বছর দুযেক আগে আমার ডেংগু জ্বর হয়েছিলো, প্রচুর ডাব খাওয়া লাগতো, একেকটি ডাব ৭০/৮০ টাকা করে কিনা হতো। টাকা পয়সা নানা ভাবে খরচ করি, কিন্ত ৭০/ ৮০ টাকা দিয়ে ডাব কিনে খাওয়া আমার কাছে ঐ ডেংগু জ্বরের চেয়েও কষ্টকর ব্যাপার ছিলো।
৭০ -৮০ টাকা বাদই দিলাম, ডাব কিনে খাওয়া টাই আমার কাছে খুবই বেদনাদায়ক ব্যাপার ছিলো। কলোনীতে সবারই গড়ে ৭/৮ টা করে নারিকেল গাছ ছিলো, ডাব কিনে খাওয়া দূরের কথা ,কল্পনাও করা যেতোনা। আর ডাব চুরির এডভেঞ্চার তো ছিলোই। যা খেতাম তার চেয়ে বেশী নষ্ট করতাম। একবার মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে পা কেটে যায় ঠিক ঐ সময় মাঠের পাশে বাবু (পেতি বাবু) দের গাছ থেকে ডাব পারা হচ্ছিলো, ওখান থেকে একটি ডাব নিয়ে ওইটার পানি দিয়ে পায়ের কাটা জায়গা ধুয়ে ছিলাম। আর যখন তখন ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া তো ছিলোই। আর শলার ঝাড়ুতো কারো কিনাই লাগতো না, গাছের পাতা থেকেই সেটা বানানো হতো। বাইরের কেউ এ ঘটনা গুলো শুনলে এখন রুপকথা মনে করবে।
আমাদের এই অপব্যবহার মনে হয় আল্লাহর সহ্য হয়নি, তাই বোধ হয় এখন ডাব কিনে খাওয়ার মত পরিস্থিতি হয়েছে।
আজ Aslamuddin Mamun এর একটি পোষ্ট পড়ে ডাবের এই কষ্টকর কথা মনে পড়ল।
No comments:
Post a Comment