Thursday, March 3, 2016

আমার এই লেখাটি কি পোষ্ট হিসাবে ধরা হবে?


আমাদের সিএসএম কলনির পরিসংখ্যানবিদ Al Amin Billah Shujon কতো কষ্ট করে আমাদের পোষ্টের পরিসংখ্যান দিচ্ছে। তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। ওর জন্য অনেকেই (আমার মতো) ইতি মধ্যে লেখা লেখি শুরু করে দিছে। রেজাল্ট শীটে যদি নাম না উঠে তাহলে মান থাকেনা। অনেক বলে তার জন্য লেখা। আবার অনেকে মনে করে এটা একটা প্রতিযোগিতা। আর আমার মতে প্রতিযোগিতা হলে ভাল। পেজ সচল থাকবে। তবে কারন যাই হোক আমি বলবো সুজনের পরিসংখ্যানে আমাদের পেইজে পোষ্টের পরিমান অনেক বেড়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিলো পরিসংখ্যান দেওয়ার পর। ধরা যাক সুজন পরিসংখ্যানে বললো অমুকের পোষ্ট ৩ টি। এখন সে যদি বলে আরো বেশি হতে পারে। তখন সুজন বলে পোষ্টটি ওকে ট্যাগ করার জন্য। এখানেই সমস্যা। আমার মতো যারা মোবাইলে বিশেষ ভাবে অজ্ঞ তারা পুরাতন পোষ্ট খুঁজে বের করতে পারে না। আবার পারলেও কি নামে পোষ্ট দিছে, কি বিষয়ে, কখন দিছে ইত্যাদি মনে না থাকার কারনে ওকে ট্যাগ করা হয়না। আর একটি বিষয়ে সুজনের কাছে জানতে চাই কি ধরনের পোষ্ট কাউন্ট করা হয় (অনুছড়া এবং ছবি বাদে)। যেমন : এক লাইনের পোষ্ট না দুই লাইনের নাকি দুইয়ের অধিক। এই বিষয়ে ক্লীয়ার করা হলে ভালো হয়। কারন অনেকেই আছে এই ধরনের পোষ্ট দেয়।
পুনশ্চ : আমার এই লেখাটি কি পোষ্ট হিসাবে ধরা হবে?

কারন আমি ষ্টীলার


আজ বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ। উপরের মহল থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে আজকের রাতটা যেন বাবুর্চির সাথে খোলা আকাশে নীচে কাটাই। অর্থাৎ বাবুর্চি রান্না করবে আর আমাকে চেয়ার নিয়ে তাদের পাশে বসে থাকতে হবে। এটা কি গ্র্যান্ড আড্ডার রান্না? গ্র্যান্ড আড্ডার রান্নার আগের রাতে খোলা আকাশের থাকছি বলে কি আমাকে এখানেও থাকতে হবে? না সম্ভব না। তাই আমি উপরের নির্দেশ অমান্য করে বাসায় রাত্রি যাপন করতেছি। জানি এর জন্য আমাকে কারন দর্শাও নোটিশ দেওয়া হবে। আগামী কয়েকদিন ওএসডি করে রাখতে পারে। রাখুক সমস্যা নাই। আমি কি ভয় পাই? না আমি ভয় পাই না। কারন আমি ষ্টীলার।

সব ভুললে জীবনে দুসটামির জন্য খোরশেদ আলম (মানিক) ভাই এর মাইর যে পরিমান খাইছি, তা ভুলার না


সব ভুললে জীবনে দুসটামির জন্য খোরশেদ আলম (মানিক) ভাই এর মাইর যে পরিমান খাইছি, তা ভুলার না, যখন যখন ইরাক এ জব করছি, ১পাকিস্তানিরে মেরে, জেল এ গেছিলাম মাইর খাইনাই, দেশে আসার পর ১দিন মেডিকেল থেকে আসার সময় রাত আনুমানিক ০১:৩০ দিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়, মাইর খাই নাই, মনে হয় আমার ভাগ্য যে মাইর ছিল সব আমারে মানিক স্যার এ দিয়ে দিছে, তখন অনেক জীদ লাগলে ও এখন বুঝি, স্যার যা করতেন আমার ভালোর জন্যা করতেন, ১টা প্রশ্ন এখনো মনে মধ্যে ঘুরপাক খায়, মানিক স্যার আমারে ১দিন পানিতে অনেক চুবাইসে, কিনতু কেন চুবাইসে আজ ও বলতে পারিনা, নাকি অন্য কারো জীদ আমার উপর উরাইছে, সেটাই বুঝিনাই

"ইউনুসের দাড়ি"


আমাদের প্রিয় ইউনুস,, দাড়ি রাখা শুরু করেছে। থুতনি র গোড়ায় অল্প কিছু দাড়ি দেখতে ভালোই লাগে। রাতে ভাত খাওয়ার পর যখন সিগারেট খাওয়ার জন্য তার দোকানে যেতাম আমার নিয়মিত প্রথম কাজই ছিলো আমার হাত দিয়ে খুব ভক্তি সহকারে ইউনুসের দাড়িতে হাতের স্পর্শ করে সেই হাতে আবার চুমু খাওয়া, অনেকটা কদুমবুসি স্টাইলে। আমার এভাবে ভক্তি সহকারে তার দাড়িতে চুমু খাওয়াটা ইউনুস খুব উপভোগ করত। আর আমার কাছে বিষয়টি ছিলো মজা করার জন্য। 

তবে একবার আমার উপর খুব ক্ষেপে গিয়েছিল ইউনুস। একদিন আমি খুব হন্তদন্ত হয়ে সিরিয়াস ভংগিতে ইউনুস কে বললাম "ইউনুস তোর দাড়িতে কখনও টান টান লাগে" ইউনুসও সিরিয়াস ভংগি তে উত্তর দিলো "নাতো এরকম কখনো হয় নাই"। এর পর আমি বললাম "যদি টান লাগে তাহলে মনে করবি তোর দাড়ি তে শয়তানে ঝুলে ঝুলে দোল খাাইতেছে। এ কথা শুনে তার সুপারি কাটার চাকু নিয়ে আমাকে দৌড়ানি দিলো ধরতে না পেরে যত গালাগালি ছিলো সবই আমার উপর সে ঢাললো এবং অনেক দিন আমাকে বাকী দেওয়া বনধ করে দেয়।

মানুষ স্বপ্ন দেখে


মানুষ স্বপ্ন দেখে। কিন্ত পনের বছরে-কলোনী থেকে সবাই চলে আসার পর-29শে জানুয়ারী আবেগপূণ স্বপ্ন বিভোর যে অনুষ্ঠানটি হলো-তা 15 বছরে কেউ রাতে ঘুমে স্বপ্নেও এত সুন্দর অনুষ্ঠান কপ্লনা করেছে কিনা সন্দেহ। বিজ্ঞান বলে-প্রকৃতিতে 100% খাটি বিশুদ্ধ কোন পদার্থের কোন অস্থিত্ব নেই। তাকে কোন সংমিশ্রনের সাথে মিলে-তার অস্থিত্বকে প্রমাণ করতে হয়। স্বর্ণের সাথে খাত মিলেয়েই কিন্ত স্বর্ণকে শক্ত হতে হয়। তদ্রব- যে কোন উৎসবের কিছু নেগিটিভ সাইড থাকবে। আমার মনে হয়, সব চেয়ে নেগিটিভ সাইড হলো-29 তারিখের সারা দিনের কর্মসূচী- কোন সময় কোন আইটেমটা হবে। আমার ধারনা এটা না হওয়ার পিছনে কারণ হলো-ঐ প্রবাদের মত-‘‘ভিক্ষা চাইনা মা কুত্তা সামলাও” কারণ এত বড় অনুষ্ঠানের আর্থিক যোগানের চিন্তায় ছোট বড় সকলেই এত বেশী চাপে ছিল যে, সবার চিন্ত ধারনা ছিল-আগে আমের ব্যবস্থা করি। পরে ছালার চিন্তা করব।

২৯/২/১৬ আড্ডার একমাস পূর্তি নিয়ে অনেকের লিখা পোস্ট করেছে


২৯/২/১৬ আড্ডার একমাস পূর্তি নিয়ে অনেকের লিখা পোস্ট করেছে।আরো অনেকে লিখবে মনে মনে ভাবছি আর লিখা আজ পোস্ট আসবে।কিন্তু দুপুর ২ টা বাজে নিরু ভাই ফোন করল মামুন শুনেছিস,আমি বললাম কি ভাই,বন্যার (বন্যা বুবু) বাবা ইন্তেকাল করেছে।

একটা পোস্ট দিয়ে দিস।আমি নিরু ভাইয়ের কথা শুনে হতবাক,কারন আমি জানি চাচা ঢাকাতে চিকিৎসা করতে এসেছে,বুবুর সাথে।তারপর আমি নাহিদ আপুকে ফোন দিলাম,ফোন কে যেন ধরে বলল আপুর বাবা ১.৩০ দিকে মারা গিয়েছে। তারপর আমি একটি পোস্ট দিলাম।তার আগে আতিক ভাই ও পোস্ট করেছে।

যার চলে যায় সে বুঝে বিচ্ছেদে কি যন্ত্রণা।কারণ আমার বাবা মারা যায় ১৯৯৯ এ ২৫ শে জানুয়ারি আমার হাতের উপর।

আমাদের যাদের মা- বাবা এ দুনিয়া থেকে চলে গেছে আল্লাহ তাদের জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন আমিন।সবাই আমাদের সকলের মা- বাবা যারা কবর বাসী সকলের জন্য দোয়া করবেন।
আর বুবু তার বাবার জন্য আগামীকাল দোয়ার আয়োজন করেছে,যারা পারেন যাবেন,গেলে বুবুর ভাল লাগবে।আমি কাছে থাকলে অবশ্যাই যেতাম।

পরিসংখ্যানঃ জানুয়ারী ২০১৬ (০১ জানুয়ারী ২০১৬ টু ৩১ জানুয়ারী ২০১৬ পর্যন্ত)


রেজা ভাই আমাকে বলেছিল ২০১৬ তে আলাদা করে পরিসংখ্যান করতে, কারণ অনেকেই অনেকপর থেকে লিখা শুরু করেছে তাই আমি এইবার জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারী এবং গ্র্যান্ড টোটাল আলাদা আলাদা ভাবে পরিসংখ্যান করেছি যেন নতুন লেখকরা উৎসাহিত হয়।

যদি আমি ফেব্রুয়ারীর সাথে জানুয়ারীর তুলনা করি তাহলে আমার কাছে জানুয়ারীর ফলাফলটা তেমন আশানুরূপ হয়নাই। জানুয়ারী মাসে লেখকের সংখ্যা এবং লিখার সংখ্যা দুইটাই কিছুটা কম ছিল তাই লড়াইটা তেমন জমে উঠে নাই। সবাই মনে হয় গ্র্যান্ড আড্ডার প্রস্তুতি, কেনাকাটা এবং গ্র্যান্ড আড্ডা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত ছিল তাই লিখার সময় পায় নাই। আমি নিজেও জানুয়ারীতে ফেল মারছি। জানুয়ারীতে আমার বেশকিছু পোস্ট ছিল কিন্তু পরিসংখ্যান এ কাউন্ট করার মত একটা পোস্টও নাই, তাই জানুয়ারীতে আমিও স্টার মার্কসহ ফেল ।

অবশ্য ফেব্রুয়ারীতে আমরা এর সম্পূর্ণ একটা উল্টা চিত্র দেখতে পাব কারণ ফেব্রুয়ারীতে লিখার সংখ্যা এবং লেখকের সংখ্যা ছিল অকল্পনীয় যা আমাকে এবং আশা করি আমাদের সবাইকে খুব অবাক করবে। তাই লড়াইটা খুব জমে উঠেছিল। আর বেশি কিছু না বলি বাকিটা আমরা ফেব্রুয়ারীর পরিসংখ্যানে দেখব।

যাইহোক এইবার ফলাফল প্রকাশ করি।

অভিনন্দন বাংলাদেশ, তোমাকে অভিনন্দন


অভিনন্দন বাংলাদেশ, তোমাকে অভিনন্দন। প্রতিদিন সকালে খবরের কাগজ টা খুললেই গা শিউরে উঠা খারাপ সংবাদ। তার মাঝে বাংলাদেশের ক্রিকেট বিজয় সংবাদ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেয়।

মনে পড়ে যায় আইসিসি ক্রিকেট ১৯৯৭ এর কথা, তখন মিডিয়ার এতো ছড়াছড়ি ছিলোনা, মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত খেলার ধারা বিবরণী শোনার জন্য সবার কানে এক ব্যান্ডের রেডিও লাগিয়ে চলাফেরা। সে এক দেখার মত দৃশ্য। শ্বাষরুদ্ধকর ফাইনালে কেনিয়া কে হারানোর পর বাজারের বেলাল ভাইয়ের জাতীয় পতাকা হাতে পাগলের মত উল্লাস যেন পুরো বাংলাদেশের উল্লাস চিত্র কে তুলে ধরেছিলো।

এর পর বহুবার বাংলাদেশের বিজয় নিয়ে গর্বিত হয়েছি, আনন্দে আন্দোলিত হয়েছি কিন্তু বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে ভেসে যেতে পারিনি। আসলে ভাসার আর জায়গা ছিলোনা। উল্লাসে ভাসার শ্রেষ্ঠ স্থান তো ছিলো আমার কলোনি, কিন্ত তত দিনে সেটা তো আর নেই।

আমার উল্লাসে ভাসার জায়গার দরকার নেই, এভাবে জিতে জিতে বাংলাদেশ আমাদের মনের আনন্দে ভাসিয়ে নিক।
তোমাকে আবারও অভিনন্দন বাংলাদেশ।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss