Monday, November 9, 2015

খেলাধুলায় তেমন ভালো না হলেও এর প্রতি প্রচন্ড টান ছিলো



খেলাধুলায় তেমন ভালো না হলেও এর প্রতি প্রচন্ড টান ছিলো। চিটাগাং ষ্টেডিয়ামে গিয়ে নিয়মিত লীগের ফুটবল খেলা গুলো দেখতাম ( আমি অবশ্য মাগনা খেলা দেখতাম, মামার কল্যানে প্রতি বছর ভিআই পি পাশ পেতাম) আর টিভিতে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা থাকলে আমাকে হাতি দিয়েও টেনে সরানো যেতোনা।

আমার খেলা প্রীতি কিছুটা বংশগত হলেও বাকী পুরোটা ছিলো আমাদের সি টাই প মাঠের কারনে, এখানে হাত পা ছুড়াছুড়ি করতে করতেই খেলার প্রতি প্রবল প্রেম শুরূ। বিকালে স্কুল থেকে এসে কোনমতে বই খাতা টেবিলে ছুড়ে মেরে সোজা মাঠে ফুটবল খেলতে চলে যেতাম, খেলতাম মাগরিব পর্য্যন্ত। 

চার বা সাড়ে চার বছর বয়সে



চার বা সাড়ে চার বছর বয়সে সি-টাইপের তিনতলার বাসার বারান্দায় ন্যাংটু হয়ে নেচে নেচে গান গাচ্ছিলাম আমি।দোতলায় আশিক ভাই(৯৫-ব্যাচ)এর আম্মা রান্না ঘরে যাবার পথে আমাকে ঐ অবস্থায় দেখে মুচকি হাসতে হাসতে চলে যান। আর আমি লজ্জায়(!?) নিজের ইজ্জতের বাকিটুকু নিয়ে দৌড়ে রুমের ভিতর চলে যাই!! পরবর্তীতে চাচী আমার আম্মাজানকে বলেন," ভাবী, রাজীবকে গান শিখান "।চাচীর এই কথা শুনে আম্মা আমাকে চন্দন চাচীর কাছে গান শিখাতে নিয়ে যান এবং সেই থেকে আমার গান গাওয়ার শুরু।

দিনগুলি কাটছে দারুন



দিনগুলি কাটছে দারুন।সেই আগস্ট মাসের মাঝামাঝি যোগ দিয়েছিলাম এই আড্ডায়। প্রথম একটু ইতঃস্তত ভাব থাকলেও খুব দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠেছি। প্রথম দিকে সময়টা যেত সারাদিনব্যাপি আড্ডায়। তারিক আসার পর সেই ধরন পাল্টে গেছে। এখন আড্ডা মূর্ত রুপ পেয়েছে। ও যখন পপুলার এ ছিল তখন প্রায় প্রতিদিন গেছি। ওকে দেখার পাশাপাশি নতুন ভাই বোনদের সাথে পরিচয়, আড্ডার তাগিদ ছিল বেশি। এখন স্কুলে,মেয়ের পরিক্ষা নিয়ে ব্যস্ততা বাড়ায় তারিকের ওখানে যাই সপ্তাহে একবার। 

এলোমেলো গল্প



রেজা ভাই কে দেখলাম টং এর দোকানে চা খাচ্ছে ? একলা চা খাওয়া যায় নাকি সাথে সাথে ঢু মারলাম। টং এর দোকানের চা এর মজাই আলাদা।ফুরররররর ফুরররর করে আওয়াজ করে চা খেয়ে চলল আমাদের কাইজ্জা। কাইজ্জা আওয়াজ না করে চা খেতে পারে না। কাইজ্জার সাথে আতিক ভাই ও তাল মেলালো ফুররররররররররর
এই তোদের সোহেল কই , ওকে দরকার বলে কি জানি বিড়বিড় করলেন রেজা ভাই ?
সোহেল কে ভাইয়া? 
আরে সামি ? 
কার স্বামী ভাইয়া ?
আতিক ভাই বুঝিয়ে দিলেন আরে সোহেল খালি প্রেমে পরে, ডানে গেলেও প্রেমে পরে বাম দিকে গেলেও রোমান্সে জর্জরিত হয়। এই জন্য সোহেলের বৌ সোহেল রে নামের আগে স্বামী লাগাতে বলছে । সোহেল বানান টা চেঞ্জ করে সামি লিখছে, মেয়েরা তো বুদ্ধির ঢেকি এই জন্য বুঝে নাই।