Friday, October 23, 2015

আমি,আপেল আর নাসের



আজ গিয়েছিলাম তারিকের ওখানে। আজো কিছু নতুনমুখ দেখলাম। সামির আব্বা আম্মা এসেছিলেন আজ। খুব ভাল লাগলো বাবা মা পর্যায়ের মানুষ জন দেখে। দেখা হল শুভ আর তার বউয়ের সাথে,এসেছিল ম্যাথিউ,কাজি(বিয়ে পড়ায় না),মনির আর যথারীতি রফিক,জাবেদ,আপেল আর নাসের। প্রায় নয়টা অব্দি ছিলাম। খুব ভাল লাগলো। আজ গাড়ি ছিল না সাথে,একবার ভেবেছিলাম যাবোনা। কিন্তু আমার একটা মেডিসিন শেষ হয়ে গেছে যা পাওয়া যায় শুধুমাত্র আনোয়ার খানে। যেতেই হবে ওদিকে তাই ভাবলাম তারিকের কাছে বসবো পরে মেডিসিন কিনে ফিরবো।তারিকের ওখান থেকে সবশেষে বের হলাম আমি,আপেল আর নাসের। 

Grand Get Together (ছোট ভাই হিসেবে কিছু কথা বলি, যদি কিছু মনে না করেন)



আমি ছোট ভাই হিসেবে কিছু কথা বলি, যদি কিছু মনে না করেন,

১) আমাদের বহু আকাঙ্খিত Grand Get Together কলোনির মধ্যে কি করা সম্ভব কিনা তা স্ব-শরীরে গিয়ে বড় ভাইরা যদি খবর নেন, তাহলে সবার মধ্য থেকে কনফিউশনটা দূর হবে, কারন অনেকে কলোনিতে হলে ভালো হয় বলে মতামত দিচ্ছে। আসল সিটিউশন সবার জানা থাকলে কারো মধ্যে আর দোমনা থাকবে না। ( যদিও আমারও সন্দেহ আছে, কলোনিতে সুন্দর করে আয়োজন করা যাবে কিনা? কারন কলোনির কোন কিছুই এখন আমাদের কারো হাতে নেই, সেই পরিবেশও নেই)

২) কলোনিতে যদি করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা বিকল্প ভালো জায়গায় আমাদের Grand Get Together এর আয়োজন করবো, সে ক্ষেত্রে আমরা Grand Get Together এর এক ফাকে, সবাই মিলে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে, বর্তমান KEPZ কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কলোনি সফরে যাব। ৩/৪ ঘন্টা সময় কাটাবো একসাথে, আড্ডা দিব। এ ছাড়াও যেখানেই যাই না কেন, সে জন্য অবশ্য গাড়ীর ব্যাবস্থা থাকবে।

(ফায়ার) ওভেন=(হ্যান্ড) ফ্রেস এর আড্ডার কিছু অংশ—



(ফায়ার) ওভেন=(হ্যান্ড) ফ্রেস এর আড্ডার কিছু অংশ—

জাম্বুরা ম্যানঃ এরে কফিক,আরে তো দুপুরে কেউ মুখে তুলি খাবার দেয় নো, খিদায় নাড়িভুরি হজম হই যাইয়ের। হেতারা তো এখোনো কিছু খাইতে দেয়নো,আইতো হুদা মুখে বইসা আছি। এরই বুজান টিনের চালে জামবুরা জিগা ঢেল মাইরছিলাম,হিগা লগে করি আইনছেননি,থাকইলে দেন হিগা চিবাই।
কফিকঃ ক্যাম সারইছে্,‌ম্যানি ব্যাগ তো ভুলে ফেলি আইছি।আপা, থালা বাসন ম্যাইজবার অভ্যাস আছেনি,টিয়া পুইসা দিতে না পাইরলে হেতারা আঙ্গো দি থালা বাসন মাজাইবো...
ক্যাইল্যাঃ ভাগ্য ভাল,আর জামাই এর– বাসায় থালা বাসন মাইজবার প্রাক্টিস আছে,আর কোনো চিন্তা নাই।ফুটু তুইলবার সময় আই ভাবিরর হাতের দিকে রেণী রইছি- অম্মা- থালা বাসন মাজি হেতের পেইছ এর থেকে হাতকে পকপকা দিয়া যায়।

ভাবছিলাম এগুলো কখনও লিখবোনা



ভাবছিলাম এগুলো কখনও লিখবোনা, কিন্তু মনের দু:খে, কষ্টে, হতাশায়,রাগে লিখছি। আমাদের এ গ্রুপে প্রায় সাড়ে পাচশ মেম্বার। তার মধ্যে প্রায় ৪০/৫০ জন নূন্যতম লাইকের মাধ্যমে হলেও এক্টিভ থাকে। বেশিরভাগ ই চুপচাপ। তাতেও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন দেখি আমাদের কলোনির অনেকে এখন বিত্তশালী হয়ে উঠেছে, তাদের টাইম লাইনে নতুন গাড়ির ছবি পোষ্ট করে, বিত্তশালী বন্ধু বান্ধবিদের নিয়ে উদ্ভট ভংগীমায় সেল্ফি দেয়, ঢাকায় দু তিনটি ফ্লাটের মালিক। তারা আবার এ গ্রুপের মেম্বার, কিন্তু ভারচুয়াল বা প্রাক্টিকাল কোন এক্টিভিটি নেই। কলোনি তে কে কিভাবে চলেছে কিছুই ভুলি নাই। আমি তাদের কাছে কোন আর্থিক বা মানসিক সাহায্য চাইনা। শুধু তারা যেন শিকড় না ভুলে।

আল্লাহর রহমতে আমাদের এক্টিভ ভাই বোনদের সহায়তায় ই আমরা এখন অনেক স্বয়ংসম্পূর্ণ। জাস্ট এই সব বড় বড় লোক দের মন মানসিকতা উল্লেখ করলাম। কাউকে কোন ব্যাক্তিগত আঘাত দেওয়ার জন্য নয়।

আমি কিছু কথা শেয়ার করলাম সকলের মতামতকে অত্যন্ত শ্রদ্দার সহিত সামনে রেখে



আসসালামুআলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি কিছু কথা শেয়ার করলাম সকলের মতামতকে অত্যন্ত শ্রদ্দার সহিত সামনে রেখে। আশা করি আমার কথা গুলুর মিনিং পজিটিভলি নিবেন। আমরা এখানে যারা আছি আমরা সবাই স্বয়ং সম্পূর্ণ। তাই আলহামদুলিল্লাহ আমাদের এই পেজ টাও স্বয়ং সম্পূর্ণ আনন্দে, আহ্লাদে। আমি মনে করি একটা দেশ চালাতে যেমন সকলের সরাসরি অংশ গ্রহন করা লাগে না তেমনি আমাদের পেজ টাও। বর্তমান সময়টাতে আমাদের পেজ এ খুবই সুবাতাস বহিতেছে সো যেভাবে যাচ্ছে যাইতে দেন। আমরা সবাই এখন সব limition পিছনে ফেলে Grand get together এর চিন্তায় খোস মেজাজে আছি...। ইভেন আমি নিজেও চিন্তায় আছি কিভাবে আমার অংশগ্রহন নিশ্চিত করা যায়, যদিও অনেক অনিচ্ছিত ব্যাপারটা। তাই আমার আকুল আবেদন থাকবে ছোট বড় সকলের কাছে কোন পোস্ট দেয়ার আগে একটু চিন্তা করা দরকার, অন্যদের motive যেন বিঘ্নিত না হয়। আশা করি সকলে বুজবেন ব্যাপারটা। ধন্যবাদ। Anisur Rahman

তারিকের latest update বলা



প্রতিদিন মেডিকেল থেকে ফিরে আমার প্রাত্যহিক রুটিন হচ্ছে বাবা-মা'র সামনে বসে ১০/১৫ মিনিট সময় নিয়ে তারিকের latest update বলা। অনেকদিন ধরেই মেডিকেলে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে থাকা বাবা মাকে আজ বাধ্য হয়েই মেডিকেলে নিয়ে গেলাম।

তারিককে এই অবস্থায় দেখে দুজনেই ভিশন অবাক হলো (যদিও আগে কখনও ওকে দেখেনি)। আর এতোজন ছেলে মেয়ে তুল্য ষ্টীলারদের এক সাথে দেখে অবাক এবং খুশীর পরিমানটা যেন আরো বেড়ে গেল। ফিরে আসার সময় বাধ্য হয়েই সবাইকে (রফিক ভাই, মনির ভাই, বাবু ভাই, বড়াপা, ম্যাথিউ, কাজী, শুভ ও শুভ'র বৌ, জাবেদ, আপেল, নাছের) বাবার উপদেশাবলী গিলতে হলো, ধন্যবাদ জানাল পুরো CSM টিমকে তারিকের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আর মা তার স্মৃতির ভান্ডার থেকে সবার উদ্দেশ্যে ফেলে আসা স্টীল মিলের সেইসব দিনগুলোর মোড়ক উন্মোচন করলো।

একই এলাকার দুই ভাই



উৎসর্গ:-আতিকcsm//একই এলাকার দুই ভাই।।একই স্কুলে লেখা-পড়া করেছিল।।সিনিয়র ভাই/93ব্যাচ,,জুনিয়র ভাই/96ব্যাচ।।ভাগ্য ক্রমে দুই ভাইয়েরই সেনাবাহিনীতে চাকরি হয়।।যোগ্যতার বলে সিনিয়রের চাকরি হয় সাধারণ সৈনিকে আর জুনিয়রের চাকরি হয় কমিশনার হিসেবে।।তো দীর্ঘ অনেক বছর পর হঠাৎ দুই ভাইয়ের মাঝে দেখা।।সিনিয়র ভাই জুনিয়র ভাইকে দেখে এতটাই আবেগে আপ্লুত হয়ে ছিল যে,,ডিপার্টমেন্টের রুল রেগুলেশন ভূলে গিয়ে জুনিয়র ভাইকে বললো,,তুই কেমন আছোছ।।তখন জুনিয়র ভাইয়ের পাশে থাকা বডিগার্ড এবং ড্রাইভার তাজ্জব হয়ে তাকে বেয়াদব বলে আখ্যায়িত করে এবং তাকে সরাতে এগিয়ে আসে।।ঠিক তখন জুনিয়র ভাই,,তাঁর দেহরক্ষী দের পথে বাধা দেয়।।জুনিয়র ভাই তখন সিনিয়রের প্রতি সম্মান জানিয়ে,সিনিয়রের আবেগের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বুকে টেনে নিল এবং দেহরক্ষীদের অতীতের পুরো ঘটনা খুলে বললো।।

" কলোনি ও ড্রেন"



"কিগো আন্নেরা বেকে মিলি একলগে কোনাই গেছেন ?"

আজকে একটা ঐতিহাসিক ছবির পোষ্ট-মটেম করবো আমরা, ছবিটির বিষয় বস্তু হল , " কলোনি ও ড্রেন"

এই ঐতিহাসিক ছবিটির মধ্যে সবাই আমাদের কলোনির কয়েকজন সুদর্শন বালককে দেখতে পাচ্ছি, তারা ছবি তোলার জন্য অনেক প্রিপারেশন নিয়ে এসেছিলেন, তা তাদের পায়ে জাম্প কেডস/ পেগাসাস/ পাওয়ার কেডস দেখে, আর পরনে সবচেয়ে প্রিয় পোষাকটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। তার উপরে তখনতো আর মোবাইলে ছবি তোলা হত না, রিল (নেগেটিভ) সিস্টেম ক্যামেরা ছিলো, ছবি তুলতে হলে অনেক আয়োজন করতে হত, কারন এক রিলে সর্বোচ্চ ৩৬ টা ছবি তোলা যেত, তাই প্রতিটা ক্লিক'ই ছিলো মুল্যবান।

চাইব একটু আদর ভালোবাসা আন্তরিকতা



সকালে যখন আজকের দিনের প্রথম পোষ্টটি দিচ্ছিলাম তখন বউ বলল, েকেনো আমি মানুষকে খোটা দিয়ে লিখছি, কেনো মানুষের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি করছি। তারে আমি কি করে বুঝাই এটা কাউকে আঘাত বা শত্রুতার জন্য নয়, এটা পুরো সিএসএম এর আবেগ। তবে আমি শুধু েনেতিবাচক দিক টিই দেখিয়েছি, এখানে আমাদের ইতিবাচক দিকটিই বেশী।

যে বন্ধু টি খুব অল্প বেতনে চাকরী করে নিজের সংসার চালাতে হিমশিম খায়, সে যখন আমাদের মহৎ উদ্যোগে শরীক হওয়ার জন্য আরেক জনের কাছ থেকে একটি হাজার টাকা ধার নেয় ,তখন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ধনী মনে হয় সেই বন্ধুকে।

কলোনি র আড্ডা র ভেন্যু কি হবে



আজকে গেলাম নিরু ভাইয়ের অফিসে।csm কলোনি র আড্ডা র ভেন্যু কি হবে।আমি এর আগে কোনদিন যাইনি।পুলক ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলাম।উনি সবকিছু বলে দিলেন।ওখানে যাওয়ার সাথে সাথে পুলক ভাই,টিনকু ভাইয়ের আন্তরিক অভ্য রথনা।মন ভরে গেল।সাথে সাজু ভাই।মনে হল অনেকদিনের চেনা।আত্মার আত্নীয়।সবাই যাবার পর আমাকে কি সাইজে দেখছিলেন সে কথা।বিব্রতকর পরিস্থিতি। শওগাত ভাই কথা বলেন কম,শুনেন বেশি কিন্তু যা বলেন কনক্রিট। নাজমুল ভাই অনেক গুছিয়ে কথা বলেন।যুক্তি দিয়ে তবে চাপিয়ে দেন না কোন কিছু।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss