Monday, February 22, 2016

জাভেদের দেয়া ছবিগুলা দেখে মন খারাপ হয়ে গেল


জাভেদের দেয়া ছবিগুলা দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। বিশেষ করে আড্ডার আগের রাতের ছবিগুলা। রাত প্রায় বারটা পর্যন্ত ছিলাম। ঠান্ডা আমাদের উতসাহ দমাতে পারেনি। কতজন এসেছিল! আমরা সিএনজি নিয়েছিলাম ভেনুতে যাবার জন্য। চিনিনা কিছু। কাছাকাছি গিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞেস করতে করতে আগাচ্ছি,এমনসময় দূর থেকে চোখে পড়লো আলোকসজ্জা। খুশি হয়ে গেলাম।পারলে নেমে যাই। ভেতরে গিয়ে জায়গা দেখে আনন্দে মন ভরে গেল। যতটুকু দেখা যায় দেখলাম। অডিটোরিয়াম এ গিয়ে দেখি সব গিফট প্যাক করছে। কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখি। পরে গেলাম যেখানে রান্না হচ্ছে। পেয়াজ কাটা হচ্ছে,মশলা বাটা হচ্ছে। একপাশে মুরগী রাধার আয়োজন চলছে। ভাত আর মুরগী, কিন্তু স্বাদ ছিল অসাধারণ। ক্ষনে ক্ষনে এর ওর সাথে ছবি তোলা। কখনো দলবেধে। খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে ছিল লিটন। আর আমরা সবাই প্লেট হাতে দাঁড়িয়ে খাবার নেবার জন্য। এর মাঝেই সুযোগ নেবার চেস্টারও কমতি ছিল না। ওটাও ছিল আনন্দের অংশ। খাবারের প্লেট থেকে আলু ছিনতাই করাও ছিল মজার। আসলে ঈদের আগের রাতের মতই খুশি লাগছিল। আনন্দের সময়গুলা চলে যায় খুব দ্রুত আর কস্টের সময় যেন ফুরাতেই চায় না। আজব জীবন।

২০ দিন হয়ে গেলো চিটাগাং থেকে এসেছি


একটু যদি তাকাও তুমি
মেঘ গুলি হয় সোনা
আকাশ খুলে বসে আছি
তাও কেন দেখছোনা
একি আকাশ মাথার উপর
এক কেন ভাবছোনা

২০ দিন হয়ে গেলো চিটাগাং থেকে এসেছি। নো কথা/বার্তা। এই পেজের সবার প্রিয় বোন তো বলেই বসলো, "এখন ভাবির মান ভাংগান"। আরেক আদরের ছোট বোন মাঝে মাঝেই জিজ্ঞাসা করে, "ভাইয়া, সারাফের মার রাগ কমছেনি"। কমেনাই, বরং মেঘ গুলি গুমোট আকার ধারন করছে। রাতে একটু দেরি করেই বাসায় ফিরি, এখন। এড়িয়ে চলাই ভালো। 

গতকালও, বাবু ভাইয়ের ফার্মেছিতে আড্ডা মেরে রাত করে বাড়ি ফিরে, বুঝলাম, আজ কপালে খারাবী আছে।
যে কোনো মুহুর্তে, আক্রমন হতে পারে।

কোথায় ছিলে? বাবু ভাইয়ের ফার্মেছিতে একজন ভালো ডায়াবেটিসের ডাক্তার এসেছে, তার সাথে ডায়াবেটিস বিষয়ে একটু আলাপ হলো। তাই নাকি?? ডাক্তার সাহেব কি বললো?? বললো, টেনশন ফ্রি থাকতে, হাটাহাটি করতে, আর বললো একদম রাগ করা যাবেনা। 

গত বুধবার তারিকের কেবিনে গেলাম বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে


গত বুধবার তারিকের কেবিনে গেলাম বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে। গিয়ে দেখি কেউ নাই। আছে শুধু তারিক আর বাবু। কিছুক্ষণ পরে আসলো ইনান আর নুজাইমা।পরে আসলো তপু আর সোহাগ। তারওপরে আসলো Umama Iqbal। আসার পর থেকে দেখি ও খুব ফুরফুরে মেজাজে আছে। আর গুনগুন করে গাইছে "চুরি করেছো আমার মনটা হায়রে হায় মিস লংকা"। গানটা যতবার শুনি ততবারই একটা ঘটনা মনে পড়ে যায়। 

ঘটনাটি হলোঃ
মিস লংকা সদ্য মুক্তি পেয়েছে। তখনও রঙ্গীন ছবির প্রচলন খুব একটা হয়নি। তাই বড় মামা আমাদের সবাইকে নুপুর সিনেমা হলে নিয়ে গেলো মিস লংকা দেখার জন্য। বন্ধের দিন ৩টা-৬টার শো। টিকিট করা শেষে টাইম পাস করার জন্য এদিক ওদিক ঘুরছি।হঠাৎ দেখি মুক্তার স্যার মানে উনি আমাদের স্কুলে ইসলাম ধর্ম পড়ান। প্যান্ট শার্ট পড়া (উনি আবার স্কুলে যেতেন পায়জামা পান্জাবী পড়ে)। উনার এক হাতে সিগারেট আরেক হাতে কিছু বই।উনার আবার ষ্টীল মিল বাজারে একটা লাইব্রেরী আছে। স্যারের সামনে দিয়ে কয়েকবার আসা যাওয়া করছি। তারপরেও স্যারে যখন দেখেনাই আমি স্যারকে কিছু জিজ্ঞাসা করি নাই। স্যারে লজ্জা পাবে বলে। 

আড্ডা চলছে যথারীতি। চলুক আড্ডা। জয় হোক আড্ডার।


এবার, আসলে এবারই না,মানে ডিসেম্বর থেকে শুরু। সিএসেমের মিটিং এ যাবার জন্য ডাকলেন নাজমুল ভাই। খুব ইচ্ছা। কিন্তু কিভাবে যাব। পরিক্ষার খাতা বাসায়,স্কুল খোলা,ছুটি পাওয়া ঝামেলা। কিন্তু মনের অসম্ভব ইচ্ছা সব কিছু সম্ভব করে দেয়। প্রমান পেলাম যখন শুনলাম কলেজের ডিবেট টিম নিয়ে চিটাগাং যেতে হবে। খেয়ে না খেয়ে খাতা শেষ করে গেলাম। দুইটা দিন থাকলাম,একমুহুর্তের জন্য ক্লান্তি অনুভব করিনি এতটাই আনন্দে ছিলাম। ফিরে আবার অপেক্ষা কবে যাব। মাঝে মেয়েদের নিয়ে সিলেট ঘুরে এলাম। জানুয়ারি আসার সাথে সাথেই দিন গোনা শুরু। আড্ডা দিতে যাব। সেই ঘোর আজো কাটেনি। থাকুক সেটা,না কাটুক। পরে ঘুরতে গেলাম বাবার বাড়ি। এ বছরের মত হয়ত উতসব ছাড়া বেড়ানো শেষ। আড্ডা চলছে যথারীতি। চলুক আড্ডা। জয় হোক আড্ডার।