Monday, February 15, 2016

চিটাগাংয়ের স্টীলাররা এতই বেশী প্রোগ্রামমুখী আর খাওয়াখাওয়ী মুখী


চিটাগাংয়ের স্টীলাররা এতই বেশী প্রোগ্রামমুখী আর খাওয়াখাওয়ী মুখী মাঝে মধ্যে ভাবি অফিস থেকে ট্রান্সফার লেটার নিয়ে বৌ-পোলাপাইনসহ চিটাগাংয়ে ঘাঁটি গারবো কিনা!!!

তাইলে অমুকের জন্মদিন, তমুকের বিবাহ বার্ষিকী, অমুকের মেজবানী, তমুকের সাদি মোবারক ইত্যাদি প্রোগ্রামে এটেন্ড করতে পারতাম।

এই মুহুর্তে পুলকের বার্থডে সেলেব্রেশনটা মিস করছি। এর আগে মিস করেছি সুজনেরটা। তার আগে কমু ভাইসহ সবার সাথে মেজবানী খাওয়া। আহারে কেবল খাওয়া আর খাওয়া।

আরো আছে ১৬ ডিসেম্বরে কিংবা ২১ ফেব্রুয়ারীতে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া। সবইতো মিসিং এর খাতায় যুক্ত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশী মিস করছি চিটাগাংয়ে থাকা (চিটাগাংয়ের বাহিরে যারা আছে তাদেরকেও) আমাদের সব স্টীলার ভাই-বোনদের যাদেরকে মন ভরে দেখেছি, কোলাকুলি করেছি প্রানের সাথে প্রান মিলিয়ে আর হৃদ্ধতা বাড়িয়েছি ২৯ জানুয়ারীতে প্রায় দেড় যুগ পরে।

স্টীলাররা যে যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন সবাই সবসময় ভাল থাকুক, সুস্থ থাকুক।।।।

তারিকের ফান্ড & বর্তমান অবস্থা


তারিকের ফান্ডঃ- চিটাগাং-- 3,21000Taka.
                       ঢাকা-- 1,67,400Taka.
---------------------------------
                      Total --- 4,88,400Tak.
খরচ--
১. তারিকের আসার খরচ - ১০০০০টা।
২.পপুলার হাস্পাতাল--৭২০০০টা।
৩. টেস্ট -৪০০০টা।
৪. জুতা-৬০০০টা।
৫.ডিভাইস সু----------- ৪০০০টা
৬. ই,এস,টি--------৫০০০টা
৭. Ambulance ----১৫০০টা
৮. ঢাকা মেডিকেল --১০৩০০০টা।(কবিন, ঔষধ, টেস্ট, থেরাপ,খাবার)।
৯. মগবাজার কমিউনিটি এখন পর্যন্ত- ৬২,৫০০টা।
১০. তারিক --৩০,০০০টাকা (তারিকের খরচ)। 
------------------------------------------------------------ মোট খরচ---২,৯৮,০০০টাকা।
মোট ফান্ড---৪,৮৮,৪০০টাকা।
বর্তমান জমা আছে--- ১,৯০,৪০০টাকা। 
ঢাকায় আছে- ১,৬৯,৪০০টাকা।
চিটাগাং আছে-- ২১০০০টাকা।

কলোনীতে আমি আসি ৮৭ সালে


কলোনীতে আমি আসি ৮৭ সালে, আর বের হয়ে যাই (বের হয়ে যাই না বলে বলা উচিৎ আমাদের বের করে দেওয়া হয়) ২০০০ সালে, অর্থাৎ মোট তেরো বছর ছিলাম। এই তেরোটি বছর ছিলো আমার জীবনের সুবর্ন সময়।

সাধারনত একটি নতুন স্থানে এলে সংগী সাথী যোগাড়ে সমস্যা হয়,কিন্তু ৮১ সাল থেকেই কলোনীর ভিতরের স্কুলে পড়ার কারনে কলোনীতে নতুন এসে বন্ধুত্ব করতে সমস্যা হয়নি আস্তে আস্তে বন্ধু বাড়তে লাগলো (বান্ধবীও বোধ হয় জুটেছিলো)। ক্লাস মেট বন্ধু তো ছিলোই সাথে আরও বাড়তে লাগলো জুনিয়র সিনিয়র বন্ধু, এদের আমরা বড় ভাই বা ছোট ভাই পরিচয় দিতাম।

১৯৯৯ সালের ৯ ই সেপ্টেম্বর


বলেছিলাম এই পেজে সক্রিয় থাকব তাই মাঝে মাঝে লিখা...কিন্তু তারপরও পারি না... দুঃখিত!! কারন আমি আসলে সময়ের সাথে পেরে উঠি না...। আর ও কিছু কারন আছে, বলব তবে এখন না......সময় হোক তখন বলব পরিবেশ পরিস্তিতি বুঝে।

১৯৯৯ সালের ৯ ই সেপ্টেম্বর এই তারিখটা আমার পরিবারে অন্য কারও মনে আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে কিন্তু আমার খুব মনে আছে যেদিন একটা বড় ট্রাক এসেছিল আমাদের কফিনে করে বেধে কলোনি থেকে ছুড়ে ফেলার জন্য, অন্য আর দশটা পরিবারের মত...। আমার সব বন্ধুই এসেছিল সেইদিন কিন্তু তারপর ও একা একা লাগছিল... কিন্তু এমনটি তার আগের দিন ও লাগে নাই... আসলে মোটেও প্রস্তুতি ছিলাম না...এমন একটা দিন মেনে নিতে হবে...আর সেই দিনটাই এখন জীবনে পরিনত হয়ে গেছে...... অর্থাৎ সারা জীবনের জন্য সব হারিয়ে ফেলেছিলাম...।

আজ পুলক ভাইয়ের জন্মদিন


আজ পুলক ভাইয়ের জন্মদিন।অনেকদিন আগে এই দিন টাতে উনার পৃথিবীতে আগমন নিশ্চয় চাচা চাচীকে অনেক পুলকিত মানে আনন্দিত করেছিল।

এই সেই পুলক ভাই যাকে ছোটবেলায় অফিসারস ক্লাবে বা বি এইচ ওয়ানের মাঠে খেলতে দেখতাম।উনার সমবয়সী রাজন, লিটন ভাইদের মুখে যেখানে কথার খই ফুটত সেখানে পুলক ভাই হাজারে একটা কথা বলত, বেশিরভাগ সময় চুপচাপ। 

অথচ উনার আব্বা হারুন চাচাকে অনেক স্মার্ট লাগত।চোখে সানগ্লাস, গোফ ওয়ালা, হোন্ডায় চড়তেন। আজকালকার দাবাং এ সালমান খান, সিংহাম এ অজয় দেবগন,কিংবা রৌডি রাথোড় এ অক্ষয় কুমার দের লুকের সাথে মিলে যায়।সেই মানুষ টার ছেলে এত ভোলাভালা কেন, মনে প্রশ্ন জাগত।

সেই পুলক ভাইয়ের সাথে দেখা বহুদিন পর নিরু ভাইয়ের অফিসে।সময় বদলালেও পুলক ভাই কিন্তু আগের মতই শান্ত তবে কথা বলেন গুছিয়ে।আমার ঘাড়ে হাত রেখে যখন কথা বলছিলেন তখন মনে হচ্ছিল অনেক আপনা লোক।
হুম।পুলক ভাই আসলেই একজন ভাল মানুষ, সোজা সরল মানুষ।এই মানুষ টা আরো অনেকদিন বেচে থাকুক সুস্থ হয়ে, মাথার উপর ছায়া হয়ে। শুভ জন্মদিন পুলক ভাই, বেঁচে থাকুন আরো অনেক বছর

আজ আমার জন্মদিন


আজ আমার জন্মদিন।আজকে আমার জন্য সব মাফ।আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে কিছু শক্ত কথা বলিঃ

এই পেজটার শুরু বিশাল আবেগ দিয়ে।সকলের আবেগের মিশ্রিত আবেগে ঠিক হলো গ্র্যান্ড আড্ডা হবে।তবে আমাদের এত শীগ্রই করার ইচ্ছে ছিলোনা,শীগ্রই হতে হলো ঐযে বললাম আবেগ সেই আবেগের কারনে।এই আবেগের কারনেই আমাদের অনেক ভাই বোন পরিশ্রম করে গ্র্যান্ড আড্ডা সফল করলো।যে আমি, অফিস বাসা এই দুইয়ের মাঝে অন্য কোথাও সময় দিতামনা, সেই আমি গত কয়েক মাস বাসায় ফিরতে লাগলাম রাত ১০/১১টায়,আমার মা বাবা অবাক এই ছেলে আবার আড্ডা দেয়!!?।এখানে শুধু আমার গানই গাচ্ছি অন্যদের কথা বললামনা,তবে আমরা সবাই জানি কারা কারা কাজ করেছে নিঃশ্বার্থভাবে, তাদের সবাইকে স্যালুট।অনুষ্ঠানের তিনদিন আগে হঠাৎ শুনতে পেলাম,যাদের থেকে টাকা পাওয়ার আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিলো(যেহেতু মাত্র ১৫০০টাকা দিয়ে এক ফ্যামিলির চার বেলা ইত্যাদি সম্ভব না,সেহেতু কিছু ব্যাক্তির কাছ থেকে এক্সট্রা টাকা চাওয়া)আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছিলো না।আমি নিজেও বড় ভাইদের সাথে রাগ করেছিলাম এই বলে যে” আমাকে ইভেন্ট গ্রুপে রাখবেন অথচ আমার মত(বাজেট) করে যদি ইভেন্ট করতে না পারি তাহলে আমি নাই”।শেষে মাসুক ভাই সবাইকে অভয় দিয়ে বলল তোরা তোদের কাজ তোরা করে যা টাকার ব্যাপারটা আমরা দেখছি।আমরা পুরুদমে সতস্ফুর্তভাবে কাজ করতে থাকলাম।গ্র্যান্ড আড্ডা সফল হলো।

আমি জীবনের প্রথম ইংজেরি গান শুনি পুলক ভাইএর কাছে


আমি জীবনের প্রথম ইংজেরি গান শুনি পুলক ভাইএর কাছে। সেই আমলের একটা বড় ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল উনার কাছে। সেখান থেকে ভেসে আসত মাইকেল জেকসন এবং আরও অনেকে। উনি বেশ জোরেই গান শুনতেন। বেশ ভালো লাগতো। আস্তে আস্তে ইংজেরি গান ভালো লাগতে শুরু করল। থাঙ্কু পুলক ভাই। শুভ জন্ম দিন।

মানিক- BH-1

কাল খুব ব্যাস্ত ছিলাম ও মনটা ভাল ছিল না তাই আজ সকালে লিখলাম


কাল খুব ব্যাস্ত ছিলাম ও মনটা ভাল ছিল না তাই আজ সকালে লিখলাম।
১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস। ভালবাসার মানুষ যে কেও হতে পারে। আপনি আপনার মাকে ভালবাসেন তার জন্যে দিবস লাগেনা।
সন্তানকে ভালবাসেন তার জন্যে দিবস লাগেনা। প্রতিদিনইতো তার জন্যে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন। নাহয় একদিন ঘটা করে জানালেন আই লাভ ইউ। দোষের কি?
ভাইবোনকে ভালবাসেন তার জন্যে দিবস লাগেনা। আত্বীয় স্বজনকে ভালবাসেন তাতেও দিবস লাগেনা। ভালবাসা প্রতিদিনের। না হলে এই পৃথিবী সুন্দর হতনা।
শিক্ষক এতো কষ্ট করে পড়ে শিক্ষক হন যাতে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ উপকৃত হন। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবে বলে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss