Sunday, October 4, 2015

অফ দ্যা রেকর্ড


পড়াশুনা মাত্র শেষ করলাম। মাত্র বেকার জীবন শুরু হলো । খুব তাড়াতাড়ি কোথাও জোয়েন করে লাইফের বারো টা বাজিয়ে দেয়ার ইচ্ছে নেই। তাই কোথাও ট্রাই করছি না । রাসেল এর অবস্থাও আমার মতোই। আমাদের কাজ বলতে শুধুই সারাদিন আড্ডা মারা আর ঘুমানো । আমাদের সুখ মনে হয় রেজা ভাই এর সহ্য হলো না। দুই জন রে ডেকে CSM TV channel এ জোয়েন করিয়ে দিলো। আমি যতই বলি ভাই আমারে দিয়ে কাজ হবে না আমাদের কে দেখতে বান্দরের মতো দেখা যায় কেউ আমাদের কোন প্রোগ্রাম দেখবে না । আপনি স্পন্সর পাবেন না। চ্যানেল এর চৌদ্দ টা বাজবে । রেজা ভাই কোন ভাবেই আমাদের কথা শুনলো না। ওনার এক কথা আমার বান্দরই দরকার । কি আর করা আমাদের কাজ করতে নেমে পরতে হলো ।প্রতিদিন নতুন নতুন আইটেম নিয়ে প্রোগ্রাম সাজাতে হবে বলে একটা মোবাইল ধরায় দিলো। সাথে একটা হেড ফোন !!!
রেজা ভাই এইটা দিয়ে কি করবো ?
একজন মোবাইল কে ক্যামেরার ভেবে কাজ করবি অন্য জন সঞ্চালনা করবি ? 
এই রকম কথা কেউ বাপের জন্মেও শুনে নাই এইটা কি করে সম্ভব ? 
রেজা ভাই বললেন দেখ রাসেইল্লা আমাদের আজ কে হয়তো বাজেট কম এইভাবেই শুরু করতে হবে কিন্তু একদিন আমরা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ চ্যানেল হবো। টিআরপি তে আমরা সবাই কে ছাড়িয়ে যাবো .........

১৯৯১ এর ঘূর্ণি ঝড়ের ঘটনা


১৯৯১ এর ঘূর্ণি ঝড়ের ঘটনা। আমার বন্ধু আসিফ দের বাসায় একজন সাস্থবতি বয়সি বুয়া ছিলেন। ঘূর্ণি ঝরের পরের দিন উনি হাটু পানি থেকে মাছ ধরে তা শাড়ির মধ্যে প্যাঁ চিয়ে রাখছেন। এমন সময় এক টা বড় মাছ দেখে পিছু ছুটলেন আর হাটু পানিতে ড্রেন খেয়াল করতে না পেরে ড্রেনে পরে যান আর সব মাছ প্যাচ থেকে পালিয়ে যায়। পরে হায় হুতাস করে। (Oct 4)

১৯৯১ এর ঘূর্ণি ঝড়ের কয়েক দিন পর আমাদের প্রিয় স্কুল দেখতে গেলাম। প্রথম তলার বারান্দায়কিছু দূর হাটার পর এমন একটা যায়গায় গিয়ে দাড়িয়ে যেতে বাধ্য হলাম যেখান থেকে না সামনে মুভ করতে পারছি না পেছনে। বস্তিবাসী যারা ঘূর্ণি ঝড় থেকে বাঁচার জন্য স্কুল এ আশ্রয় নিয়েছিল তারা আমাদের স্কুলের বাড়ান্দা কে শোউচাগারে পরিনত করেছিল। কোন রকম কষ্ট করে নরম কাটা থেকে রেহাই পেয়ে একটা ক্লাস রুম এ উকি দিয়ে দেখি আমাদের বেঞ্চ গুলো তেও তারা একই কাজ করে রেখেছে। পড়া লেখায় ফাকিবায আমি স্কুল এ যেতে খুব এক টা ভাল লাগত না। তাই ভালবাসা ও কম ছিল। কিন্তু সেদিন স্কুলের জন্য খুব মায়া হচ্ছিল। (Oct 13)

বাসা বদল



আমদের বন্ধুদের মধ্যে কারো বাসা বদল করার প্রয়োজন হলে আমরা সবাই এ ব্যাপারে সহায়তা করতাম। সেটা কলোনির ভিতরে এক বাসা থেকে আরেক বাসা অথবা কলোনি থেকে বাইরে যেখানেই হোক।

কলোনির ভিতর কেউ বাসা বদল করলে আমার, Monirul Islam Monir, Mamunur Rashid রাশেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো অই নতুন বাসায় সবার আগে কে বড় বাথরুম করতে পারে। প্রায় ক্ষেত্রে রাশেদ প্রথম হতো।
৯৪ সাল থেকে আমার বন্ধুদের মাঝে বাসা ছেড়ে বাইরে বাসা নেওয়া শুরু হয়। দুলিরা বাসা চেঞ্জ করে নারিকেল তলা। মনিরুল্ রা একেবারে গ্রামের বাড়ি চৌদ্দগ্রাম, ওদের মালামাল ট্রাকে করে দুলি, রাশেদ,লিটন নিয়ে যায়। রোমান্স সংক্রান্ত জটিলতায় আমি যেতে পারিনি। হায় রোমান্স!! বন্ধুর বিদায়ের দিনেও আমি থাকতে পারিনি।

" ইমোশন স্টোরি - ২ "


আজ আতিক ভাইয়ের CSM এর বিদায় বেলার স্টাটাস পড়ে আমাদের প্রিয় তারিক ভাই অত্যাধিক ইমোশনাল হয়ে পড়েছেন!  
এত বলি ইমোশনাল হবেন না, তবুও ইমোশনাল হয়ে যায় সবাই!!!! কারন ইমোশনের পরিনতি ভালো হয় না, উদাহারন.......
আমাদের সকলের পরিচিত ইমোশনের রাজা একদিন ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলেন, অবশ্য একদিন বললে ভুল হবে, তিনি সব সময়'ই ইমোশনাল হয়ে থাকতেন!!! খুব'ই করুন অবস্থা!!!

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss