মানুষ স্বপ্ন দেখে। কিন্ত পনের বছরে-কলোনী থেকে সবাই চলে আসার পর-29শে জানুয়ারী আবেগপূণ স্বপ্ন বিভোর যে অনুষ্ঠানটি হলো-তা 15 বছরে কেউ রাতে ঘুমে স্বপ্নেও এত সুন্দর অনুষ্ঠান কপ্লনা করেছে কিনা সন্দেহ। বিজ্ঞান বলে-প্রকৃতিতে 100% খাটি বিশুদ্ধ কোন পদার্থের কোন অস্থিত্ব নেই। তাকে কোন সংমিশ্রনের সাথে মিলে-তার অস্থিত্বকে প্রমাণ করতে হয়। স্বর্ণের সাথে খাত মিলেয়েই কিন্ত স্বর্ণকে শক্ত হতে হয়। তদ্রব- যে কোন উৎসবের কিছু নেগিটিভ সাইড থাকবে। আমার মনে হয়, সব চেয়ে নেগিটিভ সাইড হলো-29 তারিখের সারা দিনের কর্মসূচী- কোন সময় কোন আইটেমটা হবে। আমার ধারনা এটা না হওয়ার পিছনে কারণ হলো-ঐ প্রবাদের মত-‘‘ভিক্ষা চাইনা মা কুত্তা সামলাও” কারণ এত বড় অনুষ্ঠানের আর্থিক যোগানের চিন্তায় ছোট বড় সকলেই এত বেশী চাপে ছিল যে, সবার চিন্ত ধারনা ছিল-আগে আমের ব্যবস্থা করি। পরে ছালার চিন্তা করব।
ভাত একটা টিপ দিলে বুঝা যায়-সব গুলো ভাত হয়েছে। আমার মত-29 তারিখের কুপি বাতির আলো ছড়াতে গিয়ে-অনেক ভাই-বোনের এমন অনেক সামাজিক ও আর্থিক কাহিনী আছে-সেগুলো তারা যদি বর্ণনা করে তবে তাতে সিিএসএম এর পেইজ-এ-‘‘দুঃখে মহা কাব্য” রচনা হবে। ঐ দুঃখগুলি তারা আরও ছয় মাসে পুরণ করতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ। তাদের উদ্দেশ্যে-একটাই শান্তনার বাণী বলব-
‘‘কাটা হেরী কান্ত কেন কমল তুলিতে
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে”।
যাক সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আল্লাহ আমাদেরকে দান করেছেন। সওগাত-- আমাদের এই বন্ধুটা সময়ের অভাবে-এষ্টেজে গান গাওয়ার এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এটা তাকে যতটা ব্যথীত করেছে আমি হলফ করে বলতে পারি-আমাদের বন্ধু মহলে সবার মনে সমান ব্যথার ক্ষতোর সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া শ্রদ্ধেয় বড় ভাই টলি, সওগাত, রাসেল, নমি ও অন্যান্য যে সব ভাই ও বোনেরা অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে-তাদের কাছে কড়জোরে মিনতি করবো
‘‘এখানে সবাই আমরা আমরাই তো” কাদের উপর অভিমান করব।”
আমার ওতো ইচ্ছা ছিল-ষ্টেজে উঠে-(ইমরান/কোরবান) ভাই এবং (ছোবাহান চাচা ও নানা)-তাদের কিছু অংশ হু-বা-হু নকল করে সবাইকে দেখাব। এক বিয়ের অনুষ্ঠানে একজনকে জিজ্ঞাসা করলা হলো-খাবার কেমন হয়েছে? সে বলছে-সবই ঠিক আছে লবন একটু কম হয়েছে। সেরূপ-যে সব ভাই ও বোনেরা অনিয়ম ও চুরির অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে-আমার ধারণা আর্থিক ও অনান্য কারনে যদি অনুষ্ঠানটা না হতো তাহলেও তারা হয়তো-লবন কম হওয়ার দলেই থাকত। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তাই আসুন, আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে সব কিছু ভুলে গিয়ে-এই পেইজটা কে-নিজেদের সুখ ও দুঃখ ভাগাভাগি করে পেজটাকে অলংকৃত করে তুলি। কারণ এটা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না। একজন সিনিয়র হিসাবে ব্যার্থতার দায়ভার কিছুটা আমার উপর বর্তায় তাই আত্ম সুদ্ধির চেষ্টা করলাম। মজার কথা হচ্ছে, পাগলেরা মনে করে তারাই সুধু সুস্থ্য, আর দুনিয়ার সবাই পাগল। মানুষিক হাসপাতালে চিকিৎসারত এক পুরনো রোগী এক নতুন ভর্তি হওয়া রোগীকে বলছে, ‘‘এ পাগলা ঔষধ খা, ভাল হয়ে যাবি”। সেই হিসাবে আমি মনে হয় সব চেয়ে বড় পাগল।
No comments:
Post a Comment