Sunday, June 26, 2016

24/06/2016 ইং তারিখে ইফতার পার্টি নিয়ে


24/06/2016 ইং তারিখে ইফতার পার্টি নিয়ে-শ্রদ্ধেয় মোছাদ্দেক ভাই, আতিক, নাজমুল, জসিম, শিরিন ভাবী, টিটু শিকদার ও আরও অনেকে অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চাঁদপুরে-ধনী, গরীব ছোট-বড় সবাই এক কাতারে মিলে যে বিনা সুতার মালা তৈরী হয়েছিল-তা কি? নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলে-শুধু একটাই উত্তর আসে আর তা ‘‘হলো-মায়া”/‘‘মায়ার-বন্ধন”।

পৃথিবীকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়-ধরনী তুমি কিসের টানে বেঁচে আছ? সে হয়তো বলবে, কেন, তোমরা জাননা বুঝি- আমি মহা শূন্যের মায়ার টানে বেঁচে আছি। আমরা মায়ের গর্ভে যে ভাবে 10 মাস 10 দিনে তিলে তিলে বেড়ে উঠি-ঠিক তেমনি আমাদেরও িএকটি সবুজ বেষ্টনি ঘেরা গর্ভধানীছিল-তার নাম সিএসএম কলোনী। যার রূপ রস গন্ধ আলো বাতাস খেয়ে আমি-আমরা বড় হয়েছি প্রায় দীর্ঘ 35 বছরেরও বেশী। যা আমাদের কাছে-মহামান্নিত অতীত আর গৌরব উজ্জ্বল ঐতিহ্যের ভাস্কর-এখানকার কৃতি সন্তানেরা প্রমিথিউসের মতো আলো জ্বেলেছেন ঘরে ঘরে এবং নন্দীত হয়েছেন বিশ্বের অনেক জায়গায়। এই সিএসম এম কলোনী টা-আমার ছিল-আমাদের ছিল, তাই এর কোন ষ্টিলারের সমস্যা মানে আমার সমস্যা-আমাদের সমস্যা। তদ্রুপ কোন ষ্টিলারের সুখ মানে আমার সুখ-আমাদের সুখ। কাল ইফতার পার্টিতে কয়েক জনের সাথে আলাপ করে আমার মনে হলো-পৃথিবীতে একেকজনের ইচ্ছা একেক রকম। আমার ইচ্ছার সাথে আরেকজনের ইচ্ছার মিল নাও থাকতে পারে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরে যারা এসে ছিল-তারা প্রায় সবাই স্ব স্ব জায়গজায় সু প্রতিষ্ঠিত। তাই যে কোন কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে-দশ জনের দশ মতামত কে সবাই মিলে পর্যালোচনা করে-যে কোন সুন্দর সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। হঠাৎ করে দুই একজন মিলে তাদের মতামতকে সবার উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। কারণ সিএসএম পেইজ কে আমারা যন্ত্রণার জায়গা বানাইতে চাই না। তাই সকল ষ্টিলারকে তিল তিল করে অন্য ষ্টিলারদের কল্যাণ সাধনে দ্রুত মনকে প্রস্তত করতে হবে, তা হলে একদিন দেখা যাবে আমরা যে কোন ষ্টিলারের সংকট ময় মুহুর্তে হয়তো সবচেয়ে বেশী কল্যাণ সাধনে সফল হবো।

ইফতার পার্টির আয়োজনের প্রথম পোস্টটি দেখার পর ভাবলাম যাওয়া হবে না


ইফতার পার্টির আয়োজনের প্রথম পোস্টটি দেখার পর ভাবলাম যাওয়া হবে না।তাই ততটা গুরুত্ব দিয়ে পড়তাম না।এই ধরনের সম্মিলিত অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবনতা আমার মাঝে আছে তবে এখন কিছুটা বেরিয়ে এসেছি সেই মানসিকতা থেকে।পরে একটি পোস্টে দেখি তানিয়া আমাকে খুঁজছে।এখনতো সারা দিতে হয়! কি করা! পেইজ থেকে নিজেকে দূরে রাখলাম।কিন্তু কতক্ষন! একবার যখন জরিয়ে গেছি উপায় নেই।পেইজে যেয়ে দেখি তানিয়া আবার message দিয়েছে, আসছি কিনা?এখনতো আর এড়িয়ে যাওয়া যায় না! ছেলের বাবাকে বললাম, যাবে ইফতার পার্টিতে?বলল,বোর্ডের খাতা অনেক দেখা বাকী,যাওয়া হবে না বলে দাও।এই বলে সে তো চলে গেল কলেজে।ভাবলাম একবার না বললে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তানিয়াকে message দিলাম,এখনো বলতে পারি না,পরে জানাবো।দুপুরের আগে আবার তানিয়ার message যেভাবে হোক রাজি করিয়ে আসেন।এবার মন টানলো। কি করা যায়?ভাবতে ভাবতেই দুপরে ছেলের বাবার ফোন এল,আজ কলেজে ইফতার আছে, দেরি হবে।ভাবলাম, এই সুযোগ, এখন বললে ঝামেলা থাকলেও রাজি হবে।কারন আমরা কলেজ পার্টিতে নাই।অবশেষে তাই হলো। পরে message পাঠিয়ে দিলাম, যাব।কিন্তু ইফতার পার্টির দিন নিজস্ব কাজের জন্য যেতে দেরি হল।যখন পৌছলাম, দেখি, হল ভর্তি,সে এক অপরূপ দৃশ্য! আমাদের আসনও নির্দিষ্ট ছিল। যেন ট্রেনের সিটের মত। আগে উপস্হিত না হওয়ায় আফসোস কিছুটা আছে। তারপরও যেটুকু ছিলাম খুবই ভালো লাগলো। ইফতারের পর কিছুক্ষণ গল্প করলাম অনেকের সাথে,কফি খেলাম। সেই ছোট বেলায় দেখেছি কয়েক জনকে।এখন দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে। সিনেমায় যেমন দৌড়াতে দৌড়াতে বড় হয়।অদ্ভূত রকমের ভাললাগা অনুভূতি! না গেলে মিস করতাল।এরকম মুগ্ধকর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ও অন্যদের অসখ্য ধন্যবাদ।

