আমার চাকুরী জীবন শুরু হয়েছে মার্কেটিং এন্ড সেলস ডিভিশনে। চাকুরী জীবনের ১৮ বছরে আজো এই ডিভিশনেই আছি। এবং কোম্পানি র নির্দিষ্ট একটি পণ্যের হেড অফ মার্কেটিং হিসেবেই আছি।
স্টুডেন্ট লাইফে ধারনা ছিল মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করতে হলে স্মার্ট, গুছিয়ে কথা বলা, ভিতরে যাই থাক অন্তত মুখের ভাষা দিয়ে মানুষ কে ভুলানো বা বিভ্রান্ত করার সৎ গুন বা বদগুন যেটাই বলিনা কেন সেটা থাকতে হবে। আর সত্য মিথ্যা মিলিয়ে প্রচুর কথা বানাতে হবে। আমার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কিনা জানিনা উপরের একটি গুনও আমার নেই। কোন কালেই স্মার্ট ছিলাম না, এখনো খুব ক্যাজুয়ালি অফিসে যাই, গুছিয়ে কথা কখনওই বলতে পারিনা আমি, ভিতরে এক ধরনের আর মুখে আরেক ধরন সেটা কখনওই করতে পারিনা। যেটা আসল কথা সেটা সত্য হলে মুখের উপর বলে ফেলার মত চরম ইতর আমি। তবে হ্যাঁ আমি অনেক সময় মিথ্যা বলি, তবে এতে কারো যাতে ক্ষতি না হয় এবং অপর দু জনের মধ্যে যাতে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখি। যাই হোক এই গুনাবলি না থাকলেও আমারর কাজ চালাতে সমমস্যা হয়না। কিনতু সমসস্যা হলো আজ, আর সেটাই বলছি-------
এতক্ষণ নিজের ঢোল ঢোল পিটানোর কারন হচ্ছে আজ ( ৩০/৭) আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ডেকে বলেছেন, ক্লায়েন্ট দের সাথে আমার ব্যবহার রুঢ়, এ ধরনের কমপ্লেইন্ উনার কাছে এসেছে, তাই উনি আমাকে একটু সতর্ক করলেন। আমি উত্তরে স্যারকে বলেছি যে কোম্পানির স্বার্থেই আমি রুঢ় হয়েছি। জবাবে উনি যা বললেন তা হুবহু তুলে ধরছি।
" সবসময় কড়া আচরন দিয়ে কাজ হয়না, তোমার আশেপাশে দেখবে অনেকেই আছে যারা মুখে মিষ্টি কথা দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে পারে, তার অন্তরে যাই থাকুক না কেন, মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেংগে খেতে পারে, তুমি যেটা লাখ টাকা দিয়াও পারবানা, আতিক আরো কৌশলী হও, খালি আবেগ আর কোম্পানি র নাম আর টাকা দিয়ে কাজ হবেনা"
----- আসলেই আশেপাশে একটু চোখ ঘুরালেই এ ধরনের মুখে মধু মাখা কৌশলী, অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেংগে খাওয়া লোক খুজে পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment