Sunday, March 27, 2016

বাবা


বাবা শব্দটা শুনলে বুকটা যেন কেমন করে উঠে।।চোখের সামনে ভেসে উঠে অনেক অনেক স্মৃতি।।কানে বেজে উঠে বাবার ভালবাসার এবং শাসনের কন্ঠস্বর।।আজ বাবাকে খুব মনে পড়ছে!!কেন জানিনা।।তবে বেশি যেটা মনে পড়ছে তা হলো বাবার পরিশ্রম,,ত্যাগ আর ভালবাসা।।আগেও কোথায় যেন বলেছিলাম""বাবা আমাদের দু'ভাইকে কখনও শাসন করেনি।।স্বাধীনতা দিয়ে মানুষ করেছিলেন।।তবে বাবাকে প্রচন্ড ভয় পেতাম।।তবে সেটা ছিল শ্রদ্ধা জনিত ভয়।।কোন দিন বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতাম না।।আজ পর্যন্ত না।।আমাদের দু'ভাইয়ের চাওয়া পাওয়া গুলো বাবা আপ্রান চেষ্টা করতেন পূরন করতে।।

""বাবার ভালোবাসা""

বাবা আমাকে প্রায়ই গোসল করিয়ে দিতেন।।যদিও খুব বিরক্ত লাগতো তখন তবে এই বয়সে এসে খুবই মিস করি।।যেটা এখন আমি আমার সন্তানের সাথে করি।।

বাবা ভালো খাবারটা কখনওই খেত না।।মা পাতে দিলে তুলে রাখতেন,,বলতেন লিটনকে দিও।।যেমন:-আম।।বাবা আমের বাড়াটা খেত আমাকে দু'পাশের অংশটা মায়ের আড়ালে চুরি করে খাইয়ে দিতো।।এখন আমি যেটা আমার সন্তানের সাথে করি আর বাবা তখনি আমার চোখের সামনে হাজির হয়।।

থ্রী ব্রাদার্স


আশির দশকের শেষ দিকে চিটগাং নিউমার্কেটে একটা খাবারের দোকান ছিল। নাম ছিল থ্রী ব্রাদার্স পরবর্তীতে থ্রী বেগার্স বর্তমানে থ্রী ব্রাদার্স শাড়ির দোকান। ওই সময়ে যারা কলেজে পড়ালেখা করতো তারা বিশেষ করে ছেলেরা কম বেশী সবাই জানতো। জানতো কি করে পেট ভরে খেয়ে অল্প টাকা দিয়ে পার পাওযা যায়। আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি। কলনির এক ভাইয়ের সাথে মার্কেটে গেলাম। উদ্দেশ্য ঘুরাঘুরি করা। ও তখন ফার্ষ্ট ইয়ারে পড়ে। ঘুরাঘুরি শেষ। ২.৩০ টা বেজে গেছে। সাড়ে তিনটায় কলেজ বাস। আরও এক ঘন্টা সময় হাতে আছে। ক্ষিধাও লাগছে। ওরে বললাম ওডা ভোগ লাইগ্গে। ও বললো ভোগ লাইগ্গেনা চল তোরে লই এক জাগাত যাইয়ুম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম টাকা আছে নাকি। সে বললো যে টাকা আছে তাতে মুটামুটি পেট ভরবে। 

তারপর নিয়ে গেলো থ্রী ব্রাদার্সে। আমি নিচে বসতে চাইলাম। ও বললো চল দোতলায় বসি। আমি তখনো কিছু বুঝি নাই। আমারে বললো কি খাবি? যে কোন একটা হলে চলবে। ও বললো আলুর চপ খেলে মোটামুটি ঘন্টাখানেক থাকা যাবে। আমিও সায় দিলাম। তারপরে দুইটা আলুর চপ আর দুইকাপ চায়ের অর্ডার দিল। যথারীতি আলুর চপ শেষ করে চা খেলাম। তারপর ও বয় ডাক দিল এবং ওকে পাঁচ টাকা দিয়ে বললো বিল নিয়ে এসো। বয় বিল নিয়ে আসলো। বিল দেখেতো আমি অবাক। মাত্র দুইটা চায়ের বিল!! আমি প্রতিবাদ করতে চাইলাম। ও আমার হাতে চাপ দিয়ে বললো চুপ থাক। আমি চুপ করে পেছনে দাঁড়িয়ে। ও ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে সাবলীল ভাবে বিল দিলো। বিল দিয়ে আমরা বের হলাম থেকে। হোটলের ম্যানেজারও বুঝতে পারলো না। হোটেল থেকে বের হয়ে ওকে জিজ্ঞাসা এইটা কি হইলো? স্বাভাবিক ভাবে উত্তর দিয়ে বললো এইটা কোন ব্যাপার না। পরে অনেক জনের কাছে শুনলাম এই রকম কাজ তারা প্রায়ই করে। এক সময় হোটেলটা বন্ধ হয়ে গেলো। সবার কি আফসোস!!

কাল নাকি হরতাল শুনলাম


কাল নাকি হরতাল শুনলাম, হরতাল হোক আর গাছের তালই হোক অফিস আমার খোলা। অফিস কোন মাফ নাই।

তবে অফিস খোলা থাকলেই ভালো, বউ নামক যন্ত্রনার বকবকানি হেকে রেহাই পাওয়া যায়। ( সব পুরুষেরই কিন্ত একই মত, কেউ প্রকাশ করেনা, আমি প্রকাশ করি, ডিফারেন্স এটাই)। যদিও গত চার পাঁচদিন ধরে এই যন্ত্রনার সাথে কোন বাতচিত নাই (আলহামদুলিল্লাহ), বাংলাদেশ ভারতের কাছে ১ রানে হারার পর রাগের মাথায় বউরে কি জানি কইছিলাম, তারপর থেকে ই বাক্যালাপ বন্ধ। বাংলাদেশ হারার সবচেয়ে বড় বেনিফিট বোধ হয় এটা। কথা বন্ধ হলে কি হবে, পোলারে দাঁতের ডাক্তার দেখাইতে নিয়া সু কৌশলে বউ কেমনে জানি অই খানে ডাক্তার ব্যাটার ছুড়ি প্লাসের তলে আমারে শুয়াইয়া দিছে, আজ তিন দিন ধইরা ডাক্তার ব্যাটা আমার দাঁত লইয়া ঘটর ঘটর করতাছে,। দেখাইতে গেল পোলারে ডাক্তার আর বাটে ফালাইলো আমারে, অথচ আজ চার পাঁচদিন ধরে এই মহিলার লগে আমার কোন বাক্যালাপ নাই।

এ জন্যই আমি বারবার কই 
" বিয়া করছো তো মরছো"।

মামুন এর পিড়াপিড়িতে লিখতে চেস্টা করা


সত্য ঘটনাঃ
১৯৮৬ কী ১৯৮৭ সালের ঘটনা,তখন আমরা বন্ধুরা সব সময় কারো না কারো বাসায় খেলা দেখা বা ছায়াছন্দ দেখা এক জনের বাসায় করতাম।তো একদিন সবাই হইতো ছায়াছন্দ দেকছিলাম এমন সময় কারেন্ট চলে গেল কী আর করা,বসে আছি,কিন্তু যাদের বাসায় টেলেভিশন দেকছি তাদের বাসায় মেহ্মান এসেছে,তাই আমরা ঠিক করলাম আমরা এখন স্কুল এর পেছনে যাবো খেলতে, তখন খেলা আর খেলা আমাদের বন্ধুরা অন্য কাজে সময় খুব কম দিতাম।

মুল ঘটনা হল, আমরা সবাই যে বন্ধুর বাসায় তেলেভিশন দেখছিলাম সেই বন্ধু বাসায় রয়ে গেল কারন ওদের বাসায় মেহমান এসেছে,তার ঠিক আধ

একটা সময় সিড়ির জানালার


একটা সময় সিড়ির জানালার ( সি টাইপে)বৈদ্যুতিক বালব আর সিঁড়ি র কাঁচ অপারেশন এ আমরা একেকজন "এন এক্সপার্ট হেডমাস্টার" হয়ে উঠি, কাঁচ খুলার জন্য কোমরে সবসময় প্লাস গুঁজে রাখতাম, ফাঁক পেলেই ১ মিনিটের মধ্যেই কাঁচ খুলে ফেলেছি। দেখা যেত কোন সিঁড়ি র জানালায় মাত্র কাঁচ লাগাচ্ছে আর আমরা তক্ক্কেতক্কে থাকতাম, কাঁচ লাগিয়ে যাওয়া মাত্র সে কাঁচ নিমিষেই উধাও করে দিতাম। স্টিল মিল মেইন গেটের পাশের একটি ছবি বাঁধাই র দোকানে মোটামুটি ভাল দামেই বিক্রি করতাম, পরে সাপ্লাই বেশি দেওয়াতে দাম পড়ে যায়, তাই এ বানিজ্য ছেড়ে দেই।

এবার আসি বৈদ্যুতিক বালবের অপারেশনে এটাও শুধু সি টাইপে চলত, আমাদের অপারেশনের কারনে প্রায় সিড়ি সবসময় অন্ধকার থাকতো, এমনকি নিজেদের বিল্ডিং এতএত সিঁড়ির বালব ও আমাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।

৯২ সালে আমরা ইস্পাত ক্রিকেট ক্লাব চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন জুনিয়র ক্রিকেট লীগে অংশ নেই


৯২ সালে আমরা ইস্পাত ক্রিকেট ক্লাব চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন জুনিয়র ক্রিকেট লীগে অংশ নেই। গ্রুপ পর্যায়ে প্রথম খেলায় খুব সহজেই আমরা জয়ী হই, তবে যাদের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিলাম সেই টিমের নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছেনা। গ্রুপের ২য় ম্যাচ টি ছিলো আগ্রাবাদ সোনালী সংঘের সাথে, টিম টি খুব শক্তিশালী টিম ছিলো, আবার এই টিমের সাথে আয়োজক দের খুব দহরমমহরম সম্পর্ক ছিলো, ঠিক যেমন আইসিসি আর ইন্ডিয়ার সম্পর্ক যেমন। খেলা ছিলো দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে, খেলার দিন খুব সকালে মাঠে চলে যাই, কিন্তু কিছুক্ষন পরেই ঝুম বৃষ্টি, পুরা মাঠ পানিতে থৈ থৈ, আমরা খেলা হবেনা ভেবে লাঞ্চের জন্য আনা সব খাবার খেয়ে শেষ করে ফেলেছি। উমা কিছুক্ষণ পর দেখি ঝকঝক রোদ আর মাঠ শুকিয়ে পুরা খটখট হয়ে আছে আসলে ঐ মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই ভালো ছিল। যাক যথাসময় খেলা শুরু হলো, এবং যথারীতি আমাদের হার, অবশ্য ঐ টীম আয়োজক ও আম্পায়ার এর ভালো বদান্যতা পেয়েছিল। এর মধ্যে এক আম্পায়ার ছিল স্টিল মিল টিমের গোল কিপার তপন ঐ ব্যাটাও আমাদের বিপক্ষে নির্দয় ভাবে ডিসিশন দিছে।

ডিসেম্বর মাস শেষে নানা বাড়ি না হলে দাদা বাড়ী যাওয়া হতো


ডিসেম্বর মাস শেষে নানা বাড়ি না হলে দাদা বাড়ী যাওয়া হতো,৮৮/৮৯ সাল আব্বা একবার আমাদের কে দাদা বাড়ি দিয়ে আসলো ১০/১২দিন পর আবার এসে নিয়ে যাবে তখন আমাদের নতুন বাড়ি তৈরী হচেছ,খাট ছিল একটা কোন তোশোক নেই কাথা বিছিয়ে তোশোক বানানো হতো, বালিশ ও ছিল চারটা,ইলেট্রিকসিটি লাইন নেয়া হয় নি বাড়িতে শুধু দাদী একলা থাকতো,আমরা বাড়ি যাওয়াতে আব্বা দাদিকে চিটাগাং নিয়ে আসলো পাহাড়তলি আমবাগান,জেঠার বাসায় চিকিৎসা করাতে, আমাদের বাড়িতে প্রচুর আম, নারিকেল গাছ ছিল গ্রামের শেষ সিমানায় ছিল আমাদের বাড়ি রাস্তা পাশে,আমি আবার রাতে শোয়ার সময় দুইটা বালিশ ছাড়া শুতে পারতাম না,এই নিয়ে আম্মার সাথে প্রতিদিন ঘানর ঘানর করতাম,বালিশ ছিল চারটা আমরা দুই ভাই একবোন আর আম্মা চারটা হয়ে যেতো, কিন্তুু আমার যে আর একটা বালিশ লাগে,ছোট ভাই রকিবুল তখন ৮/৯ বছরের একদিন শোয়ার পর ছোট ভাইয়ের মাথা থেকে বালিশটা টান দিলাম জোরে এতে বকিবুলের মাথা জোরে খাটের তত্তা মধ্যে বারি লাগলো রকিবুল তো কান্না শুরু করে দিল,আম্মা আমাকে বাড়ি থেকে বাহির করে দরজা লাগিয়ে দিল তখন রাত মনে হয় নয়টা কি সাড়ে নয়টা শীতের রাত,আমি ও অনেক সময় বাসার সামনে দাড়িয়ে রইলাম মনে করছি দরজা খুলবে,দরজা না খুলাতে শেষ মেষ উঠানের মধ্যে একটা আম গাছে উঠে বসে রইলাম,ডালটা বেশি উচুতে না ভয়ও লাগতাসে কি করবো,হঠাৎ দেখি একটা টচ লাইট এর আলো এদিক ওদিক জলতাসে আর আমাদের বাড়ির পাশে রাস্তা দিকে আলো টা আসতাছে, আমি তো চুপচাপ গাছে বসে আছি, লাইটের আলো গাছের মধ্যে আমার শরীরের মধ্যে পড়লো,আর তো লাইট ওয়ালা চিৎকার শুরু করে দিল এই কে গাছে লাইট মারতাছে আমার শরীরে আমি তো আরো ভয় পেয়ে গেলাম,আমি মিন মিন গলাতে বলি আমি তার চিৎকার শুনে আর দুএকজন আশেপাশের বাড়ি থেকে বাহির হয়ে আগাইয়া আসলো গাছ থেকে নামাইয়া রুমে দিয়ে আসলো,এতো অল্প বয়সে এতো সাহস কি ভাবে পেলাম এখন বুঝতাসি জিদ টা ই সাহস জোগাইছে তাইনা

হাত ঘড়ি কান্ড


দুপুর বেলায় সবসময় যে আমরা খেলতে বের হতাম তা না।মাঝে মাঝে কোন মেহমান আসলে তখন বের হয়ে যেতাম।কারন মেহমান আসা মানেই ঘর ভরা মানুষ,আওয়াজ ইত্যাদি ইত্যাদি।
একবার আমাদের বাসায় এক মেহমান এলেন।সম্ভবত আমার ছোট মামা।উনি উনার হাত ঘড়ি খুলে রেখে ওয়াশরুমে গেলেন। আমি ঘড়ি টা হাতে নিয়ে দেখতে দেখতে একসময় বের হয়ে গেলাম
।লিংকন কে সাথে নিয়ে সামনে গিয়ে কি যেন দেখছি।এমন সময় দেখলাম,পকেট এ ঘড়ি নাই।পাশে মিষ্টি দের বিল্ডিং এর ছায়ায় বসে গল্প করছিল বিল্লাল,আমাদের তখনকার বুয়া বকুলের মায়ের ছোট ছেলে। আমি জিজ্ঞেস করলাম,
বিল্লাল,তুমি কি একটা ঘড়ি পাইছ?
বিল্লাল মাথা নাড়ল,না সূচক।
আমার একটা ঘড়ি পড়ে গেছে,দেখছ?
না, বিল্লাল বলল।
আমি আর লিংকন এদিক ওদিক খুজে পেলাম না।বাসায় চলে গেলাম।বিকালে শান্তিমত খেলতে পারলাম না।তখন পর্যন্ত মেহমানের ঘড়ির খবর নাই।মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ করছি।সন্ধ্যার পরে ঘড়ি খোজা শুরু হল।আমি জানি না বলে সরে পড়লাম।রাতে পাশের বাসার মাসুদকে নিয়ে নামাজ পড়তে গেলাম।খুব করে আল্লাহ কে ডাকলাম।বাসায় এসে দেখি হুলস্থুল অবস্থা। বুয়া আসছে।আমার বোন বলছে, ঘড়ি হারায়ে আল্লাহ কে ডাকতে গেছিলা।বুয়া সব বলে দিছে।আমি ত থ।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss