Friday, April 29, 2016

সেইসব দিনগুলো


ছোটবেলায় আমাদের সুন্দর সময় গুলো র একটি অংশ কাটত, রিপা আপাদের বাসায় সিনেমা দেখে।আমির জুহি, মিঠুন শ্রীদেবীর হিন্দি ছবির পাশাপাশি প্রসেনজিতের বাংলা ছবিও থাকত।অমর সংগী,অমর প্রেম, জজ সাহেব, জোতি ইত্যাদি ছবি। প্রসেনজিতের ছবিগুলো দেখার পর নিজেকে সেই জায়গায় কল্পনা করতে ইচ্ছা করত।মনে হত আজ থেকে নায়কের মত শুধু ভাল কাজ করি, সবার সাথে ভাল করে কথা বলি।জীবনে ভাল মানুষ হই।একটা ঘোরের মধ্যে চলে যেতাম।পড়তে বসলে মাথার মধ্যে নায়কের কথা ভাসত। কয়েক দিন পর সেই ঘোর কেটে যেত।

গোলাম হোসেন চাচা আজ বেচে নেই।আল্লাহ উনার আত্মাকে শান্তিতে রাখুন।আমাদের ছোটবেলার একটা সময় কে স্মৃতিময় করে দিয়েছেন উনি।আজও যখন মাঝেমাঝে ছবিগুলো টিভিতে দেখায় তখন চাচার কথা আর সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে।যদিও সেই দিনগুলো- আর ফিরে আসবে না জানি

২৯ শে এপ্রিল


আমার জিবনের সবচেয়ে কষ্টের ও দুঃখের একটা দিন ২৯শে এপ্রিল। আমাদের বাড়ি সন্দীপ। ঐ দিন আমার বাবা সন্দীপ ছিল। ২৯ তারিখ সকাল থেকে রেডিও টিভিতে বার বার সিগ্নালের কথা বলছে এর মধ্যে সেদিন স্কুলে এস এস সি বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার দরুন তাড়াতাড়ি শেষ করে দিল। তখনো বুজিনি গুর্নীঝড় জলোচ্ছাস কি জিনিস, মনের মধ্যে ভয়ও কাজ করছে আবার এটা দেখার একটা ইচ্ছা কাজ করছে। সন্ধা হওয়ার আগেই ১০ নং মহা বিপদ সংকেত ২০ ফুট জলোচ্ছাসের খবর বলছে বার বার।বিল্ডিংের কেও তেমন একটা আমলে নিচ্ছেনা তাই আমরাও তেমন কোনো গুরুত্ব দিলাম না জিনিসপত্র কিছুই কোথাও সরাইনি। রাত ৮টা থেকে খুব বাতাস শুরু হল।আম্মা বললেন যে যাই বলুক জিনিসপত্র গোছা। সাথে সাথে গুছিয় যা পারলাম তাকের উপরে রাখলাম, তখন বাসায় এক ড্রাম চাল ছিল ড্রামের মুখটা প্লাস্টিক দিয়ে ভালভাবে বাধলাম। 

এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও চলে গেছে, কেও ভাত খেয়েছ কেও খায়নি। মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে। বাইরে বাতাসের এতো বেগ নারিকেল গাছ গুলোর মাথা মাটি পরজন্ত নেমে আসে পুরা আকাশটা কেমন যেন লালছে হয়ে গেছে। বাসায় বসে দোয়া দরুদ পড়ছি আর মাঝে মাঝে বের হয়ে দেখি পানি আসছে কিনা, এভাবে কয়েক ঘন্টা যাওয়ার হঠাত পাশের বাসার খালেক চাচা ডেকে বলে লিটন পানি আসছে তাড়াতাড়ি দোতালায় চল। এই হুরমুর করে দরজায় তালা দিয়ে সবাইকে নিয়ে দোতালায় সুমনদের বাসায় উঠলাম। এরপর শুরু হলো এক বিভীষিকাময় অবস্থা নিচে পানি উপরে বাতাস এমন ভাবে ধমকা বাতাস আসে পুরা বিল্ডিংটা ঘুরুমঘুরুম শব্দ করে কেপে উঠে, তখন মনে হচ্ছিল আমরা বুঝি আর বাচতে পারবোনা এর মধ্যে বিকট শব্দ করে কলোনির দেয়াল্টা ভেংে পড়ে গেল। ভাবলাম আমাদের আর কোনো উপায় নাই আজ এখানেই শেষ। 

বিচ্ছিন্ন ঘটনা ১৯৯১


১৯৯১ সালের পরে মানুষের হারানো র গল্প শুনেছি তেমনি কিছু ঘটনা শুনতাম।সেগুলো বিশ্বাস করব কিনা বুঝতাম না।যেমন একবার শুনেছিলাম, এক মহিলা মারা গেছেন বিয়ের সাজে।তার গায়ে দামি শাড়ি, অনেক গয়না।

এক লোক ওই গয়না, শাড়ী দেখে লোভে পড়ে তাকে বোন বোন বলে ডাকতে লাগল।আস্তে আস্তে গয়না খুলে নিতে লাগল।একসময় শাড়ি ধরে যেই টান দিতে গেল, অমনি মৃত মহিলা হাসতে হাসতে লোক টাকে থাপ্পড় দিলেন।ওই থাপ্পড় খেয়ে ভয়ে ঘরে এসে কাপতে কাপতে মারা গেলেন। এরকম অনেক অলৌকিক ঘটনা তখন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছিল।আমরা সেগুলো শুনে অবাক হয়ে শুনতাম।কিছু বিশ্বাস করতাম, কিছু করতাম না।

ভুল করে মনে করা


১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল। যদিও আমি তখন এর ভয়াবহতা কিছু কম বুঝছি। সেদিন বিকাল বেলা মাইকিং হচ্ছিল।১০ নং সিগন্যাল। যিনি করছিলেন তার উচ্চারণ নিয়ে আমার আপা, রুবি আপা, বেবি আপা হাসাহাসি করছিলেন। আর আতিক ভাইয়ের একটা ফ্যাশন ম্যাগাজিন দেখছিলেন বারান্দায় বসে।

রাত ১০ টার দিকে কারেন্ট একটু ডিস্টার্ব করেছিল।আমরা ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।রাত ১ টার দিকে শব্দে ঘুম ভাংল।দেখি আমাদের বাসায় মানিক ভাইদের বাসার সবাই সাথে রিনির আব্বা।রিনিরা নানার বাড়িতে গিয়েছিল। বারান্দায় গিয়ে দেখি পানিতে ভেসে যাচ্ছে সব।মানুষের চিতকার।ভয় লাগল।হাস মুরগি গুলো বের হতে পারছেনা।
আমি আবার ঘুমায় গেলাম রিনির আব্বার পাশে।পরদিন দেখি পানি কিছুটা কমে গেছে।রিনির আব্বা পরের দিন রেখা আপা, তার পরিবার আর মৌসুমি কে খুজতে। একেক দিন তিনি একেক জনের লাশ খুজে পান আর কবর দিয়ে আসেন। সন্ধ্যা হলে মন খারাপ করে নানা কথা বলেন।আসলে ওই সময় যারা হারিয়েছে তারাই জানে এর ব্যথা কতটুকু।

পানি ছাড়া, বিদ্যুৎ ছাড়া অনেক গুলো দিন।তারপরেও ভাল লাগত কলোনি র মানুষগুলো একসাথে হয়ছে।শুনেছিলাম আমাদের স্কুল আশ্রয় কেন্দ্র হয়েছে।কিন্তু সেদিকে আর যাইনি।

অনেক দিন পর পরিবেশ নরমাল হল।স্কুল খুলল। কিন্তু মনে যে আতংক ছড়িয়ে দিল তা সহজে ভোলার নয়।

সাব্বিরের সাথে এক শপিং মলে হঠাৎ করে মিরার দেখা


সাব্বিরের সাথে এক শপিং মলে হঠাৎ করে মিরার দেখা, মিরা ভূত দেখার মত চমকে উঠল,যদিও অল্পক্ষনের মধ্যেই নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো, বুদ্ধিমতী মেয়ে (এখন মহিলা বলা যায় অবশ্য), যার নজর থাকে সাত আসমানের উপরে সে জানে কোন পরিস্থিতিতে কি করতে হয়। আড় চোখে মিরা সাব্বিরকে মেপে ফেলল, এখনো আগের মতই, একেবারে নরমাল, কোন বাহুল্য নেই চলাফেরায়। শরীরের দিক থেকে শুধু ভুড়ি টুকুই বেড়েছে সাব্বিরের।তেমনি মিরা আগের মত স্লিম থাকলেও আগের সেই লাবন্য নেই, আসলে দুজনের বয়সই তো বেড়েছে। শপিং মল মোটামুটি ফাকা, দুজন হাটছে আর নিজেদের মধ্যে টুকটুক করে কথা বলছে, দু জনেরই স্কুল জীবনে সেই কথা বলতে বলতে বাসায় ফিরার স্মৃতি মনে পড়ল। দুজনেই কিছুটা আনমনা। কথায় কথায় জানতে পারল মিরা ধানমন্ডি থাকে, নিজেদের ফ্ল্যাট, গাড়ি,স্বামী বড় বিজনেসম্যান অর্থাৎ মিরা যা চেয়েছিল, সাত আসমানের উপর, তাই পেয়েছে, সাব্বির নিজের ব্যাপারে তেমন কিছু না বললেও মিরার বুঝতে বাকী রইলনা যে সাব্বিরও এখন সাত আসমান উপরের লোক।

আজ 29 এপ্রিল


আজ 29 এপ্রিল।।1991সালের এই দিনটায় সকাল থেকেই আকাশটা গম্ভীর ছিল আর যতদূর মনে পড়ে বিকেল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিল।।বাবার বিকেল চারটা থেকে ডিউটি ছিল।।কি যেন ভেবে বাবা মোটামুটি বিপজ্জনক মুহূর্তে লাগা প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস দুপুরে কিনে আনলেন।।তো সন্ধ্যার পর থেকেই বৃষ্টির সাথে সাথে ঝড় হাওয়া বইতে লাগলো।।রাত দশটার পর থেকে ধীরে ধীরে ঝড় হাওয়ার পরিমান বাড়তে থাকলো।।সেই সাথে বিপদ সংকেতের মাত্রাও বাড়তে লাগলো।।আমাদের কারোরই ঘুম এলো না।।কিন্তু খাবার খেয়ে শুয়ে রইলাম।।রাত এগারোটা কি বারোটা হবে।।বাবা আসছে না দেখে মা আমাকে নিয়ে পাশের বাসার মজিদ কাকার বাসায় যাবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলো।।দরজা খুলতেই দেখি আমাদের বাসার সামনে যে মাঠটা রয়েছে সেটা পুরোটা জোয়ারের পানিতে ভড়পুর।।আর বাতাসের এতো চাপ ছিল যে গাছ গুলো সব মনে হচ্ছিল যেন উপরে পড়ে যাচ্ছে।।তো কাকার বাসার দরজা নক্ করলে কাকা দরজা খুলে এবং মা বাবার কথা জানতে চায়।।

মেজবানীর মজাই আলাধা


মেজবানীর মজাই আলাধা। আমরা সবায় কিছুক্ষন অপেক্ষা করে টেবিলে গেলাম। সবায় আমার জন্য অপেক্ষা করতে ছিলো, কারণ আমিই সবার শেষে উপস্থিত হইছি। কিছু করার ছিলোনা, প্রচুর কাজ ছিলো অফিসে। সবায় একসাথে খেতে বসলাম। এই গরমের মধ্যেও আমরা স্বতস্ফুর্তভাবে খেলাম। নলা খাওয়াও বাদ যায়নি। বিশেষ কারনে নলার ছবি আমি দিলাম না। আসলে ডরাইছি। আমার বন্ধুরে আমি বড়ই ভালোবাসি। তার পরই আমরা গেলাম পাহাড়ের বুক চিরে যে পানি বের হয় তা দ্বারা প্রবাহিত পানির ছরা দেখতে। ছবি আসছে...

সেই ভয়াল ২৯ শে এপ্রিল


আজ থেকে ২৫ বছর আগের কথা।১৯৯১ সাল।খুব সম্ভবত ক্লাস সেভেনে পড়ি।২৯ শে এপ্রিল নিয়ে লিখিতভাবে স্মৃতিচারণ সম্ভবত এই প্রথম,তা ও csm এর কল্যাণে।এই পেইজের অনেকে তখনো এত ছোট ছিল যে ২৯শে এপ্রিল ১৯৯১ বলে তাদের জীবনে কিছু ঘটেনি কিংবা অনেকের জন্ম ৯১ সালের ও পরে।যাদের কাছে এ স্মৃতিচারণ রূপকথার মতো ও মনে হতে পারে।

স্কুলের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েল ছিল সেদিন। সিগনাল ক্রমাগত উর্ধমুখী হওয়ার কারণে তড়িঘড়ি করে ফেয়ারওয়েলের সমাপ্তি। তখনো কেউ আঁচ করতে পারেনি কি ভয়ানক প্রাকৃতিক দূর্যোগ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।ঘুনাক্ষরে ও বুঝতে পারিনি এ রকম ভয়াবহ কিছু হবে।কারণ ঘূর্ণিঝড়ের সাথে তখনো পরিচিত হলে ও জলোচ্ছ্বাসের সাথে একেবারে আঁনকোড়া। খালা খালু এসেছে বেড়াতে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর বিটিতে ঘোষণা আসছে ৮ নং,৯ নং,১০ নং মহা বিপদসংকেত।কিন্তু সেদিকে কারো খেয়াল নেই।সবাই যথাসময়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘমিয়ে পড়েছে।কখনো কি ভেবেছিল কালকের সকালটা অনেকেরই আর দেখা হবে না।দেখা হবে না বউ বাচ্চা,মা বাবা,কিংবা ভাইবোনের সাথে।দেখা হবে না প্রিয় সন্তানেরমুখ।

প্রচুর গরম, হাসফাস লাগছে


প্রচুর গরম, হাসফাস লাগছে। সাব্বির আজ খুব উদাস হয়ে আছে। মিরা আর রুনির সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে এই অবস্থা।।নিজেরে কেমন যেন "তিন ফুল এক মালি" লাগছে। তিন নং ফুল মানে সাব্বিরের বউ নিলা ইউএনডিপির চাকুরী র সুবাদে এখন ট্রেনিং এ আছে দেশের বাইরে। বাসায় একা সাব্বির। এ কারনে তার আরো অস্থির লাগছে। বারান্দায় ব্ল্যাক লেবেল আর বরফ নিয়ে বসে গেছে সে। আজ একটু ইমোশনাল হতে ইচ্ছে করছে তার, বউ বাসায় থাকলে সেটা সম্ভব নয়। আর এই গরমে একটু বরফ মিশ্রিত ইমোশনাল একেবারে মন্দ নয়। 

গরম আর শীত মোটেও ভালো লাগেনা সাব্বিরের। তার ভাল লাগে পুরোপুরি শীত পড়ার আগে শীত শীত ভাব, মনে হয় হেমন্ত কাল, সেই সময় টা।

ওই সময়টাতেই মীরার সাথে সাব্বিরের সম্পর্ক শুরু। প্রকৃতির ওই সময়টার ঘ্রানে সে মিরার ঘ্রান খুজে পায়। মিরা কে এই কথা কখনওই বলা হয় নি তার। আজ সাব্বিরের খুব বলতে ইচ্ছে করছে "মিরা হেমন্তের ঘ্রানে আমি তোমার গন্ধ আজো অনুভব করি"।

ব্ল্যাক লেবেল অর্ধেক খালি হয়ে গেছে। তার মানে আজ সাব্বির ভালোই ইমোশনাল।

শিরোনামহীন -


টাকে কোন প্রকার লিখার ক্যাটাগরি তে না ফেললে ভাল হবে।কারন এটা একজন মানুষকে নিয়ে লিখা, যার সম্পর্ক এ আগে আর পরের ধারনা বদলে যাবার।

জসিম ভাইকে আমি কলোনি তে একটু অন্যরকম মানুষ বলে জানতাম। তাই উনাকে এড়িয়ে যেতে চাইতাম। দেখা গেল আমি ইউনুস ভাইয়ের দোকানে গেলাম, উনি বসে আছে দোকানের সামনের জায়গায়। যেই আমি কিছু কিনে চলে যাচ্ছি,অমনি হাত ধরে বলতেন, কিরে, মুশশিদ্দের বদ্দা, কি কিন্নুস দে, তিয়ে তুর লই খতা আছে, দুরর খা।( কিরে মোরশেদের ভাই, কি কিনলি,দাড়া, তোর সাথে কথা আছে।দৌড়ড়াচ্ছিস কেন?) উনার এ ধরনের কথার জন্য আমি অনেক সময় ইউনুস ভাইয়ের দোকানে না গিয়ে অন্য দোকানে যেতাম।

স্বপ্ন সুন্দরী


দোতলার রিমন ভাইদের বাসায় একটা আনন্দলোক এ দেখেছিলাম।তারপর আমাদের বাসার একটা ম্যাগাজিনে। প্রথমে অতটা ভাল লাগেনি। সাল টা ১৯৯১ সালের শেষ দিকে। তারপর আস্তে আস্তে বিভিন্ন ম্যাগাজিনে, রিনিদের বাসার একটা আনন্দ বিচিত্রা তে দেখেছিলাম তার ছবি।তখন বছরের শেষে আমাদের বাসায় ভিসি আর আনলে হিট ছবি গুলো দেখতে পেতাম। ১৯৯২ সালে ডিসেম্বর এ দেখলাম দিওয়ানা ছবিটা। দেখেই ভক্ত বনে গেলাম। এরপর গীত, দিল আশনা হ্যায়,দিল কা কেয়া কসুর।চেহারায় একটা নিষ্পাপ ভাব ছিল। তাই হয়ত ভাল লাগত।

এরপর যেকোন ম্যাগাজিনে তার ছবি খোজা। কলোনি তে বের হলে কলি ভিডিও বা মনিকা ভিডিও তে তাকিয়ে থাকতাম তার ছবির পোস্টার এর দিকে। গেইট এর পাশে ইসলাম এর দোকানে বা ভাই ভাই স্টোরে গেলে তার ছবির ভিউ কার্ড।কিন্তু তেমন একটা পেতাম না। সবাই যখন মাধুরী, শ্রীদেবী বা জুহি চাওলার পেছনে ছুটছে, আমি তখন দিব্য ভারতী র ভক্ত। চাইতাম নায়িকা হিসেবে সে সবাইকে ছাড়িয়ে যাক।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss