আজ অনেক দিন পর আমি সেই বাপের বাড়ির ফ্লেভারটা পেয়েছি। আজ দেখা হয়েছিল আমার সেই প্রিয় CSM এর ভাই, বোন ও ভাবীদের সাথে। কমু ভাই, শাহেদ ভাই,লিটনভাই ও বেবী আপা অনেক ধন্যবাদ জানায় আপনাদের সুন্দর একটি মুহূর্তে আমাকে সাথে রাখার জন্য। বেবী আপাকে এই প্রথম দেখেছি কিন্তু একবারের জন্য ও মনে হয়নি এই প্রথম দেখা। বারবার জড়িয়ে ধরছিলাম যেন কিসের একটা টান ।বিদায় জানাতে ইচ্ছে হচ্ছিল না সময়টা যেন খুব তাড়াতাড়ি চলে গেল।আনন্দের সময় গুলো মনে হয় এভাবেই তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। সবাইকে অনেক মিস করছি। আল্লাহ যেন ভাল ভাবেই তাদের গন্তব্য স্থলে পৌঁছে দেয়।।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Saturday, April 16, 2016
হাস্যজ্বল ছেলেটির নাম আবু হেলাল
হাস্যজ্বল ছেলেটির নাম আবু হেলাল।।
ব্যাচ:-2000;;
পিতা:-আঃকাদের সিকদার(মরহুম)।।
বড় ভাই:-মুসলিম সিকদার।।
বাসা:-F-6/1..
সিকদার পরিবারের সন্তান।।তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে ছোট।।শুনেছি ছোট সন্তান নাকি একটু দুষ্ট আর চঞ্চল প্রকৃতির হয়।।কিন্তু ওর বেলা দেখলাম উল্টো।।একে বারে শান্ত শিষ্ট এবং অত্যন্ত আন্তরিক।।হাসি ছাড়া সে এক মুহূর্ত থাকতে পারে না।।প্রমাণ হিসেবে তার এই ছবিটা দিলাম।।দেখেন এখানেও সে হাসছে😎।।কলোনিতে থাকাকালীন আমরা খুব ভাল বন্ধু ছিলাম।।এখনও আছি।।তবে এখন আর আগের মতো জমে না।।কারন জীবিকার প্রয়োজনে একেক জন একেক জায়গায় চলে গেছি।।তাই এখন আর আগের মতো হয়ে উঠে না।।কলোনিতে থাকাকালীন আমাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে ওদের স্টাইল গুলো ছিল অন্য দের তুলনায় সম্পুর্ন আলাদা এবং ব্যতিক্রম।।চোখে পড়ার মতো ছিল।।যেমন কাউ বয় কেপ,,কুটি ইত্যাদি।।বর্তমানেও তার ব্যতিক্রম নয়।।পেশায় একজন ব্যবসায়ী।।বৈচিত্র ধরে রাখতেই তার এই চিন্তা।।।
বেশিরভাগ মানুষই এসব পান্তা ইলিশ সাপোর্ট করেনা
বেশিরভাগ মানুষই এসব পান্তা ইলিশ সাপোর্ট করেনা। যেসব নিউজ টিভি চ্যানেলে দেখানো হয় কিংবা যাদের উৎসব পালন দেখানো হয় তারা কত % বাঙালীর প্রতিনিধিত্ব করে? বছরের অন্য সময় যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে বাংলা মাসের কত তারিখ চলে কিংবা বাংলা কোন মাস চলে, আমি নিশ্চিত তাদের ৯০% ই সঠিক উত্তর দিতে পারবেনা । বাংলা তারিখের সাথে গ্রামের মানুষের সম্পর্ক এখনও আছে। কৃষক জমির ফসলের পরিকল্পনা বাংলা মাস ধরেই করেন। গ্রামে চৈত্র সংক্রান্তি আর বৈশাখী মেলা আর হালখাতার উৎসব এখনও চলে। সেখানে মিষ্টি খাবার একটা চল আছে। অন্য খাবার নিয়ে কোন শহুরে টাইপের আদিখ্যেতা নেই। শহরে বাকির খাতাই নাই। তার আবার হালখাতা। শহরের লোক একদিনের জন্য বাংলা নববর্ষের উৎসবে মাতে। মেলাও বসে দুই একটা। সেটা আবার স্পনসরওয়ালা মেলা। সানকিতে পান্তাভাত, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ আর ইলিশ ভাজা খেয়ে বাঙালী সাজার ভণ্ডামীপূর্ণ একটা ভাব ধরে। এইটা না হইলে আজকাল আর প্রেস্টিজ থাকেনা। ফলে ইলিশওয়ালারা পকেট কাটা শুরু করে। এমনিতে এটা ইলিশ মৌসুম না। তাই দামটা আরও বাড়ে।
NWD কল করতে এক সময় খুব সমস্যা হত
NWD কল করতে এক সময় খুব সমস্যা হত। একটা লাইন পেতে অনেক সমস্যা হতো। একটা কল করতে অনেক বার ডায়াল করতে হতো। কল করতে গেলেই বার বার ভাঙ্গা রেকর্ড বাজতে থাকতো- "সব কটি লাইন এই মুহুর্তে ব্যস্ত আছে। একটু পরে আবার ডায়াল করুন"। এই কমন ডায়লগ শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যেত। সেই কষ্টের যুগে আমাদের এক বন্ধু NWD কল করতে গিয়ে বার বার এই ডায়লগ শুনে এক সময় বলতে শুরু করল " ম্যাডাম ওনাকে আমার জরুরী প্রয়োজন,প্লিজ ওনাকে একটু ফোন টা দিবেন"। এভাবে যতবার ফোন করে ততবার রেকর্ড বাজতে থাকে আর আমার বন্ধুও ততবার অনুনয় বিনয় করে একই কথা বলতে থাকে। কেউ কারো শুনেও না বুজেও না। শেষে আমার বন্ধু রাগ করে ফোন করা বন্ধ করে দিয়ে বলতে লাগল-" এত খারাপ মহিলা আমি জীবনেও দেখি নাই। এত রিকোয়েস্ট করলাম তারপরও মহিলা মহিলার কথা বলেই যাচ্ছে। আমার কথা শুনলই না"। কি আর করা বন্ধুর দুঃখ দেখে আমরা বন্ধুকেই শান্তনা দিলাম।
কলোনীর সবচেয়ে বখাটে গ্রুপ
আমাদের গ্রুপটা মানে যারা কলোনীতে দীর্ঘ সময় একসাথে চলাফেরা করেছি তারা মনে হয় কলোনীর সবচেয়ে বখাটে গ্রুপ। এই গ্রুপে ৮৩ ব্যাচ থেকে শুরু করে ৮৬ পর্যন্ত আকাইম্যাদের নিয়ে গড়া। আজব বিষয় আমাদের গ্রুপে এমন লোকও আছে যে কখন পরীক্ষায় পাস করেছে সে নিজেও জানে না। সার্টিফিকেট তুলতে গিয়ে দেখে সে অলরেডী দুবার বি এ পাস করে ফেলেছে। তো বুজুন কেমন স্টুডেন্ট। আবার এমন কেউ আছে যারে কিডনি কোথায় জিজ্ঞেস করতেই এমন এক উত্তর দিল স্বয়ং ডাঃ কনফিউজড হয়ে গেল। এবার বুজুন আমাদের কোয়ালিটি।
অবশেষে আমি রেজা ভাই আর তারিক কক্সবাজার রওনা দিলাম
Anisur Rahman Reza vai আর Ahsanul Tarique চলো আজ সংসদ ভবনের সামনে থেকে অন্য জায়গায় যাই। কই যাওয়া যায়? চলেন রমনা পার্কে যাই, আরে বাদ দেন চলেন কক্সবাজার যাইগা, দুই দিন থাকমু। উঠমু হোটেল ওশেন প্যারাডাইজ এ। ভাল জায়গা, রিলাক্স করার অনেক বিষয় আছে এখানে।
কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়, আমার আর তারিকের ফতুয়া রঙ উইঠা নষ্ট হয়া গেছে। রেজা ভাই সাবের টা কি ঠিক আছে?
অবশেষে আমি রেজা ভাই আর তারিক কক্সবাজার রওনা দিলাম। ঢাকা থেকে সকাল ১১ টার নভো এয়ারে যাবো। আমি আর তারিক সকাল দশটায় এয়ারপোর্ট এ হাজির। রেজা ভাইয়ের কোন খবর নাই। সাড়ে দশটায় রেজা ভাই হন্তদন্ত হয়ে আসলো। রেজা ভাই দেরী করে আসছে এটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, উনি এই গরমে পাঞ্জাবি র উপর আকাশী সোয়েটার পড়ছেন। আশেপাশে র লোকজন অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছেন। আমি আর তারিক লোকজন কে বুঝাতে সক্ষ্মম হলাম যে উনি জ্বরের কারনে সোয়েটার পড়ছেন। রেজা ভাই চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন আকাশি রঙ নিয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা। আমরাও কিছু বললাম না। যাক ঠিক টাইমেই প্লেন ছাড়লো।
কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়, আমার আর তারিকের ফতুয়া রঙ উইঠা নষ্ট হয়া গেছে। রেজা ভাই সাবের টা কি ঠিক আছে?
অবশেষে আমি রেজা ভাই আর তারিক কক্সবাজার রওনা দিলাম। ঢাকা থেকে সকাল ১১ টার নভো এয়ারে যাবো। আমি আর তারিক সকাল দশটায় এয়ারপোর্ট এ হাজির। রেজা ভাইয়ের কোন খবর নাই। সাড়ে দশটায় রেজা ভাই হন্তদন্ত হয়ে আসলো। রেজা ভাই দেরী করে আসছে এটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, উনি এই গরমে পাঞ্জাবি র উপর আকাশী সোয়েটার পড়ছেন। আশেপাশে র লোকজন অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছেন। আমি আর তারিক লোকজন কে বুঝাতে সক্ষ্মম হলাম যে উনি জ্বরের কারনে সোয়েটার পড়ছেন। রেজা ভাই চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন আকাশি রঙ নিয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা। আমরাও কিছু বললাম না। যাক ঠিক টাইমেই প্লেন ছাড়লো।
আমি আর তারিক পাশাপাশি সিটে আর রেজা ভাই সিংগেল সিটে। রেজা ভাইয়ের মতিগতি ভাল ঠেকছেনা। সুন্দরি এয়ার হোস্টেজের সাথে হাস্য মুখে কি জানি গুজুরগুজুর করছে, আর আমি মনে মনে বলছি, আল্লাহ তাড়াতাড়ি এক ঘন্টা পার করাও, কক্সবাজার গিয়া নামি। নাহলে সারাফের মা যে আমাগো কপালে কি রাখবে মাবুদে খোদা জানে। সময়মতই কক্সবাজার নামলাম। রেজা ভাইরে জিজ্ঞাস করলাম এয়ার হোস্টেজের সাথে কি এত আলাপ, রেজা ভাইয়ের উত্তর, তারিকের লাইগা মাইয়াডারে পছন্দ হইছে।
ছেলে ও মেয়ে দুজনেই কলোনির বাইরের,সম্ভবত মেয়ে মাদারবাড়ির ও ছেলে আন্দরকিল্লা এলাকার ছিল
ছেলে ও মেয়ে দুজনেই কলোনির বাইরের,সম্ভবত মেয়ে মাদারবাড়ির ও ছেলে আন্দরকিল্লা এলাকার ছিল। দু জনের মধ্যে সাংঘাতিক মোহাব্বত। ঘটনা চক্রে তাদের সংগে আমার পরিচয় ছিল। দু জনেই সিদ্ধান্ত নিল গোপনে বিয়ে করবে। বিয়ে কর ভাল কথা। কিন্ত এই বিয়ের অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান বানাইছে আমারে। মানে তাদের বিয়ের আদালত উকিল, কাজী সব আমিই ম্যানেজ করলাম। এমন কি এই বিয়ের একজন স্বাক্ষিও ছিলাম আমি। সব কিছু ঠিক মতই হলো।
দু মাস পর দু পরিবার সব কিছু জেনে যায় এবং মেনে নেয় ও খুব ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠানও করে। কিন্ত কিছুই জানতে পারিনি আমি। বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত দূরে থাক সামান্য সৌজন্যতাও দেখায় নি, অথচ তাদের জন্য আমি কত কষ্ট করেছিলাম।
এরেই বলে আমি কার খালুরে !!
জন্মদিন সমাচার....
আল্লাহ একটা নির্দিস্ট সময় পর্যন্ত হায়াত দিয়ে আমাদেরকে পাঠিয়েছেন। তাইতো আমাদের কারো জন্মদিন মানে আল্লাহর দেয়া সেই নির্দিস্ট সময় থেকে একটা বছর কমে যাওয়া। তার মানে জন্মদিনটা উৎসবের না হয়ে বরং মন খারাপেরই। কিন্তু তারপরেও প্রিয়জনের জন্মদিনে তাকে উইশ করতেই হয়। আর সে যদি হয় অন্তরের অন্তরস্থলে থাকা কেউ তাইলেতো কথাই নেই।
আজ আমার মেঝ মা ইনানের জন্মদিন। মা'টাকে শুরু থেকেই দেখছি ভীশন সুন্দর, চঞ্চল। আর অল্পতেই সবার সাথে মানিয়ে নেওয়ার অসাধারন ক্ষমতা রাখে। সুন্দর সুন্দর মজার কথা বলে আড্ডা জমিয়ে রাখার বিস্ময়কর ক্ষমতা ও খিলখিল করেও হাসতে পারে যে কোন সময়। কখনও মন খারাপ করতে দেখিনি। সারাক্ষন ঠোঁটের কোনায় মিস্টি একটা মায়াবী হাসি লেগেই থাকে। অল্পতেই সবাইকে আপন করে নিতে পারে এবং খুব্বি মিশুক বলেই ইনান নামটা ধারনকারী মা'টা আমাদের সবারই খুব্বি প্রিয়।
জীবনে অনেক বড় হ মা আর মায়ের ইচ্ছেগুলো এক এক করে পূরন কর এটাই কামনা। শুভ জন্মদিন মেঝ মা। ভাল থাকিস প্রত্যেকটা মুহুর্ত।
Subscribe to:
Posts (Atom)