Tuesday, January 12, 2016

সবই শাবনাজ নাঈমের চাঁদনী ছবির কল্যাণে


১৯৯১ সালে আগ্রাবাদের বনানি বা উপহার সিনেমা হল থেকে চাঁদনী ছবিটি দেখে আমি, মনিরুল আর ভুতের আন্ডা বাবু বেবী টেক্সি করে কলোনি তে ফিরছিলাম, সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা আসার পর দেখি রাস্তার মাঝখানে রেল লাইনে চার পাঁচটি খালি মালবাহি বগি দাঁড়িয়ে আছে, আর রাস্তার দু পাশে অনেকগুলো গাড়ি আটকা পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ঐ বগি গুলোর ইঞ্জিন হঠাৎ নষ্ট হয়ে যায় তাই এ বিপত্তি। পরে আটকে পরা গাড়ি গুলো থেকে সব ড্রাইভার আর যাত্রী রা নেমে ঐ ইঞ্জিন থেকে বগি বিচ্ছিন্ন করে বগিগুলো ধাক্কিয়ে রাস্তার উপর থেকে সরিয়ে দেয়। জীবনে নষ্ট অনেক গাড়ি হয়ত ধাক্কা দিয়ে সরিয়েছি, কিন্তু মালবাহী ট্রেন ধাক্কিয়ে নেওয়া এই প্রথম। সবই শাবনাজ নাঈমের চাঁদনী ছবির কল্যাণে।

প্রাইমারি স্কুলের সময়কার ঘটনা


পাপ্পু ভাই ডালিম ভাই দের বাসার কাছে একটা ড্রেনের এন্ডিং ছিল যা আমরা সি টাইপের পোলাপাইনরা মিলে মূল ড্রেন থেকে ইট সিমেন্ট দিয়ে আলাদা করে ফেলেছিলাম মাছ পালবো বলে। আমরা যে যেভাবে পারি কলোনির বিভিন্ন মাছের সোরস থেকে মাছ এনে ছারা শুরু করলাম। আমাদের মেইন সোরস ছিল বাইরের মসজিদের পুকুর আর হাউস। এই কাজে ব্যাপক পারদর্শী ছিল মোল্লা সুমন। মাক্সিমাম মাছ ছিল তেলাপিয়া। এভাবে আমাদের মিনি পুকুর টা অল্প দিনেই মাছে মাছে ভরে গেল। 

একদিন মহিম আর ছোটন ভাইয়ের বাবা বাজার থেকে চিরিং (চাটগাঁইয়া ভাষায়) মাছ নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকটা রাস্তায় পরে গেলে সেই মাছ গুলোও আমরা ধরে আমাদের মিনি পুকুরের বাসিন্দা বানিয়ে দিলাম। ইতিমদ্ধে তেলাপিয়া মাছ পোনা দেয়া শুরু করেছে। সে যে কি আনন্দ বোঝাতে পারবনা। কিন্ত কিছু দিন পর খেয়াল করলাম আমাদের মাছের পরিমান কমতে শুরু করেছে।