Tuesday, April 19, 2016

রফিক ভাই বাথরুমের জানালা খুলে বড় বাথরুম করা অবস্থায় লোক টিকে বিব্রত করার পরের ঘটনা


রফিক ভাই বাথরুমের জানালা খুলে বড় বাথরুম করা অবস্থায় লোক টিকে বিব্রত করার পরের ঘটনা..........

সেখান থেকে আমরা তিনজন (আমি,রফিক ভাই, মোটা বাবু ভাই) এবার গেলাম পাশের টয়লেট এর জানালার কাছে, এই জানালা টিও রফিক ভাই বাইরে থেকে আলতো ভাবে টান দিয়ে খুলে ফেলল, এখানেও এক লোক মনোযোগ দিয়ে বড় বাথরুম করছে, একেবারে দিগম্বর অবস্থায়, তার আন্ডারগার্মেন্টস আর প্যান্ট টি খুলে রেখেছে জানালার কাছে, রফিক ভাই বাম হাত দিয়ে আন্ডারগার্মেন্টস নিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলে দিলো, লোকটি বাথরুম করা নিয়ে এত ব্যস্ত যে বিষয়টি টেরও পায়নি।

শেষমেশ তিনজনের স্টেশনের দোতালার বারান্দায় দাঁড়িয়ে লাইন ধরে মুত্র ত্যাগ শুরু। আর সব তরল গিয়ে পড়ছে নীচের প্লাটফর্মে। এরপরই শুরু হলো প্লাটফর্ম এর লোকজনের হইচই চিল্লাচিল্লি, আর আমাদের তিনজনেরই তিনদিকে পলায়ন।

১৯৯১ সালের ২৮ শে এপ্রিল


সকাল থেকে হালকা বাতাস হচ্ছে। বিকাল হতে হতে বাতাস বাড়তে থাকে। টিভিতে বার বার সতর্ক করছে। কলোনি মানুষজন খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে বলেও মনে হচ্ছে না। আমার।আব্বা ছিল csm মেডিকেলে।আস্তে আস্তে বিকাল শেষ হয়ে সন্ধ্যা নামল। বাতাসের গতিও বাড়তে লাগল।আমার বোনের ( সেলি আপা) ছিল এস এস সি পরীক্ষা। হাতে মোম আর ম্যাচ নিয়ে পড়তে বসে ছিল। কারন কারেন্ট একবার আসতেছে একবার যাচ্ছে। আমার বড় ভাই ( জসিম ভাই) আপাকে বলছে জীবনে পরীক্ষা অনেক দিতে পারবি কিন্তু এই দৃশ্য আর নাও দেখতে পারিস।সিড়িতে দাড়িয়ে বাতাসে গাছ মাটিতে নুয়ে পড়ছে তা দেখাচ্ছে। ছোট ছিলাম বলে খুব ভয় পেয়েছিলাম আর বারবার আব্বার জন্য খারাপ লাগছিল আব্বার মুখটা ভেসে উঠছিল আর কান্না পাচ্ছিল। এরপর বড় ভাই যখন আব্বার জন্য খাবার নিয়ে মেডিকেলে গেল তখন আম্মার সেকি টেনশন। দোয়া পড়ছে আর বাইরে তাকাচ্ছে। 

এই গরমে বন্ধ পড়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত পরিবারসহ ছিলাম গ্রামে


এই গরমে বন্ধ পড়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত পরিবারসহ ছিলাম গ্রামে। উপলক্ষ্য বন্ধে-চৌদ্দগুষ্টির মিলন মেলা ও একটা বিবাহের অনুষ্ঠান। এই 4 দিন মোবাইল/ফেসবুক সব বন্ধ করে বসে ছিলাম। গরমা গরম সব কিছুই ভাল কেবল গরম কালটা বেরসিক অবশ্য বেরসিক বলাটা ঠিক হলো না, বরং স্বরসিক বললে ভাল হয়। কারণ আর কিছু নয়, কিছুক্ষন পর পর জামাকাপুড় ভিজে এমন অবস্থা হয়যে মনে হবে রসে টইটম্বুর রসগোল্লা। ‘‘গরমে প্রাণ অষ্ঠাগত” কথাটা বলে গরমের ইমেজ কোথায় নামিয়ে দেয় সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ হট কেক আর গরম চা গরমের ইমেজ কত উচ্চ করে রেখেছে। যাই হোক জায়গা বুঝে ইমেজ বারে আর কমে সে তো বাঝাই যায়। জায়গা না বুঝলে যে কেমন ঝামেলায় পড়তে হয় সে অভিজ্ঞতার কথা বলছি। বর কে বুদ্ধি দেওয়া হইল-গরমে শেরয়ানী ও পাগড়ী না পরে সাধারন পায়জামা পাঞ্জাবী পড়ে যাওয়ার জন্য এক জন বুঝিয়ে বলে, ‘গরম কালতো সেই জন্য তোমাকে বলছিলাম’।

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘুর্নিঝড়ের পরের দিন তখনো কলনিতে হাঁটু পরিমান পানি ছিল


১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘুর্নিঝড়ের পরের দিন তখনো কলনিতে হাঁটু পরিমান পানি ছিল। লিটন থাকত F/2 এ। ঘুর্নিঝড়ে ওর কাপড় চোপড় একটুও ভিজে নাই। তাই পরের দিন কাপড়গুলো পোটলা বেঁধে মাথায় নিয়ে মানিকদের আসতে লাগলো। উদ্দেশ্য নিরাপদ আশ্রয়। কারন মানিকদের বাসা দোতলায়। পানির মধ্যে পুরা রাস্তায় কাপড়ের পোটলা মাথায় নিয়ে হেঁটে আসলো। D/5 এর কোনায় একটা স্ল্যাব ছিল সেটাও আন্দাজ করে পার হয়ে গেলো। এবার ও ভাবলো নিরাপদে চলে আসলো। স্ল্যাবের পরে একটি নারিকেল গাছ আড়াআড়ি ভাবে পড়ে ছিল পানির জন্য সেটা দেখা যাচ্ছে না। তখন দোতলার বরান্দায় মানিকরা সবাই দাঁড়ানো ছিলো। ওদের দেখে লিটন চিৎকার করে বললো "বেয়াক্কিন বাচায় ফেলায়"। অমনি ধপাস করে লিটন পড়ে গেলো। অর্থাৎ আড়াআড়ি ভাবে পড়ে থাকা নারিকেল গাছের সাথে পা লেগে লিটন পড়ে গেলো। লিটন নিজেও ভিজলো সাথে সারা রাস্তায় নিরাপদভাবে নিয়ে আসা শুকনো কাপড়ের পোটলাটাও পানিতে সব কাপড় ভিজে গেলো।

সম্ভবত ৯২ সালের দিকের ঘটনা, আমি, রফিক ভাই, মোটা বাবু ভাই


সম্ভবত ৯২ সালের দিকের ঘটনা, আমি, রফিক ভাই, মোটা বাবু ভাই সহ আরো কয়েকজন নাসিরাবাদ মহিলা কলেজের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছি। কলেজের সামনে দিয়ে বেশ কিছু ললনা হেটে যাচ্ছে, আচমকা রফিক ভাই একটি অপরিচিত মেয়েকে মোটা বাবু ভাইকে দেখিয়ে বলছে " আপু আপু দেখো দেখো আমার এই বন্ধুটি না খেতে খেতে শুকিয়ে যাচ্ছে", আর ওই মেয়ে একবার রফিক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে পরে বাবু ভাইয়ের দিকে তাকালো তারপর তো কিংকর্তব্যবিমূঢ়। 

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে টিকেট করতে গিয়েছি ( তখন পুরান স্টেশন) সেই আমি, রফিক ভাই আর মোটা বাবু ভাই। টিকেট কাটার পর তিনজনেরই ছোট বাথরুম পেয়েছে,দোতালায় গেলাম দেখি সব গুলো টয়লেট ই বুকড। ব্রিটিশ আমলের বিল্ডিং, টয়লেট গুলোতে ভেন্টিলেটর এর পরিবর্তে বিশাল জানালা, আর কেউ যদি জানালা খুলে টয়লেট করতে বসে তাহলে সব চিচিং ফাক। তো যাই হোক সব বাথরুম বন্ধ দেখে, রফিক ভাই রাগ করে এক জানালা বাইরে থেকে টেনে খুলে দেখে এক লোক বড় বাথরুম করছে, আর লোক টি ওই অবস্থায় পুরো দিশোহারা আর রফিক ভাই নির্বিকার ভাবে বলছে কি " কি ভাই পায়..... করেন, আচ্ছা করেন ভাই করেন"

অনেক অনেক দিন পর সকালটা বড় আপন মনে হচ্ছে


অনেক অনেক দিন পর সকালটা বড় আপন মনে হচ্ছে।নানাজানের মনটা আজ ফুরফুরে।রিনিঝিনি চুড়ির শব্দে, রজকিনি আজ সকালে, নানাজানকে এক কাপ চা খাইয়েছে। আহা, কি যে মধু ছিলো , সে চায়ের সাদ। নানাজান পন করে ফেলেছে, আজ বাজারের সব চেয়ে বড় মাছটা কিনবেই। বড় ছেলেটা কে পাঠাবো নাকি বাজারে? উঁহু ঠিক হবেনা, হারামির পুড়ানো অভ্যাস রয়ে গেছে কিনা, কে জানে!? নিজেই যাবো আজ বাজারে।মেঝ মামা আর নানাজান ছুটে চললো বাজারের দিকে, বড় মাছ আজ চাই।বাজার/ঘাটের ব্যাপারে মেঝ মামার কপালটা বরাবরই ভালো। বিশাল এক নদির পাঙ্গাস মাছ ভাগ্য জুটে গেলো। নানাজানের খুশি দেখে কে! খুশীতে এক প্যাকেট বেনসন কিনে ফেললো! আর মেঝ মামার টার্গেট মাছের মাথাটা তার চাই!

[চলবে]।

জীবনের প্রথম ভাগের অর্ধেক এর বেশী সময় কাটিয়েছি চ্ট্টগ্রামে

- Mosaddeque Ali

জীবনের প্রথম ভাগের অর্ধেক এর বেশী সময় কাটিয়েছি চ্ট্টগ্রামে। শুধু আলো হাওয়াই নয়, ভাষা-সংফস্কৃতির সাথেও তাই সখ্যতা হয়েছিল অবলীলায়। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার কিছু গানের আবেদন আমার মনে আজও অনুরনিত হয়।

লোক সাহিত্য গবেষকদের কাছে এগুলোর মুল্য অপরিসীম। সেফালী ঘোষ এর কন্ঠে গীত এসব গানে বিরহী নারীর আকুলতা বিধৃত হয়েছে।

১. সূর্য উডেরে ভাই লালমারী
রইস্যা বন্ধু ছারি যারগুই আ'রে
বুকত ছ্যাল মারি।

২. করনফুলিরে- সবাখখী রাখিলাম তোরে
অভাগিনীর দুখ'র খতা কইয়ো
যাইয়া বুন্দুরে --ওরে করনফুলিরে।

৩. ও পরানের তালতো ভাই
তাল খাইও যে মনত নাই
চিডি দিলাম ফত্র দিলাম
ন'আইলা কিয়েল্ল্যাই।!

৪. --------?
৫. --------?

এর উপর মন্তব্য বা আলোচোনা হতে পারে।, স্টিলারস! কি বলেন?

পুরানো সেই দিনের কথা

- Ahsanul Tarique

পুরানো সেই দিনের কথা
ভুলবি কিরে হায় ও সে
চোখের দেখা প্রানের কথা
সে কি ভুলা যায়।

আয় আরেক টি বার আয় রে সখা
প্রানের মাঝে আয়,
মোরা সুখের দুঃখের কথা কব
প্রান জুড়াবে তাই।

আয় দোস্তরা সব কে কোথায় আছিস। পাইন্না খেলার মাঠে আয়, পুকুর পাড়, খাল পাড়, ট্যাংকির তলার আড্ডায় আয়। এক সিগারেট পাচ জন মিলে ফাস্ট বুক সেকেন্ড বুক থার্ড বুক করে ভাগাভাগির মজলিসে আয়। বিকাল বেলার কলোনীর অলি গলিতে টাংকি মারার মিছিলে আয়। শীতের রাতে ব্যাডমিন্টন খেলার কোটে আয়। ডাব চুরি,আম চুরি আর রস চুরির অভিজানে আয়। থার্টি ফাস্ট নাইটে গুরুর গানের তালে তাল ছাড়া নাচে আয়। গরমের রাতে খালি গায়ে গলা ছেড়ে গানের আসরে আয়। আয় না রে সব আয় না আরেক টা বার আয়। আয় আয় আয়.........

"""মধুসুধনের বিয়ের আগের জীবন""" পার্ট=৩


আজকে বৃহস্পতিবার,কালকে মধুর পিতা মহাশয় এর বিয়ে।মধুর পিতার শশুর বাড়ি থেকে মধুর বাপের জন্য পাঞ্জাবি দেওয়া হলো।বিয়া হইবো কামাল বাজারের এক বিখ্যাত মসজিদে।তো মধু মল্লাইয়ারে জিগাইলো যে বিয়া পড়াইবো কেডা??? মল্লা তার স্বর্নের দাঁতত দুপাটি দেখাইয়া বলিলো মসজিদের ইমামা সাহেব বিয়ে টা পড়াইবো।তো যথারীতি মেনে বিয়া হয়ে গেল মধুর বাপের।গাড়ী তে কইরা বউ বাড়িত নিয়ে আসা হল।মধু তার বাপেরে ডাইকা কইলো "দেখ বাপজান,বিয়া তো আমি আপ্নারে করাই দিলাম,সিজনাল বউটার পাশাপাশি আমাদের ও দেখাশোনা কইরেন,আইচ্ছা আব্বা আমি এইবার আসি" এই বইল্ল্যা মধু চলে গেলয় পুকুরপাড়ে, পুকুরপাড়ে গিয়া দেখে রজকিনি বইসা আসে।মধু তো চরম ভাবে ক্ষেইপ্যা গেলো।সালার মেয়েটা থেকে কোনরকমে পিছু ছুডাইতে পাড়লেই মধু যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে।তো রজকিনি রে পাইয়া মধু তারে বান্দরের শলা ডলে দিলো।রজকিনি তো বেজায় ক্ষেপে গিয়ে মধুরে গালি দিয়া চইল্যা গেল।রজকিনি তো আর ছাড়বার পাত্রি নয়।সে ফন্দি আঁটতে লাগল প্রতিশোধ নেবার জন্য।ওইদিকে আবার রাত হয়ে গেল,মধুর বাপে ঘুমাইতে গেল,যাবার সময় মধুরে বলে গেল"মধুরে ঘরের দিকে খেয়াল রাখিস " মধু কোন উত্তর দিলো না।বেচারার মন টা মনে হয় খারাপ হয়ে গেল।সে রাতভর ঘুমালো না।সকালে সে যা একটু ঘুমিয়েছে,
(চলবে)

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss