Sunday, March 6, 2016

বড় পুকুর


আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বড় পুকুরে আমরা সবাই মিলে গোসল করতাম।ছোট ছিলাম তাই পুকুরে গোসল করা নিষেধ ছিল।যে দিন পুকুরে গোসল করতাম সে দিন মাইর (পিটা) খেতাম। তার পরেও কেমন জানি পুকুরে গোসল করতে ভালো লাগতে। এত পিটা এত বকা পরও গোসল করতাম দলবেধে। আমি,জুয়েল,আরিফ,নুরউদিদন, ইমু,জাবেদ,রিয়াদ,ফয়হাদ, কানা ফয়হাদ পুকুরে ডোবাডুবে করতাম।অনেক মজা করতাম এত মজা করতাম ২-৩ ঘনটা গোসল করতাম।বাসায় থেকে বাহির হতাম লমবা প্যান্টের নিচে হাফ প্যান্ট পড়ে। হাফ প্যান্ট পড়ে গোসল করতাম। গোসল করা পর হাফ প্যান্ট টা লুকিয়ে রাখতাম।

গোসল করা পর যে ভাবে বাসায় থেকে বের হতাম সে ভাবে শাট প্যান্ট পড়ে বাসা যেতাম। আজ আর ধরা খাবে না।মনের খুশিতে বাসা আসতাম। বাসা আসার পর বাবা বলতে পুকুরে গোসল করচেছ। না,-বাবা। তার পর চলতে পিটা বকা সব!! মনে মনে ভাবতাম শুকনা কাপড়ে বের হতাম শুকনা কাপড়ে বাসা আসতাম বাবা কিভাবে বুঝতে পারতে আমি যে পুকুরে গোসল করে আসছি। এখন বুঝি ২।৩ ঘনটা গোসল করলে চোখ লাল হতে। চোখ লাল দেখে বুঝে নিত। বড় পুকুর থেকে বড়পোলের পুকুরে এসে ওসে মজা পাইনা। miss u বড় পুকুর।।। 

সাথী ফয়হাদ আর কানা ফয়হাদ কথা অন্য দিন লিখবে।

বিকাল বেলায়


বিকাল বেলায় আমি রতন, শিপন,সাথে ডালিম ও আছে আমাগো বাসার নিচে C/3 ড্রেনের মধ্যে মারবেল খেলতেছি,মারবেল খেলায় এতো ভালো ছিলাম না, শিপন, ডালিম খুবই ভালো খেলতো ঐ দিন আমরা ৩জনই হারতাছি, রতন এর কাছে আস্তে আস্তে সব মারবেল জমতাছে এতো মারবেল জিতার পর ও রতন কোন ছাড় দিচেছনা আমার কাছে আর কোন মাবেল নেই কি করুম কিছুই বুঝতাছিনা,শেষ দান ও রতন জিতলো, হঠাৎ রতনরে পিছন থেকে ঝাপটাইয়া ধইরা একটা ঝাকি দিলাম রতন এটার জন্য প্রস্তত ছিল না তার হাত থেকে শাটের পকেট থেকে সব মারবেল এদিক ঐদিক ছড়াইয়া ছিটিয়া পড়লো এই সুযোগে আমরা তিন জন কিছু মারবেল নিয়া এদিক ঔদিক দোড়,মনে কিছুটা শান্তি পেলাম, কিন্তু বিপদে পড়লাম আমি আমার বাসা তিনতলায় রতনদের বাসা পার হইয়া আমাদের বাসায় যেতে হবে,রতন তো বাসার দরজা খুলে বসে আসে আমাকে ধরবে বলে, আমি ও পড়ছি মহা ঝামেলায় বিকাল শেষ সূয অস্ত যাচেছ বাসায় না ডুকলে মার হাতে মার খেতে হবে,শিপন দের বাসায় বসে আছি কিভাবে বাসায় যাবো এই চিন্তা হঠাৎ দেখি বুড়ি ওরফে রুনা বতমানে টিটু ভাইয়ের সহধমীনির বাবা বাসায় উঠতাসে তারা আমাদের পাশের বাসা ছিল তার সাথে সোজা বাসায় গিয়ে রতন এর হাত থেকে বাচলাম।

আসুন না আজ এ খেলার বদৌলতে কলোনী থেকে একটু ঘুরে আসি


আমাদের কলোনী টা আজ খুব দরকার ছিলো, এত বড় একটা ফাইনাল আর আমরা সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি, ভাবা যায় এ কষ্ট। 

আসুন না আজ এ খেলার বদৌলতে কলোনী থেকে একটু ঘুরে আসি........................

আজ একটু সকালেই ঘুম থেকে উঠলাম, তাড়াতাড়ি নাস্তা সেরে মরাইয়া রাশেদ, মনিরুল আর দুলিরে ডাকতে গেলাম, প্রথম দুজন কে ঠিকমত পাওয়া গেলেও দুলি হারামজাদা দেখি এই গরমেও নাকে মুখে কাঁথা দিয়ে ঘুমাচ্ছে। জোর করে উঠিয়ে দিলাম। এরপরে সবাই মিলে আমাদের পানির ট্যাংকীর একবারে শীর্ষে জাতীয় পতাকা টা উড়িয়ে দিলাম।
এখন সবাই আমরা ইউনুসের দোকানে, খেলা নিয়ে তুমুল আড্ডা চলছে, সাথে চলছে ধুয়া তৈরী, আমাদের আলাপ শুনে যে কেউ ভাবতে পারে এখানে এক একজন ওয়াসিম আকরাম,গ্যারি সোবার্স, মাইকেল হোল্ডিং এর চেয়েও বড় ক্রিকেটার।

বন্ধু তুমি সায়াহ্নে


ছেলেটার বাসা তিনতলা আর মেয়েটির বাসা দোতলায়।ছেলেটা আগে এক তলায় থাকত,বাবার প্রমোশন এর জন্য তিনতলায় গিয়েছে।আলাদা আলাদা বিল্ডিং। মেয়েটির রান্নাঘর এর জানালা দিয়ে ছেলেটার বারান্দা দেখা যায়।দুজনে প্রায় চোখাচোখি হত।ইশারায় কথা চলত।ছেলেটা হাই ভলিউম এ গান বাজাতে পছন্দ করত,আর মেয়েটি সে গান শুনাতে। তপন আর শাকিলার " তুমি আমার প্রথম সকাল " গানটা মেয়েটির খুব প্রিয়। তাই ছেলেটা এই গানটা বেশি করে বাজাত।

একসময় মেয়েটি র বিয়ে হয়ে যায়।ছেলেটা বিদেশে পাড়ি জমায়।দুজনের অনেকদিন দেখা নেই।এখন আর কেউ গান বাজায় না আর কেউ শুনতে পায় না।তারপর বহুদিন পর মেয়েটির স্বামী মারা যায়।মেয়েটি ফিরে আসে বাবার বাড়িতে।ছেলেটা বিদেশ ফেরত হয়।

একদিন বসন্তের ফাগুন হাওয়ায়, না এবার ছেলেটা নয়,মেয়েটি র বাসা থেকে ভেসে আসে সেই গান যা দুজনকে একদিন কাছে এনেছিল।শুনতে পেয়ে ছেলেটা বারান্দায় এসে দাড়ায়।দুঃখ দাহের দুজন মানুষ যেন আবার সেই পুরনো দিনগুলোকে খুজে পেতে চেষ্টা করে