Saturday, July 30, 2016

চাইছি তোমার বন্ধুতা


আমার এর আগে কোন বন্ধুর বিয়েতে যাওয়া হয়নি, সেটা স্কুলের হোক বা ভার্সিটি র হোক।আজ গেলাম, কেন জানি,এর কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে নাই।এর আগে Rony Barua, Al Amin Billah Shujon এর বিয়ের দাওয়াত পেলেও যেতে পারিনি। যদিও এই বিয়েতে যাবার জন্য মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।কিন্তু সেখানে যে আমার জন্য এত টুইস্ট অপেক্ষা করছিল, তা জানতাম না। গাড়ি থেকে নামতেই দেখি Kal Purush মানিক। ভেতরে গিয়ে রনিকে ফোন দিলাম।সেখানে দেখি সুজন,সুজন -২, রনবীর,তপু,জুয়েল,মাসুক,সাদেক,জাহেদ,টিপু। সবাই ত অবাক। 

প্রথমেই আল আমিন সুজনের আন্তরিক অভ্যর্থনা। সাথে মানিক ত আছেই। সাদেকের সাথে অনেক দিন পর দেখা।জুয়েল ত ভালই মজা করল।আকরাম,টিপু,জাহেদ সবগুলো ত আমাকে ঘিরে ধরল।খাওয়া দাওয়ার পর সবার সাথে যখন কথা বলা শুরু করলাম, বুঝলাম, সময় গেলেও কেউ বদলায়নি এতটুকু। 

বুঝতে পারলাম বন্ধুত্ব এর রং কখনো ফিকে হয়না।এটা সবসময় রঙিন।এরকম বন্ধুতা আমি সবসময় চাই,সেটা পরজন্মে ও। কোন এক মনীষী বলেছেন,
" ভাল বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার,যদি নরকেও পাওয়া যায়"

আমার চাকুরী জীবন শুরু হয়েছে মার্কেটিং এন্ড সেলস ডিভিশনে


আমার চাকুরী জীবন শুরু হয়েছে মার্কেটিং এন্ড সেলস ডিভিশনে। চাকুরী জীবনের ১৮ বছরে আজো এই ডিভিশনেই আছি। এবং কোম্পানি র নির্দিষ্ট একটি পণ্যের হেড অফ মার্কেটিং হিসেবেই আছি। 

স্টুডেন্ট লাইফে ধারনা ছিল মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করতে হলে স্মার্ট, গুছিয়ে কথা বলা, ভিতরে যাই থাক অন্তত মুখের ভাষা দিয়ে মানুষ কে ভুলানো বা বিভ্রান্ত করার সৎ গুন বা বদগুন যেটাই বলিনা কেন সেটা থাকতে হবে। আর সত্য মিথ্যা মিলিয়ে প্রচুর কথা বানাতে হবে। আমার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কিনা জানিনা উপরের একটি গুনও আমার নেই। কোন কালেই স্মার্ট ছিলাম না, এখনো খুব ক্যাজুয়ালি অফিসে যাই, গুছিয়ে কথা কখনওই বলতে পারিনা আমি, ভিতরে এক ধরনের আর মুখে আরেক ধরন সেটা কখনওই করতে পারিনা। যেটা আসল কথা সেটা সত্য হলে মুখের উপর বলে ফেলার মত চরম ইতর আমি। তবে হ্যাঁ আমি অনেক সময় মিথ্যা বলি, তবে এতে কারো যাতে ক্ষতি না হয় এবং অপর দু জনের মধ্যে যাতে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখি। যাই হোক এই গুনাবলি না থাকলেও আমারর কাজ চালাতে সমমস্যা হয়না। কিনতু সমসস্যা হলো আজ, আর সেটাই বলছি-------

এতক্ষণ নিজের ঢোল ঢোল পিটানোর কারন হচ্ছে আজ ( ৩০/৭) আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ডেকে বলেছেন, ক্লায়েন্ট দের সাথে আমার ব্যবহার রুঢ়, এ ধরনের কমপ্লেইন্ উনার কাছে এসেছে, তাই উনি আমাকে একটু সতর্ক করলেন। আমি উত্তরে স্যারকে বলেছি যে কোম্পানির স্বার্থেই আমি রুঢ় হয়েছি। জবাবে উনি যা বললেন তা হুবহু তুলে ধরছি।

" সবসময় কড়া আচরন দিয়ে কাজ হয়না, তোমার আশেপাশে দেখবে অনেকেই আছে যারা মুখে মিষ্টি কথা দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে পারে, তার অন্তরে যাই থাকুক না কেন, মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেংগে খেতে পারে, তুমি যেটা লাখ টাকা দিয়াও পারবানা, আতিক আরো কৌশলী হও, খালি আবেগ আর কোম্পানি র নাম আর টাকা দিয়ে কাজ হবেনা"

----- আসলেই আশেপাশে একটু চোখ ঘুরালেই এ ধরনের মুখে মধু মাখা কৌশলী, অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেংগে খাওয়া লোক খুজে পাওয়া যায়।

'ফট' চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক শব্দ


'ফট' চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক শব্দ। ফট মানে ফাঁক বা ছিদ্র। আমাদের Shajib Kumer Dey অপু প্রায় সময় একটা শব্দ ব্যবহার করে থাকে। তা হলো "ফট পাইলে দলা হই"। মানে আমরা ফাঁক পেলে একত্রিত হই"। গতকালও আমরা সেইরকম একটি ফাঁক বা সুযোগ পেয়েছিলাম, তাতেই আমরা আবার একত্রিত হয়েছিলাম। আগামী ২০ আগষ্ট রোজ শনিবার সন্ধায় সিএসএম পেইজের বর্ষপূর্তি। এই 'ফট' টাকেও আমরা কাজে লাগাতে চাই। অর্থাৎ আমরা আবার একত্রিত হতে চাই। আপনারা সবাই এর আগে কিছু ফরমালিটিস আছে সেগুলি কমপ্লিট করে সেদিন সন্ধায় চলে আসবেন। কারন গ্র্যান্ড আড্ডার পরে এটাই হবে আরেকটি সান্ধ্যকালীন আড্ডা। আশাকরি সবাই উপস্থিত আমাদের ছোট "দলা" টাকে বড় দলায় পরিনত করবেন। আজকে থেকে আমাদের একটাই শ্লোগানঃ

""সিএসএম এর ভাই বোন
ফট পাইলে দলা হোন""।

Century মানে ১০০


Century মানে ১০০। ক্রিকেট খেলায় পছন্দের দলের কেউ সেঞ্চুরি করলে খুবই ভাল লাগে। আর লেখালেখিতে সেঞ্চুরি! পরিসংখ্যানবিদ Al Amin Billah Shujon যখন আপডেট দিতে লাগল তখন মনে মনে ভাবতাম আমার কি কোনদিন সেঞ্চুরি পূর্ন হবে?? (এর মধ্যে Atiq Csm ট্রিপল সেঞ্চুরি আর Niaz Morshed জনি ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলছে। অভিনন্দন রইলো তাদের জন্য)।

Quality এবং quantity কোনটায় চিন্তা করে আমি লিখি না। তাছাড়া আমার লেখার মধ্যে আমার জানামতে Quality'র Q ও নাই। আমি লিখি শুধুমাত্র আমার ভাল লাগে তাই। কে কি মনে করলো। কে কি বললো। কে লাইক দিলো, কে দিলো না। কে কমেন্টস করলো, কে করলো না, এই সব কখনো চিন্তা করি নাই। আমি যেখানে লিখি সেখানের পাঠক/পাঠিকা হচ্ছে আমার বড়/ছোট ভাই বোন। অতএব টেনসন কম। কারন ভাইবোনরা মনে মনে গালি দিলেও ফেলতেতো পারবে না!!

" নীল রং "


আগেই বলছি রং নিয়ে এটা আমার শেষ পোস্ট। এই রংটিতে ছেলে মেয়ে সবাইকে দারুন মানায়।তারুন্যের উদদীপ্ত এই নীল রং। বয়স যেন কাছেই আসতে দিতে চায়না। ছবি দেখে মনে হচ্ছে আমার চাচা ভাইদের বয়স আরো দশ বছর কমিয়ে দিয়েছে। অনেক দুষ্টুমি করে ফেললাম। ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

তন্বী .........।।


আমাদের সবার প্রিয়, প্রয়াত দীপক দা'র ভাগ্নী। আমাদেরও সবার আদরের ভাগ্নী। ছোটবেলায় অতি আদরের কারনে বেশীর ভাগ সময় থাকতো কলোনীতে, মামার বাড়ীতে। স্কুল ছিল সেই আলকরনে। সকালে দেখতাম কালু দা, উজ্জ্বল দা অথবা সজল নিয়ে যাচ্ছে স্কুলে, সেই পতেঙ্গা থেকে আলকরন(নিউ মার্কেটের ঠিক পাশে)। এখনো স্পষ্ট মনে আছে সেই পুচকে ভাগ্নিটির কথা।

আড্ডার সুবাধে প্রায় ২০ বছর পর ভাগ্নীটির সাথে দেখা। উদ্দেশ্য আমাদের আড্ডাতে নাচতে বলা। সুনেছি ভাগ্নী নাকি খুব ভালো নাচে। ভাগ্নীও আমাদের নিরাস করেনি। সে এবং তার গ্রুপের সাবলীল পরিবেশনা আড্ডায় আগত সকল স্টিলারদের অনাবিল আনন্দ দিয়েছে। সত্যি খুব ভালো কোরিওগ্রাফি ছিল ওইদিন ওদের পরিবেশনাতে।

কিন্তু মুল বিষয় সেটা না। আমাদের ভাগ্নীর মুল প্রতিভা কিন্তু অন্য শিল্পে, নাচটা সে জাস্ট শখের বসে করে, ওর মুল প্রতিভা হচ্ছে, আঁকা-আঁকিতে। ভাগ্নী আমাদের ফাইন আর্ট এর ছাত্রী। CU থেকে মাস্টাস শেষ করেছে সম্প্রতি। এবং কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ পেয়ে গতকাল সে পাড়ি দিয়েছে কলকাতার উদ্দ্যেশে।

লিখাটা লিখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, একজন শিল্পমনা মানুষ হিসেবে আমি আমার ভাগ্নীর কিছু কাজ দেখেছি ওর বাসায় গিয়ে। কিযে অসাধারণ তার কাজ নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। আমরা আসলেই অর কাজ নিয়ে গর্ব করতে পারি।

আমি আমার CSM পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের ভাগ্নীর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য আর মঙ্গল কামনা করছি।
ভালো থেকে মামনি, অগণিত স্টিলারের আশীর্বাদ তোমার সাথে রইলো।

NB:আমি আমাদের Sajal Nandi কে অনুরোধ করবো আমাদের ভাগ্নীর কিছু শিল্পকর্মের ছবি যেন সে আমাদের পেজের মাধ্যমে সকলের কাছে উপস্থাপন করে।(চাইস আবার ফইসা ন তোয়াইস)

দুদিন ধরে সাব্বিরের বাসা টা খালি


দুদিন ধরে সাব্বিরের বাসা টা খালি, সাব্বির শুধু িএকা, তার বাসার সবাই ঢাকা বেড়াতে গিয়েছে। এই খালি বাসার সুযোগ সাব্বিরের বাসায় সহজে হয়না , বন্ধুরা সন্ধ্যার পরে একে একে আসতে লাগলো। এর েএকটু পরে শুরু হলো কার্ড খেলা, আর ধুমাইয়া ধুয়া উৎপাদন তো আছেই। রাত একটু গভীর হওয়ার পর গোল হয়ে আসর বসে গেলো। কিসের আসর সেটা আশা করি সবাই বুঝে গেছেন। তবে ভাগ্য ভালো বলতে হবে, সে রাতে কেউ অতি ইমোশোনাল হয়ে বেসিনের উপর আর উদগীরন করে নাই।মোটামুটি ”ইমোশোনাল “ পর্ব টি under control ছিলো। রাত প্রায় তিন টা বাজে হঠাৎ করে দোস্ত আরমান বলে উঠলো সাব্বির কে “ এখন যদি সাব্বির তার রুমের পিছনের জানালার কাছে গিয়ে জোরে ”মীরা I Love You” বলতে পারে তাহলে সে সাব্বির কে সকালে এক প্যাকেট গোল্ড লিফ কিনে দিবে। যেই কথা সেই কাজ সাব্বিরও জোরে ”মীরা আই লাভ ইউ “ বলে চিৎকার দিলো। চিন্তা করল এতো রাতে আর কে শুনবে। 

দু দিন পরেই, মীরা সাব্বির কে বলল সেদিন রাতের বেলা এমন পাগলের মত আচরন করলে কেন ? সব নাকি সে শুনেছে এবং সব দেখেছে, খালি সে শুনে নাই, তার (মীরা) আব্বা আম্মাও শুনছে, এবং তার এ পাগলামির কারনে তাদের কাছ থেকে নাকি তাকে (মীরাকে) অনেক কটু কথাও শুনতে হয়েছে। সাব্বির শুধু এর উত্তরে বলল—প্রেমিক মানেই পাগল, আর পাগল মানেই পাগলামি। আর মীরা বলল পাগলের সাথে তো তাহলে প্রেম করা ঠিক হবেনা। যদিও মীরা এ কথাটি মজা করে বলেছিলো, কিন্ত একটি বছর পরে ঠিকই মীরা সাব্বিরকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। 
পাগল দের আসলে ভালোবাসা যায়না, পাগল রা গাগলামিই করতে পারে , তাদের পক্ষে চারটি দেয়াল আর চারটি চাকা ম্যানেজ করা সম্ভব হয়না।

তবে সাবিবরের দু:খ অন্য খানে, সে বন্ধু আরমানের কাছ থেকে আজো গোল্ডলিফের প্যাকেটি পায় নাই।

আগামী ২০শে আগষ্ট CSM Colony page এর জন্মদিন


আগামী ২০শে আগষ্ট CSM Colony page এর জন্মদিন। এটা একটা বিশেষ দিন। এই দিনে এই পেজ তৈরী না হলে আজকে হয়তো আমি আমার এতোগুলো ভাইবোনকে পেতাম না, এতোগুলো বড়ভাইয়ের আদরও পেতাম না। বয়স হিসাব করলে আমি হয়তো বুড়োর খাতায় নাম লিখিয়েছি কিন্তু বড়ভাইদের সামনে যখন যায় মনে হয় আমি এখতো স্কুলে পড়ি। বড়ভাইদের অাদর আমাদের বয়সকে বুড়ো থেকে নামিয়ে বাচ্চা বয়সের কথা মনে করিয়ে দেয়। সব বড় ভাই একই ধাচে তৈরী। সৃষ্টিকর্তা স্পেশালী CSM বাসীদের তৈরী করেছিলেন। 

আমরা ২০শে আগষ্ট নিয়ে আলোচনা করতে ছিলাম। ঐদিন যারা আসবে শুধু তারাই বুঝবে এসে কি পেলাম, আহা কতো শান্তি। আমাদের কারোরই এখানথেকে জাগতিক কিছু চাওয়া পাওয়ার নাই, আছে শুধু সম্পৃতি, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা পাওয়ার আকাংখা।

আমি এই ব্যবস্থাটাকে চীরস্থায়ী করার স্বপ্ন দেখি। আমার স্বপ্নকি সফল হবে!!!

দোয়া করবেন।

নদীর এপাড় কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস ঐ পাড়েতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস


নদীর এপাড় কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস ঐ পাড়েতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস। আমিও একটু সুখ খুঁজতে অর্থাৎ বেড়াতে আমি গতকাল গিয়েছিলাম কর্ণফুলি নদীর ঐপাড়ে খোয়াজ নগরে। গ্রামীন পরিবেশ। যদিও মাঝে মাঝে বিশাল দালান। চিটগাং সিটি কর্পোরেশনেরর আওতাধীন একটি কলেজও আছে এই এলাকাটিতে। এখানে উন্নয়নের তেমন কোন চিহ্ন নেই। নদীর এপাড় আর ওপাড় ব্যবধান মাত্র দশ টাকা। শাক সবজির দাম এপাড় থেকে সামান্য কম। কিন্তু এপাড় থেকে যেগুলি যায় সেগুলির দাম তুলনামুলক ভাবে বেশি। তবে দাম বেশি হলেও এপাড়ের সব কিছুই ওপাড়ে পাওয়া যায়। জনসংখ্যার ঘনত্ব এপাড় থেকে কম কিছুটা কম হওয়ায় এলাকাটি কিছুটা শান্ত। বড় গাড়ি কম কিন্তু রিক্সা, মোটর রিক্সা, সিএনজি, টমটম ইত্যাদির জন্য রাস্তায় হাঁটা মুশকিল। মাঝে মাঝে মনে হয় মানুষের চেয়ে গাড়ি বেশি। আমরা সবাই দিনদিন অলস হয়ে যাচ্ছি। পাঁচ / দশ মিনিটের হাঁটা রাস্তাও রিক্সা / সিএনজিতে যাচ্ছি। ওপাড়েতেও সেই কালচার / সংস্কৃতি শুরু হয়ে গেছে। মাত্র পাঁচ টাকার জন্য পাঁচ মিনিট হাঁটবো!!!

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss