Thursday, September 10, 2015

“খ” তে “করগোশ”


টাকা পয়সা দরকার, কলেজে উঠছি, খরচ পাতি বেড়ে গেছে !!! এখন হাতে কিছু এক্সট্রা টাকা পয়সা লাগে। বেলাল ভাইকে ( ভাই ভাই ষ্টোর ) বললাম, “ বেলাল ভাই টিউশানি পাইলে বইলেন, হাতে টানা টানি চলতেছে, পিচ্চি পড়াবো না, কমপক্ষে ক্লাস এইট হলে ভালো হয়। “ যাই হোক বেলাল ভাই ব্যাপারটা গুরুত্ব সহকারে নিলেন। বেলাল ভাই প্রায় সময় বিকালের দিকে সময় করে কলোনিতে ঘুরতেন, আড্ডা দিতেন বা খেলতেন। একদিন বড় মাঠে খেলতেছি, বেলাল ভাই বড় মাঠে এসে আমাকে ডাকলেন।

“ রাসেল একটা টিউশনি পাইছি, ক্লাস ২তে পড়ে, আমাকে খুব ভালো জানে, চল ” আমি বললাম, “ না ভাই পড়াবো না, পিচ্চি পোলাপাইন অনেক দিকদারি” বেলাল ভাই বললেন, “ আরে কয়েক মাস পড়া, পিচ্চি হইলেও বেতন ভালো দিবে, আমাকে মাস্টারের কথা বলেছে, আমি তোর কথা বলছি।“ যাই হোক বেলাল ভাইয়ের কথাতে আর ভালো বেতনের কারনে রাজী হলাম, বেলাল ভাই আমাকে নিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলো। 

যাবেই যদি দেরি আর কেন?

- Javed

কলোনি ছেড়ে যাবার সময়ের প্রেক্ষাপট নিয়ে একটি গান বেঁধেছিলাম বহু বছর আগে। যখন কলোনির বাসিন্দারা একে একে যেতে শুরু করেছে আর কলোনিতে থেকে যাওয়া মানুষগুলো অস্রুসজল চোখে বিদায় জানাচ্ছে।
অত্যান্ত বিনয় এবং লজ্জার সাথে বলছি গানটি আমার লেখা এবং সুর করা। বাসায় রেকর্ড করা। আশা করি কলোনির ক্ষমাশীল মানুষরা আমার রসহীন লেখার মত আমার বাজে বেসুরো গলাকেও ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন। আমি খুবই লজ্জিত যে আমার গলায় গানটি আপনাদের শুনাচ্ছি।

ডাঃ রহিম আংকেল



ষ্টীলমিলে আমরা যে চিকিৎসা সুবিধা পেতাম, তার সাথে শুধু এখনকার রেলওয়ে/বন্দর হাসপাতালেরই তুলনা চলে (ডিফেন্স বাদে)। আধা-সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিকিৎসা সুবিধার সেই রমরমা অবস্থা এখন আর নেই; একেতো সরকারের সুবিধা দেওয়ার মানসিকতাই নেই, অন্যদিকে এখন বেতনের সাথে যৎকিঞ্চিত চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয় আর প্রতিষ্ঠানের বাইরে নেওয়া চিকিৎসার বিল কম-বেশী অফিস বহন করে। ষ্টীলমিলের মতো চাইলেই ফ্রি সি-ভিট, আমি নিজেও তো প্রতিষ্ঠান থেকে দেই না!

আমার যতদূর মনে পড়ে, আমি ষ্টীলমিল হাসপাতালে দু'জন পুরুষ ডাক্তার ও একজন মহিলা ডাক্তার পেয়েছিলাম; পুরুষ দু'জন ছিলেন ডাঃ রহিম আর ডাঃ রফিক আংকেল, মহিলা ডাক্তার আন্টির নাম মনে করতে পারছি না বলে দুঃখিত।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss