Sunday, April 24, 2016

চিঠি এবং মোবাইল ফোন


প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আমাদেরও অনেক ক্ষেত্রে বোধহয় ক্ষতি হয়েছে।।যেমন একটা সময় ছিল যখন ফোন,,ফ্যাক্স,,মোবাইল,,ইন্টারনেট ইত্যাদি কিছুই ছিল না।।যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সব চেয়ে প্রাচীন প্রথা ছিল চিঠি।।এটা আদান-প্রদানের মাধ্যমে মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করতো।।

একটা চিঠি লিখলে তার উওর আসতো দশ-পনেরো দিন কিংবা একমাস পরে।।কত আবেগ,,কত ভালবাসা।কত শ্রদ্ধা-সম্মান।।যেটা কালের বিবর্তনে আজ আমরা হারাতে বসেছি।।

যেমন
প্রিয় মানুষ টি তার প্রিয় মানুষ টিকে লিখতো কেমন আছো??স্বাস্থ্য কেমন??নিজের খেয়াল রেখো??ঠিক মতো খাবার খেও ইত্যাদি।।ছাড়লো চিঠি।।এবার অপেক্ষা উওরের।।একদিন-দুদিন-পাঁচ দিন-সাত দিন।।কেবল অপেক্ষা আর অপেক্ষা।।উওর এলো।।অধীর আগ্রহ আর উৎকন্ঠা নিয়ে খোলা হলো চিঠি।।পড়া হচ্ছে চিঠি আর ভেসে আসছে চোখের সামনে সেই প্রিয় মুখ।।কখনও কখনও অতি আনন্দে বা কষ্টে বেয়ে পড়ে দু'ফোঁটা অশ্রু।।
আর এখন মনে পড়তে দেরি আর কথা হতে দেরি নাই।।স্রেফ কয়েকটা নাম্বার বাটন চাপলেই চোখের সামনে জল জেন্ত হাজির হয় সেই প্রিয় মানুষটি।।মোবাইল নামক বস্তুটি আসলেই অনেক উপকার করেছে এই ক্ষেত্রে।।এই তো গেল ভাললাগা-ভালবাসা-আর আবেগ।।

29 APRIL. SONDHA THEKE JHIRI JHIRI BRISTI HOCCHILO


29 APRIL. SONDHA THEKE JHIRI JHIRI BRISTI HOCCHILO.RAAT 12TAR POR THEKE SHURU HOLO TANDOB.SE KI BATAS R TAR SATHE BATASER BIKOT SHOBDO.JA AMI JIBONEO SHUNINI.BATASER PROTHOM DHAKKATA ASE LAGE AMAR MATHAR KACHER JANALAE.JANALATA VENGE JAE.TOKHON AMRA C-8-E TE THAKTAM.TARPOR SHURU HOLO JHORER TANDOB.CHARDIK NIKOS KALO ONDHOKARE CHEYE JAE.MONE HOCCHILO KIAMOT SHURU HOACHE.R KONODIN HOYTO SOKAL HOBENA.CHARPASHE CHITKAR,KANNA-KATI R AZANER SHOBDO SHUNA JACCHILO.SHOBDE KANGULI FETE JABAR UPOCROM.HOTHAT ABBA BOLLEN PANI ASCHE.AMMA-ABBA DORJA EKTU KHULE DEKHTE CHACCHILO PANIR OBOSTHA.HOTHAT BATAS ASE DOJAE AMON CHAP DILO R EKTU HOLE ABBA-AMMAR MATHATA GURIE JETO.SEI BIVISIKAMOY RAAT KOKHONO VULAR NOY.

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ - ১


পৃথিবীটা বড়ই স্বার্থপর। স্বার্থের জন্য মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। আপনি যা কখনো চিন্তাও করতে পারবেন না তাও মানুষ তার নিজ স্বার্থের জন্য করতে পারে। স্বার্থের জন্য কখনো ছুড়ে ফেলে দিবে বা আবার কখনো আপন করে বুকে টেনে নিবে। ওদের কিন্তু চক্ষু লজ্জা নাই। সামান্যতম চক্ষু লজ্জা থাকলে এইসব কাজ করতে পারতো না। এই ধরনের লোকদের আমরা চিনতে পারলেও অনেক সময় কিছু করতে পারিনা। কিংবা চক্ষু লজ্জার কারনে সামনা সামনি কিছু বলতে পারিনা। এভাবে আর কতদিন?? কতদিন আমরা চুপ করে থাকবো??

শিরোনামহীন


২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে স্বাভাবিক চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। প্রথম দিকে কিছু ভুল চিকিৎসা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী আমাকে অর্থনৈতিক ভাবেও প্রতিবন্ধী করে দেয়। 

সেই সময় থেকে আজ অব্দি আমার দুঃসময়ের ছায়াসংগী হয়ে রয়েছে আমার স্কুল জীবনের সহপাঠী বন্ধুরা। তারা সেই সময় একরকম ঢাল তলোয়ার ছাড়াই যুদ্ধ ঘোষনা করে আমাকে উন্নত চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলার জন্য।

এর মাঝে বন্ধুরা ছাড়া সিএসএম এর এক বড় ভাই আমার ও আমার পরিবারের দুরাবস্তার কথা জানতে পেরে আমার পাশে দাড়ায় বিশাল হৃদয় নিয়ে।

এভাবেই কাটতে থাকে আমার দিনকাল।

২৯ শে এপ্রিল ঝড় নিয়ে অনেক স্মৃতি, অনেক কিছুই লিখার আছে


২৯ শে এপ্রিল ঝড় নিয়ে অনেক স্মৃতি, অনেক কিছুই লিখার আছে কিন্তু কোন কিছুই লিখতে ইচ্ছে করেনা। অনেক বিভৎস, অনেক কষ্ট এই দিন টি। আমরা নীচ তলাতেই ছিলাম, এক দিন পরেই আমার এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। আর সেদিন ছিল স্কুল থেকে আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান। 

ঝড় শুরু হওয়ার পর কোন মতে জীবন নিয়ে সবাই দোতালায় উঠি। নিজেরা সরাসরি ক্ষতির শিকার হওয়া স্বত্তেও সকাল বেলাই কাটগড় ও দ: পতেংগা ঘুরতে যাই ওই সমস্ত এলাকাজুড়ে দেখি শুধু ধবংসযজ্ঞ। আর লাশের সারি। সবচেয়ে খারাপ লেগেছে একটি বাচচা মেয়ের লাশ কর্নফুলি নদীতে ভাসছে মেয়েটি এক হাতে কোল বালিশ আকড়ে ধরে আছে, বুঝাই যাচ্ছে বাঁচার শেষ চেষ্টা হিসেবে কোল বালিশ টিকে আকড়ে ধরেছিল। এধরনের মর্মান্তিক দৃশ্যই ছিল ওই সময়কার কয়েকদিনের নিত্যদিনের ছবি আর বাতাসে খালি লাশের গন্ধ।

এই ২৯ এপ্রিল প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও পরবর্তী ঘটনা আমার ব্যাক্তিগত জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আর যার শেষ হয়েছিল মনের উপর আরেক ঘূর্ণিঝড় দিয়ে।

লিখবো না বলেও লিখে ফেললাম।

অনেক বড় লিখা সবভব হলে কস্ট করে পড়ে নিবেন,নিবেঃপাগলের প্রলাপ বকা


মানুষ তো মানুষের ভাল করবে না হয় খারাপ করবে অন্ন কেউ তো করত্যে পারবে না তত্রুপ আমরা ই আমাদের ভাল করবো না হয় কারাপ করবো তাতে অনন্যার কি? অন্য বলতে মানুষ ছাড়া আর সব।
মানুষের মাঝে গড়ে ওঠা সম্পর্কগুলা সম্ভবত বিনিময়-প্রথা মেনে চলে না। এই কারণেই তুমি কাউকে খুব বেশি মূল্য দিলে বিনিময়ে সেই মানুষটাও তোমাকে মূল্য দিবে-এটা আশা করা যায় না..!!
প্রত্যেকটা মানুষের প্রায়োরিটির লিস্ট আলাদা। তোমার লিস্টে যে মানুষটার নাম ১ নাম্বারে আছে, তুমি হয়তো তার লিস্টেই
নেই। তোমাকে এই কঠিন সত্যিটা সহজে
মেনে নিতে হবে। মেনে নেয়ার নামই
জীবন. ।জীবন কে মেনে চলার নাম ই আল্লাহ কে মেনে নেওয়া।
তাই
কাউকে খুব বেশি পরিমাণে গুরুত্ব যদি দাও, তাহলে নিঃস্বার্থভাবেই দিও। কাউকে খুব বেশি কেয়ার করে নিজেও তার কাছ
থেকেও অমন কেয়ার পাওয়ার আশা করো, তাহলে কষ্ট পেতে হবে। অনেক রকমের কষ্ট আছে এই পৃথিবীতে আশাভঙ্গের কষ্টটা সহ্য করা বড্ড কঠিন..!! আমি আমার আল্লাহ কাছে বলি হে সৃষ্টি কর্তা আমায় দিও না, দিলে নিও না, এই বেথা সইবার পারবো না।

অফিসারস ক্লাবের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা


অফিসারস ক্লাবের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা য় আমরা কয়েকজন ভিক্ষুক সাজি, তার মধ্যে বদরুল বেয়ারিং এর গাড়ি চড়া লুলা ভিক্ষুক, Shojib Rahman মাটিতে গড়িয়ে চলা ভিক্ষুক আর আমি বিকলাঙ্গ ভিক্ষুক হই। প্রতিযোগিতায় ১ম ২য় কিছু না হলেও মাত্র ১০ মিনিট ভিক্ষুক সেজে সেই ৯৭ সালে প্রায় ৯০ টাকা প্রতিযোগিতা র দর্শক দের কাছ থেকে ভিক্ষা পাই। এবং অনুষ্ঠানের আয়োজক দের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। যার ফলশ্রুতি তে কিছুদিন পর অফিসারস ক্লাবের সভাপতি মোমিন চাচা আমাকে ও বদরুল কে ডেকে ক্লাব কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে ছোট নাটিকা টাইপ কিছু একটা করতে বলেন। সেই "দু:খ পরিদর্শন" নামক নাটিকা টি তে আমি বাতেন চরিত্রে, বদরুল মামা চরিত্রে, সজিব দুলাভাই চরিত্রে, রাজিব তিলু চরিত্রে আর বিপুল হাইজ্যাকার চরিত্রে অভিনয় করে যদিও হাইজ্যাকার চরিত্র টি Ahsanul Tarique এর করার কথা ছিল কিন্তু তার চিকেনপক্স হওয়াতে তার জায়গায় বিপুল কে নেওয়া হয়। 

আমার ছোট ভাইয়ের লেখা এই নাটিকা টি পুরোপুরিভাবে হাস্যরসে ভরপুর হলেও এখানে কিছু শিক্ষা মুলক মেসেজ ছিলো।

নাটকের শেষ দৃশ্যের দিকে যখন হাইজ্যাকার কর্তৃক মামার(বদরুল) পায়জামা ছিনতাই করে হাফপ্যান্ট পড়া অবস্থায় দেখা যাচ্ছিল তখন উপস্থিত দর্শক গন হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল।

অনেক ঘটনার মধ্যে তিনটি আপাতত বলি


অনেক ঘটনার মধ্যে তিনটি আপাতত বলি, তখন মাত্র কলেজে উঠেছি একদিন হালিশহর মামার বাসায় যাওর জন্য, কাস্টম থেকে রিকশায় করে যাচ্ছি একটা আকাম করতে করতে।। কলোনির কোন এক চাচা আমার হাতের জিনিষটি দেখে সোজা আব্বার কাছে বিশ্ময় প্রকাশ করেছে সুমনের মত ছেলে এই কাজ..... বাবা আমার কেঁদে ফেলেছেন কেননা উনি চাচা কে বলেছেন আপনি ভুল দেখেছেন এর পর অফিস থেকে আম্মাকে ফোন, একটাই প্রশ্ন সুমন কে জিঙ্গাসা করো গতকাল হালিশহর রিক্সায় করে গিয়েছি কিনা? প্রশ্ন শুনে আমিত বুঝে ফেলেছি কিন্তু অস্বীকার করার কোন সাহস বা শক্তি কোনটাই ছিলনা। আজ পর্যন্ত জানতে পারিনি সে চাচাটা কে। তখন উনার উপর একটু মন খারাপ হলেও আজ বুঝতে পারি আমার সম্পর্কে উনার আনেক ভাল ধারনার কারনে উনি আব্বার কাছে বলেছে আর আমি আমার আব্বা আম্মার প্রতি কৃতজ্ঞ এই কারনে যে উনারা আমাকে উনার নাম বলেননি বললে হয়ত তখন উনার প্রতি না বুঝে একটা বিরূপ ধারনা হতে পারত কাচা বয়সে যা হয় আর কি। আমাদের বাপ চাচা গুলি এত উচ্চ শিক্ষিত ছিল না কিন্তু উনাদের আচার আচরন আজকাল হাজার উচ্চ শিক্ষিত কে হার মানাবে.....

আজ ২৪ এপ্রিল, আমার চাকুরী জীবনের ১৭ বছর পূর্তি আজ


আজ ২৪ এপ্রিল, আমার চাকুরী জীবনের ১৭ বছর পূর্তি আজ।১৯৯৯ সালের এই দিনে আমি বসুন্ধরাগ্রুপ এ জয়েন করি। পোস্টিং হয় পুরানো ঢাকার ব্রাঞ্চ অফিসে। সহকারী অফিসার হিসেবে স্বল্প বেতনের চাকুরী। স্বল্প বেতন হলেও স্টিল মিল বন্ধের ক্রান্তি কালে এ চাকুরী ছিল আমার ও আমার পরিবারের প্রতি সৃষ্টিকর্তার অসীম দয়া। দীর্ঘ ১০ বছর এই গ্রুপে চাকুরী র শেষ দিকে অফিস রাজনীতির শিকার হয়ে বসুন্ধরাগ্রুপ এর চাকুরী ছেড়ে ২০০৯ সালে পারটেক্স গ্রুপের পারটেক্স পেপার মিলের মার্কেটিং এন্ড সেলস ডিভিশনে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে জয়েন করি, বর্তমানে এখানে আমি সহকারী মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছি।

চাকুরী র ১৭ বছর পূর্তিতে আমি সবার কাছে আমার ও আমার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া চাই যাতে ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্য লাভ করতে পারি।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss