অনেক বছর আগের কথা। রোজার মাস। সকাল বেলায় বিছানাতে। মামাত ভাই সজল এসে হাজির। আমার দাদা/নানার বাড়ি পাশা পাশি, ৫মিনিটের পথ। দুজনেই আমরা চুপচাপ এবং দুজনেই কিছু বলতে চাচ্ছি!দুজনের চোখেই হাসির ঝিলিক খেলে গেল! আস্তে ধিরে বিছানা থেকে উঠে পড়লাম। কোন কথা বার্তা ছারাই দুই ভাই বাড়ি থেকে বেড় হয়ে পড়লাম। বাজার পর্যন্ত গেলাম,তাও কোন কথা হলো না! মনে মনে ভাবছি,একটি বেবি টেক্সি নিয়ে টাঙ্গাইল শহরে গেলে কেমন হয়? গ্রামের বাজার, এখানে সবাই চিনে, কেউ দেখে ফেললে, সোজা দাদার কাছে বলে দিবে। আমাকে অবাক করে দিয়ে, সজাল একটি বেবি টেক্সি ভাড়া করে বসলো! টেক্সি নিয়ে টাঙ্গাইল শহর পর্যন্ত চলে গেলাম, এখনো আমাদের দুই ভাই এর মাঝে কোনো কথা হয়নি! এবার দুই ভাই রিক্সায় উঠে বসলাম। কই যাইতেছিরে সজলা, এই প্রথম কথা হলো! ম্যালাদিন হয়ে গেছে ভাই, পরোটা আর কবুতরের মাংস খাইনা! ঠিক কথা, ম্যালাদিন হয়ে গেছে, পরোটা আর কবুতরের মাংস খাইনা! কই পামু? মিস্টির দোকানেই পামু, বে-রোজদারদের জন্য স্পেশাল আয়োজন থাকে! তবে ভাই একটু টেনশনে আছি! কেন সজলা টেনশন কেন!? আমরাতো গ্রামের বাইরে আছি? ভাই, সকাল বেলায় ঘুমের থেকে ঊঠে আব্বুরে[মামা] বাড়িতে পাই নাই! তাতে সমস্যা কি? দুরু ভাই তোমারে কোনো কথা "ভাইংগা/চুইরা" না কইলে বুঝোনা! আমাগো বাশাইল গ্রামের মধ্য, আব্বুর চেয়ে বড় রোজদার আর নাই! ইফতার করে মসজিদে, হুজুর আর এতিম পুলাপানের সাথে! ঢুকলাম দুই ভাই, কালিবাড়ির মিস্টির দোকানে। ঘিয়ে ভাজা পরোটা আর কবুতরের মাংস! খেতে খেতে হটাত সুনি পিছন থেকে কে যেন বলছে, গোপাল, আমারে একটা ছানার সন্দেশ দিও, রোজা/রমজানের দিন, না খাইয়া-ই থাকি, ডায়াবেটিস আর কত বাড়বো? আরে সজলা তুইতো ঠিকি বলছোস! মামা "ঠাটায় মারতেছে"! হোটেলের ভিতর কিছুটা অন্ধকার থাকাতে, মামার চোখে আমরা পরিনাই। বুঝলা ভাইয়া, আব্বু একটা কঠি--ন জিনিষ! হুউউম মামু আমার,মসজিদের আবার সেক্রেটারি-ও! গোপাল, একটা গোল্ডলিফ সিগারেট আনাও! শেষ সিগারেটটা খাইয়্যা যাই! হা হা হা হা হা---------------------।
সন্ধ্যার আগে আগে , মামু আমার মসজিদের দিকে যাচ্ছে, মাথায় টুপি! এতিম পুলাপান আর হুজুরদের সাথে ইফতার করবে! হা হা হা হা ------- মামু আমার কঠিন জিনিষ !।
No one has commented yet. Be the first!