Tuesday, October 6, 2015

মারবেল খেলা .....



ছোট ছোট গোলাকার মারবেলের তৈরী বল দিয়ে খেলা হয়। মারবেল খেলা কয়েক ধরনের হয়। আন্টিস, চম্পা, বাত এদের মধ্যে অন্যতম।

মারবেলও বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন বর্ণের হয়। ভিতরে রঙ্গিন কাজ বিশিষ্ট মারবেল গুলোর নাম ছিল "পাঙ্কিল"।

আন্টিস- মুলত আঙ্গুল দিয়ে খেলতে হয়। (তাই হয়ত এই নাম)। ছোট একটা গর্তকে কেন্দ্র করে খেলাটা চলে। গর্তটার নাম "কেপ"। একটা নির্দিষ্ট দুরত্ব থেকে সব খেলোয়াড় কেপের দিকে তাদের "ডাগ্গি" ( সব চেয়ে গোলাকার, সুন্দর মারবেল, যেটা দিয়ে মুলত খেলা হয়, বাকি গুলা exchange এর জন্য) নিক্ষেপ করে। যারটা কেপের সবচেয়ে কাছে সে প্রথম মারার সুযোগ পাবে। এরপরের জন দ্বীতিয়, তারপরের জন তৃতীয় এভাবে..। বুড়া আঙ্গুলটা মাটিতে রেখে মধ্যমা দিয়ে কেপ করে অন্যের মারবেল ঠুকতে হয়। যার মারবেল ঠুকা হবে সে একটা মারবেল যে ঠুকবে তাকে দিয়ে দিবে। এভাবে চলতে থাকবে যতক্ষন একজন বাদে অন্যরা ফুতুর হয়ে যাবে। অনেক সময় সমঝতার মাধ্যমে যে কোন সময় খেলা শেষ করা যায়।

" আমাদের স্যার "

- Mahabub Rasel

অভিনাশ বাবু স্যারে ক্লাস করাটা ছিলো বিশাল ঝামেলার ব্যাপার, স্যার বোর্ডে অংক বুঝানোর পর জনে জনে জিজ্ঞেস করতেন, " ওই তুই খাড়া, বুঝছত? "

আমরা যদি বলতাম বুঝছি স্যার তখন স্যার বলতেন, " কি বুঝছত ? বোর্ডের কাছে আইয়া আমারে বুঝা !!!" তখন বুঝাতে না পারলে চলতো স্যারের ড্যান্সিং মাইর !!!

আজ স্কুলের কথা মনে পডল


আজ স্কুলের কথা মনে পডল বিশেষ করে আমাদের প্রধান শিক্ষক আহাম্মদ কবির স্যার এর কথা.......
দিন আবাহনী মোহামেডান এর খেলা হবে .৩০টা থেকে আমরা হাফ ছুটির দরখাস্ত করলাম কিন্তু স্যার ছুটি মঞ্জুর করেন নি পরে সকলে সিদ্ধন্ত নিল কেউ টিফিন এর পর আসব না যেই কথা সেই কাজ
পরের দিন সবাই এল পরিবেশ খুব থমতমে 

ডাব



বছর দুযেক আগে আমার ডেংগু জ্বর হয়েছিলো, প্রচুর ডাব খাওয়া লাগতো, একেকটি ডাব ৭০/৮০ টাকা করে কিনা হতো। টাকা পয়সা নানা ভাবে খরচ করি, কিন্ত ৭০/ ৮০ টাকা দিয়ে ডাব কিনে খাওয়া আমার কাছে ঐ ডেংগু জ্বরের চেয়েও কষ্টকর ব্যাপার ছিলো।

৭০ -৮০ টাকা বাদই দিলাম, ডাব কিনে খাওয়া টাই আমার কাছে খুবই বেদনাদায়ক ব্যাপার ছিলো। কলোনীতে সবারই গড়ে ৭/৮ টা করে নারিকেল গাছ ছিলো, ডাব কিনে খাওয়া দূরের কথা ,কল্পনাও করা যেতোনা। আর ডাব চুরির এডভেঞ্চার তো ছিলোই। যা খেতাম তার চেয়ে বেশী নষ্ট করতাম। একবার মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে পা কেটে যায় ঠিক ঐ সময় মাঠের পাশে বাবু (পেতি বাবু) দের গাছ থেকে ডাব পারা হচ্ছিলো, ওখান থেকে একটি ডাব নিয়ে ওইটার পানি দিয়ে পায়ের কাটা জায়গা ধুয়ে ছিলাম। আর যখন তখন ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া তো ছিলোই। আর শলার ঝাড়ুতো কারো কিনাই লাগতো না, গাছের পাতা থেকেই সেটা বানানো হতো। বাইরের কেউ এ ঘটনা গুলো শুনলে এখন রুপকথা মনে করবে।

আমাদের এই অপব্যবহার মনে হয় আল্লাহর সহ্য হয়নি, তাই বোধ হয় এখন ডাব কিনে খাওয়ার মত পরিস্থিতি হয়েছে।

আজ Aslamuddin Mamun এর একটি পোষ্ট পড়ে ডাবের এই কষ্টকর কথা মনে পড়ল।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss