Tuesday, May 31, 2016

প্রসংগ : জিপিএ ৫, মেধা,শিহ্মা ব্যবস্থা ও আমাদের সন্তানেরা


গত কাল একটা টিভি চ্যানেলে এ বছর SSC তে জিপিএ ৫ পাওয়া কিছু কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীর মেধা যাচাই করতে গিয়ে তাদেরকে যেভাবে অপমান করেছে সেটা কোনক্রমেই গ্রহনযোগ্য নয়, রীতিমত নিন্দনীয়।

জেনারেল নলেজকে বুধধিমত্তা বা মেধার মাপকাঠি বানিয়ে আমরা জাতিকে Jack of all trades. master of none করে ফেলেছি। এটা আমাদের শিহ্মা ব্যবস্থার বা নিয়োগ পরীহ্মার বড় দূরবলতা। PSC''র পর থেকেই কৃত্ত ভিত্তিক সিলেবাস/শিহ্মা ব্যবস্থা জাতিকে আরো বেশী দহ্ম মানব সম্পদ সৃস্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে । বিশেষজ্ঞ দের বিষয় টা ভেবে দেখা উচিত ।

সন্ধ্যা ৬ টা বাজে, অফিস শেষ


সন্ধ্যা ৬ টা বাজে, অফিস শেষ। বসরে বললাম আমি আজ আপনার গাড়িতে করে বাসায় যাবো। বস কইল ১৫ মিনিট বসেন, হাতের কাজ শেষ করে নেই। সেই ১৫ মিনিট উনার শেষ হইল ১২০ মিনিটে। এরপর আগারগাঁও এসে মিরপুর ১০ এর জ্যাম এড়ানোর জন্য বিকল্প রাস্তা ধরলাম, শালার এমনই কপাল ওই বিকল্প রাস্তায় আখেরি জ্যাম।তার উপর এই বিকল্প রাস্তার শেষ মাথায় এসে দেখি বের হওয়ার পথ বন্ধ। আবার আরেক বিকল্প রাস্তা ধরলাম। এভাবে এখনো চলছি।

এরেই বলে, " প্রেম করবা মনা, ঝাটার বারি খাইবানা তা হবেনা তা হবেনা"।

Anisur Rahman Reza ভাই গত তিন মাসে দুইটা মোবাইল হারিয়েছে


Anisur Rahman Reza ভাই গত তিন মাসে দুইটা মোবাইল হারিয়েছে। অবশ্য এর আগে কয়টা হারিয়েছে আল্লাহ মালুম। তাই রেজা ভাই এবং উনার মত কম বয়স্কদের জন্য পাঁচটি আদেশ/উপদেশ/নির্দেশ/ পরামর্শ দিচ্ছি। এগুলো মেনে চললে আশাকরি মোবাইল হারানোর প্রবনতা রোধ করা সহজ হবে।

১. জিপার যুক্ত পকেট ব্যবহার করা
২. মোবাইল গলায় ঝুলিয়ে রাখা।
৩. সারাক্ষন পকেটে হাত ঢুকিয়ে রাখা।
৪. হেঁটে চলাফেরা করা।
৫. জবলে নুর, সুপ্রভাত, সালসাবিল, অনাবিল, সিটিং সার্ভিস ইত্যাদি পরিহার করা।
তারপরও যদি মোবাইল হারায় তাহলে উচিত হবে মোবাইল নিয়ে রাস্তায় বের না হওয়া।

সামনে রমজান মাস আসতাছে


সামনে রমজান মাস আসতাছে মনে হয় সকলের খুশির বান ডাকতাছে,আর কিছু না হউক এই রমজানের কারণে হগলে পাঁচ ওয়াত্ত নামাজ পড়তে চায়,রমজানে আমরা সকল ঢাকা বাসী কলোনীর পোলাপান বুড়া গুড়া আনডা বাচ্চা এক সাথে হইলে কেমন হয়? অন্তত একদিন হগলে মিলে ইফতার করতে পারি,ইফতার টা মূখ উদ্দেশ্য নহে অনেক দিন পর আবার সবাই এক সাথে হবে এই আশায়, (এমনেই তারিখ মেডিকেলে আসতাছে তখন সবার সাথে সবার কিছুটা সময় হলেও দেখা হবে কিন্তুু সবারতো একসাথে দেখা হবে না মেডিকেলে)

৮০/৯০-এর দশকের কথা


৮০/৯০-এর দশকের কথা। তখন এ সময়কার দিনের মত স্যাটেলাইট চ্যানেল বা ডিশ এন্টেনা ছিলোনা, চ্যানেল ছিলো একটাই “বাংলাদেশ টেলিভিশন”। টিভির উপর ইংরেজী “V” আকৃতির একটা এন্টেনা থাকতো অনেকে আমরা এটাকে আবার এরিয়েল বলতাম। অনেক সময় এ এরিয়লেও কাজ হতোনা, তখন উঁচু বাঁশের মাথায় এন্টেনা বেধে দাড় করে রাখতাম। েএটাকে বলা হতো আউটডোর এন্টেনা। একটু বাতাসে বা অন্য কোন কারনে এ আ্উট ডোর এন্টেনা নড়েচড়ে গেলে টিভির ছবি ঝিরঝির করত। তখন ছাদের উপর বা বাইরে গিয়ে বাঁশ টি ধরে এন্টেনা ঘুরানো লাগতো আর টিভির সামনে থেকে একজন বলত ‘ হয় নাই, আরেকটু ডানে ঘুরাও, আবার বাইরে থেকে তখন বলত ‘ এখন হইছে, ভিতর থেকে জবাব আসতো না হয় নাই, এভাবে অনেকক্ষন চেষ্টার পর ঘরের ভিতর থেকে ক্লিয়ারেনস আসতো “ হু, এখন ঠিক আছে।এভাবে এন্টেনা ঘুরিয়ে ঠিকমত টিভি দেখার ব্যবস্থা করতে পারলে নিজেকে বিরাট ইঞ্জিনিয়ার মনে হতো। আর এ এন্টেনায় এলুমুনিয়ামের হাড়ি পাতিল লাগিয়ে শুধু বিটিভি না, তার পাশাপাশি ভারতের ডিডি ন্যাশনাল (সেই সময়ের ডিডি ওয়ান) চ্যানেল দেখা যেতো। সন্ধ্যার পরে দেখতাম ডিডি বাংলা (সেই সময়ের ডিডি সেভেন)েএ চ্যানেল দুটোতে ইন্ডিয়ান আন্যান্য অনুষ্ঠান দেখার পাশাপাশি সময় ভারতে অনূষ্ঠিত টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচও দেখা েহতো এ এন্টেনার সাহায্যে। 

এখনো হয়তো অনেকের মনে পড়তে পারে, দেয়ালে লেখা সেই বিজ্ঞাপন টির কথা----

"দূরদর্শনের ছবি ঝকঝকে ও পরিষ্কার দেখতে আসল ব্রিটানিয়া টিভি অ্যান্টেনা ব্যবহার করুন"। 

আজ কেনো জানি মনে হয় এখন কার স্যাটেলাইট যুগের চেয়ে সেই এলুমুনিয়ামের হাড়িপাতিল লাগানো এন্টেনার সহজ সরল যুগ টাই ভালো ছিলো।

ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলা দেখতে গিয়ে


ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলা দেখতে গিয়ে অনেক ক্রিকেটতারকাকে মোটামুটি চিনি|তবে স্বদেশের ক্রিকেটারদের আরো ভাল করে চিনি|একবার আমরা ৩জনেই সব ক্রিকেটারদের ছবি,ষ্টিকার দিয়ে পুরো ঘর খেলাঘর বানিয়ে ফেলেছিলাম|ক্রিকেট সম্পর্কীয় ১টা মোটা ফাইল আমার ছেলেরা তাদের ফাইলের সাথে সযতনে আলমারিতে রেখে দিয়েছে| সন্তানসম মুস্তাফিজকে টিভিতে দেখে ভাবছি বাংলার এই সম্পদকে যথাযথ ভাবে রাখতে পারবোতো!সদা জয়ী হোক আমাদের গর্ব,আমাদের অহংকার,আমাদের ছেলে মুস্তাফিজ|পুষ্পবৃষ্টি হোক সর্বদা!

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss