আশিক বিষয়টা শুনে পরীকে ধৈর্য্য ধরতে বলে এবং এই বলে তাকে আশ্বস্ত করে যে আশিক তাকে ঠকাবে না বা ছেড়ে যাবে না।।আশায় বুক বেধে পাড় হতে থাকে পরীর জীবন।।এদিকে আশিক লেখাপড়ার পাশাপাশি একটা চাকরির ও চেষ্টা করতে থাকে।।এক সময় দিন অতিবাহিত শেষে পরীর ছোট বোনের বিয়ের প্রস্তাব আসে।।ভাল সমন্ধ।।তাই পরীর বাবার ইচ্ছা ছোট মেয়েকে ওখানেই বিয়ে দেবে কিন্তু বড় মেয়েকে রেখে কি করে ছোট মেয়ের বিয়ে দেই।।পরীর বাবা পরীকে বললো তুমি কি করবে সিদ্ধান্ত নাও।।পরী বললো আপনি ছোটর বিয়ের ব্যবস্হা করুন।।উওরে বাবা বললেন তোমাকে কি করবো??পরী বললো আমার ব্যবস্হা আমি করে নেবো।।নানা সমস্যা চড়াই উওরাই শেষে পরীর ছোট বোনের বিয়ে শেষ হলো।।কিন্তু পরীর দুঃখ পরীর মনেই রয়ে গেল।।আশিক জানিয়ে দিল তার এ মুহূর্তে কিছুই করার নেই।।যদি পারো অপেক্ষা করো অন্যথায় নিজের সুখ খোজে নাও।।পরী অপেক্ষা করতে লাগলো কারন সুখ যে এই খানেই,,এই অপেক্ষাতেই।।শুরু হলো সমাজের নির্যাতন।।কোথাও আশ্রয় মিলছিলনা পরীর।।শেষ মেষ চিম্তা করলো পরী এভাবেতো আর বেচে থাকা যায় না,একটা কিছু করা দরকার।।শেষে পরী একটি চাকরী নিল স্কুলে।।সারাটা দিনই তার ভালই কাটতে থাকে।।পরিশ্রম হলেও সামাজিক নির্যাতন থেকে তো বাচা যায়।।।ওদিকে আশিক লেখাপড়া শেষে মেরিনে চান্স পায়।।খবরটা শুনে পরীর চোখ বেয়ে জল গরিয়ে পড়ে।।এই ভেবে যে বিধাতা বোধ হয় চোখ মেলে তাকালেন।।পরী বললো এবার???আশিক বললো আরও কটা বছর অপেক্ষা করো,তারপর।।।আবার পরী আশায় বুক বাধে।।পাড়ি দিতে থাকে অপেক্ষার দিন গুলো।।এভাবেই কাটতে থাকে আশিক-পরীর দিন।।।
বর্তমানে পরীর তিন মেয়ে এক ছেলে।।আশিক মেরিন ইন্জিনিয়ার।।স্বামী -সন্তান-সংসার নিয়ে আজ পরী অনেক সুখী।।খুশি দু'পরিবারের মানুষ গুলো।।
বিঃদ্রঃ সময় সল্পতার কারনে অনেক কষ্টের বা নির্যাতনের কথা গুলো লিখা সম্ভব হয়নি।
তবে লিখাটা অগোছালো বা বাংলা সিনেমার মতো মনে হলেও ঘটনাটা কিন্তু সত্য এবং জীবনের ঘটে যাওয়া গল্প।।
দু'জনের ছবিটা প্রকাশ করতে পারলে বেশ ভালো লাগতো,কিন্তু????????
No comments:
Post a Comment