Wednesday, July 20, 2016

হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল যারে


হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল যারে,
সেতো শুনিতে চাহেনা।
ধরনীর মাঝে এত কাছাকাছি,
তবু ছুয়ে দেখা হলোনা।
কাব্যিক টাইপের এমন পত্র লিখা কলোনীর অনেকের রেওয়াজ ছিল। প্রেম হালে পানি পাক বা না পাক,এমন কাব্যিক লেখা কখনো থেমে ছিলনা। এক প্রেমিকা রাত জেগে প্রেম পত্র লিকতে গিয়ে লিখল," কেউ জেগে নেই, জেগে আছি আমি আর রাত জাগা বাতিটি। কি দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবো? ফুল? সেতো হবে কাগজের শুকনো ফুল। রঙ আছে গন্ধ নেই।যাক তবুও তোমার জন্য রইল গোলাপীয় শুভেচ্ছা"। আবার কেউ কেউ ছন্দে ছন্দে প্রেমের নিবেদন করতো।যেমন:
"বাড়ীর পিছে নালিকেল গাছ,
চিকন চিকন পাতা।
তোমার কাছে বলতে চাই,
ভালবাসার কথা।"
আবার,
"তেতুল তেতুল পাতা,
তেতুল বড় টক।
তোমার সাথে ভাব করিতে,
আমার বড় শখ"।
আবার কাউকে কাউকে দেখেছি গানের মাধ্যমে প্রেম নিবেদন করতে। কেউ কেউ পুরো গানের ক্যাসেট গিফট করে প্রেম নিবেদন করতো। তবে এক মেয়ের প্রেম নিবেদনের গল্প আমার কাছে স্মরনীয়। মেয়েটি একই রাতে হুবুহু দুটি পত্রলিখে এবং দুজন সহযোগীর মাধ্যমে দুজন প্রেমিকের কাছে পত্রদুটি পৌছে দে। প্রেমিকদ্বয়ের সমাপনির গল্প প্রকাশ করা না গেলেও। আমার এক বন্ধুর কাব্যিক প্রেমের উপস্হাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে। বন্ধুটি তার প্রিয়তমার উদ্দেশ্যে লিখে দিল- তোমার বাগানে তুমি, আমার বাগানে আমি,মাঝখানে সূর্য্যের রশ্মি বয়ে যায়।

কিছুক্ষন আগে গুলশান ১ এ একটি ফ্যাশন হাউসে আসছি ছেলের জন্য প্যান্ট কিনতে


কিছুক্ষন আগে গুলশান ১ এ একটি ফ্যাশন হাউসে আসছি ছেলের জন্য প্যান্ট কিনতে, এই হাউস টিতে বিদেশী ক্রেতাই বেশি থাকে, তার উপর দোকানের নামও আর্টিসান, তাই দোকানে ঢুকার সময় ড্রাইভার কে মজা করে বললাম 
" কামাল দোয়া রাইখো আর মোবাইল খোলা রাইখো" । যদিও মজা করে বলেছি, আসলে বাস্তবে কিন্ত সবাই কিছুটা হলেও উদ্বেগে থাকি। দোকানে বিদেশি কোন ক্রেতা ছিলনা। ক্রেতা বলতে আমি আর একজন দেশীয় লাস্যময়ী বাট গোমড়ামুখী ললনা।

যাক এতোক্ষন এগুলো মজা করলাম। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক,সবসময় সব বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করুক। আর সবার মধ্যে শুভবুদ্ধি জাগ্রত করুক। আমিন।

মেয়ে দেখতে যাব


মেয়ে দেখতে যাব। আমার নিজের জন্য-ই!! দুই দিন আগেও বলেছিলাম, বিয়া "করিবেক না"!! এখনও সির্দ্ধান্তে অটল আছি!! টিটু মামা/লিটন মামা আর শেলী এবং বোন জামাই ফরিদ, এদের হাতে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হলো। মেয়ে ইডেনে পড়ে। সেখানেই আমরা যাবো। ভোর বেলাতেই ফরিদের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেলো!! বসে/বসে ফরিদের তামশা দেখতে লাগলাম। মেয়ে দেখতে যাবে আমার জন্য, আর উনি নিজেই মাঞ্জা মারতে ব্যাস্ত!! শার্ট/প্যান্ট ইন করে, পারফিউম দিয়ে পুরা ফিটফাট!! ভাইয়া আপনে এখনো রেডি হন নাই!! টিটু মামারা কই?? শেলী ভাই এখনো আসতেছে না কেন?? একটু পরেই বাকী তিনজন আসলেন। উনারাও পুরাদস্তর ফিটফাট!! শেলী আমাকে দেখেই বলে উঠলো, তোকে দারুন লাগতেছে দোস্ত!! আমি মনে/মনে বলি, যতই পাম দেও বন্ধু, বিয়া আমি করিবেক না!!। 

ইডেন কলেজের পাশেই একটা ফার্স্ট ফুডের দোকানে আমরা বসবো। টিটু মামা বললো, মেয়ে আসতেছে। সাথে আমরাও দেখিতে লাগিলাম, মেয়ে আসিতেছে। টিটু মামা, আমার হাত ধরে বললো, বাবাটা ভালো, পাগলামি করিস না!! আমার বংশে কোনো পাগল নাই, টিটু মামাকে ভরসা দিলাম। মেয়ে আরও কাছে চলে আসলো, আমার হাতে বেনসন!!। এবার ফরিদ ধমক দিয়ে উঠলো, ভাইয়া সিগারেট ফেলে দেন!! ফেলে দিলাম। মেয়ে আমাদের সবাইকে সালাম দিয়ে, টিটু মামার সাথে কথা বলতে লাগলো। স্বাভাবিক থাক দোস্ত, মেয়ে আমাকেই আড় চোখে তাকিয়ে দেখছে!! আরে তাইতো!! মেয়ে আর শেলীর মাঝে ভালোই চোখা/চোখি হচ্ছে!! আমি সিওর, এই মেয়ে শেলীর মত-ই বদ!! At least দশটা প্রেম এই মেয়ে করেছে!! তা'নাহলে শেলীর সাথে কেন, চোখে/চোখ রাখবে?? রতনে/রতন চিনে, হার্ট চিনে হৃদয় আর এই মেয়ে চিনেছে শেলিকে!!

এখন আমরা ফার্স্ট ফুডের দোকানে। মেয়ে আর শেলীর মাঝে টুকটাক কথা চলছে, সাথে ফরিদ এবং টিটু মামাও বলছে। বলছিনা শুধু আমি!! আমি বসে/বসে দেখছি আর ভাবছি, শেলীর সাথে বিয়ে দিয়ে দিলে কেমন হয়?? দুই বদের মিলটা ভালোই হবে!! ভুলেও যদি, একবার আমার দিকে তাকাতো?? এর মাঝে ফরিদ বলে উঠলো, ভাইয়া আপনেরা দুইজন আলাপ করেন, আমরা একটু বাহির থেকে ঘুরে আসি।

এইবার মেয়েটির চেহারাটি দেখার মত হয়েছে!! কেউ নেই, এমনকি শেলী বদও নেই। শুধু আমি আর মেয়েটি, মুখোমুখি বসে!! খুব স্বাভাবিক ভাবে জিজ্ঞাসা করলাম, ক্রিকেট খেলা দেখতে ভালোবাসেন?? মেয়েটি উত্তর দিলো, জি। আবার জিজ্ঞাসা করলাম, প্রিয় খেলোয়ার কে?? আস্তে করে বললো, সোরভ। এবার জিজ্ঞাসা করলাম, বলেনতো, সোরভের বউ-এর নাম কি?? মেয়েটি এখন আর কোনো উত্তর দিলোনা। কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইলো!! গ্রামে থাকতে পারবেন?? শহরে আমার কিছু-ই নেই। এবার একটু ভিন্ন প্রসংগে কথা বলতে সুরু করলাম!! জি, আমার বড় ভাই, আপনাদের গ্রাম থেকে ঘুরে এসেছে। আপনার বাবা/মা'র সাথে কথাও হয়েছে। মেয়েটি এ ভাবেই, আমার কথার উত্তর দিলো। 

এখন বিদায় নেবার পালা। চলে যাচ্ছে মেয়েটি। যাবার আগে একটু তাকালো। তবে এবার বদ শেলীর সাথে নয়!! আমার সাথে-ই একটু চোখে/ চোখ রাখলো!!!!

আজ ২০ শে জুলাই


আজ ২০ শে জুলাই।আর এক মাস পর আমাদের সিএসএম পেজের বর্ষপূর্তি।

শুরুটা আতিক ভাই করেছে, তারপর পুলক একটা পেজ খুলে,সেখানে ভার্চুয়েল আড্ডা শুরু হয়।দিনে দিনে পেজে সিএসএম এর ভাই- বোনদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

পেজের মাধ্যমে সবাইকে একএিত করার জন্য ২৯/১/১৬ ইং এক আড্ডারর আয়োজন করা হয়,ছোট- বড় ভাই- বোনরা মিলে সেই আড্ডার আয়োজন করে।খূব সফল ভাবে আড্ডা সম্পূর্ণ হয়।চাচা- চাচীরা খুব খুশী হন,ওনাদের খুশি দেখে আমরা ও খুশি,এরকম একটা অনুষ্ঠান করতে পারায়।

আড্ডার পর অনেক মান - অভিমান হয়েছে,হবে সেটা কোন বিষয় নয়।কিন্তু আমাদরএ বন্ধন যেন সব সময় অটুট থাকে সবার কাছে এতটুকু চাওয়া।

আজ এ পযন্ত।

একই বৃন্তের তিন ফুল


একই বৃন্তের তিন ফুল । মেরী ,ঝুমুর ,একা ।প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে মক্তবে যাওয়া ,একসাথে স্কুলে যাওয়া ,বৃষ্টিতে গোসল করা ,খাল পাড় ,স্কুল পালানো ,মক্তব পালানো ,শবেবরাত ,শবে কদরে একসাথে নামায পড়া ,ডাংগুলি ,বৌ চি ,বরফ পানি ,লুকোচুরি ,ক্রিকেট ,ফুল চুরি করা ,খেজুর কুড়ানো ,হুজুরের কাছে মক্তব পালানো আর নামায না পড়ার জন্য একসাথে মার খাওয়া কোন কিছু বাদ যায় নি আমাদের ।একা ছোট বেলা থেকে সাজু গুজুতে পারদর্শি ছিল ।অনেক সেজে থাকতো ।অবশ্য ওকে সুন্দর লাগতো ।আমি আর মেরী চিন্তা করতাম এই মেয়ে কেমন করে এত সেজে থাকতে পারে ।ওড়না একটা পেলেই হতো ওটাকে শাড়ি বানিয়ে পড়ে নিত ।এত ফিটফাট থাকতো সব সময় ।ছবি দেখেই বুঝতে পাড়ছো সাজুগুজু গার্ল ।আমি আর মেরী ছিলাম দস্যি ।সারা কলোনী চষে বেড়ানো ছিল আমাদের কাজ ।আর খাল পাড় ছিল আমাদের সব চেয়ে প্রিয় জায়গা ।দিনের সিংহভাগ সময় খাল পাড়েই ব্যয় করেছি ।অনেক আনন্দ করেছি জীবনে ।অনেক সুন্দর সময় কেটেছে আমাদের ।খুব মিস করি সে জীবন ।পৃথিবীতে যদি কখন ও ২য় জন্ম হয় স্টিল মিলেই যেন জন্ম হয় আমাদের ।আর তোরাই যেন আমার বন্ধু থাকিস ।ভাল থাকিস ।

৯০ দশক পর্য্যন্ত বাংলা সিনেমার একটা জমজমাট অবস্থা ছিল


৯০ দশক পর্য্যন্ত বাংলা সিনেমার একটা জমজমাট অবস্থা ছিল। তখন পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ জন নিয়ে সিনেমা হলগুলোতে যেত, সিনেমা দেখতে। ৯০ দশকের শেষ দিক থেকে সিনেমার আকাশে পুরোপুরিভাবে দুর্যোগ নামা শুরু হয়। অশ্লীলতা আর অতিরিক্ত ভালগারিজম এ দেশের সিনেমা জগত কে শেষ করে দেয়। 

৮০ র দশকের শেষের দিকে ৮৯ সালে দুটো ছবি এ দেশের সিনেমা জগতকে বিশাল নাড়াচাড়া দিয়েছিল, একটি হচ্ছে এ, জে মিন্টু পরিচালিত আলমগির শাবানা অভিনীত "সত্য মিথ্যা", আরেকটি হলো তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত, অঞ্জু ঘোষ ইলিয়াস কাঞ্চন অভিনীত ফোক ও ফ্যান্টাসি ধর্মী ছবি " বেদের মেয়ে জোছনা "। পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তে তোলপাড় করে দিয়েছিল এ ছবি দুটো। সত্য মিথ্যা ছবির দুটো গান " আমারই ঘর যেন স্বর্গ" আর " ভালো হোক মন্দ হোক বাবা আমার বাবা" সবার মুখে মুখে ফিরত। আর বেদের মেয়ে জোছনার " বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়েছে" তো পুরো জাতীয় সংগীতে পরিনত হয়েছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠেই এ গান টি শুনতাম সব জায়গায়। আমরা ডি টাইপে তখন, আমাদের পিছনের বিল্ডিং থেকে একদিন রাত দশটার সময় " বেদের মেয়ে জোছনা আমায়... " গান টি ভেসে আসছে, এত রাতে এই গান? পরে শুনলাম, যে কোন এক বাসায় ভিসি আরে ফুল ফ্যামিলি মিলে ছবি টি দেখছিল। একটা ফোক ধর্মী ছবি কতটুকু জনপ্রিয় হলে মধ্যবিত্ত পরিবারের ড্রইং রুম পর্য্যন্ত পৌছে যায়, এই ঘটনাটিতেই বুঝা যায়। আর আমি পড়ি ক্লাস নাইনে সে সময়, প্রতিদিন টিফিন পিরিয়ডে ক্লাসের বেঞ্চ চাপড়িয়ে এই গানের কোরাস গাওয়া ছিল আমাদের নিত্য দিনের ব্যাপার।

এরপর তো সিনেমা জগতে আসে সালমান শাহ, বিরাট বিপ্লব ঘটে গেল সিনেমা শিল্পে। একের পর এক দুর্দান্ত সব ছবি উপহার দিতে লাগলেন। সিনেমার কাহিনীর চেয়ে নায়ক সালমান শাহ কে দেখতেই মানুষ ছিনেমা হলে ছুটে যেত। তাঁর দুর্ভাগ্য জনক অকাল মৃত্যুতে বাংলাদেশে র সিনেমা জগতের মৃত্যু ঘটা শুরু হয় আর এই কফিনে শেষ পেরেক টি ঠুকা হয় যখন ভারতীয় বাংলা ছবির এক শরীর স্বর্বস্ব এক নায়িকা আমাদের দেশের সিনেমা জগতে স্থায়ী ভাবে আসন গেড়ে বসে।।

পি টি স্যার নন, হামিদ স্যার


প্রয়াত শ্রদ্ধেয় হামিদ স্যার কে আমি ছোটবেলায় পি টি স্যার নামেই জানতাম।অবাক হয়ে ভাবতাম মানুষের নাম আবার পি টি হয় কিভাবে। পরে জেনেছি উনি পি টি ক্লাস নিতেন বলেই এই নাম।উনার ভাল নাম হামিদ স্যার। স্যারের সাথে আমার প্রথম ক্লাস ছিল সেভেনের কৃষি শিক্ষা ক্লাস। উনি সপ্তাহে দুইদিন ক্লাস নিতেন। স্যারের একটা রোজকার নিয়ম ছিল আমাকে দাড় করিয়ে কি দিয়ে ভাত খেয়েছি তা জিজ্ঞেস করা।আর স্যারের ক্লাসে মজা করতে পারতাম কারন স্যার কিছু কিছু কথা বলতেন যা শুনলেই হাসি পেত। আর মানসিক ভাবে তটস্থ থাকতে হত না।যেমন- একবার স্কুলে সব ক্লাসরুম এ চেক করা হচ্ছিল কিছু নষ্ট আছে কিনা,যেমন - ফ্যান,লাইট এগুলা। ত আমাদের ক্লাস রুমের ব্যাপারে জানতে চাইলেন, আমি বললাম, স্যার আমাদের ফ্যান টার ৩ টা পাখার জায়গায় ২ টা পাখা। আরেক টা পাখা লাগবে। স্যার বললেন, ফ্যান ত আছেই। দুই পাখা না তিন পাখা তা ত দেখবে না, ফ্যান থাকলেই হল" স্যার যদিও মজা করে কথা টা বলেছিলেন। 

এরপর স্যার যখন আমাদের বিল্ডিং এ প্রতিবেশী হয়ে এলেন,তখন স্যারের অন্য রুপ।উনি স্কুল আর বাসা এই দুই জায়গার সীমারেখা খুব ভাল ভাবে টানতে জানতেন।

কিন্তু হঠাত জানতে পারলাম স্যার মারা গেছেন।মন টা খুব খারাপ হয়েছিল। স্যার আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। স্যারের এরকম দ্রুত চলে যাওয়া প্রত্যাশিত ছিল না। আল্লাহ স্যার কে বেহেস্ত নসীব করুন

স্কুলের সেই মঞ্চ এবং আরো কিছু


ছোটবেলায় আমার একটা ধারনা ছিল যে স্কুলের মঞ্চে যারা পুরস্কার নিতে ওঠে কিংবা পারফরমেন্স করে তারা বুঝি স্টার টাইপের কেউ।আমারো খুব ইচ্ছা করত মঞ্চে উঠার। কিন্তু যতবার আমি কবিতা আবৃত্তির জন্য অডিশন দিতে যেতাম, ততবার বাদ পড়ে যেতাম। আবার খেলাধুলায় খুব ভাল ছিলাম না। তবুও আমি আর নাসিম মিলে একবার তিন পায়ে দৌড় দেবার চেষ্টা করেছিলাম। দেখলাম সবাই সামনে চলে গেছে।আমরা দুজন পেছনে পড়ে আছি। তাই আর স্টেজ এ উঠা হয়নি। তবে স্কুলে যেদিন বার্ষিক পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান হত সেদিন একটা কন্ঠ বেশি শুনতে পেতাম।।সেটা হল নুর নবী স্যারের কন্ঠ। স্যার খুব সুন্দর করে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতেন।বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করতেন। অনুষ্ঠান আর স্যারের কন্ঠ যেন পরিপুরক হয়ে গিয়েছিল। আর তাই স্টেজের ছবির দিকে তাকালে নুর নবী স্যারের আর স্কুলের সেই পুরস্কার বিতরনী র দিনগুলোর কথা মনে পড়ে



ছোটবেলায় মুন বেকারির পরোটা যদিও অনেক মজা লাগত


ছোটবেলায় মুন বেকারির পরোটা যদিও অনেক মজা লাগত, কিন্তু ভীড় ঠেলে পরোটা নিয়ে আসতে পারা টা অনেক টা যুদ্ধ জয়ের মত মনে হত।খুব ভোরে না গেলে সহজে পরোটা পাওয়া যেত না।মুন বেকারির হালুয়া টাও অনেক মজার ছিল। আর খাস্তা বিস্কুট। মুন বেকারিতে যারা পরোটা দিতেন ক্রেতাদের তাদের মধ্যে একজন ছিলেন রফিক।গোফ ওয়ালা।চাকমা টাইপের চোখ। উনি আমি যেহেতু ছোট ছিলাম,আর বড়দের সাথে পারতাম না, তাই চাইতেন আমাকে আগে আগে পরোটা দিয়ে দিতে।আর এই সুযোগ টা আমি ভালই কাজে লাগাতাম। এভাবে পরে গিয়েও অনেকবার আগে পরোটা নিয়ে আসতে পেরেছিলাম ওই লোক টার জন্য।

এখন ত অনেক বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট হয়েছে।কিন্তু মুন বেকারির পরোটা আর হালুয়ার মত সুস্বাদু খাবার কোথাও পাইনা।

সি এস এম কলনি থেকে হাউজিং কলনি কত কি.মি. হবে?


সি এস এম কলনি থেকে হাউজিং কলনি কত কি.মি. হবে? কখনও কি আমরা জানতাম। প্রতিদিন সকাল ৬ টায় পদযাত্রা থাকত আমাদের তিনজনের আমি সহ পারভেজ আর swapon. কারন এক্তাই নুরুনবি স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়া।

যাওয়া আর আসার মাজখানের রাস্তাঘাট টাই ছিল সবচেয়ের মজার। প্রতিদিন অনেক রকমের জিনিসই চক্কে পরতো জাং দেখে আমরা অনেক হাসি তামাসা করতাম।

তার ভিতরে একটা জিনিস থেকে আমরা বেশি হাসতাম। প্রতিবার ই চিন্তা করতাম দুকান্তার। কাছে আসলেই ভাবতাম আজ আর,,,,

বিশিষ্ট ডোম ও ডাক্তার আতিক সি এস এম পেইজে কয়েকজন লেখকের লেখার ধরনের উপর পোস্টমর্টেম করেছে


বিশিষ্ট ডোম ও ডাক্তার আতিক সি এস এম পেইজে কয়েকজন লেখকের লেখার ধরনের উপর পোস্টমর্টেম করেছে।পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট পেয়ে মনে হলো 'প্রশংসাপত্র' পেয়েছি।খুবই ভাল।প্রশংসা শুনতে কার না ভাল লাগে।তবে যাহাদের লেখনির পোস্টমর্টম বাদ রয়েছে,অতিসত্তর তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করবে। নাহলে তারা লেখনিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে বা কমে যাবে।এটা আমাদের সকলের জন্য দুঃখজনক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

ঢাকা শহরে এককালে ট্রাফিক জ্যামের জন্য বিখ্যাত ছিল মগবাজার মোড়ের জ্যাম


ঢাকা শহরে এককালে ট্রাফিক জ্যামের জন্য বিখ্যাত ছিল মগবাজার মোড়ের জ্যাম। জ্যাম মানে সেরাম জ্যাম একেবারে আন্ধা গিট্টু মারা জ্যাম, এই জ্যামরে ক্রিকেটের ভাষায় বলা যায় লংগার ভার্শন জ্যাম, সবাই বাস, ট্রাক প্রাইভেট কার সব গাড়ি স্টার্ট বন্ধকরে মোটামুটিভাবে টি টুয়েন্টি টাইপ ঘুম দিতে পারত। আল্লাহু তায়ালায় অশেষ কৃপায় মগবাজারে সেই জ্যাম আর নেই। সেই জ্যাম এখন মিরপুর ১০ গোল চক্করে চলে আসছে। গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি দিয়া বলতে পারি রাত একটা র সময় মিরপুর ১০ গোল চক্করে আসলেও আপনি এই জ্যাম পাবেন। কাস্টমার কেয়ারে যেমন লেখা থাকে 24/7। মানে সপ্তাহের সাত দিনই ২৪ ঘন্টা সার্ভিস খোলা। মিরপুর ১০ এর জ্যামও তেমন 24/7।। মানে সাতদিনই সপ্তাহের ২৪ ঘন্টা পাওয়া যাবে।

পুনশ্চ :জ্যামের উপকারিতাও আছে, যেমন এই পোস্ট খানি জ্যামে বইসা লিখা ফেলছি।

১৮ বছরের এক সুন্দরী মেয়ে হেটে আসছে


১৮ বছরের এক সুন্দরী মেয়ে হেটে আসছে।অপর পাশ থেকে ২১ বছরের এক ছেলে আসছে ওই মেয়েরই পরিচিত।ছেলেটির সাথেই আছে তার ৫ বছরের ভাই।মেয়েটি কাছাকাছি আসতেই
২১ বছরের ছেলে: "আমি তোমাকে ভালোবাসি"
এই শুনে মেয়েটি ছেলেটির গালে কষে দুইটা থাপ্পড় দিল।ফাজলামির আর যায়গা পাওনা।

পরক্ষনে ৫বছরের ছেলেটি: "আমি তোমাকে ভালোবাসি.."
মেয়েটি দুইটা পাপ্পি দিয়া কইলো ""হাউ সুইট, কি কিউট ছেলেটা""
মোরাল অফ দা ষ্টোরি:: "যদি কেউকে প্রপোজ করিতে চান তবে অল্প বয়সেই করে ফেলুন।।"

নিউমার্কেট (বিপনি বিতান)


নিউমার্কেট (বিপনি বিতান) এ কি নাম যেন ভুলে গেছি অতি ফেমাস একটা অদিও কেসেটের দুকান ছিল। পুজার ছুটিতে নতুন নতুন গানের কেসেত বের হত। আমাদের দেবুর প্রধান আক্রসন ছিল সেটার প্রতি। TRK SONY PANASONIC CASSATTE গান বন্ধি করাই ছিল দেবুর কাজ।

দুপুর থেকে পুরানো ঢাকায় ছিলাম


দুপুর থেকে পুরানো ঢাকায় ছিলাম, সাড়ে তিনটা র দিকে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরার পথে ভেবেছিলাম একটু বসুন্ধরা সিটি হয়ে যাবে, মার্কেটে দশ মিনিটের কাজ ছিল। , মার্কেটের সামনে গিয়ে চক্ষু ছানাবড়া , ওরে বাবা! বসুন্ধরা শপিং মলে ঢুকার মুখে দেখি বিশাল লাইন, নিরাপত্তা জনিত কারনে মার্কেটের ক্রেতা দর্শনার্থী সবাইকে চেক করে ঢুকানো হচ্ছে। এতেই ঢুকার মুখে লম্বা লাইন পড়ে গেছে, এই লাইন দিয়ে ঢুকতে গেলে মিনিমাম ৪৫ মিনিট / ১ ঘন্টা লাগবে। ১০ মিনিটের কাজের জন্য ১ ঘন্টা লাইনদিয়ে মার্কেটে ঢোকার কোন মানে হয়না।

ধুর এর চেয়ে বাসায় গিয়া দিবা নিদ্রা দেয়াই উত্তম, অতএব, যাইগা বাসায়।।

৪র্থ ঘন্টা র পর ছুটি


আজ সকাল থেকেই ঝুম ঝুম বৃষ্টি। অফিস যেতে ইচ্ছা করছিল না। মনে পড়ল স্কুল বেলার কথা। খুব যেদিন বৃষ্টি হত সেদিন ছাত্র ছাত্রী দের উপস্থিতি থাকত কম। এরকম না যে সবার বাসা খুব দূরে।কলোনি তে থাকত প্রায় সবাই। তবুও আসত না।হয়ত ভাবত একদিন স্কুলে না গেলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে না।

ছাত্র ছাত্রী কম এলে ক্লাসে মন বসত না। ক্লাস করতে ইচ্ছা করত না।আর তাই ক্লাস নাইন টেন এর বড় ভাইয়েরা ছুটি র দরখাস্ত নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে যেতেন টিফিনের পর ছুটি র জন্য।আমরা হয়ত উনাদের সাথে যেতে পারতাম না কিন্তু আমাদের অন্তর থেকে দোয়া থাকত যেন ছুটি মঞ্জুর হয়।

ছুটি পেলে খুব আনন্দ হত। বাসায় এসে ভাত খেয়ে কাথা মুড়ি দিয়ে ঘুম। আহারে অফিসেও যদি এরকম ছুটি পাওয়া যেত মন্দ হত না কিন্তু জানি এটা কেবল স্কুলে সম্ভব

পিঁপড়া বিদ্যা


বড়দের মুখে একটা কথা শুনতাম, বাতি নিভে যাবার আগে বেশি জ্বলে। আর পিপীলিকা র পাখা জন্মে মরার আগে। এই পেজে যে এ মাসে এত বেশি লিখা দিচ্ছি যে আগামী মাসে আদৌ লিখতে পারব কিনা সন্দেহ। থাক,তাতে কিছু যায় আসে না। 

১৯৯৪ ব্যাচের মিয়া ভাই একদিন বলেছিলেন, রোল নং ১ 

করার জন্য একটু চেষ্টা করে দেখতে।কিন্তু আমি বলেছিলাম, ১ হবার পরের বার যদি ছিটকে যায়, তখন কি করব।উনি বলেছিলেন,একবার হয়ে দেখ,আর পেছনে যাবে না।" কিন্তু ১ হবার যে মানসিক চাপ সেটা আমি নিতে চাইতাম না। আগে কোন বিষয় মাথায় আসলেও দিতে ইচ্ছা করত না।কিন্তু এখন লিখে ফেলি।কারো সাথে প্রতিযোগিতা করতে নয়।

সুজন হয়ত আগামী মাসের যে পরিসংখ্যান দিবে তাতে আমার লিখার সং্খ্যা ১০০ হবে।কিন্তু আমি কখনোই একাই ১০০ হতে চাই না। ১০০ জন মিলে এক হতে পারার মধ্যেঈ এই গ্রুপের সার্থকতা। সবাই লিখুক, রেসপন্স করুক, উপভোগ করুক এই গ্রুপে যুক্ত হওয়া টাকে পরিপূর্ণ ভাবে।

চোরাবালি-২


বাবা মার কথা শুনে নিতু বুঝতে পারে সে তাদের আসল সন্তান নয়।নাফিস কে নিয়ে নিতু যায় সেই ক্লিনিকে। যেখানে তার জন্ম হয়েছিল।কে তার বাবা মা। আর এক সময় সে এই প্রশ্নের মুখোমুখি করে তার মা বাবা কে। নিতুর মা শান্তা সব খুলে বলেন। শান্তার বান্ধবী ছিল নিতুর আসল মা। তার সিক্সথ সেন্স ছিল দারুন। কোথাও সিনেমা দেখতে গেলে আগে থেকে বলে দিতে পারত, টিকেট পাওয়া যাবে কি যাবে না। বিয়ের পর এই সিক্সথ সেন্স মানসিক রোগে পরিনত হয়। নিতুর জন্মের আগে তার মনে হতে থাকে নিতুর বাবা বুঝি তাকে খুন করবেন।সেজন্য সবসময় ছুরি নিয়ে থাকতেন।একদিন নিতুর বাবাকে তিনি খুন করে ফেলেন।এবং পরে বুঝতে পারেন তিনি আসলে ভুল ভাবছিলেন। নিতুর জন্মের সময় তার মা মারা যান। তার কিছুদিন পর সেই সন্তান ও মারা যায়। 

নিতু তখন জানতে চায় তাহলে সেদিন রাতে সে যা শুনেছিল তা কি মিথ্যা ছিল। শান্তা বলে সেগুলো ছিল সাজানো নাটক যাতে নিতু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। সব শুনে নিতু ঘুমাতে যায় নিশ্চিন্তে।

এদিকে শান্তা নিতুর জন্ম পরিচয়ের একমাত্র দলিল তার জন্ম সনদ টি ছিড়ে ফেলে দেয় যাতে লিখা ছিল সে আসলে কার মেয়ে।কারন পুরনো বিষয় টি যাতে নিতুর জীবনে নতুন করে আধার আনতে না পারে।

৮৭ সাল ক্লাস সেভেনে পড়ি, বিকেল বেলা সি টাইপ মাঠে যাচ্ছি খেলতে


৮৭ সাল ক্লাস সেভেনে পড়ি, বিকেল বেলা সি টাইপ মাঠে যাচ্ছি খেলতে, সবাই দেখি খেলছে আর আমাদের দুলি মাঠের স্লিপারে ( তখন মাঠে একটা স্লিপার ছিল) বসে খুব মনোযোগ দিয়ে নিউজপ্রিন্ট কাগজে ছাপানো একটি পাতলা বই পড়ছে। অনেকটা ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর স্টাইলে, আমিও কৌতুহল চাপতে না পেরে দেখতে গেলাম দুইল্যা কি বই পড়ে। যা বুঝার বুঝে গেলাম। সমাঝদার পাঠক গন নিজ দ্বায়িত্বে বুঝিয়া লন আমাদের দুলি বিদ্যাসাগর কি বই পড়ছিলেন। আমাকে প্রশ্ন করিয়া বিব্রত করিবেন না।

এখন ক্লাস এইটে ৮৮ সাল তখন, ক্লাসের ২য় পিরিয়ড চলছে, ক্লাস নিচ্ছেন মরহুম হক স্যার ( আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুক), আমরা যথারীতি থার্ড বেঞ্চে বসে আছি, আমাদের জ্ঞানী Riman Babu সেই নিউজপ্রিন্ট কাগজের বই নিয়ে এসেছে, স্যার পড়াচ্ছেন পাঠ্যপুস্তক, আর আমি, রিমান, ভুতের আন্ডা বাবু আর বুড়া মিয়া আছি নিউজপ্রিন্ট বই নিয়া,এক পর্যায়ে বই নিয়া টানাটানি শুরু হয়ে গেল, ফলে যা হওয়ার তাই হলো, বই সহ আমরা চার জন স্যারের হাতে ধরা, বই দেখে স্যারের স্বভাব সুলভ ভঙ্গিমায় উক্তি " এ্যারে তুরা তো অনও মেট্রিকও হাশ করোছ নো, এই বয়সেই ডাক্তারি বই হড়া শুরু করি দিসোত কিল্যাই", এই বলেই চার জনের উপর প্রচন্ড লাঠি চার্জ, চার জনই মার খেয়ে একেবারে কাত। ভাবলাম মারের পর্ব শেষ, কিন্ত না, এবার স্যার ধরলেন এই বই কে আনছে। আমরা কেউই স্বীকার করছিনা, যেহেতু স্যারের ক্লাসে আমি বহু আকামের দাগী আসামি, তাই পুরো সন্দেহ টা পড়লো আমার উপর, আমার উপর আরেক দফা প্রচন্ড লাঠি চার্জ এবং ক্লাস থেকে বহিস্কার, তারপরও আমি মুখ খুলিনি বই টি কে এনেছে। 

স্কুল জীবনে আমাদের বন্ধুত্ব টা এতো অটুট ছিল যে, কেউ কোন আকাম করলেও স্বীকার করতাম না কে করেছে শত মার খাওয়ার পরও।

চোরাবালি


সিনেমা দেখতে দেখতে নিতুর মাথায় একটা দৃশ্য চোখে পড়ল।ঘুম থেকে উঠে নায়িকা কাউকে চিনতে পারছে না

।নিতুর মনে হল, সে ও একই কান্ড করবে তার মা বাবার সাথে।একদিন সকালবেলা সে ঘুম থেকে উঠে সবার সাথে অদ্ভুত আচরন শুরু করল।সে কাউকে চিনতে পারছেনা। প্রথমে মা বাবা ভেবেছিলেন নিতু মজা করছে।কিন্তু কয়েকদিন পর্যন্ত যখন নিতু একই রকম আচরন করতে থাকল,তখন তারা চিন্তায় পড়ে গেলেন।

একদিন রাতের বেলা নিতু যখন পানি খেতে উঠল তখন শুনতে পেল মা বাবা তাকে নিয়ে কথা বলছেন।নিতু আড়ি পেতে যা শুনল তা শোনার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না।তার মনে হল সে ক্রমশ চোরাবালি তে তলিয়ে যাচ্ছে। কেউ তাকে টেনে তোলার নেয়।এই সময় নিতুকে সাহায্য করতে আসে নাফিস।কিন্তু নাফিস কি পারে নিতুকে সেই চোরাবালি থেকে টেনে তুলতে?

আজ এ পেজের লেখক দের পোস্টমর্টেম করব


আজ এ পেজের লেখক দের পোস্টমর্টেম করব,ভয়ের কিছু নেই, লেখকরা সবাই বেঁচে আছে,পোস্টমর্টেম করব উনাদের লেখার ধরন গুলো। এ ক্ষেত্রে আমিই ডোম আমিই ডাক্তার।

এ পেজের প্রবীন লেখক Anisur Rahman Reza ভাই। উনি আগে ইংরেজী ভাষায় বাংলা লিখতেন, পরে একুশের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বাংলা ভাষায় বাংলা লিখেন। উনার লেখায় কিছুটা হুমায়ুনিয় ছোঁয়া আছে। যেমন : "সারাফের মা আজ পোলাও রান্না করেছে", এ সাধারন কথাটি উনি লিখবেন "সারাফের মা আজ ভাত রান্না করেনি",পাঠকরা ধরে নিবে আজ বুঝি রেজা ভাইকে ভাবী ভাত দিবেনা, কিন্তু পরের লাইনেই খুব হিউমার দিয়ে রেজা ভাই লিখবে,, "আজ সারাফের মা' র মুড ভালো, বাসায় আজ পোলাও রান্না হচ্ছে"। লেখার স্টাইল টা আমার খুব পছন্দ।

Mdnurul Kabir Niru ভাই নতুন এক ভাষার জনক, যার নাম নিংরেজী ভাষা। উনার লেখা মানেই ব্যাপক বিনোদন, আগে শুধুমাত্র উনার পোস্টের উপরই পেজে বিরাট আড্ডা জমে উঠত।

Ripon Akhtaruzzaman ভাই, হিউমার আর ইমোশন দিয়ে যে কোন লেখা দুর্দান্ত ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। যখনতখন ছন্দ দিয়ে বানিয়ে ফেলেন কবিতা বা মন্তব্য।

Nazmul Huda ভাই খুবই দুর্লভ লেখক, কিন্ত যখন লেখেন আবেগে ভাসিয়ে সবাইকে কাঁদিয়ে ছাড়েন।

Reajul Islam Shahin ভাই খুবই মুডি লেখক, সম্প্রতি ঢাকা সফর নিয়ে গবেষণা ধর্মী প্রবন্ধ দিয়েছেন। 

Khurshed Alam Manik ভাই এর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসবে বন পরিবেশ, মৎস্য ও পশু সম্পদ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে।

Rubina Akter Shireen আপা, দুর্দান্ত হিউমার সমৃদ্ধ একজন লেখিকা এবং সম্পাদনাকারীনি।

Pinky Chittagong আপা, উনার পোস্টের চেয়ে কমেন্টস শক্তিশালী। 

Mohammed Kamar Uddin ভাই এর লেখায় পারিপার্শ্বিক বিবরন থাকে বেশি।

Niaz Morshed ছোট একটি বিষয় কেও বিশদ আকারে ফুটিয়ে তুলে লেখার ক্ষমতা আছে।

ভাইয়েরা, বহুত রাইত হইছে, আর কোন লাশ থুক্কু লেখক থাইকলে তার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কাইলকা দিমু।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss