Thursday, April 28, 2016

বেড়াতে যাবো


বেড়াতে যাবো। বউ বেটি সাথে নিয়ে বের হবো। কাজ কর্মের গুলি মারি! আপন মানুষ দের কাছে যাবো। এক কাপ চা হলেও তো খাওয়াবে! আর যায় করুক কাপড় তো খুলে দিবেনা! বেটি আমার মহাখুশি! বাবা,"কাটটি" দিবেনাতো? চুপচুপ করে একা যেওনা, প্লিজ বাবা! যাবোনা মা, প্রমিজ। বেটির মা ঘটনা বুঝার চেস্টা করছে! এই গরমে কই যাবে? মাথা ঠিক আছে তোমার? মাথা এখনো ঠিক আছে, বাকিটা নস্ট করোনা। সমস্যা কি তোমার? নো সমস্যা , বউ বেটি নিয়ে আপনজনদের সাথে চা খাবো। প্লিজ আম্মু, বাবাকে এত প্রস্ন করোনা! সমঝদার বেটি আমার! বাপের মতই হবে। রাতে ঘুমানোর সময় বললাম , বেরাতে যাবো শুনে তুমি খুশি হওনি? সারাফের বাবা ,আজ ৫দিন হয়ে গেছে , তুমি পাক ঘরের লাইটটা চেঞ্জ করনি! কিসের ভিতরে কি!? এখানে পাকঘরের লাইট আসে কোথাথেকে! আল্লাহ এইডা কি মেয়ে মানুষ নাকি মার্গারেট থেচার!?

কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না
শুকনো ধুলো যত,
কে জানিত আসবে তুমি গো
অনাহুতের মত।

কি কথা তাহার সাথে


আমাদের বিল্ডিং এর দোতলায় থাকতেন ইরফান ভাই।লেখাপড়ায় ভাল কিন্তু কেমন যেন রহস্যময়। উনার সব রহস্য যেন আমাকে দেখলে শুরু করেন।আশেপাশের সবাই উনাকে ভদ্র ছেলে বলেই জানেন।প্রতিদিন সকাল এ আমি যখন স্যারের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যাই, উনি তখন ভার্সিটি তে যাবার জন্য বের হয়ে যান।এমন ভাব করেন যেন আমার দিকে তাকাবার কিংবা কেমন আছি জিজ্ঞেস করবার সময় নাই উনার।

উনি বি বি এ র ছাত্র ছিলেন বলে আমি উনার কাছে একাউন্টিং পড়তে চেয়েছিলাম কিন্তু ব্যস্ততা র অজুহাতে আমাকে পড়ান নি।খুব কষ্ট হয়েছিল কিন্তু কাউকে বলিনি।

হঠাত একদিন শুনলাম উনার নাকি খুব অসুখ। দেখতে যেতে ইচ্ছা করছিল কিন্তু উনি যদি খারাপ ব্যবহার করেন কষ্ট পাব,তাই যাই নি। স্যানমারে একদিন আমার বান্ধবী সিমির সাথে ঘুরছি, দেখি ইরফান ভাই রিপোর্ট নিয়ে হাটছেন। সামনে আসতেই জিজ্ঞেস করলাম, কেমন আছেন ইরফান ভাই? আপনার নাকি অসুখ!

মৃত্যু পর্ব ২


ডঃ কাব্য খুবই চিন্তিত 😞 যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে সেটি মারাত্মকভাবে ক্ষতি করতে শুরু করেছে।নাহ,এইভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না।ডঃ কাব্য আবার তার ল্যাবে চলে গেলো।বেশ দীর্ঘক্ষণ ধরে তিনি ল্যাবে বসে বসে ভাবছেন,কিভাবে তৈরি করা যাবে এই ভাইরাসটির প্রতিষেধক,কিভাবে বাঁচানো যাবে মানুষ গুলো কে????
(চলবে)

মধুর বিয়ের আগের জীবন পর্বঃ ৬


রজকিনির জন্মদিনে গেলো মধু।মধুর হাতে বিশাল এক বাক্স।রজকিনি এগিয়ে এলো মধুর কাছে,এসেই বক্স নিয়ে দিলো দৌড়।মধু চলে এলো।রজকিনি তার এলোকেশী চুল গুলো সরিয়ে বক্স টি খুলতে গেল।প্রবল আগ্রহ নিয়ে রজকিনি বক্স টি খুলল।বক্স খুলেই রজকিনি তো বেহুশ।বাক্সের ভিতর ছিলো ক্যাটভেরি আর চিপস।রজকিনি কল্পনাও করতে পারে নি যে তার চির শত্রু তাকে এই ধরনের উপহার দিবে।অথচ রজকিনি মধুকে মধুর জন্মদিনে একগাদা জুতোর ফিতে উপহার দিয়েছিলো।সেই থেকে রজকিনি মধুর প্রেমে পড়তে লাগল।অপরদিকে মধুর বাবার সাথে কি একটা বিষয়ে মধুর ঝগড়া লাগল।মধুর ফুফি এইসব সহ্য করতে না পেরে মধু ও তার বোন কে তাদের বাসায় নিয়ে আসল .........
(চলবে)

গতকাল দুপুরে বাবার ফোন, নিডোকার্ড স্প্রে


গতকাল দুপুরে বাবার ফোন, নিডোকার্ড স্প্রে( বুকে জ্যাম লাগলে স্প্রে করতে হয় জিহবার নিচে) আগেরটা শেষ আরেকটা যেনো আমি অফিস ফেরাতে নিয়ে আসি।পুরো আগ্রাবাদে খুঁজে না পেয়ে শেষে বড়পুলে পেলাম।বাসায় যাওয়ার পর বাবা বলল দুপুর থেকে বুকে ব্যাথা, বুক জ্যাম হয়ে আছে।প্রথমে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ভেবেছিল।স্প্রে দুইবার দেওয়ার পরেও যখন বুকের জ্যাম চলমান,ফোন দিলাম বাল্যবন্ধু মুরাদ কে।মুরাদের পরামর্শেই কাছের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ইসিজি করলাম,মুরাদ আসলো,দেখলো ইসিজি রিপোর্ট (হার্ট রেট ১৯৮,নরমাল থাকে সাধারনত ৬০-৯০)।সেখানে বমি করলো এক দফা।মুরাদের পরামর্শে দ্রুত চিটাগাং মেডিকেলে গেলাম ইমার্জেন্সীতে,এক পিয়ন সপ্রনোদিত হয়ে কুপন নিয়ে ইমার্জেন্সী ডাঃ এর কাছে ইসিজি রিপোর্ট নিয়ে গেলো, ডাঃ দ্রুত ভর্তি হতে বলল।সেই পিয়ন স্ট্রেচারে করে সিসিইউ তে নিয়ে গিয়ে সেখানে আরেক দফা ইসিজি করা হলো,তারপর সব রিপোর্ট নিয়ে ডিউটি ডাঃ এর কাছে নিয়ে গেলো,সেই পিয়ন ঔষদের লিষ্ট নিয়ে আমাকে দিয়ে বলল ১০০ টাকা দেন আর এই ঔষধ গুলো নিয়ে আসেন।প্রথমে ভাবলাম ১০০টাকা কোন কাজে হয়তো কিন্তু পরক্ষনে তার বিদায়ে বুঝে নিলাম তার সপ্রনোদিত কাজের টিপস।মনে মনে ভালোই লাগলো,কারন আমার জীবনে সরকারী মেডিকেলে এই প্রথম ইমার্জেন্সি রোগীকে ভর্তি করানোর অভিজ্ঞতা।আর এই ব্যাপারটা শেয়ার করার উদ্দেশ্যে একটাই যারা আমার মত এই প্রথম তাদের জন্য কিছু জানানো।আসলে চিন্তা করে দেখুন আমাদের বাবা চাচারা বড় অসুখের চিকিৎসা মানেই বুঝত এই চিটাগাং মেডিকেল।

সম্ভবত ১৯৮৫


সম্ভবত ১৯৮৫। এশিয়াকাপ হকি হচ্ছে ঢাকায়। সেই ধাক্কাটা চইকা কলনীতে না লেগে পারে? C-টাইপ মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট উধাও। সবার হাতে হকি স্টিক। বড়রা C-টাইপ বড় মাঠে আর আমরা C-10 বা C-11 এর সামনে। এক এক জনের স্টিক বাননোর কৌশলগুলার কথা মনে পড়লে......। একটা মাত্র অরিজিনাল স্টিক ছিল ইকবাল ভাই এর কাছে। বাবু ভাই, স্বপন ভাই ওটা দিয়ে খেলতেন।

সবাই স্টিক নিয়ে ঘুরে, আমরা কি বসে থাকব?

দুলি, আমি, ভুতের ডিম বাবু প্লানিং এ বসলাম। সিদ্ধান্ত হল জেক্সের পাশে যে কাঠের সপ ছিল ওটাতে অপারেশন চালাব। ওখান থেকে আগেও ক্রিকেটের স্ট্যাম্প বানানোর জন্য কাঠ চুরি করছি। তবে সেগুলা B-টাইপের ভিতর দিয়ে ঢুকে জানালা খুলে। বন্ধ জানালার ছিটকারি খুলার অভিনব কায়দা দুলির ভালই জানা ছিল। কাজ শেষে আবার তা লাগিয়েও দিতে পারত। কিন্তু এবার অপারেশন করব নানার সামনে দিয়ে। (নানার কথা মনে আছে?)। প্লান হল, দুই জন নানার সাথে কথা বলে মনযোগ অন্য দিকে নিয়ে যাবে আর বাকিরা কাজ সারবে। যেই চিন্তা সেই কাজ। কাজ শেষে নানার হইচই আর পেছন থেকে এরই এরই....। ঐ অপারেশনে আমরা তিনজন ছাড়াও আরো কয়েকজন ছিল। নামগুলা মনে করতে পারবনা। বয়স হইছে না?

একবার চিটাগাং ইউনিভার্সিটির ট্রেনে করে ভার্সিটি যাচ্ছিলাম আমরা কয়েক জন


একবার চিটাগাং ইউনিভার্সিটির ট্রেনে করে ভার্সিটি যাচ্ছিলাম আমরা কয়েক জন।।তো আমরা যে বগিতে ছিলাম ওখানে কিছু ছাএ এবং ছাত্রী ছিল।।সেই সাথে একজন বয়স্ক লোকও ছিল তাঁদের পাশে।।একদম রবি বাবুর মতো গোফ-দাঁড়ি ওয়ালা।।তো হঠাৎ তাঁদের মধ্যে একজন প্রশ্ন করলো:-দাদু কেমন আছেন??উওরে বললো ভাল আছি এবং বললো পাঁজির দল আর একটাও প্রশ্ন করবে না বলেই আমাদের পাশে দাঁড়ালো।।আমরা তো অবাক।।ভাবছিলাম কি ব্যাপার ওনাকে কুশল বিনিময় করলো আর ওনি এমন আচরণ করলো কেন!!??তখন আর একজন জিজ্ঞাসা করলো দাদু ভাত খাইছেন??উওরে বললো খেয়েছি।।আর একজন বললো কোন দিক দিয়ে খেয়েছেন??ওনি বিরক্ত হয়ে বললেন এবং দেখালেন ((পায়ু রাস্তা))দিয়ে খাইছি।।আর একজন বললো তো আলু ভর্তা কোন দিক দিয়ে খান??
ভদ্র লোক রেগে গিয়ে বলতে থাকলেন এই বদ্-হারামি গুলারে কে ভার্সিটিতে জায়গা দিছে!!!বলে চিৎকার চেচামেচি করে অন্য পাশে চলে গেল।।

আর আমরাও তখন বুঝতে পারলাম কুশল বিনিময়ে ওনি কেন এমন আচরণ করেছিল।।

রাত গভীর


রাত গভীর। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে সাব্বির, কিন্তু ঘুম বাবাজির কোন খবর নাই। আসবে কিভাবে ঘুম? তার মত এ অবস্থায় পড়লে হিটলারের মত পাবলিকই কাঁত হয়ে যাওয়ার কথা। আর সাব্বির তো সে তুলনায় এরশাদ কাকু টাইপ নীরিহ রোমান্টিক মানুষ। যার হৃদয় মন প্রেম টার্গেট প্রাকটিসের জন্য নির্ধারিত। এ জ্ঞান টুকু হওয়ার পর থেকে সে প্রেমে পড়ছে আর ছ্যাকা খাচ্ছে। শৈশব কালে যে সব ছ্যাঁকা খেয়েছে তার সবই মনে মনে। যেমন লাইফের পয়লা ছ্যাকা খেয়েছে ইন্ডিয়ান এক নায়িকার প্রেমে পড়ে। ইউনিভার্সিটি লেভেলে যে ছ্যাকা খেয়েছে সেটা একেবারে উঁচুমানের ছ্যাঁকা, তিন বছর মিরার সাথে একেবারে খুল্লাম খুল্লাম প্রেম করার পর দেখল মিরা বিবির নজর সাত আসমানের চেয়ে উঁচুতে।। সে সাব্বিরের মত মিডল ক্লাস ফ্যামিলির ছেলের সাথে তিন বছর চুটাইয়া প্রেম করলেও বিয়ের ব্যাপারে ”কাভি নেহি কাভি নেহি” সিচুয়েশন। সেই বোল্ড আউটের পর থেকে সাব্বির আর ওই পথে যায়নি। 

ভেজাল লাগলো চাকুরীতে আসার পর। সাব্বির এখনো কনফিউজড এটা কি রান আউট না নাকি ওভার শেষ।মানে ছ্যাক খেয়েছে নাকি খায়নি, এ চিন্তায় তার রাতের ঘুম হারাম ।ঘটনার শুরুটা হচ্ছে মাস ছয়েক আগের, তখন সাব্বিরের চাকরীর বয়স প্রায় তিন বছর।ততদিনে চাকরীর প্রতি তার পুরা অরুচি চলে এসেছে, এ কয়েক দিনে সাব্বির বুঝে গেছে চাকরী হচ্ছে শিক্ষিত দাস। এই যখন সাব্বিরের মরুভুমি অবস্থা ঠিক তখনই তাদের অফিসে রুনি নামে ”চোখ ফেরানো যায়না” টাইপ এক মেয়ে ইন্টার্নি করতে এলো। সাব্বিরের মনেতো এরশাদ কাকু উঁকি দিচ্ছে। মনটা যেন কেমন কেমন করে উঠলো। এমন মেয়ের সঙ্গী হতে না পাড়লে তো মনে হচ্ছে জীবন বৃথা।রুনি ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন মেয়ে , তার চার পাশে ব্যাক্তিত্বের এক অদৃশ্য বাউন্ডারী তুলে রেখেছে। সাব্বিরের এরশাদীয় হৃদয়ও সেখানে যেতে পারছেনা।

আজ আমি মোমিন চাচাকে নিয়ে লিখবো


আজ আমি মোমিন চাচাকে নিয়ে লিখবো। জানি না কলোনিতে থাকতে আমাদের সময়কার কয়জন উনাকে চিনত কিন্তু উনার অসাধারন ব্যক্তিত্ব আর হাসিখুশি মন মানসিকতার কারনে খুব অল্প সময়ে অগনিত স্টিলারের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছিলেন, অফিসারস ক্লাব নিয়ে উনার কিছু পদক্ষেপ আসলেই প্রশংসনীয় ছিল।

যাক গে সে কথা, আমি বলবো শুধু আমার কথা। 

একবার ক্লাবের এক প্রোগ্রামে আমাকে তবলা বাজাতে বলেছিলেন চাচা, সময়টা ছিল প্রায় এখনকার মতো প্রচন্ড গরম। প্রোগ্রাম শেষে ছিল খাওয়া দাওয়ার অস্থির আয়োজন। একদিকে গরম অন্যদিকে পোগ্রামের ক্লান্তি, তার উপর TV তে কি যেন একটা জনপ্রিয় সিরিয়াল চলছিল, তাই প্রোগ্রাম শেষে না খেয়ে, আমি কাউকে কিচ্ছু না বলে সোজা বাসায় চলে এলাম। আমার বিল্ডিয়েই ছিল উনার এক কলিগের বাসা, এই গরমে মোমিন চাচা নিজে না খেয়ে ওই কলিগকে সাথে নিয়ে হেঁটে হেঁটে বিরানির প্যাকেট নিয়ে আমার বাসায় হাজির, ঘেমে পুরা লাল হয়ে গেছে। আমারে বললো ,”বাপ আমার ভুল হইছে, প্রোগ্রামের শেষে আমি তোর সাথে, কোনো কথাই বলতে পারিনাই, যেহেতু অনেক গুলা দায়িত্ব নিয়ে আমি হিমশিম খাচ্ছিলাম, তুই কিছু মনে করিস না”, লগে কড়করা একটা পাঁচশ টাকার নোট হাতে গুজে দিল। আমি পূরা বেকুব, কিরে এইডা কি হইলো? আমার বাপ মা তো আমার উপর চরম ফায়ার, অসম্ভব রাগারাগি করছে, কিন্তু আমিতো ঘোরের মধ্যে ছিলাম, চাচা এটা কি করলো, এতটা সন্মান, তাও আবার আমার মতো মগারে!!!!!!!!!!!!

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss