Tuesday, July 26, 2016

আলোয় ভুবন ভরা


ধন্যবাদ দিব নাকি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব।বুঝতে পারছিনা, Mahmudur Rashid Pulak ভাই যখন আমাকে এই গ্রুপে নিয়ে আসলেন, বুঝলাম না কি লিখব। Atiq Csm ভাইয়ের লিখা দেখে ধারনা পেলাম লিখার বিষয় এর। আস্তে আস্তে Monirul Islam Monir, Monirul Islam Khan Liton, Shadiqul Hoque Polash, Mahabub Rashel, Iftee Nomi, Taskin Ashiq, Riman Babu, Anisur Rahman Reza, Abdullah Al Mahbub, Mohammad Nazrul, Shajib Kumer Dey, Nazmul Huda, Jashim Uddin, Mohammed Kamar Uddin, Rony Barua, Åđɱ Salauddin,এক অপরাজেয় বাংগালি, Samee Sam, Ahsanul Tarique, Aslamuddin Mamun,সজীব ভাইদের সাথে পরিচয় হতে লাগল।লিখার পাশাপাশি এদের কমেন্ট, নানারকম পরামর্শ যেন লিখার গতি বাড়িয়ে দিতে লাগল। সাথে Ria Momin,Jerin Ripa, Nasrin Begum, Rehana Alam, Taslima Khan, Farjana Rita, Farzana Haque Rini, Kamrun Nesa Runo, Raseda Hoque Raseda, ঝুমুর ঝুম ঝুম, Ishrat Jahan Shaila, Chand Sultana, নাহিদ ঊর্মি, Jolly Nazrul, Resma Gazi, Monirun Nahar, Syeda Raihana Zaker Aunika, Shazi Khan, Munmun Suraya, Rakiba Khanum Luna, Farhana Sammi Farhana Sammi, MunTaha Tabassum সহ আরো অনেকের লাইকের বহর দেখে মনে হল,আমি যেন কিছু হলেও লিখছি। যদিও এই লিখাগুলা পেশাদার বা জাত লেখকের লিখা বলতে যা বুঝায় তার কোন টিতেই পড়েনা।

কলোনি ছেড়ে আসার পর ভাবতাম এই যে এত স্মৃতি মনের ভিতরে জমানো, এগুলো কাকে বলব।সবাই ত এর মর্ম বুঝবে না।বুঝবে তারাই যারা এর সাথে একসময় জড়িত ছিল। আর এই পেজ যেন তারই সুযোগ করে দিল।

কারো বিপদে পাশে দাঁড়ানো, একটু সুযোগ পেলেই একসাথে হওয়া, হাসি আনন্দ ভাগ করে নেয়া,পুরনো জায়গাগুলোতে ঘুরতে যাওয়া একসাথে এইসব বিষয় সম্ভব হয়েছে এই পেজের মানুষ গুলো র জন্য যারা নিজের স্বার্থে র চেয়ে পেজের অস্তিত্ব কে বড় করে দেখেছেন। সুযোগ পেলেই এই পেজে ঢু মেরে তাদের ভালবাসার কথা জানাতে চেয়েছেন। তাই মাঝে মাঝে একটু ঝড় বয়ে গেলেও এই পেজ অন্ধকার হয় না। সবসময় মনে হয় আমাদের এই ভুবন আলোয় ভরা।

এই সুলতান,সেই সুলতান


এই ঈদে সালমান খানের যে ছবি মুক্তি পেয়েছে তার নাম সুলতান।এটা কম বেশি সবাই জানেন।কিন্তু আমার লিখার বিষয় সেই সুলতান না।আমার লিখার বিষয় হল আরেক সুলতান।

Nazmul Huda ভাইদের বাসায় সুলতান নামের এক ছেলে ছিল।একটু দুষ্ট টাইপের। সারাদিন ইমুর সাথে সাথে থাকত।আবার অনেকের সাথে তার মারামারি লাগত। কখনো কখনো সেন্টিমেন্টাল হয়ে যেত।মাঝে মাঝে সে কিছু বলত যা সহজে বিশ্বাস হত না। একবার নাকি ৯১ এর বন্যার পর তাদের ১ টা মুরগি হারিয়ে গেছিল,সে মুরগি নাকি ৮ দিন পর ফিরে আসে। এর কিছুদিন পর অবশ্য সুলতান বাড়ি চলে যায়। এবার ঈদে সুলতান সুলতান শব্দ টা শুনতে শুনতে সেই সুলতানের কথা মনে পড়ে গেল।

অচেনা


অভির সাথে জয়ার পরিচয়,সখ্যতা সেই স্কুল থেকে।তাদের এই ঘনিষ্ঠতা র ব্যাপার গুলো আশেপাশের মানুষ গুলো জানত। কিন্তু তারা সে টা থোড়াই কেয়ার করে। প্রতিদিন কলেজ বাসে দুজনের দেখা।সবকিছুই ভালই চলছিল। তারপর একদিন অভির কাছে জয়াকে অচেনা মনে হতে থাকে। যে জয়াকে সে এতদিন ধরে চিনত,এই জয়া যেন সে নয়। অন্য জয়ার।জয়ার জীবনযাপন, কথাবার্তা সবকিছুতে পরিবরতন লক্ষ্য করে অভি।আগের মত সময় দেয় না।এড়িয়ে চলতে থাকে।জয়াকে ভুলে থাকার চেষ্টা করে অভি।নতুন কিছুতে নিজেকে মগ্ন করতে চায়। হয়ত সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই বদলে যায়,কিছুই থাকেনা,থাকে শুধু ভালবাসা

আমাদের (১৯৯১ ব্যাচ) প্রিয় বন্ধু তুমান


আমাদের (১৯৯১ ব্যাচ) প্রিয় বন্ধু তুমান। মেধাবি ছিল। সব সময় ১/২/৩ এ থাকত। কবিতা আবৃতি, রচনা প্রতিযোগিতা, ব্রতচারি সবকিছুতে সরব উপস্থিতি। আমরা C2 থেকে C11 এ আসার পর ওর সাথে ঘনিষ্টতা ২ গুন হল। ছোটবেলায় যত রকম দুষ্টামি করা যায় সব কিছুই ওর সাথে করছি। আমি খেলাধুলায় মোটামুটি ছিলাম কিন্তু স্কুলে বার্ষিক প্রতিযোগিতায় কখনও অংশ নিতাম না। যে একটা পুরস্কার পাইছি সেটাও তুমানের কারনে। তিন পায়ে দৌড়। সম্বভত ক্লাশ থ্রির ঘটনা। বিশাল (!) একটা শিল্ড পাইছিলাম। সম্ভবত ক্লাস টুতে থাকতে একদিন ক্লাসে দুষ্টামি করে বলছিলাম, তুমান ক্লাসে তোর সাথে আর কথা বলবনা। বেচারা ভাবল সত্যি সত্যি ওর সাথে আড়ি নিচ্ছি। সাথে সাথে ওর আর্তনাদ আম্মু দেখনা আনালক আমার সাথে আর কথা বরবেনা বলে। আমি বারবার বলছিলাম ক্লাসে আর কথা বলবনা। ক্লাসে কথা বললে কেপ্টেনরা নাম লিখে রাখত আর টিচার আসলে জমা দিত।

বেচারা কড়া শাসনে থাকত। আমাদের মত যখন তখন বের হতে পারতোনা। আমরা যখন পাইন্না খেলা খেলি ও তখন জানালা দিয়ে করুন চোখে তাকিয়ে থাকত। মারবেল, তাস খেলা তো অকল্পনিয়। ওর অনুরোধে একবার পুকুরে গোসল করতে নিয়ে গেছিলাম। যেতে আসতে হইছিল অনেক লুকিয়ে। শবেবরাত এর রাত , তারাবি রাত বা চাঁদ রাত এর আনন্দ কখনও উপভোগ করতে পারেনি। কেডেটে টিকল। কিছুটা দুরত্ব বাড়ল। এরপর তো আমরা কলোনি থেকে বের হয়ে গেলাম। সব শেষ দেখা সিটি কলেজের পেছনে, ইন্টারের পর। ওর হাতে সিগারেট। আবাক হইছি তবে বুজতে দেইনি। আমি কেমনে জানি সিগারেটের হাত থেকে বেঁচে গেছি। অথচ ওই রাতগুলোতে দুষ্টমি করে কত সিগারেট খাইছি। বিশেষ করে মোর। গলা ঠান্ডা হয়ে যেত। তুমান চিটাং ভার্সিটিতে বিবিএ তে ভর্তি হইছে সেটাও জানছি। শেষ খবরটা পেলাম বাতাসে......। ওহ। অনেক দিন পর ভূতের ডিম বাবুর সাথে দেখা। জিজ্ঞাস করলাম কিভাবে? জানলাম গাড়ী এক্সিডেন্ট।

২৪ জুলাই তুমানের মৃত্যু বার্ষিকি..............

মাঠের পারে দূরের দেশ-২


বড় মাঠ বলতে আমরা যেটা চিনতাম সেটা হল, সে মাঠে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হত। বছরের শুরুর দিকে।কলোনি এর প্রায় শেষ প্রান্তে ছিল এই মাঠ টা। আমি নিজে কোন খেলায় অংশ গ্রহণ না করলেও দেখতে যেতাম।মাঠের একপাশে ১ টা দোকান ছিল যেটা পলাশের দোকান বলত। এই বড় মাঠে যেদিন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা র চূড়ান্ত আসর বসত সেদিন সাজ সাজ রব পড়ে যেত।নানারকম এর কাগজ দিয়ে মাঠের সীমানা নির্ধারণ করা হত।সবচেয়ে আকর্ষণ এর রাউন্ড ছিল যেমন খুশি তেমন সাজো। এই রাউন্ড এ আমাদের স্কুলের ভাই বোন দের যে সৃজনশীল তা দেখতাম,তা বাইরের কোন স্কুলেই আর দেখিনি। মাঠ এর বাইরে দুই তিন জন ছাতা নিয়ে আচার বিক্রি করতে বসতেন। চালতা,বরই,তেতুল ইত্যাদি। বাসা থেকে টাকা নিয়ে ওই আচার খেতাম আর খেলা দেখতাম।আম্মা প্রায়ই বলতেন, রং মেশানো আচার খেলে পেট খারাপ হবে, নানারকম এলারজি হবে।কিন্তু কোন দিন হয়নি।এখন ত অনেক ভাল রেস্তোরা র খাবার খেয়েও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

photo- Taskin Ashiq

" লাল রং "


লাল রং এ যেন ভালোবাসার রং।অনেক সময় কেউ তার পছন্দের মানুষটিকে একটি লাল গোলাপ দিয়েও তার ভালো লাগা প্রকাশ করে। লাল রং এমনি একটি রং যা কম বেশি সকলেই পছন্দ করে। কিন্তু পোষাকের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এই রংয়ের কাপড়ে মানায়। ব়ৃদ্ধ বয়সে চাইলেও এই রংয়ের কাপড় পড়া যাবেনা। তাই সময় থাকতে নিজের পছন্দের রংয়ের কাপড় পড়া উচিত। অনেক খুঁজে যে কয়টি ছবি পেয়েছি তাই দিলাম। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সবার ছবি দিতে পারিনা। ভুল হলে ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

মাঝে মাঝে কড়া ,সব সময় বন্ধুসুলভ উদ্যমী


মাঝে মাঝে কড়া ,সব সময় বন্ধুসুলভ উদ্যমী ,আমার অনুপ্রেরণা আর মাঝে মাঝে বাচ্চা ছেলের মত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা আমাদের প্রিয় রেজা ভাইয়ের আজ জন্মদিন।জন্মদিনে রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা।প্রথম ফোনালাপ আর প্রথম সাক্ষাতেই বন্ধুসুলভ আচরণে মনে হয় এ যেনো শিকড়েই পরিচিত।এই বন্ধুসুলভ আচরনের কারনেই অনেক সময় অনেক অভিযোগও সরাসরি করেছি নির্ভয়ে।ভালো থাকবেন ভাই সবসময় দোয়া রইলো এবং মনে প্রানে বিশ্বাস করি সামনের দিনগুলিতে সাথে পাবো অবশ্যই সবসময়।।

সিএসএম পেজের নিবেদিত প্রান আমাদের রিপন ভাই


সিএসএম পেজের নিবেদিত প্রান আমাদের রিপন ভাই। সারাদিনের ব্যাস্ততার মাঝে সামান্য একটু সময় যেই পেলেন অমনি ঢুকে পড়েন পেজে। আর মজার মজার কমেন্ট করে আমাদের সবাইকে মাতিয়ে রাখেন। 

ভাবীর বকুনী যদি হিসেব করা হয় তাইলে সেকেন্ড প্রতি 10/12 বকুনীতো প্রতি সেকেন্ডে হবেই। শুভ কামনা রইলো ফেবুর সিএসএম পাগল এই নিখাঁত মানুষটার জন্য।

:-)+:-)(পর্ব-২)


আশিক বিষয়টা শুনে পরীকে ধৈর্য্য ধরতে বলে এবং এই বলে তাকে আশ্বস্ত করে যে আশিক তাকে ঠকাবে না বা ছেড়ে যাবে না।।আশায় বুক বেধে পাড় হতে থাকে পরীর জীবন।।এদিকে আশিক লেখাপড়ার পাশাপাশি একটা চাকরির ও চেষ্টা করতে থাকে।।এক সময় দিন অতিবাহিত শেষে পরীর ছোট বোনের বিয়ের প্রস্তাব আসে।।ভাল সমন্ধ।।তাই পরীর বাবার ইচ্ছা ছোট মেয়েকে ওখানেই বিয়ে দেবে কিন্তু বড় মেয়েকে রেখে কি করে ছোট মেয়ের বিয়ে দেই।।পরীর বাবা পরীকে বললো তুমি কি করবে সিদ্ধান্ত নাও।।পরী বললো আপনি ছোটর বিয়ের ব্যবস্হা করুন।।উওরে বাবা বললেন তোমাকে কি করবো??পরী বললো আমার ব্যবস্হা আমি করে নেবো।।নানা সমস্যা চড়াই উওরাই শেষে পরীর ছোট বোনের বিয়ে শেষ হলো।।কিন্তু পরীর দুঃখ পরীর মনেই রয়ে গেল।।আশিক জানিয়ে দিল তার এ মুহূর্তে কিছুই করার নেই।।যদি পারো অপেক্ষা করো অন্যথায় নিজের সুখ খোজে নাও।।পরী অপেক্ষা করতে লাগলো কারন সুখ যে এই খানেই,,এই অপেক্ষাতেই।।শুরু হলো সমাজের নির্যাতন।।কোথাও আশ্রয় মিলছিলনা পরীর।।শেষ মেষ চিম্তা করলো পরী এভাবেতো আর বেচে থাকা যায় না,একটা কিছু করা দরকার।।শেষে পরী একটি চাকরী নিল স্কুলে।।সারাটা দিনই তার ভালই কাটতে থাকে।।পরিশ্রম হলেও সামাজিক নির্যাতন থেকে তো বাচা যায়।।।ওদিকে আশিক লেখাপড়া শেষে মেরিনে চান্স পায়।।খবরটা শুনে পরীর চোখ বেয়ে জল গরিয়ে পড়ে।।এই ভেবে যে বিধাতা বোধ হয় চোখ মেলে তাকালেন।।পরী বললো এবার???আশিক বললো আরও কটা বছর অপেক্ষা করো,তারপর।।।আবার পরী আশায় বুক বাধে।।পাড়ি দিতে থাকে অপেক্ষার দিন গুলো।।এভাবেই কাটতে থাকে আশিক-পরীর দিন।।।

বর্তমানে পরীর তিন মেয়ে এক ছেলে।।আশিক মেরিন ইন্জিনিয়ার।।স্বামী -সন্তান-সংসার নিয়ে আজ পরী অনেক সুখী।।খুশি দু'পরিবারের মানুষ গুলো।।

বিঃদ্রঃ সময় সল্পতার কারনে অনেক কষ্টের বা নির্যাতনের কথা গুলো লিখা সম্ভব হয়নি।

তবে লিখাটা অগোছালো বা বাংলা সিনেমার মতো মনে হলেও ঘটনাটা কিন্তু সত্য এবং জীবনের ঘটে যাওয়া গল্প।।
দু'জনের ছবিটা প্রকাশ করতে পারলে বেশ ভালো লাগতো,কিন্তু????????

ভালবাসার ইতি কথা :-)+:-)জীবন থেকে নেয়া---


ছেলেটাকে প্রথম দেখাতেই ভাল লেগে গেল পরীর(ছদ্দ নাম)!!মনে মনে বলতে লাগলো ইস্ এতো সুন্দর আর সুদর্শন মানুষ হয়।।অপলক চেয়ে থাকে সর্বক্ষণ।।বলতে গিয়েও কেন যেন বলতে পারেনা পরী।।কিসের যেন ভয় কাজ করে পরীর।।প্রথম প্রথম না বুঝলেও ধীরে ধীরে বুঝতে বাকী থাকে না আশিকের(ছদ্দ নাম)।।পরীরা চার বোন এক ভাই।।পরী তিন নাম্বার।।অপরদিকে আশিকরা চার ভাই এক বোন।।আশিক বড়।।তারা দু'জনই একই ফ্লেটে থাকে।।একই স্কুলে পড়ে।।তাদের বাবারাও একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে।।দু পরিবারই মধ্যবিত্ত।।হিসেবি জীবন।।আশিক লেখাপড়ায় খুবই ভাল অপরদিকে পরী মোটামুটি ভাল।।তবে আশিকের কারনে এখন ওটাও নেই।।সারাক্ষণ কেবল প্রেম করা সেই সাথে পাগলামি।।কিন্তু আশিক বরাবরই বাস্তববাদী।।পরীকে পছন্দ করলেও পাগলামীটাকে কখনওই প্রশ্রয় দেয় না।

তার লক্ষ্য একটাই লেখাপড়া করে ভাল একটা চাকরী করতে হবে,তারপর বিয়ে এবং সংসার।।এভাবেই চলতে তাদের জীবন।। মাঝে মাঝে লুকিয়ে দেখা করা,কোথাও বেড়াতে যাওয়া এবং প্রতিদিনই চিরকুট বা চিঠি আদান-প্রদান করা।।একটা সময় দু'পরিবারই সকল ঘটনা জানতে পারে এবং দু'জনকেই উত্তম-মধ্যম সহ কড়া নজরদারিতে রাখা এবং পরিস্কার জানিয়ে দেয়া এটা কখনওই মেনে নেয়া হবে না।।শুরু হলো দু পরিবারে যুদ্ধ।।তবুও থেমে নেই আশিক-পরীর ভালবাসা।।বরং দিনকে দিন ভালবাসার ভিত্তিটা আরও যেন মজবুত হচ্ছিল।।এক সময় পরীর বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে কিন্তু পরী বিয়ে করবে না বলে তার পরিবারকে জানিয়ে দেয়।।কথা শুনে পরীর বাবা পরীকে মারধর করে।।কিন্তু পরী অটল।।বিষয়টি পরী আশিক কে জানায়,,,,,,,,,

সাথেই থাকুন,,,,,,,আসছি

সিএসএম পেইজের বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ Al Amin Billah Shujon এর পরিসংখ্যান মতে


সিএসএম পেইজের বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ Al Amin Billah Shujon এর পরিসংখ্যান মতে Atiq Csm এর পরে উদীয়মান কিশোর (বিয়ে করে নাই বলে) লেখক Niaz Morshed জনির অবস্থান। আজকে এখন পর্যন্ত তার লেখা ১৯৬ টি। মানে ডাবল সেঞ্চুরির অতি সন্নিকটে। প্রথম প্রথম জনি এই পেইজে তার আপাদের নিয়ে বেশির ভাগ লেখা লিখত। তখন ভাবতাম হয়তো ছোটবেলার রেশটা এখনো কাটে নাই। কিন্তু তার ইদানিং কিছু লেখা দেখে মনে হচ্ছে জনি এখন আগের জনি নাই। পুরাই চেঞ্জ। তার কিছু পোষ্ট দেখে আমি আসলেই অবাক হয়ে গেছি। কি অসাধারন স্মৃতিশক্তি! কি সুন্দর স্মৃতিচারন! ইদানিং কালের জনির লেখাগুলো পড়তে পড়তে কলনির চিত্রটা চোখের সামনে ভেসে উঠে। মনের অজান্তে কলনিতে চলে যায়। তোমার ভান্ডারে আর যা যা আছে সব বের করে দাও। ডাবল সেঞ্চুরি ও হবে। আর আমরাও নিজের অজান্তে কলনি থেকে একটু ঘুরে আসতে পারবো। ধন্যবাদ জনি। ভালো থেকেো, সুস্থ থেকো। দীর্ঘজীবী হও। যদি সিরিয়াল জনিত সমস্যা না থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে তোমার বউয়ের জন্য একটা জনি প্রিন্ট শাড়ি কিনো।

রেজা ভাই, আমার বড় ভাই


সেই ন্যাংটা কাল থেকে দেখে আসছি। আমার বাবুদা'র উপর যেমন আবদার/অধিকার, ঠিক তেমনি উনার উপর। কখনো কোন কথা বলতে ভাবতে হয় না, ভাই কিভাবে নেবে। মন খুলে বলে ফেলি। অসম্ভব পছন্দের একজন মানুষ আমার। 

আজ আমার ভাইয়ের জন্মদিন। যদি ক্ষমতা থাকতো বাংলাদেশে আজ সাধারন ছুটি ঘোষণা দিয়ে ভাইরে নিয়ে CSM পরিবারের সবার সাথে আড্ডা দিতাম(একটু বাড়াই বলছি আরি), কিন্তু সম্ভব না, তাই শেষ বেলায় চাঞ্চ পাওয়া মাত্র দুই লাইন লিখলাম।

ভাই, ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সারাফের মায়ের নাতি-পূতি নিয়েও আমাদের সাথে থাকবেন এই কামনা করি।

সাল ও সময় মনে নেই তবে মনে আছে সেই সময়ের ফ্যাশন


সাল ও সময় মনে নেই তবে মনে আছে সেই সময়ের ফ্যাশন। সাদা ফিনফিনের সাট, বেল্টবটম প্যান্ট আর হাইহিল সু। আমরা তখন থাকতাম ই-৮।

ইদের শপিংের জন্য বাবার সাথে গেলাম সেই ফেমাস রেয়াজউদ্দিন বাজারে। বাবা সবার জন্যি কেনাকাটা করছেন কিন্তু আমার জন্য কিনছে না। সাথে আমার ভাই টা আছেন। বললাম কিরে আমার টা কিনবি না। তর টা পরে কারন তুই যা চাইছিস বাবা তা তুকে কিনে দিবে না। বাবা আমাকে এ সাট ও প্যান্ট দেখায় কিন্তু সব টা তে আমার না। শেসে বকা জকা করে পেলাম সেই ফ্যাসনের সামগ্রিক সমুহ। 

আমার কি আনন্দ ধরে রে।।।।

একতলা, দোতলা, তিনতলা


ছেলেটির বাসা এক তলায়।আর মেয়ে টির দোতলায়। দুজনের প্রতিদিন জানালার কাছে আসলেই কখনো ইশারায়, কখনো চোখে চোখে কথা বলত।একদিন মেয়েটি অনুযোগ করল ছেলেটিকে,"
তোমার দিকে তাকাতে আমার চোখ নিচু করতে হয়।দোতলায় উঠতে পারো না"
ছেলেটা কিছু বলেনা।হাসে।একসময় ছেলেটির বাবার বদলির নোটিশ আসে।কলোনি র অন্য আরেক টি বিল্ডিং এ যাবার।এই টাও নিচতলা। শুনে মেয়েটি র মন খারাপ হয়।এতদিন ত তবুও চোখ নিচু করে দেখতে পেত।এখন ত দূরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু চোখের আড়াল হলেও মনের আড়াল হয়না একে অপরের।

একদিন ছেলেটি আবার ফিরে আসে মেয়েটি র কাছাকাছি আরেক টি বিল্ডিং এর বাসিন্দা হয়ে তবে এবার তিন তলার। মেয়েটি মনে মনে খুশি হয়।

এবার ছেলেটি বলে,"তুমি ত আমাকে নিচু চোখ করে দেখতে চাইতে না।এবার রাজহাঁস এর মত গলা উঁচু করে দেখতে পারবে"
এবার মেয়েটি কিছু বলে না।মিষ্টি করে হেসে উঠে দুজন।সে হাসিতে স্বর্গের দেবতারাও হেসে উঠেন

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss