সময়টা ঠিক মনে নেই।তখন প্রথম প্রথম মেক্সী সার্ভিস চালু হলো,যার দরজা ছিলো একদম পিছনে।মেক্সীর ভিতরে চারপাশে সীট বসানো থাকতো,সীট গুলো অনেক নিচু ছিলো,পারিপার্শিকতা কিছুটা মুরগীর খামারের মত ছিলো।কিছু কিছু মেক্সীতে কন্ডাক্টরের কাছেই সুইস লাগানো থাকতো,প্রয়োজনে সুইস দিয়ে গাড়ী থামাতো।
একদিন স্টীল মিল বাজার থেকে উঠলাম,সীট গুলো মোটামুটি ফিল আপ,শুধুমাত্র একটা সীট আছে বলা যায়।কন্ডাক্টর সিমেন্ট ক্রসিং এ মেক্সী থামালো।মেক্সীতে উঠলো এক মেয়ে/আপু।কেউ যায়গা দিতে নারাজ,আপু আরেকটু উঠে বসতে যাবে এমন সময় বেরসিক ড্রাইভার দিলো হেছকা টান,অমনি আপু বসে গেলো কর্নারে বসা এক ভাইয়ার কোলে।কিংকর্তব্যবিমূঢ় কন্ডাক্টর বুঝতে পারছিলোনা সুইস টিপে গাড়ী থামাবে নাকি আপু কে টেনে তুলে ধরবে।যে ভাইয়ার উপরে আপু বসে আছে বেচারার অবস্থা আরো কঠিন।আমরা মানুষ এতই সার্থপর যে কেউ আপুকে টেনে তো তুলছিই না বরং সবাই মুখ টেপে হাসছি।।পরবর্তিতে আপু নিজ শক্তিতে উঠে উপরের হ্যান্ডেল ধরল।
পরে কেউ কাউরে চিনেনা, যেনো কিছুই হইনি এমন ভাব করে আমরা চলিতে লাগলাম।বেশী মাত্রায় রসিক এক লোকাল পাবলিক বক বক করিতে লাগিলো " ওডা মাইয়া পোয়া ওডাইলে এক্কানা ধির সুস্থে সুইস দেওন পড়ে", তুই দেহর গাড়িত মরত পোয়ার বইবার যায়গা নাই, আর তুই এত ঝামেলার বিঝখান মাইয়া মানুষ তুলর।"
বি.দ্র.: ভাগ্যিস মেক্সীতে ভিকটিম কলোনীর কেউ ছিলোনা...।
No comments:
Post a Comment