Saturday, May 21, 2016

রাত সাড়ে আটটার পরে কয়েকবার উঁকি ঝুঁকি মাইরা সে ফিক্সড হইছে


রাত সাড়ে আটটার পরে কয়েকবার উঁকি ঝুঁকি মাইরা সে ফিক্সড হইছে। কিন্তু সে একা আসছে। আরেক জনকে আনে নাই। মানে ডিশ আসে নাই। তাই খবর, খেলা, মিরাক্কেল কিছুই দেখতে পারি নাই। এফএম রেডিও শুনতে চাইলাম কিন্তু হেডফোন খুঁজে পাচ্ছি না। চারটার পর থেকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঘুমিয়েছি। তাই এখন ঘুম আসছেনা। সিএসএম পেইজেরেও রোয়ানু পাইছে। ডিশ না থাকাতে সবাই ঘুমানোর প্রিপারেশন নিচ্ছে। তাই আমাকে বাধ্য হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। শুভ রাত্রি।

একটু হালকা কথা বার্তা বলি এবার, বাসে এবার সিংগেল সিটই পাইছি


একটু হালকা কথা বার্তা বলি এবার, বাসে এবার সিংগেল সিটই পাইছি। তবে বৃষ্টি র পানি বাসের ছাদ দিয়া দু এক ফোটা আমার গায়েও পড়ছে। গাইড ইতং বিতং করে কিন্ত সমস্যার সমাধান হয়না। ফোন দিলাম আরামবাগ কাউন্টারের কর্মকর্তা কে, এই বেটার সাথে আবার ভাল খাতির, ওই কর্মকর্তা গাইডেরে এমন ধমক দিলো মুহূর্তেই সমস্যার সমাধান, বরং একটু পরপর গাইড খবর নিয়া গেছে আমার আর কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা।।

আমার সামনের সিটে এক বয়স্কা কালচারাল লাইনের আন্টি বসছে ( এই মহিলার মোবাইলে বিভিন্ন জায়গায় আলাপে বুঝলাম উনি কালচারাল লাইনের)। এই বুড়ি বেটি আমারে কয় ভাই এইটা কোন জায়গা ( তখন আমরা চৌদ্দগ্রাম)। এই বেটি ডাকে আমারে ভাই, মন ডায় চাইছিল! ভাইগ্য ভালা বেডি আর কোন কথা কয় নাই।

পিছনের সিটে বইছে এক মাইয়া, এইডা বলে আবার মডেলিং করে ( তারও মোবাইলের বকবক শুইন্যা বুজ্জি উনি মডেল), মাইয়ার যে চেহারা এই চেহারা লই যদি মডেল হওয়া যায়, তাইলে আমার নানি ছানি রানি যা আছে সবাই সুপার ডুপার বাম্পার মডেল।

পাশের পিছনে সিটে এক শালা সমানে নাক ডাইকা ঘুমাইছে এই দিনের বেলায়। 
শালার এই দুইন্যায় কত কিসিমের পাবলিক যে আছে।
যাক আমি ঢাকা পৌছাইছি। এখন আরামবাগ।

গতকাল সকাল থেকে অনেক রাত পর্য্যন্ত খুব চমৎকার একটা সময় পার করেছি


গতকাল সকাল থেকে অনেক রাত পর্য্যন্ত খুব চমৎকার একটা সময় পার করেছি। পুরোটা দিনই স্টিলার দের কেউ না কেউ আমার সাথে ছিল। সকালেই Jahed Tipu হোটেলে হাজির, তাকে সাথে নিয়ে Nazmul Huda ভাইয়ের ছেলে নেহাল কে দেখার জন্য চিটাগাং মেডিকেল কলেজে গেলাম, একে একে সেখানে এলেন Reajul Islam Shahin ভাই, Jashim Uddinভাই। তারপর ডাব কিনে খাওয়ার মত ট্রাজেডি কাজ করলাম। জুমার নামাজের সময় কালে মেডিকেলে নার্সিং ইনিস্টিউটের পাশে জসিম ভাইয়ের ইমামতি আর আমার মুয়াজ্জিন গিরি (!)।। ঢাকায় ফেরার জন্য টিকেট করতে হবে তাই ইচ্ছা করেই আমি জসিম ভাই শাহিন ভাই আর টিপু হেটেই দামপাড়া রও না দিলাম, ঐতিহাসিক ও আর নিজাম রোড, গোল পাহাড় এলাকার দিকে হাটছি, এবার বাদশা মিয়া রোড (ওয়ার সেমিট্রির) দিকে একটু ঘুরা ফিরার ইচ্ছা ছিল। শত হলেও স্মৃতিময় জায়গা। 

দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়া তাই আমাদের অফিস ছুটি হয়েছে


দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়া তাই আমাদের অফিস ছুটি হয়েছে। প্রচন্ড বাতাস বইছে। কোন রকমে সিটি গেইটে আসলাম। সিটি গেইটে আসার পর দেখি রাস্তায় খুব একটা গাড়ি নাই। যাত্রী ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই একটা সিএনজি আসলো। তাকে বললাম দেওয়ান হাট মিস্ত্রীপাড়ায় যাবো। কত? ভাড়া বললো আকাশ ছোঁয়া। কোন রকমে রাজি করিয়ে সিএনজিতে উঠলাম। রাস্তাঘাট ফাঁকা। একে খান মোড়ে আসার পর ড্রাইভার বললো কোন দিক দিয়ে যাবো। আমি বললাম অলংকার হয়ে পাহাড়তলি বাজার দিয়ে যান। সে আমার কথা না শুনে সোজা পোর্ট কানেক্টিং রোড দিয়ে চালাতে লাগলো। বড়পোল হয়ে এক্সেস রোড দিয়ে আসতে লাগলো। শান্তিবাগের মোড় পার হয়ে আসার পরে দেখলো রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। পানি এত বেশী যে সেখান দিয়ে সিএনজি চালানো সম্বব নয়। কি আর করা? আবার সিএনজি ঘুরালো। এবার বললাম শান্তিবাগ দিয়ে ঢুকে যান। না সে ঢুকবে না। তার কথা সে সরু গলিতে ঢুকবে না। তারপর আবার বড়পোল- নয়াবাজার- দেওয়ান হাট হয়ে মিস্ত্রীপাড়ায় ঢুকলো। শেষ পর্যন্ত আমার দেখানো রাস্তা দিয়েই আসলো। দশ মিনিটের রাস্তা বেশী বুঝার কারনে চল্লিশ মিনিট লাগালো

পুরোটা রাস্তায়ই বৃষ্টি ঝড়ছে


পুরোটা রাস্তায়ই বৃষ্টি ঝড়ছে। জানালার পাশে বসে মান্না দের গান শুনতে শুনতে পথ চলতে খারাপ লাগেনা। বৃষ্টি র দিনে মন এমনিতেই আদ্র থাকে, আর যদি মান্নার "কফি হাউজ" গান শুনি তাহলে তো কোন কথাই নেই তার উপর আমি চিটাগাং শহর ছেড়ে চলে আসছি। মন টা আসলেই খুব আদ্র হয়ে আছে।

এই চিটাগাং শহরেই আমার ও আমার ভাই বোনের জন্ম। এ শহরেই আমাদের নাড়ি পোতা। এখানেই জীবনের প্রথম ভালোবাসা, এখানেই কাটিয়েছি জীবনের শ্রেষ্ঠ স্বর্নালি দিন।

এ শহরে এখনো বাস করে আমার অশীতিপর বৃদ্ধা নানী, সদ্য চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়া অসুস্থ বড় মামা। আমার এ টুকু উঠে আসার পিছনে আমার মামাদের ভূমিকা বলে বুঝানো যাবেনা।

এ শহরের সাথে আমার আত্মা ও আবেগের সম্পর্ক। জীবন ও জীবিকার তাগিদে এ শহর ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে। প্রতিবারই যখন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় চলে আসি মন টা কষ্টে ভেংগে যায়। চট্টগ্রামে বসবাসরত রা এদিক দিয়ে সৌভাগ্যবান। অন্ততপক্ষে তাদের এ ব্যাথা উপলব্ধি করা লাগেনা।

সবশেষে দুটি কথা।
I love CSM Colony.
I love Chittagong.

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss