কলোনীতে আমি আসি ৮৭ সালে, আর বের হয়ে যাই (বের হয়ে যাই না বলে বলা উচিৎ আমাদের বের করে দেওয়া হয়) ২০০০ সালে, অর্থাৎ মোট তেরো বছর ছিলাম। এই তেরোটি বছর ছিলো আমার জীবনের সুবর্ন সময়।
সাধারনত একটি নতুন স্থানে এলে সংগী সাথী যোগাড়ে সমস্যা হয়,কিন্তু ৮১ সাল থেকেই কলোনীর ভিতরের স্কুলে পড়ার কারনে কলোনীতে নতুন এসে বন্ধুত্ব করতে সমস্যা হয়নি আস্তে আস্তে বন্ধু বাড়তে লাগলো (বান্ধবীও বোধ হয় জুটেছিলো)। ক্লাস মেট বন্ধু তো ছিলোই সাথে আরও বাড়তে লাগলো জুনিয়র সিনিয়র বন্ধু, এদের আমরা বড় ভাই বা ছোট ভাই পরিচয় দিতাম।
খেলাধূলার প্রতি প্রচন্ড টান ছিলো সে সুবাদে খেলতে গিয়ে মাঠে অনেক বন্ধু জুটে গেলো। স্কুল জীবনেই স্থানীয় ছাত্র রাজনীতিতে ঢুকে গেলাম, সেখানে পেলাম নাজমুল ভাই জসীম ভাই নিরূ ভাই,বাবু দা,রিপন ভাই েদের। বিপরীত মেরুর মতাদর্শ স্বত্তেও শাহীন ভাই ,জাফর ভাই,নুরু ভাই,মানিক ভাই এর কাছে ছিলাম স্নেহের পাত্র। শাপলা কুঁড়ির আসরে পেলাম জিয়া ভাইকে, আবাহনী মোহামেডান নিয়ে হইচই করতে করতে আর ইস্পাত যুব ক্রিকেটে পেলাম বাবলা ভাই,ইকবাল ভাই,রেজা ভাই এদেরকে। আর এই ক্রিকেট ক্লাব টি আমাকে আরো নিয়ে এলো টিটু ভাই,অপু ভাই,মোর্শেদ ভাই,মিঠু ভাই দের কাছে । আম্পায়ারিং এ আমি ছিলাম মিতু ভাই এর শিষ্য। এপ্রিল 29 করতে গিয়ে পেলাম জাফর ভাইকে সাথে আমার বন্ধুদের পাশাপাশি অনেক ছোট ভাইও জুটে গেলো।
হয়ত সব বড় ভাইদের নাম এই মূহূর্তে মনে করতে পারছিনা, আপনাদের সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পূর্বক বলছি আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে অল্প কিছু সময় কলোনীতে পার করেও আপনাদের সবার কাছে আমি ছিলাম গ্রহন যোগ্য ও যথেষ্ঠ মূল্যায়িত।
ছোট ভাইদের কথা কি আর বলব, সিএসএম এর মত এমন ছোট ভাইরা থাকলে গ্রান্ড আড্ডার মত এমন জমজমাট অনুষ্ঠানের জন্য নিশ্চিন্তে থাকা যায়।
আর আমার কলোনীর সমবয়সী বণ্ধুরা, আমি তোদের সবসময় মিস করে আসছি এবং সব সময় মিস করতেই থাকব।
No comments:
Post a Comment