Wednesday, April 6, 2016

মোহাম্মদ কমর উদ্দিন


কমু

সম্পর্কে আমার মেঝমামা হন।বর্তমানে উনার fb id সাময়িকের জন্য প্যারালাইজড।উনি সবাইকে দেখতে ও অনুভব করতে পারতেসেন কিন্তু কাওকে সাড়া দিতে পারতেসেন না।ইদানিংকালে উনার মাথা দিয়ে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটিতেছে।উনার মাথার উত্তপ্ত লাভা যাতে csm পেজে ছরিয়ে না পড়তে পারে তাই উনি উনার fb id কে সাময়িক প্যারালাইজড করে দিয়েছেন।উনার উদ্দেশ্যে বলি "মামা csm এন্টার্কটিকা মহাদেশে অবস্থিত। so লাভা নিয়ে tension করতে হবে না" 
উনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তাই উনাকে ধরিয়ে দিন।।।।।
উনাকে ধরিয়ে দিতে পারলে 1mb ও ফ্রি তে বিনোদন দেওয়া হবে।

আনোয়ারুল হক (আনালক ভাই)


আমাদের সিএসএম ইন্জিনিয়ার ভাই।
কলোনীতে ছোট কালে ছিল খুবই দূরর্ন্ত।
তবে কলোনী থেকে অনেক আগেই চলে যায়।হালিশহর এখন নিজ বাড়ী।মাঝে মাঝে কলোনীর স্মৃতি নিয়ে সুন্দর সুন্দর পোস্ট করে।
আড্ডা তে -আড্ডার আগে আমার ও জসিম ভাই এর সাথে ভেন্যুতে যায়।যেদিন আমরা প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সাথে কথা বলে সব ফাইনাল করি।
সেখান থেকে এসে একটি ম্যাপ পোস্ট করে পেজে সকলের চিনতে সুবিধার্থে।
সে আমাদের জাফর ভাই এর ছোট ভাই।
ভাই কে ডাকলে কাজ না থাকলে আসার চেষ্টা করে।সবাই ভাইটির জন্য দোয়া করবেন যেন আরো সফলতা অজর্ন করতে পারে।
পরিশেষ এ ভাই সব সময় বিপদেআপদে পাশেপাশে থাকবেন কারন সিএসএম কলোনীর এখানে সব আমরা আমরাইতো।

আকাশ ছোয়া স্বপ্ন


ভাইদের মধ্যে সে সবার ছোট।বাসার সবার আদরের।মা দেখলেন,গানের প্রতি ছেলের আগ্রহ। কলোনি র আর দশ টা ছেলের মত শুধু খেলা আর পড়ালেখা নিয়ে পড়ে থাকতে চায় না সে। তাই তাকে গান শিখতে দিলেন।স্কুলের, কলোনি র যেকোন অনুষ্ঠানে গান গাইত সে।গানে মুগ্ধ হত শ্রোতারা। বয়স কম, কন্ঠ তার যথেষ্ট ম্যাচিউরড, ম্যানলি। গান, নাচ এগুলো মেয়েদের বিষয়, মেয়েরা শিখে এগুলো আর ছেলেরা করবে খেলাধুলা,দস্যিপনা।কিন্তু ছেলেটা সে সব প্রথাগত ধারনা ভেঙে দিয়েছিল।

একবার এক অনুষ্ঠানে একটা গান গেয়েছিল," বাংলাদেশের মানচিত্র, রবীন্দ্র নজরুল"।মুগ্ধ হয়ে শুনেছিলাম। এতটুকু জড়তা নেই।গান গাইতে যথেষ্ট স্বতঃস্ফূর্ত। কলোনি তে মোটামুটি স্টার হয়ে গিয়েছিল। তবুও তার ছিটেফোঁটা তার স্বভাবে দেখা যায়নি। ওর সাথে আমার কথা হয়েছিল দুই কি তিন বার।কথাতেই বুঝেছিলাম দারুন অমায়িক।মানুষকে সম্মান করতে জানত,হোক সে ছোট বা বড়। তারপর অনেকদিন দেখা নেই তার।

আমার বাবা


আমার বাবা আামাদের পরিবারে প্রধান এাণ কর্তা। আমার বাবা ছিলেন একজন কমঠ ।তিনি তার শক্ত দুইটি হাত দিয়ে আমাদের বিশাল পরিবার টা কে সামলেছেন। তিনি কখনও আমাদের কে কোন কিছুর অভাব বুঝতে দেয়নি।তিনি তার সাধ্য মত আমাদের সব ভাই ও বোনদের আবদার মিটিয়েছেন।তিনি সবার সাথে মজা করেন। তিনি সহজে সবাই কে আপন করে নেন। খুব ভাল মনের মানুষ আমার বাবা। কখনও বাবার সামনে বলতে পারিনি বাবা আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। বাবা তুমি ভাল থেকো,সুস্থ থেকো। আমাদের জন্য দোয়া কর। আমরা যেন মানুষের মত মানুষ হতে পারি ও তোমার মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।

আপুর বন্ধুরা


সেলিনা আকতার ( সেলি) আমার বড় বোন। আমাদের পরিবারে অন্যতম প্রান। তিনি ছিলেন খুবই মেধাবী ও সাহসী। তিনি নিজেকে গুছিয়ে রাখতেন। তিনি কখনও কারও সাথে রাগ বা অভিমান করতেন না।আপা খুব প্রাণবুন্ত ছিলেন। আপা তার বনধু মহলে খুব জনপ্রিয় ছিল। তার প্রিয় বনধুদের তালিকা ছিলেন Atiq Csm, বদরুল ভাই, Md Maksudur Rahman Rana ভাই, রুবা ভাবি, ফারহানা আলি,লাবনি আপা, মিলি আপা।এরা আপার প্রিয় বনধু ছিল।আপার বনধুদের মাঝে একজন আবার আমার বড় ভাইয়ের বউ। তিনি হলেন আমাদের প্রিয় রুবা ভাবী। আজ আপার সব বনধু রা আছেন কিনতু আপা নাই। আপা তুমি যেখানে থাক ভাল থেকো। তোমার বনধু রা সবাই ভাল আছে।

কলোনি নিয়ে এ লেখাটি


কলোনি নিয়ে এ লেখাটি, ২০১৪ সালের আগস্টে আমার টাইম লাইনে পোস্ট করেছিলাম, বন্যাপার আজকের পোস্ট টি দেখে এটির কথা মনে পড়ল।

আমার প্রায় সময় মনে হয়, কলোনী ছেড়ে আসার পরবর্তী এ জীবন টা একটা স্বপ্ন চলছে। ঠিক যেন আমি আমাদের সি টাইপের তিন তলার বাসায় ড্রয়িং রুমে দুপুরে ঘুমিয়ে আছি, স্বপ্নে আমার বর্তমান জীবনটাকেই দেখছি, হঠাৎ ডোরবেলের শব্দে ঘুম ভাংল,স্বপ্নও ভেংগে গেল, দরজা খুলে দেখি কলোনীর বন্ধুরা আমাকে মাঠে খেলতে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসেছে আর সব আগের মতই আছে।

ইশশশশ!!!!যদি সত্যিই এমনটা হতো।

উফফ,কি রোদ আজকে


উফফ,কি রোদ আজকে!!! এত গরম। আর আমাদের বাসাতায় পুরা রোদটা পড়ে। নাহ,এই ঘরে শোয়া যাবেনা,আম্মার ঘরে গিয়ে শুই। একটু পর আব্বা চলে আসবেন অফিস থেকে। 

উমামের চোখে ঘুম নাই। আম্মা তুমি ওরে আনটাইমলি ঘুম পাড়াও, আর আমি দুপুরে ঘুমাতে পারিনা।

হাসিনা গেইটে কে দেখতো? ও খানসুর চাচি? চাচি কেমন আছেন? ভাল, তুমার আম্মা কই? আম্মা শুয়ে আছে ডাকতেসি। আম্মা,চাচি আসছে। রান্নাঘরে ঢুকলাম চা বানাতে। এমন সময় সিদ্দিক চাচি,সাইফুল আমিন চাচিও হাজির। শুরু হল দ্বিপ্রাহরিক আড্ডা। আম্মা বললো, বন্যা আরো লাগবে। চা বানায়ে এসে দেখি রেজা ভাই আম্মাদের সাথে বসে নাশতা খায়। এলোমেলো গল্পের এই অংশটুকু সত্যি। রেজাভাই একটু খেয়েই প্লেট থেকে কয়েক কোয়া কমলা আর কয়েকটা বিস্কুট নিয়ে উঠে দাঁড়ালে আম্মা বললো রেজা চা খেয়ে যাও। রেজা ভাই বলে না চাচি রোগি দেখে আসি। আম্মা বলে রোগি কে? রেজাভাই বলেন তিনতালার অপু(মোল্লা অপুভাই)। কয়দিন ধরে জ্বর,দেখে আসি। খালি হাতে ত যাওয়া যায় না, তাই বিস্কুট, কমলা নিয়ে নিলাম। চাচিরা হাসতে লাগলো।

‘কেউ কাউকে ত্যালায়না’ উমামার এই পোস্টটার সাথে আমিও ৯৯% একমত


‘কেউ কাউকে ত্যালায়না’ উমামার এই পোস্টটার সাথে আমিও ৯৯% একমত গত কয়েকদিন ইতিবাচক চর্চা (তৈল জাতীয়) বিষয়ক পোস্ট অনেক কম। এইজন্য আমি প্রথমত গভীর উদ্বেক প্রকাশ করছি। মনে হয় মামুন ভাইয়ের শরীর খারাপ অথবা মন খারাপ অথবা উনি উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন অথবা মামুন ভাই তৈল সংকটে পড়ছে। রেজা ভাই এবং জসীম ভাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি মামুন ভাইসহ অন্যরা যদি তৈল সংকটে পড়ে তাহলে আপনারা উনাদের কিছু তেল ধার অথবা ফ্রী দিবেন। আশা করছি আগামীকাল থেকে আমরা আবার মামুনভাইসহ অন্যদের কাছ থেকে তৈল বিষয়ক পোস্ট পাব নতুবা আমি তীব্র নিন্দা জানাতে বাধ্য হবো। যাই হোক আমি আমার এই পোস্টে কি তেল মাখবেন এবং কিভাবে মালিশ করবেন সেইদিকে কিছুটা আলোকপাত করলামআশা করছি এই পোস্টটা মামুন ভাই এবং অন্যদের কিছুটা হলেও কাজে আসবে।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেনবাস্তবিক তৈল সর্বশক্তিমান, যাহা বলের অসাধ্য, যাহা বিদ্যায় অসাধ্য, যাহা ধনের অসাধ্য, যাহা কৌশলের অসাধ্যতাহা কেবল তৈল দ্বারা সিদ্ধ হইতে পারে।তিনি আরও বলেন— ‘যে তৈল দিতে পারিবে তাহার বিদ্যা না থাকিলেও প্রফেসর হইতে পারে। আহাম্মক হইলেও ম্যাজিস্ট্রেট হইতে পারে, সাহস না থাকলেও সেনাপতি হইতে পারে এবং দুর্লভ রাম হইয়াও উড়িষ্যার গভর্নর হইতে পারে।

চারদিকে যে তেলের বন্যা দেখা যাচ্ছে তাতে যদি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা না হয় তাহলে যে কোনো মুহূর্তে তেলসংক্রান্ত মহাবিপর্যয় বা সুনামি দেখা যেতে পারে। তেলের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, তেল মর্দনের সনাতনী পদ্ধতি এবং মর্দনে ব্যবহার্য তেলের গুণগতমানের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বা গাইড লাইন না থাকার কারণে তৈলজাত রোগবালাই মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে

তৈল মর্দনের অর্থ বোঝে না এমন লোক বর্তমান সমাজে নেই বললেই চলে। তেলের বাহারি ব্যবহারের হাজারো উপকার নিয়ে লিখতে গেলে বিরাট এক মহাকাব্য তৈরি হয়ে যাবে। তেল কত প্রকার এবং কী কী অথবা তেল কোন কোন অঙ্গে কিরূপে মর্দন করলে কতটুকু সুফল পাওয়া যাবে তাও ইদানীংকালের তেলবাজরা মোটামুটি জেনে ফেলেছেন। আসুন আমরাও জেনে নেই কি তেল মাখবেন এবং কিভাবে মালিশ করা উচিত? কারণ সবাই তৈল মর্দন করতে এবং তৈল মর্দন পেতে সীমাহীন আবেগ-উল্লাস হৃদয়ে ধারণ করেন বটে কিন্তু প্রকাশ্যে বলে বেড়ানআমি কোনো তেল মারামারিতে নেই অথবা আমাকে তেল মারার সাধ্য কোনো বাপের বেটা বা বেটির নেই।

সাদিকুল হক ( পলাশ ভাই)

- Aslamuddin Mamun

সাদিকুল হক ( পলাশ ভাই)

কলোনীতে থাকতো সিটাইপে।দুই ভাই, এক বোন।
ভাই - পল্লব
বোন- পপি আপু।
ছোট কাল থেকে পড়ালেখায় খুবই ভাল।

বতর্মানে আমেরিকার প্রবাসী।একজন ভাল ডাক্তার। আমার আম্মা অসুস্থের সময় মেডিকেল এ থাকার সময় ভাইটি দেশে ছিল,এবং আমার মাকে দেখতে গিয়েছিল,আমার ভাই কে সাহস যোগিয়েছে এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে।
তারিককে ও পাপ্পুকে ভাই টি দেখতে গিয়েছিল।খুবই বড় মনের মানুষ।ভাই টি আমাদের সিএসএম এর গর্ব।সেলুট জানাই ভাই কে।

আড্ডা তে এসেছিল।২৮/১/১৬ তাং রাত ১২টার দিকে আড্ডার ভেন্যু তে এসে সবার সাথে দেখা করেছে যারা তখন ছিল।

ভাই এর উওরাওর সাফল্য কামনা করছি।আর সব সময় এভাবে আমাদের পাশে থাকার অনুরুদ করছি।

গত ৫ই মাচ Al Amin Billah Shujon স্যারের পরিসংখান রিপোট প্রকাশ হলো


গত ৫ই মাচ Al Amin Billah Shujon স্যারের পরিসংখান রিপোট প্রকাশ হলো, সুজন স্যারের এই উদ্যোগ খুবই ভালো,রিপোটে পড়ে জানতে পারলাম লেখকের সংখ্যা কমে গিয়েছে,কেন কমেছে তা কি আমরা জানতে পারি?আমি আমাকে দিয়ে বিচার করছি আমি আমার স্কুুল জীবন কলেজ জীবনে কোন দিন ঠিক মতো পাশ করতে পারি নি,কোনমতে টেনে টুনে পাশ করতাম,তা এই পেইজে এসে কিছু লিখা লিখে তৃতীয় হয়ে গেলাম এটা কেমনে হয়,পরিসংখান রিপোটে দেখলাম লেখক কমে গেছে বুঝলাম ফাঁকা মাঠে গোল দিয়াছি,ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া মধ্যে কোন মজা নেই,পেইজে সদস্য সংখা আমার জানামতে ৬৪৪জন তার মধ্যে ১০০ জন ও লিখে না কারণটা কি আমি নিজেও বুঝি না,আমি গতমাসে ১০/১৫ টা না আরো বেশি লিখছি নিজেও জানি না,একসময় নিজের কাছে নিজেকে প্রশন করলাম আরে লিখে যাচিছ কেউ পড়ে না পড়ে সেটা তো জানি না,লেবু বেশি চিপলে তিতা হয়ে যায় এটা হঠাৎ মনে পড়ে গেলো,আমার মতে পেইজের সবারই লিখা উচিত প্রথম, সেকেনড, তৃতীয় হওয়ার জন্য না,সবাই সবার সাথে কলোনীর সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করা জন্য হলেও, আমি জানি এই পেইজে সকল সদস্য রা একবার হলেও পেইজে উঁকিঝুঁকি মারে,সবাই যদি লিখতো তাহলে পেইজটা আরো কতো প্রাণবন্ত হতো,আমার জানা মতে এই পেইজ থেকে অনেক সদস্য মান অভিমান করে চলে গিয়াছে,এটা আমাদের ব্যথতা তাদের সবারই কথা শুনা উচিত ছিল,সুজন স্যারের পরিসংখান রিপোট করতে কয়েক দিন লেগে যেতো দরকার হলে সুজন স্যার একজন সহকারী নিয়ে নিতো,নিচের সবাই আগে মোটামুটি লিখতো তাহলে আমি ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারতাম না তৃতীয় দুরের কথা কোন মতে টেনেটুনে পাশ করতাম,Babu Csm Club,Rezaul Karim,Khurshed Alam Manik,Mohammad Nazrul,MD Younus,Kazi Hasan,Tanjina Bashar,Shamima Bithi,Udayan Barua,Razina Akther Rina,Suzan Hasnat,Ziaul Hasan,Hamytur Rahman, Mahmudul Hasan,Abu Naser,ইঞ্জিঃ আনোয়ারুল হক,Rony Barua, Fauzul Amin,Jahid Hossen,Abu Hena,Rume Chowdhury,Arif E Elahi,Masuk Elahi,Mamunur Rashid Rashed, Zahed Siddique,Mahabur Rahman Manick,Md Abdul Aziz,মোঃ এলাহী নেওয়াজ মাছুম,Mokammel Elahi,Saiful Islam Rakib,Ava Abid,Iftee Nomi,Tambourine Man,ঝুমুর ঝুম ঝুম,Mahbul Rasel,Rafiqul Islam,Azizur Azizul Karim Rashed,সবাই মোটামুটি লিখতো এখন লিখে না,এরা সবাই যদি লিখতো তাহলে আমি ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারতাম না,আর ফাঁকা মাঠে গোল দিয়া কোন মজাই নাই, মনে হয় আমার ডোল আমি নিজেই পিঠাই,আশা করি সবাই এক সময় এই পেইজে লিখা শুরু করবে

আমাদের লাড্ডি মামা


পিকচার আভি বাকী হ্যায়।

একজন মানুষ অসুস্থ থেকেও কতটুকু লাইভলি থাকতে পারে তার উদাহরণ তারিক মামা।ঢাকায় মামাকে নিয়ে আসার পর থেকে মামার সাথে আমরা খুব ফ্রেন্ডলি হয়ে গিয়েছিলাম। মামা এমন সব হাসির কথা বলতে পারে,তা যদি কেউ জানতো। খালি আমরাই জানি।মামা আমাদের মতই,ফুচকা, আইস্ক্রীম, চকলেট মামার খুব পছন্দ।মামা যখন ঢাকায় ছিল প্রতিদিন দেখতে যাওয়া না হলেও সপ্তাহে দুইদিন দেখা হত।মামা আমাদেরকে হসপিটালের ক্যান্টিনের পোলাও-মাংস পর্যন্ত ট্রিট দিয়েছে।আমাদের বাসায় মামাকে আনা হয়েছে রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য।মামা পুরা ভিকারুন্নিসা স্কুল কলেজ ঘুরে দেখে বলেছে "গত ছয় বছরে এটা আমার বেস্ট দিন।" 

মামা যেদিন চলে গেলো,মনে হলো কেউ কলিজা ছিঁড়ে নিচ্ছে।খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।

তারিক মামাকে পচাইনা অনেকদিন,দেখিনা প্রায় দুইমাস।ইদানীং খুব মিস লংকা গান গায়।শিওর লাইফে কোনো লংকা এন্ট্রি মারসে।আমরা একটা বড়-সড় ট্রিটের অপেক্ষায় রইলাম।

তারিক মামা,তোমাকে ভাগ্নী হিসেবে অধিকার নিয়ে আদেশ দিচ্ছি- জলদি আসো।আর ডাক্তার যা যা বলেছে তা করো।একমাত্র তুমি পারো তোমাকে সুস্থ করে তুলতে। জলদি সুস্থ হয়ে উঠো।অনেক ভালো থাকো।

সময়টা ঠিক মনে নেই


সময়টা ঠিক মনে নেই।তখন প্রথম প্রথম মেক্সী সার্ভিস চালু হলো,যার দরজা ছিলো একদম পিছনে।মেক্সীর ভিতরে চারপাশে সীট বসানো থাকতো,সীট গুলো অনেক নিচু ছিলো,পারিপার্শিকতা কিছুটা মুরগীর খামারের মত ছিলো।কিছু কিছু মেক্সীতে কন্ডাক্টরের কাছেই সুইস লাগানো থাকতো,প্রয়োজনে সুইস দিয়ে গাড়ী থামাতো।

একদিন স্টীল মিল বাজার থেকে উঠলাম,সীট গুলো মোটামুটি ফিল আপ,শুধুমাত্র একটা সীট আছে বলা যায়।কন্ডাক্টর সিমেন্ট ক্রসিং এ মেক্সী থামালো।মেক্সীতে উঠলো এক মেয়ে/আপু।কেউ যায়গা দিতে নারাজ,আপু আরেকটু উঠে বসতে যাবে এমন সময় বেরসিক ড্রাইভার দিলো হেছকা টান,অমনি আপু বসে গেলো কর্নারে বসা এক ভাইয়ার কোলে।কিংকর্তব্যবিমূঢ় কন্ডাক্টর বুঝতে পারছিলোনা সুইস টিপে গাড়ী থামাবে নাকি আপু কে টেনে তুলে ধরবে।যে ভাইয়ার উপরে আপু বসে আছে বেচারার অবস্থা আরো কঠিন।আমরা মানুষ এতই সার্থপর যে কেউ আপুকে টেনে তো তুলছিই না বরং সবাই মুখ টেপে হাসছি।।পরবর্তিতে আপু নিজ শক্তিতে উঠে উপরের হ্যান্ডেল ধরল।

আমি & বউ


আমি : সমুদ্র আমার খুব প্রিয়, ইচ্ছে করে সবসময় সমুদ্রের ধারে বসে থাকি,সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকি,সমুদ্রের পানিতে পা দুখানি ভিজিয়ে রাখি।

বউ: এতো সমুদ্র সমুদ্র করো কেনো, সারা জীবন তো সাগর পাড়েই কাটিয়ে দিলা। তাও শখ মিটে না।

আমি: এটা শখ না, এটা আবেগ,এটা জীবনেও শেষ হবেনা। সমুদ্র একটি বিশাল ব্যাপার, এর কাছে গেলে মন টাও বিশাল হয়, এজন্য আমাদের মন টা বিশাল।

বউ: আকাশ তো আরো বিশাল, তাহলে তো আকাশে গেলে মন আরো বিশাল হবে।

আমি: ভুল বললে তুমি,আকাশ বিশাল কিন্ত আকাশ স্পর্শ করা যায়না,সমুদ্র স্পর্শ করা যায়।

সুমি আপু আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ


সুমি আপু আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ।কলোনিতে F-7 থাকতো।ফয়েল ভাই আর ফয়সাল ভাইদের একমাএ বোন।আমি অনেক ছোটবেলা আপু চিনি।কেন জানি আপুকে আমার খুব ভাল লাগতো।আসলে কলোনি থেকে বের হওয়ার পর উনার সাথে কোন যোগাযোগ ছিল কিনতু উনার কথা খুব মনে পড়তো।২০০৭ এ আমার বিয়ের পর একবার আমাদের বাসায় এসেছিলেন কিনতু আমি ছিলাম শশুরবাড়ি আমার সাথে দেখা হয়নি।পরে উনি আমার একটা বিয়ের ছবি নিয়ে গেছেন।আমার অনেক খারাপ লেগেছিল।কারন আপু দেশের বাহিরে থাকেন আর কখন দেখা হয় না হয়।আমাদের পেইজের কারনে আমি আপুকে পেলাম।উনি আমাকে ছোটবেলায় ানে 

লিখাকাটা শেষ করতে পারিনি বাটনে চাপ পরে পোসট হয়ে গেছে।অনেক কথা ছিল লিখার।আপুটার মনটা অনেক ভাল।খুব সুন্দর মনের মানুষ ছিলেন। যখনি বলতাম আপু আমি সাজবো আমাকে উনার সাজানোর জিনিস দিয়ে সাজাই দিত।কোনো বিয়েতে গেলে বা পিকনিক হলে উনার কাছ থেকে সব কিছু নিয়ে জেতাম।কখনও রাগ করেনি। কত গলপ করতাম উনার সাথে,মাঝে মাঝে বিকালে হাটতাম।সবসময় আমাদেরকে ভাল ভাল কথা বলতেন।এক কথায় বলতে গেলে আপু খুব.......খুব। সবাই আমার এআপুটার জন্য দোয়া করবেন।

আমাদের শৈশব ছিল মুক্ত বিহঙ্গের মত


আমাদের শৈশব ছিল মুক্ত বিহঙ্গের মত। স্কুল থেকে এসে বই খাতা বাসায় রেখে নাস্তা করেছি কি করি নাই সোজা মাঠে। C-type এর বড় মাঠে তখন চান্স না পেলেও স্লিপারটা আমাদের দখলেই ছিল। মারবেল খেলার ভেনু ছিল C-3 বিল্ডিং এর সামনে।গোল্লাছুট,লুকোচুরি,সাতচারা,দারিয়াবান্ধা,বোম বাস্টাং,কিংকং খেলতাম।তখন C আর D type এর মাঝের পুকুরটায় গোসল করা যেত। আমি সাতার শিখেছি ওখানেই।আর গোসল করে চোখ লাল করে বাসায় বকা খাওয়া।আম চুরি করতাম স্রেফ মজা করার জন্য।Adventure। চুরি করা আম কখনো খেয়েছি বলে মনে পরেনা।Officer's club এর টেনিস কোর্টে বড়রা ফুটবল খেলতো।আমরা বসে থাকতাম জাম গাছটার আগায়.................................

নতুন কিছু লিখার সময় পাচ্ছিনা তাই পুরান লেখা.....

সম্ভবত ক্লাস টুতে পড়ি। আমরা তখন C-11-Cতে। আম্মা টাকাগুনার সময় ২টা পাঁচ টাকার নোট নিচে পরে গেল। আর আমি কৌশলে পকেটে ঢুকিয়ে ফললাম। পরদিন স্কুল থেকে আসার সময় আমি, রিমন, ভূতের ডিম বাবু, বুড়া মিয়া মিল্ক ভিটার গাড়ীথেকে চকলেট মিল্ক কিনে C-টাইপ মাঠের স্লিপারের নিচে বসে বড় আয়েস করে, খেলেধুলে, মজা করে সাবার করলাম। ঐ দিন তুমান কেন জানি স্কুলে যায়নি। পর দিন তুমানকে ক্লাসে বলাম। তুমান তো রেগে মেগে, শালা আমাকে ছাড়া...দাড়া এখনই আম্মু কে বলছি, আম্মু...।আমি তাড়াতাড়ি তুমানের মুনের মুখ চেপে ধরে বললাম, আরে না না তোকে রাগানোর জন্য বানাই বলছি। জান বাচানো ফরয। আহা সেই বন্ধুরা? সেই সময়?

রিপন ভাই


সিএসএম এর বড় ভাই। সবার কাছে খুব প্রিয় ভাই টি।
কলোনীতে থাকতো এফ/১০ এ।
৫ ভাই এক বোন।তার মধ্যে সবার বড়,
ভাই - রুবেল ভাই,রয়েল,রিমন,লিটন।
বোন- ময়না আপা।

তাদের বাসার সব ভাই - বোন স্কুলের খেলায় খুব ভাল ছিল।

রিপন ভাই দৌড়,দীর্ঘ লাফ এ প্রায় সময় প্রথম হতো।আড্ডাতে ১০০ মিটার দৌড়ে ২য় হয়েছে।
খোকন ভাই তার একটা পোস্ট এ ২৯ এপ্রিল এ রিপন ভাইকে নিয়ে লিখেছিল,যারা পেজে সরব সবাই মনে হয় সেই পোস্ট টা দেখেছে।

তারিকের ব্যাপারে হাসপাতালে গিয়ে ছোট ভাই এর মত সব কিছু করেছে।মাঝে মাঝে ভাবী ও বাচ্চাদে নিয়ে গিয়েছে, 
আমার মা হাসপতালে থাকার সময় রিপন,রেজা ভাই, আপেল গিয়েছিল।সেখানে আমাদের সাহস দিয়েছে।

আজ পেইজে একটা open question করতে চাই


আজ পেইজে একটা open question করতে চাই। দুপুরে মনিরের লেখা দেখে এই প্রশ্নটা মাথায় ঢুকেছে। যদি সম্ভব হয় এই পেইজের বর্তমান সদস্য সবাই উত্তর দেবেন। এই পেইজটা ত আমাদের সবার,কলোনিটার মত। এইখানে আমরা কয়েকজন খালি লিখি বাকিরা কেন লিখোনা? অনেকে লাইক, কমেন্টও কর না। কারন কি? আচ্ছা লাইক আর কমেন্ট এর বিষয়টা যার যার ব্যক্তিগত। তার ইচ্ছা সে কাকে লাইক বা কমেন্ট দিবে। কিন্তু কোন পোস্ট কেন দাওনা? আমরা যারা রেগুলার লিখি এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর বিষয় হয়ে যাচ্ছে যে অন্যরা লিখছে না। আমরা কি লিখা দিয়ে কারো গতিরোধ করছি? এখানে লিখার জন্য লেখায় পারদর্শি হতে হবে তার দরকার নেই। আমরা ঘরে সবার সাথে কি চলিত ভাষায় কথা বলি না বাসায় যা প্রচলিত তা বলি? তোমরা লিখবানা আর আমরা লিখলে আবার বলা হবে বাকিরা কেন লিখেনা আর তার জন্য একটা আংগুল আমাদের দিকে তোলা হবে এটা ত ঠিক না। Abu Hena তোর একটা কথা আমি মানতে রাজিনা,যারা লাইক কমেন্ট দেয় তাদের জোর করছিস কেন? আমি লিখি আমার খুশিতে, কে লাইক দিল বা কমেন্ট করলো তা নিয়ে ত মাথা ঘামাই না।

যাহোক প্রশ্ন হল কেন লিখো না বা কেন লাইক কমেন্ট কর না তা কি কেউ খোলাখুলি বলবা আজ?

ছবির এই ছেলেটিকে অনেকেই চিনবেন না


ছবির এই ছেলেটিকে অনেকেই চিনবেন না।।আমাদের ব্যাচের এবং আমাদের কলোনিরই সন্তান।।আজ তাঁকে নিয়ে লিখছি।।

নাম:-মিজান।।
পিতা:-আ:আলম।।
ব্যাচ:-2000
বাসা:-এফ-2/10
ভাই:-ক্রিকেট মিনহাজ

তো বন্ধুটা খুবই ভাল এবং শান্ত শিষ্ঠ ছিল।।তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল মেজ।।কলোনিতে থাকাকালীন বন্ধু টার সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।।এক সাথে স্কুলে যেতাম,,স্কুল পালাতাম,,মার্বেল খেলতাম,,ঘুড়ি উড়াতাম।।

কলোনি থেকে চলে যাবার পর তার সাথে তেমন যোগাযোগ ছিল না।।দীর্ঘ অনেক বছর পর এই ফেইজবুকের মাধ্যমে বন্ধুটাকে আবারও খুঁজে পাই।।মাঝে মাঝে কথা হতো।।তখন জানতে পারি বন্ধু আমগ দুবাই আছে।।ভালই আছে।।শীঘ্রই দেশে ফিরবে এবং বিয়ে করবে।।শুনে খুব ভাল লেগেছিল।।

বাবা, তু‌মি কেন এত মহান?


প্রবাসী ছেলে জীবনে প্রথম মাসের বেতন তুলে তার বাবা কে ফোন করেছে- হ্যালো আব্বু? 
বাবা: হ্যা বাবু কেমন আছিস? 
বাবু: বাবা আমি ভাল আছি। তুমি ভাল আছো তো? 
বাবা: শরীর ভাল, তবে তোকে খুব মনে পড়ে। বাদ দে তোর কি খবর বল? 
বাবু: আমিও ভাল আছি। একটা নাম্বার দিচ্ছি লেখ। (মানিগ্রাম) 
বাবা: কিসের নাম্বার খোকা? 
বাবু: আমি সেলারী পেয়েছি বাবা। পুরা এক লাখ 
বাবা: আলহামদুলিল্লাহ। বাবা একটা কথা বলি? ( কিছুটা দুষ্টামির ছলে ) - এতদিন পর ফোন করেছিস মাত্র একটা কথাই বলবি? 
বাবু: বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোন দিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছ তুমি কি জানো আমি আগামী পাঁচ বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো। আমার এখানে এক টাকা তোমার ওখানে একশ টাকা বাবা
বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) বাবা একটা গল্প শুনবি? 

সেলিনা আক্তার সেলি


সেলিনা আক্তার সেলি।
ব্যাচ =৯১.

উনি CSM এ একাধারে শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি সম্পর্কে আমার মা হন।বর্তমানে তিনি রিটায়ার্ড।সন্তানের লালন পালন করা থেকেও তিনি অবসর নিয়েছেন।বাস্তব জীবনে আমি উনার ডাই হার্ড ফ্যান।উনি খুবই বাস্তবিক ছিলেন।উনার চিন্তাশক্তি ছিল প্রখর। আমাকে খুবই ভালোবাসত।বর্তমানে তিনি প্রকৃতি প্রদত্ত চিরস্থায়ী কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।উনার কার্যালয়ে আগে সপ্তাহে ২বার করে যাওয়া হলেও এখন তা মাসে ১বারে দাঁড়িয়েছে।উনার কিছু লুকানো গুণ ছিল। যেমন: লিখালিখি করতেন,অবসর পেলেই উনি খাতা কলম নিয়ে লিখতে বসতেন।আবার তা লুকিয়ে রাখতেন।উনি যেই ডায়রিতে লিখতেন তা আমার সংগ্রহে কিছুদিন থাকলেও পরে ডায়রিটি হারিয়ে যায়।মূলত আমার লিখালিখির অভ্যাস টা উনা হতেই আগত।উনি ভালো গানও করতেন এবং তা মোবাইলে রেকর্ড করতেন।পরে আবার ডিলিট করে দিতেন।মানুষদের ভালো বোঝাতে পাড়তেন হোক সেটা পড়া বা অন্য কিছু।ক্যারাম খেলায় ও ভালো দক্ষ ছিলেন যদিও এটা কেওই জানতো না।পরোপকারী ছিলেন। আর বাকি গুলো সবারই জানা।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss