Anisur Rahman Reza vai আর Ahsanul Tarique চলো আজ সংসদ ভবনের সামনে থেকে অন্য জায়গায় যাই। কই যাওয়া যায়? চলেন রমনা পার্কে যাই, আরে বাদ দেন চলেন কক্সবাজার যাইগা, দুই দিন থাকমু। উঠমু হোটেল ওশেন প্যারাডাইজ এ। ভাল জায়গা, রিলাক্স করার অনেক বিষয় আছে এখানে।
কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়, আমার আর তারিকের ফতুয়া রঙ উইঠা নষ্ট হয়া গেছে। রেজা ভাই সাবের টা কি ঠিক আছে?
অবশেষে আমি রেজা ভাই আর তারিক কক্সবাজার রওনা দিলাম। ঢাকা থেকে সকাল ১১ টার নভো এয়ারে যাবো। আমি আর তারিক সকাল দশটায় এয়ারপোর্ট এ হাজির। রেজা ভাইয়ের কোন খবর নাই। সাড়ে দশটায় রেজা ভাই হন্তদন্ত হয়ে আসলো। রেজা ভাই দেরী করে আসছে এটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, উনি এই গরমে পাঞ্জাবি র উপর আকাশী সোয়েটার পড়ছেন। আশেপাশে র লোকজন অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছেন। আমি আর তারিক লোকজন কে বুঝাতে সক্ষ্মম হলাম যে উনি জ্বরের কারনে সোয়েটার পড়ছেন। রেজা ভাই চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন আকাশি রঙ নিয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা। আমরাও কিছু বললাম না। যাক ঠিক টাইমেই প্লেন ছাড়লো।
কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়, আমার আর তারিকের ফতুয়া রঙ উইঠা নষ্ট হয়া গেছে। রেজা ভাই সাবের টা কি ঠিক আছে?
অবশেষে আমি রেজা ভাই আর তারিক কক্সবাজার রওনা দিলাম। ঢাকা থেকে সকাল ১১ টার নভো এয়ারে যাবো। আমি আর তারিক সকাল দশটায় এয়ারপোর্ট এ হাজির। রেজা ভাইয়ের কোন খবর নাই। সাড়ে দশটায় রেজা ভাই হন্তদন্ত হয়ে আসলো। রেজা ভাই দেরী করে আসছে এটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, উনি এই গরমে পাঞ্জাবি র উপর আকাশী সোয়েটার পড়ছেন। আশেপাশে র লোকজন অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছেন। আমি আর তারিক লোকজন কে বুঝাতে সক্ষ্মম হলাম যে উনি জ্বরের কারনে সোয়েটার পড়ছেন। রেজা ভাই চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন আকাশি রঙ নিয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা। আমরাও কিছু বললাম না। যাক ঠিক টাইমেই প্লেন ছাড়লো।
আমি আর তারিক পাশাপাশি সিটে আর রেজা ভাই সিংগেল সিটে। রেজা ভাইয়ের মতিগতি ভাল ঠেকছেনা। সুন্দরি এয়ার হোস্টেজের সাথে হাস্য মুখে কি জানি গুজুরগুজুর করছে, আর আমি মনে মনে বলছি, আল্লাহ তাড়াতাড়ি এক ঘন্টা পার করাও, কক্সবাজার গিয়া নামি। নাহলে সারাফের মা যে আমাগো কপালে কি রাখবে মাবুদে খোদা জানে। সময়মতই কক্সবাজার নামলাম। রেজা ভাইরে জিজ্ঞাস করলাম এয়ার হোস্টেজের সাথে কি এত আলাপ, রেজা ভাইয়ের উত্তর, তারিকের লাইগা মাইয়াডারে পছন্দ হইছে।
ওশেন প্যারাডাইজে উঠলাম।আগে থেকেই রুম বুক করা ছিল।
এখানেও সবাই রেজা ভাইয়ের সোয়েটার এর দিকে অবাক ভাবে তাকিয়ে আছে, মোটামুটি ওদের বুঝালাম উনি এসির ঠান্ডা সহ্য করতে পারেন না তাই সোয়েটার পড়ছেন। আর রেজা ভাইরে জিজ্ঞাস করলাম, আপনি এই গরমে এই সোয়েটার পড়ছেন কেন? রেজা ভাই বলল বইনে একটা আকাশী ফতুয়া দিছিল, দুই দিন পড়তে না পড়তেই ছিড়া গ্যাছে, আকাশী আমার খুব প্রিয় রঙ আর কোন আকাশী ড্রেস না থাকাতে ওই সোয়েটার পড়ছি।
দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর সুইমিংপুল এ দাপাদাপি করলাম। ঐ খানে তারিক রে নিয়া পড়ছি আরেক ভেজালে,পুলে কিছু হাস্যময়ি লাস্যময়ী ললনাদের সাথে খাজুইরা আলাপ পাতাই দিছে সে।
বিকেলে গেলাম বিচে, দেখি রেজা ভাইয়ের আকাশী সোয়েটার গায়ে নেই, নরমাল একটা সাদা টি শার্ট, জিজ্ঞেস করতেই বললেন,"আরে ব্যাটা সমুদ্রের ধারে আইসা আকাশী ড্রেস পড়া লাগেনা,উপরে নীল আকাশ আর নীচে আকাশী সমুদ্র, আর সবার মনের ভিতর তো সবসময় একজন আকাশী আছেই"। রেজা ভাইয়ের কথা শুনে আমি আর তারিক দু জনেই চুপচাপ হয়ে গেলাম।
সাগরের কাছে এলে মানুষের হৃদয় বিশাল হয়। সেই বিশাল হৃদয়ের কোন এক কোনে হয়ত কোন এক আকাশি মাঝেমাঝে খোঁচা দেয়।
পর দিন সকালের ফ্লাইটেই তিন জনই ঢাকা ফিরে এলাম।।
(রেজা ভাই, আমরা তারিক নামের একটি জাহাজ সাগরে ভাসিয়েছি, যার ক্যাপ্টেন আপনি, আর আমরা সবাই নাবিক। যে করে হোক জাহাজ টি আমাদের কাংখিত বন্দরে পৌঁছাতে হবে, এরপর আমরা তিনজন এভাবে কক্সবাজার ঘুর আসবো, আমি কথা দিচ্ছি। আর আপনি অবশ্যই সেদিন আকাশী সোয়েটার টি পড়বেন, যতই গরম পড়ুক না কেনো।)
No comments:
Post a Comment