিত প্রত্যেকের মতামতকে নুন্যতম সম্মান দেখানো। কারো প্রস্তাব মানা সম্ভব না হলে তাকে সম্মানের সাথে না করা যায়। এমন কোন উপমা দেয়া ঠিক নয় যাতে কোন মানুষ কষ্ট পায়। আমরা এখানে নিজেদের বাহাদুরী দেখাতে এই পেজে আসি নাই। আমরা এখানে আসছি নিজেদের যার যার আবেগের তাগিদে। সকলের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই আমরা কেহই এখানে ব্যক্তি র্স্বাথ চরির্তাথ্ করতে এখানে আসি নাই, আমরা আজ ১৫ বছর পর মিলিত হতে চাচ্ছি শুধু আমাদের মন চাইছে বলে। আমাদের কারোরই এমন কোন সময় নাই যে কোন একটা দাওয়াতে অংশগ্রহন করি, কিন্তু এই আড্ডা সফল করার জন্য নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করে এবং যার যার পকেট থেকে টাকা খরচ করে প্রতিটা দিন চেষ্টা করে যাচ্ছে আমাদের ছোট ও বড় ভাইয়েরা। এমন অনেক ভাইয়েরা আছেন যারা তাদের ব্যবসার খবর ঠিকমতো রাখেন না কিন্তু প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন আড্ডার জন্য, অথচ বাজার হয় নাই সময়ের অভাবে।

আর কত দূর বল মা



পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব মাগো বল কবে শীতল হব, কত দূর...... আর কত দূর বল মা............

পুড়া দুইটা দিন, একটা পোস্ট আর এর related কমেন্ট গুলা খুব মনোযোগ দিয়ে পরছিলাম। অনেকের সাথে আমিও একমত স্মরনিকার বিকল্প নাই এবং অন্তর থেকে এর প্রকাশনার সফলতা কামনা করি। কিন্তু দুঃখ জনক হোল এই বিতর্কের সৃষ্টিটা নিয়ে। মামুন,... দীর্ঘ আড়াই মাসেরও বেশী সময় যে ছেলেটা অদম্য পরিশ্রম করে গেছে, শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত যে খুজে বেরিয়েছে কোথায় আছে CSM এর পলাপাইন, যে কিনা একটা মিটিং কখনো মিচ করে নাই, নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে MFC এর মত restaurant এ CSM এর ভাই বোন দের মিলিত করার চেষ্টা করেছে শুধু মাত্র একটা সফল get together এর জন্য, তার একটা ছোট প্রস্তাব কে নিয়ে এতরকম কম্মেন্তস????????? 

টিংকু পোলার সাজা চাই, বিচার চাই


E-টাইপে একটি স্লীপার ছিল ।যা ছিল সব ছেলে মেয়ের পছন্দ ।মক্তবে পড়াকালীন আমি ,একা আর মেরীর প্রথম কাজ ছিল হুজুরের কাছে পড়া শেষ করে স্লীপারে গিয়ে স্লীপ খাওয়া ।সময় অসময় আমাদের টিংকু ও সাথে যোগ দিত ।কারণ স্লীপার ছিল তাদের বাসার নিকট ।একদিন আমরা টিংকু সহ মক্তব পালালাম ।But আমার কপালে ছিল শনি ।টিংকু হঠাত্‍ করে আমারে স্লীপারের একেবারে উপর থাইকা ডাক্কা মারলো ।আমি কিছু বুঝার আগেই দেখলাম পড়ে আছি এক্কেবারে স্লীপারের নিচে ।হাতে কিছুটা চোট পাইছিলাম কিন্তু তা সাময়িক ।পায়ে যে চোট পাইছি তা আজও মাঝে মাঝে ভোগায় ।আমি CSM colony'r বড় ভাই আপাদের কাছে এর বিচার চাই । বিচার চাই ।টিংকু পোলার সাজা চাই ।বিচার চাই ।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss