শীতকালটা বোধ হয় এসেই পড়ল। চারিদিকে কেমন যেন একটা রোমান্টিক গন্ধ, বার্ষিক পরীক্ষা চলছে, পরীক্ষা শেষে একসাথে পথ চলতে চলতে স্কুল থেকে বাসায় ফেরা, কুট কুট করে কত কথা বলা, চোখ জুড়ে আবেগের সব অবাস্তব স্বপ্ন। সব পরীক্ষা শেষ, অফিসার্স ক্লাবে ব্যাডমিন্টন কোর্টে সণ্ধ্যার পরে অপেক্ষায় বসে থাকা, কখন বাপ চাচাদের খেলা শেষ হবে, তারপর আমরা তাদের ফেলে দেওয়া পুরানো কর্ক দিয়ে খেলবো। রাতে বাসায় গিয়ে নিশ্চিন্তের ঘুম, হাজার সাধনা করলেও এই ঘুম পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যাবেনা।
এমন অনেক শীতকাল গেলো আর আসলো, আমরাও বড় হতে লাগলাম। সকালেে ঘুম থেকে উঠেই মাঠে ক্রিকেট প্র্যাকটিস, বিকালেও আরেক দফা। আবারো আবেগী অবাস্তব স্বপ্ন “ আমরা বোধ হয় অনেক বড় ক্রিকেট প্লেয়ার হয়েই যাচ্ছি”।
সারা কলোনীতে শুকনো ঝড়ে পড়া পাতায় সয়লাব হয়ে গেছে। তারই কিছু অংশ পুকুর পাড়ে প্রতি সন্ধ্যায় জড়ো করে আগুন লাগানো রাশেদের (মরাইয়া) রুটিন কাজ। সারাদিন ছুটাছুটি করে হাতে পায়ে শীতের চিহ্ন, কিসের লোশন আর অলিভ অয়েল, ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে ফেললেই সব ঠিক।
শীতকাল যেতে আর আসতে লাগলো, তেমনি এক শীতের সকালে কলোনীটা পিছনে ফেলে আসলাম সারাটি জীবনের জন্য।
No one has commented yet. Be the first!