সি,এস,এম কলোনির যে কোন আয়োজন অনেক ভাল লাগে


সি,এস,এম কলোনির যে কোন আয়োজন অনেক ভাল লাগে।যে কোন ছোট আয়োজন বড় হয়ে যায় সকলের আন্তরিকতায় আর ভাল বাসায়। এ যেন নাড়ির টানে ছুটে যায় মন,যখনি শুনি সি,এস,এম আমাদের সপ্নের সি,এস এম। যাক ইফতার পার্টি তো ভাল করে হল।এবার আমরা কি পারি না সে আগের মত আমাদের ইদুল ফিতরের নামায টা সি,এস,এম কলোনির মাঠে এক সাথে আদায় করতে। বড় ভাইদের দৃস্টি আকর্ষণ করছি।

একটি পোষ্ট এবং পাপ্পু ভাই


গত কয়েকদিন আগে আমাদের আমেরিকা প্রবাসী স্টীলার একরাম ভাই একটা পোষ্ট দিয়েছিল।পোষ্টের বিষয়বস্তু ছিল দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা আমাদের পাপ্পু ভাইয়ের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আহবান।

৬৫০+ সদস্যবিশিষ্ট পেইজে উক্ত পোষ্টে লাইক কমেন্টস ছিল খুবই নগণ্য।এ রকম একটা মানবিক আবদনে উনি আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় উনার মর্মাহত হওয়ার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ ছিল।কিন্তুু নিরু মামা উক্ত পোষ্টের কমেন্টসে অত্যান্ত সুচারুভাবে ব্যাপারটি তুলে ধরেন।আমি কিংবা আমরা যতটুকু জানি পাপ্পু ভাই আর্থিক কোন সহায়োগিতা চাননি।

সি এস এম ইতিমধ্যে অনেক স্টীলারের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে।তারেক ভাই,শামীম,শামশু নানার পুত্রবধু এবং সম্ভবত আরো কয়েকজন।ইতিমধ্যে চন্দন চাচীর জন্য ফান্ড সংগ্রহের কথাবার্তা হচ্ছে।তাহলে পাপ্পু ভাইয়ের জন্য সি এস এম কিছু করতে পারবে না বা করবে না,এটা নিতান্তই ভূল ধারণা বলে আমার মনে হয়।আমাদের পেইজে ৬৫০+ সদস্য।আমরা অনেক কিছুই করতে পারি।বিগত একবছরের কর্মকান্ডই তার প্রমাণ।আমাদের মধ্যে অার্থিকভাবে স্বচ্ছল অনেক স্টীলার ভাইবোনেরা আছেন।আমরা সবাই মিলে পাপ্পু ভাইয়ের জন্য কি কিছু একটা করতে পারি না???
এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন উনার ব্যাচ ম্যাটরা।যেমনটা আমরা দেখেছি তারেক ভাইয়ের ব্যাপারে ৯৪ ব্যাচের ভূমিকা।কিংবা প্রবাসে ও (আমেরিকা) আমাদের অনেক স্টীলার আছেন,একরাম ভাই ও চাইলে একটা ফান্ড পাপ্পু ভাই সহ অন্যদের জন্য করতে পারেন।আসলে আমাদের সকলের সম্মিলিত চেষ্টাই সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারেন আমাদের প্রিয় তারেক ভাই,পাপ্পু ভাই কিংবা চন্দন চাচী। আশা করি আমাদের শ্রদ্ধেয় বড় ভাইয়েরা (যারা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন) বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

(বিঃদ্রঃআশা করি এই পোষ্টটি পেইজে কোন বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।এবং যদি এডমিন মনে করেন পোষ্টটি অপ্রসাংগিক/অপ্রয়োজনীয়, তবে এডমিন উনার ক্ষমতাবলে পোষ্টটি ডিলেট করার ক্ষমতা রাখেন।এবং এ ব্যাপারে আমার কোন আপত্তি থাকবে না)