Friday, September 11, 2015

স্টিল মিল কলোনি সবার সেরা কারণ


স্টিল মিল কলোনি সবার সেরা কারণ

১। কলোনিতে অনেক খেলার মাঠ ছিলো।
২। কলোনির ভিতরেই স্কুল ছিল যার পিছন দিকে কবরস্থান দিয়ে স্কুল পালানো যেতো।
৩। স্কুলের স্থায়ী মঞ্চ ছিল যার পিছন দিকে বসে ২৯ খেলা যেতো।
৪। কলোনির ভিতরেই ক্লাব হাসপাতাল মসজিদ মক্তব ছিল।
৫। কলোনিতে অনেক নারকেল গাছ আর বুইজ্জার বাগান ছিল যাতে বড়ভাইরা অপারেশন চালাতে পারতো।
৬। কলোনিতে ইউনুস ভাইয়ের দোকান (সাত্তার স্টোর) ছিল যা BBC এর চেয়ে কম না। 
৭। কলোনিতে সিমেন্ট ঢালাই করা ক্রিকেট পিচ ছিল।
আপাতত লিখে শেষ করতে পারলাম না....

আপনারা বাকিগুলো যোগ করে দিন। এখন আমার দৌড় দেয়া লাগবে...

ফোত ফোত


ফাইভে বা সিক্সে পড়ি সে সময়। পলি আপা(d-3 তে থাকতো,লিটু ভাইএর বোন) একদিন আম্মাকে বললো যে, উনারা বান্ধবীরা সিনেমা দেখতে যাবে আলমাসে সাথে আমাকেও নিয়ে যাবে। আমি তো মহাখুশি।কিন্তু যখন শুনলাম সিনেমার নাম শংখনীল কারাগার আর ভাললাগলো না।কোথায় শাবনাজ মৌসুমির সিনেমা দেখবে তা না,মেন্দামারা সিনেমা পছন্দ করসে । সেই ঐতিহাসিক দিন আসলো।সিনেমা দেখতে রওনা দিলাম কলেজ বাসে করে।সেই প্রথম কলেজ বাসে উঠা,প্রথম সিনেমা হলে যাওয়া।যাই হোক সিনেমা শুরু হইল।একেকটা ডায়লগে সবার কি হাসি।আর আমি শাবনাজ মৌসুমির জন্য আফসোস করি।সময় আর কাটেনা। সিনেমার শেষের দিকে দর্শকদের ফোত ফোত মানে নাক টানার শব্দ।এতো কান্নার কি আসে বুঝতে পারিনাই।বড় হয়ে যখন এই সিনেমা আবার দেখলাম ফোত ফোত শব্দ করার কারন টা বুঝলাম।

কেমুনডা লাগে অহন !!! কেমুনডা লাগে !!!


কেমুনডা লাগে অহন !!! কেমুনডা লাগে !!!

কিতা করতাম আমি ? কিতা করতাম ?? একটা পেরেন্ড নাই আমার !! একটাও পেরেন্ড নাই !! এইডা কুনু কতা অইলো !!

একটা কলোনির মইদ্দ্যে এতুকডি মানুষ, কত্ত কিছু হইয়ালচে, ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, পুলিশ, সামরিক বাহিনী, ব্যাংকার, নামীদামী কোম্পানির চাকুরীজীবী , কত্ত কিছু !! কত্ত কিছু অইয়ালচে !!

কিন্তু বুকের মইদ্দ্যে একটাই কষ্ট চিন চিন কইরা উডে, একটা চিনেমার নায়ক / নায়িকা পাইলাম না কেরে!!!!” উঃমাহ্...... চিন চিন করে কেরে !!!

কিতা করতাম আমি অহন !!! কিতা করতাম !!!


এতোকডি মাইনষের মইদ্দ্যে কি একটারও নায়ক / নায়িকা অওনের কুনু লক্ষন আছিল না ??? !!!!

আইসিসি চ্যাম্পিয়ানশীপ '৯৭



যে কোন কলোনি লাইফে কলোনির নিজস্ব স্কুলের প্রভাব অপরিসীম। ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশে সকল সরকারী কলোনিতে যারা বেড়ে উঠে, তারা নিজেদের মধ্যে সারাজীবন ধরে পরিচিত হয় কলোনি স্কুলের এসএসসি ব্যাচ হিসেবে। প্রাইমারির পর সিএসএম স্কুলে আর না থাকতে পারায়, কলোনির সাথে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমার একটা দূরত্ব তৈরি হয়। তাও বিএইচ-ওয়ানে থাকায় কিছুটা ক্ষতিপূরণ হলেও, ক্লাস নাইনের শুরুতে সি-টাইপে চলে আসায় আমার বিচরণ সীমিত হয়ে পড়ে কেবলমাত্র সিএসএম স্কুলের কয়েকজন ব্যাচমেটের মধ্যে; তাও মূলতঃ সিএসএম স্কুল মাঠে আসর থেকে মাগ্বরিব ক্রিকেট খেলার মধ্যেই। কিন্তু যার যার স্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর কলেজ লাইফে এসে আবার আমাদের ক্লাসমেট হওয়ার সুযোগ ঘটে। সেটা '৯৬-এর শেষে...

"ফার্স্ট ইয়ার, ড্যাম কেয়ার" (!) কলেজে এসে আমার আনন্দ সিএসএম স্কুলের ব্যাচমেটদের ফিরে পাওয়ার, আর তাদের আনন্দ কলোনির বাইরে প্রথমবারের মতো অবাধ স্বাধীনতা উপভোগের। আর যাওয়া-আসা যেহেতু ষ্টীল মিলের কলেজ বাসে সবাই মিলে একসাথে, সুতরাং হুল্লোড়ের মাত্রা কি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের চাইতে কোন অংশে কম ছিল? 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss