Wednesday, July 27, 2016

ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের কলোনীর হারিয়ে যাওয়া ভাই- বোনদের ফিরে পাওয়া


ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের কলোনীর হারিয়ে যাওয়া ভাই- বোনদের ফিরে পাওয়া।তারপর সিএসএমের পেজের সৃষ্টি। আজ আমাদের পেজে প্রায় ৭০০ মত সদস্য ভাবতে ভাল লাগে।পেজ সৃষ্টির আগে কলোনীতে থাকতে বা কলোনী থেকে বের হয়ে আমরা মনে হয় খুব কম ভাই বোন জন্মদিন পালন বা আরেকজনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। কিন্তু এখন পেজের মাধ্যমে আজ এক ভাই- বা বোনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ও কেক কাটছি।সবাই একএিত হচ্ছি।আমাদের এ পাওয়া আমাদের সিএসএম পেজের কারনে।

রেজা ভাই তার জন্মদিনে যারা শুভেচ্ছা জানিয়েছে, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং ছোট বোন সাম্মির শুভেচ্ছা তার সবচেয়ে বড় পাওনা বলেছে।ছোট বোন সাম্মিকে অনেক ধন্যবাদ বোন।তোর ভাইদের প্রতি অগাধ ভালবাসার কারনে।

সব ভাই বোনের কাছে একটাই অনুরুদ। আমাদের এ বন্ধনন সব সময় অটুট থাকুক।করান এখানে আমরা আমরাইতো।সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।সিএসএমের সাথেই থাকবেন।

আমার ছেলে আহমেদ যাওয়াদ যিয়াদ


আমার ছেলে আহমেদ যাওয়াদ যিয়াদ। CGS মিস্ত্রীপাড়া শাখায় তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। তৃতীয় শ্রেনীর বেসরকারি বৃত্তির জন্য স্কুল থেকে কয়েকজনকে নির্বাচন করা হয়েছে। তার মধ্যে আমার ছেলেও আছে। মোটামুটিভাবে ফাইনাল। ছেলে খুশি তার চেয়ে আমি বেশি খুশি। কারন আমি যে মানের ছাত্র তাতে বৃত্তিতো দুরের থাক বৃত্তির নাম নিতেও ভয় লাগতো। দুয়েকদিন স্কুলে কোচিংও করেছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল আরেক জায়গায। সমস্যাটা আমার ছেলে গত পরশুদিন থেকে আল্লাহর রহমতে কোরআন শরীফ পড়া শুরু করছে। এখন হুজুর যেই টাইমে ওকে পড়াতে আসে সেই টাইমে আবার স্কুলের কোচিং। তাই হুজুরকে অনুরোধ করলাম অন্য টাইমে আসার জন্য, কিন্তু উনি পারবেন না। এদিকে আবার কোচিং না করলে বৃত্তি দিতে পারবে না। ভালই ফ্যাসাদে পড়লাম। বাধ্য হয়ে ছেলেকে বললাম বৃত্তি আগামিও বছর দেওয়া যাবে। কিন্তু কোরআন শরীফ পড়া যখন শুরু করছো সেটা চালিয়ে যাও। পরেরটা পরে দেখা যাবে।

আমরা '৮৯ ব্যাচ কলনি থাকা অবস্থায় একটা পিকনিকের আয়োজন করার জন্য চিন্তা করলাম


আমরা '৮৯ ব্যাচ কলনি থাকা অবস্থায় একটা পিকনিকের আয়োজন করার জন্য চিন্তা করলাম। কিন্তু পিকনিকের জায়গা নিয়ো দোটানায় পড়লাম। কেউ বলে স্কুলে, কেউ বলে খালপাড়ে আবার কেউ বলে খালপাড় সংলগ্ন কাশেম গার্ডেন। শেষ পর্যন্ত চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত কাশেম গার্ডেন। সেটাই ছিল কলনিতে আমাদের ব্যাচের শেষ পিকনিক। হৈ হুল্লোড়, আড্ডা, গান কত কিছু করেছি সেদিন। আজও চোখে ভাসে সেদিনের সেই সুখ স্মৃতি। জীবনে অনেক পিকনিকের আয়োজন করেছি বা অনেক পিকনিকে অনেক দুরে গিয়েছি কিন্তু সেদিনের বাসার কাছে সেই পিকনিকের মত আনন্দ কোথাও পায়নি, ভবিষ্যতেও পাবো না। কারন তখন যাদের নিয়ে আয়োজন পিকনিকের করেছিলাম তারা দেশ বিদেশে তারা আপন সংসার ও কর্ম জগতে ব্যস্ত। বন্ধু মিস করছি তোদের। দোয়া করি তোরা যেখানেই থাকিস যেন ভাল থাকিস। Shadiqul Hoque Polash, Shahjahan Helaly, Md Mahbube Elahi, Zahed Hossain, Shahed Hussein, Shahabuddin Liton, Saiful Islam Pathan, Mostafa Kamal, Ali Ahasen Mohammad Rashed, Mahbuba Runa, Jesmine Akter Zinu, Mamun Hossain, Rupan Dev, Rumi Bd, Muhammad Moinul Huda, Saiful Manik, Momena Akter, Taj Suman, Rezina Akter Kumu, Shoyeb Khan, Minhaz Alam, Jahangir Alam, Mohammed Arshad Ullah, Nazrul Islam

ছবি যখন কথা বলে


আমার লিখা গুলো তে আমি কলোনি র কিছু ছবি ব্যবহার করি।কিন্তু ছবি গুলো র কোন টিই আমার নিজের তোলা সংগ্রহে থাকা নয়।এই ছবি গুলো আমি পেয়েছি জাবেদ ভাই, রাসেল ভাই আর তাসকিন ভাইয়ের
এলবাম থেকে।তারা কলোনি র বিভিন্ন স্থান আর পরিচিত মুখ এবং শ্রদ্ধেয় স্যার আপাদের ছবি সংগ্রহে রেখেছেন। আর তাদের এই সংগ্রহ আমাকে লিখার উপকরণ যোগাতে দারুন সাহায্য করেছে। তাই এই ক্ষেত্রে ধন্যবাদ দিয়ে আমি তাদের অবদান কে ছোট করব না।
লিখার সাথে ছবি থাকার সুবিধা হল এর ফলে কলোনি র প্রিয় জায়গাগুলোতে ঘুরে আসা যায়।যার ফলে ওই স্থান নিয়ে কিছু লিখা হলে তা প্রান পায়।যা শুধু লিখা দিয়ে অনেক সময় সম্ভব হয় না। কল্পনা দিয়ে ত সবসময় স্মৃতিকাতর হওয়া যায় না।সেখানে ছবি থাকলে সুবিধা।
তাই সবশেষে আমি আমার এই তিন শ্রদ্ধেয় বড় ভাইকে শুভ কামনা জানিয়ে লিখা শেষ করি, তারা যে মহত উদ্দেশ্য নিয়ে ছবিগুলো সংগ্রহ করেছেন তা যেন সার্থক হয়

সময় কারো জন্য অপেক্ষা করেনা


সময় কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। ২০০৭ এ মার্চে আমরা বিয়ে করেছিলাম। তখন হানিমুনে গিয়েছিলাম কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, ছেরাদ্বীপ অর্থ্যাত কক্সবাজার নিয়ে আশেপাশের সবগুলো জায়গায় আমার যাওয়া হয় তাকে নিয়ে। দুইজনে সারাদিনই বাইরে থাকতাম, বাইরেই খাইতাম কখনো টং এ কখনো ছালাদিয়ায় আবার কখনো হোটেল সি গার্ল। এই সময়টার সাথে আর কোন সময়েরই তুলনা হয়না। আমি ভাবতেই চাইছিলাম না কি হচ্ছিলো, আমি এমন এক ছেলে যে কিনা জীবনে প্রথম কোন মেয়েকে নিয়ে স্বাধীন ঘুরে বেরাচ্ছি। অতীতের কোন অভীজ্ঞতা যেহেতু ছিলোনা, আমিও নিজেকে তেমন কোন পরীক্ষার মুখোমুখি করালাম না, সত্যিকার অর্থে তাকে কোন সুযোগ দেই নি। সারাক্ষন ঘুরোঘুরী। প্রচুর ছবি তুলেছিলাম। তখনি বুঝলাম পোলাপান কেনো প্রেম করার জন্য এতো পাগল, পাশে একটা মেয়ে থাকলে নিজেরে মোগলে আজম মনে হয়।

পরের ছবিটা টকটকে লাল গেন্জি ২০১২ সালের আর তার পরের ছবিটাও লাল গেন্জি তারো এক বছর পরের গোপালগন্জে আমার এক কলিগের বিয়েতে নদীর পাড়ে ফড়িং ধরার চেষ্টা করছিলাম।

আমাদের জীবনটা বড়ই বিচিত্র এখন আর জীবনকে উপভোগ করার সময় খুজে পায় না। প্রতিটা সময় কখনযে চলে যায় বুঝতেই পারিনা।

এতো কিছুর মাঝেও গতো বছরের পর জীবনটা কেমন যেনো পাল্টে গেলো। এখন আর শুধু নিজেকে বা নিজের খুশি অথবা শুধুমাত্র নিজের পরিবারের কথাই ভাবতে ভালো লাগেনা। ভালো লাগে সবায়কে নিয়ে ভাবতে, পুরো সি এস এম কে নিয়ে ভাবতে। আমার বড়ই আশা এটাকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার, জানিনা আমার আশা পুরন হবে কিনা!!! তবে আমি আশাবাদী, চরম আশাবাদী....... আমি স্বপ্নচারী....
আমি...... আমি....... তো......

অথচ -----মন খারাপের দিন


আজকের দিনটিও অন্য দিনের মত সাদা মাটা। 
সকালে মহাখালী রাজউক অফিস হয়ে ধানমন্ডি নিজের অফিসে যাব বলে একটু দেরী করেই বাসা থেকে বেরিয়েছিলাম।এগারটা নাগাদ অফিসে ঢুকে কাজের মধ্যে ডুবে যাওয়া। মাঝখানে বাসা থেকে ফোন এসেছিল দুবার, ধরতে পারিনি।
৩ টা ৫ মিনিটে পি এ ফোন ধরে জানাল স্যার বাসা থেকে ম্যাডাম কথা বলবে। একটু খানি ব্যস্ততা আর বিরক্তি নিয়ে বললাম -
-কি বলবে তাড়াতাড়ি বল। 
ওদিকথেকে খুব ধীর গলায় জবাব এল-
- না, আজকে একটা বিশেষ দিন, তাই স্মরন করিয়ে দিলাম। 
--মানে?
-- প্রতিবার আমিই স্মরন করিয়ে দেইতো--
ধাক্কা লাগলো মনে । ততহ্মনে বোধ হয়েছে। নিজের প্রতি ধিক্কার এল, মনটা একেবারে খারাপ হয়ে গেল।
একটু খানি চুপ করে থেকে বললাম
--জিসানকে দেখতো ফোন করে , বাসায় আসবে কিনা। 
মিনিট দশেক পর বাসা থেকে জানাল জিসানের কালকে পরীহ্মা আসতে পারবে না। 
মনটা আবারও খারাপ হল। ফেরার পথে অন্য দিনের মতই টুকটাক বাজার সেরে বাসায় পৌছে দেখি ছোট ছেলেটা খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটছে। আজ ১০ দিন হোল ছেলেটা পা মোচকে বাসায় বসে আছে। ওকে দেখে খারাপ মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল।
কাপড় ছেড়ে বিছানায় গা এলিয়ে ভাবছিলাম - দিনটাতো এমন হবার কথা ছিল না। কোথাও কোন ভুল হয়েছে নিশ্চয়।
বিছানা ছেড়ে এশার নামাজের পর দু রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লার কাছে হ্মমা চাইলাম।
হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে, আমাদের সন্তানদেরকে হেফাাযত কর। আমাদের বন্ধনকে দৃঢ় কর।
আজকে ছিল আমাদের ২৭ তম বিবাহ বার্ষিকী ।
সবার কাছে দোয়া প্রার্থী !!

বই খাওয়া, বই ছেঁড়া


আমাদের যখন বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত,তখন স্কুলের নতুন বই পাওয়ার আগে আরো কয়েক সেট বই পাওয়া হয়ে যেত।কারন আমাদের বিল্ডিং এ থাকত Farjana Rita, Farzana Haque Rini আর বাচু।ওরা সবাই আমার এক ক্লাস সিনিয়র হওয়াতে ওদের বইগুলো নিয়ে নিতাম।সাথে সাথে যত সহায়ক বই আছে তাও দিত। রিতার বই গুলো বিশেষ করে বাংলা বই এর ছবিগুলো সুন্দর করে রং করা থাকত। স্কুলের বই পাওয়ার পর আমার চার সেট বই হত। এত বই পাওয়ার পরেও আমি কিন্তু বইয়ের যত্ন নিতাম না। বেশির ভাগ বই ছিড়ে ফেলতাম। জাকিয়া আপা বলতেন,তুমি কি বই খাও? এত বই ছিড়ে কেন? আসলে স্কুল ছুটি র ঘন্টা পড়লে তাড়াহুড়ো করে ব্যাগে বই ভরতাম।তখনই বইগুলো ছিড়ে যেত আস্তে আস্তে। বইয়ের যত্নের চেয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় যাওয়া যেন বেশি জরুরি।

আর এখন বইয়ের এত বেশি যত্ন নেয়া হয় যে ছিড়ে না, মানে পড়াও হয়না।বই বইয়ের মত থেকে যায়,পাঠক পায় না

কনা বিশ্বাস


কনা বিশ্বাস
--------------
সল্প ভাষী এ বোনটা নিভূতচারিনী। গোমরা নয়, অন্তমূখী। সদা লাজুক চাহনিযুক্ত আর সরলতা যার অলংকার।
কলোনিতে F-10/9 এ মিহির বাবুর ঘর খানা আলোকিত করে রাখতো সে। ১৯৯৭ এর Ssc ব্যাচ। কনার ডাক নামটা ও নস্টালজিক,,, কল্পনা।

কল্পনারা ৩ ভাইবোন। ছোট বোন অর্চনা আর ভাই মিলন। আজ আমাদের এ বোন প্রফেসর স্বামির ঘরে দু' সন্তানের জননী।

পেজে দারুন বুদ্ধিদিপ্ত কমেন্টস করতো । নিয়মিত উপস্থিতিও ছিলো। শব্দ প্রয়োগ ও ভাষাঙান এ যেনো তার স্বকীয়তা।

তাকে নিয়মিতভাবে পেজে চাই। কিছু অভিমান আছে,,,জানি।

তার পরও আমাদের ছেড়ে যাবে না,,,, আমাদের বোন কনা, এটাই বিশ্বাস করি,,,,।
কল্পনা বোন আমাদের,,,,


একটি ফোন এবং আদেশ নামা


সকালে অফিসে আসার পথেই একটি ফোন, নাম্বার অপরিচিত, সাধারণত অপরিচিত নাম্বার আমি ধরিনা। দুবার ফোন আসার পর ধরলাম। খুবই পরিচিত গলা, কোন ভনিতা নয়, কোন ভূমিকা নয়, সরাসরি আদেশনামা। আমাকে লিখতে হবে এই পেজে। বললাম লিখি তো, ছড়া দিচ্ছি,কবিতা দিচ্ছি, ছবি পোস্ট করছি, লাইক কমেন্টস সবই করছি। -এগুলোতে নাকি হবেনা, ব্রড লিখা লিখতে হবে আবার। কিছু আদেশ অগ্রাহ্য করা যায়না,এটা অগ্রাহ্য করতে ইচ্ছে করছে। আবার যদি করি সেটা চরম ওদ্ধত আচরন হয়ে যায়।

শুভ জন্মদিন বাবা। মা এভাবেই বলতো


শুভ জন্মদিন বাবা। মা এভাবেই বলতো। তবে পারিবারিক ভাবে আমার জন্মদিবসটি কখনও পালন করা হয়নি। এখনও হয়না। তবে আমার মেয়েটা, রাত ১২ টার পরপর, আমাকে উইশ করে। সারাফের মা আমাকে সামনা/সামনি উইশ করেনা, কারন আমি হেসে ফেলি এবং হাসি থামাতে পারিনা!!! তাই ভদ্র মহিলা, সকালে আমি কর্মস্থলে যাওয়ার পর, মোবাইলে উইশ করে!! বাস এতটুকুই।

আমি যখন দেশের বাইরে ছিলাম["কামলা দিতে"], তখন আমার জন্মদিবসটি খুব ঘটা করে পালন করা হয়। কোম্পানীর মালিক আমাকে খুব ভালোবাসতেন। বাহিরের দেশ গুলিতে ১ মিনিটের-ও অনেক মুল্য। লাঞ্চের পর মাত্র ১ ঘন্টা কাজ হয়েছিলো, এরপর আমার জন্মদিনটি পালন করা হয়। মালিকের কথাটি এখনও কানে বাজে। " রেজা, এখানে তুমি আমাদের পরিবারের একজন"!! আমি আবেগে কেদে ফেলেছিলাম। আমি কখনও ভুলতে পারবো না, তাদের সেই আন্তরিকতা। সেই আমার প্রথম কেক কাটা!!!।

মোবাইল হারিয়ে ফেলেছি এবং প্রায়-ই হারিয়ে ফেলি। অফিসে আসার পর শুধু ফেইস বুকে ইন করা সম্ভব হয়। গতকাল ফেইস বুকে ইন করে , মামুনের পোস্ট-টি পেলাম, সাথে এই পেজের বড় ভাই ও ছোট ভাই/বোনদের শুভেচ্ছা। আরও ছিলো, পুলক/কমু/ঝুমুর/অপু ও বন্ধু মানিকের রসে ভরপুর একটি পোস্ট।

সন্ধ্যায় "পুর্নিমাতে" আতিক কেক কাটার আয়োজন করে, সাথে ছিলো নাসের/আপেল/ছামি/অপু/রিপন। এই ছিলো আমার ২য় বারের মত কেক কাটা। ধন্যবাদ আতিককে এবং ধন্যবাদ আমার ভাইদের, যারা গতকাল সন্ধ্যায় আমাকে নিয়ে আনন্দ করেছে।

একটি পোস্ট আমাকে বড় নাড়া দিয়েছে। পোস্ট-টির একটি লাইনে লিখা ছিলো, " ফজরের নামাজের পর, আপনার জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ পরেছি, এর চেয়ে বেশি, আমি আর কি বা করতে পারি"। আমার মত একজন সামান্য মানুষ, যার লেখা/পড়ার বিদ্যা এই পেজের বেশীর ভাগ ভাই/বোনের চেয়ে কম, অর্থের কোনো জোড়-ও আমার নেই, সামান্য কিছু করে, বউ/বাচ্চা নিয়ে আমার সংসার, এই রকম একজন মানুষের জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ!!!!!!! আমার এই জিবনে হয়তো শ্রেষ্ঠ পাওয়া। সাম্মীর এই 'গিফট-টি", গতকাল আমার চোখে পানি এনে দিয়েছে।
অজস্র ধন্যবাদ মামুন সহ বড়/ছোট সকল ভাই/বোনদের। গতকাল সারাদিন আমি যা পেয়েছি, এর আগে কখনও, আমার জিবনে আসেনী। অজস্র ধন্যবাদ, csm- পেজকে।

আনিসুর রহমান রেজা, এখন তুমি নিজেকে বলতে-ই পারও,"শুভ হোক তোমার জন্মদিন"!!!!!!!!।

আজকে দুপুরে খাওয়া দাওয়া একটু বেশি হয়ে গেলো


আজকে দুপুরে খাওয়া দাওয়া একটু বেশি হয়ে গেলো। তাই ঝিমুনি আসতেছে। নবাবিতে খাবারের পর কফি খেলাম। বর্তমানে বসে আছি বন্ড কাষ্টমে। বন্ড অফিসারের সাথে দেখা করার জন্য। আসি আসি করেও এখনো আসছেন না। পাঁচ মিনিট দশ মিনিট করতে করতে এক ঘন্টা হয়ে গেলো, আসার কোন লক্ষন দেখতাছি না। কখন আসবেন সেটাও বুঝতেছি না। কাজ মানে ঠেকা আমার তাই তীর্থের কাকের মত বসে আছি। কারো জন্য অপেক্ষা করাটা কতটা বিরক্তিকর একমাত্র যে অপেক্ষা করে সে জানে। এখানেও আসার পর চা খেয়েছি। তাও ঝিমানি আসতেছে। লোকজনের আনাগোনার জন্য টেবিলে মাথাটা রাখতেও পারছিনা।

আজ সকাল সাড়ে এগারোটায় Nazmul Huda ভাই ফোন দিয়ে বললো


আজ সকাল সাড়ে এগারোটায় Nazmul Huda ভাই ফোন দিয়ে বললো দেড়টার সময় নবাবী রেষ্টুরেন্টে আসার জন্য। সাথে Shahabuddin Liton কে আনার জন্য বললো। যথারীতি ১.৪৫ টায় হাজির হলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম আগেই থেকে মোজাম্মেল ভাই, জিয়া ভাই, জসিম ভাই, মাসুক ভাই, নাজমুল ভাই, বাবু, মামুন অামাদের জন্য অপেক্ষা করছে। পরে আসলো লিটন, টিপু, টিংকু, অপু, পুলক এবং মুরাদ। সেখানে আগামি ২০ আগষ্ট পেইজের বর্ষ পুর্তি উপলক্ষ্যে আলোচনা হলো, খাওয়া দাওয়া হলো। নাজমুল ভাইকে জিজ্ঞাসা হঠাৎ করে এখানে এই প্রোগ্রামের কেন আয়োজন। পর জানতে পারলাম নাজমুল ভাই আর Jashim Uddin ভাই গতকাল সন্ধায় Ziaul Hasan ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। উনারা গতাকাল যেতে পারেন বিধায় আজকের এই আয়োজন।

শুভ সকাল বড়/ছোট ভাই


শুভ সকাল বড়/ছোট ভাই,বোন- বণ্ধুদের।।আশা রাখি সকলে ভাল আছেন।।কামনাও তাই।।আমি গতকাল (পরী এবং আশিক) নামে একটি জীবন থেকে নেয়া গল্প আপনাদের সামনে উপস্হাপন করেছি।।জানি না বিষয়টা কতটুকু গ্রহন যোগ্যতা পেয়েছে।।তবে নিতান্ত আবেগ থেকেই আমার এই উপস্হাপন।।আমাদের কলোনিতে ষ্টীলার জুটি আছেন হাতেগোনা কয়েকজন।।ওনাদের ভালোবাসার সময়কার কিছু ঘটনা যদি আমাদের মাঝে তুলে ধরতেন,এমন কিছু মধুর বা কষ্টের স্মৃতি যেগুলো ওনাদের কখনও হাসায় বা কাদায় বা এমন কিছু যেমন ওনারা লুকিয়ে দেখা করতে গিয়েছেনন,এমন সময় কেউ দেখে ফেলেছেন বা দৌড়ানি দিয়েছেন বা খেয়েছেন এই টাইপের।।তাহলে আমরা যারা ছোট আছি তারা কিছুটা উপলব্ধি করতাম যে কলোনির লাইফটা কেমন ছিল বা তখনকার চিঠির যুগের ভালোবাসাটা কেমন ছিল।।

গতকাইলকা রিপন-মানিক ভাই জোট বাধি


গতকাইলকা রিপন-মানিক ভাই জোট বাধি হেতাগো ফীরেের জন্মদিনের খানা খাইতো পেলেনের ছাদে কিছু ভক্তরে নিয়া যাইতে ছাইছিল।আমারেও নিতে ছাইছে।আমি রাজি হই নাই,এরলাগি কত কতা হুনাইলো!আমি যারা উরফে উঠছে তাগো আত্মীয়গুলারে খবর দিছি।তারা আইসা এমন গনধোলাই দিছে,এক্কারে গাল মুখ ফুলি গেছে।আর একাম কইরতে সাহস পাইতোনো।ফীরে ছলে ভক্তের ট্যাহায়,হেয় বইয়া বইয়া মজা দেখছে।মানাতো কইরতে পাইত্তো।

দেব না দেবী


অজন্তা, রুপন দা র ছোট বোন, আমাদের ক্লাসমেট। ক্লাস ফোরে উঠার পর বছরের শুরুতে রোল নং জানানো হত।তারপর বই বিতরন শুরু হত। নতুন বই পাওয়ার জন্য সবার মনে উত্তেজনা। তখন ক্লাস রুম নির্ধারিত না থাকায়, মাঠে অনেক সময় রোল কল করে ছুটি দিয়ে দেয়া হত।

ক্লাস ফোরে আমাদের ক্লাস টিচার হলেন আরজু আপা।উনি প্রথম যেদিন সবাইকে রোল নং জানাচ্ছেন, সেদিন রোলের পাশাপাশি নামও বলছেন।যখন অজন্তার পালা এল, আপা ডাকলেন, অজন্তা দেবী। শুনে অজন্তা বলে উঠল,"আপা,আমি অজন্তা দেবী না অজন্তা দেব।"
আপা বললেন, " মেয়েরা কিভাবে দেব হয়, মেয়েরা হয় দেবী "
অজন্তা আর আপার মুখের উপর কথা বলল না।কিন্তু মুখের অবস্থা খারাপ হয়ে গেল।
তার কয়েক মাস পরে আপা সিংগাপুর চলে যান।আর অজন্তাও আবার দেবী থেকে অজন্তা দেব হয়ে যায়

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss