আমাদের কলোনী টা আজ খুব দরকার ছিলো, এত বড় একটা ফাইনাল আর আমরা সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি, ভাবা যায় এ কষ্ট।
আসুন না আজ এ খেলার বদৌলতে কলোনী থেকে একটু ঘুরে আসি........................
আজ একটু সকালেই ঘুম থেকে উঠলাম, তাড়াতাড়ি নাস্তা সেরে মরাইয়া রাশেদ, মনিরুল আর দুলিরে ডাকতে গেলাম, প্রথম দুজন কে ঠিকমত পাওয়া গেলেও দুলি হারামজাদা দেখি এই গরমেও নাকে মুখে কাঁথা দিয়ে ঘুমাচ্ছে। জোর করে উঠিয়ে দিলাম। এরপরে সবাই মিলে আমাদের পানির ট্যাংকীর একবারে শীর্ষে জাতীয় পতাকা টা উড়িয়ে দিলাম।
এখন সবাই আমরা ইউনুসের দোকানে, খেলা নিয়ে তুমুল আড্ডা চলছে, সাথে চলছে ধুয়া তৈরী, আমাদের আলাপ শুনে যে কেউ ভাবতে পারে এখানে এক একজন ওয়াসিম আকরাম,গ্যারি সোবার্স, মাইকেল হোল্ডিং এর চেয়েও বড় ক্রিকেটার।
বিকেলে পুকুর পাড়ে আড্ডা, আজ রোমান্স টোমান্স সব বাদ, আজ মাথায় খালি বাংলাদেশের খেলা।
সন্ধ্যা ৭ টা বাজে, আর আধ ঘন্টা বাদেই খেলা শুরু হবে। তাড়াতাড়ি ওয়ার্কার ক্লাবে যেতে হবে ওখানে সবাই মিলে এক সাথে খেলা দেখব।
খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ টসে হেরে ফিল্ডিং এ , দুর্দান্ত বোলিং আর ফিল্ডিং এ ভারত কে ১৩৫ রানেই বুকড করে দিলো। ব্যাটিং এ বাংলাদেশ অদম্য একেরপর এক চার ছক্কা, সবাই আমরা উল্লাসে ফেটে পড়ছি, তবে মোকাদ্দেস আর ইউনুসের চিৎকার মনে হচ্ছে যেন মিরপুরেও শোনা যাচ্ছে।
অবশেষে বাংলাদেশ চার উইকেটে জয়ী। মিছিলে মিছিলে আর বাংলাদেশ বাংলাদেশ গগন বিদারী আওয়াজে শুধু কলোনীই নয় পুরা দেশ বোধ করি প্রকম্পিত। মিছিলটি মোরশেদ ভাই আর কোরবান আলীর নৃত্যতে আরো জমে উঠেছে। সব ছোট বড় ভাইরা আজ সব ভেদাভেদ ভুলে একসাথে মেতে উঠেছে আনন্দে।
----------------- কলোনী টা আবার ফিরে পাওয়া ,ফিরে পাওয়া এমন উল্লাস হয়ত একটু বেশী বেশীই চাওয়া তবে বাংলাদেশের এমন বিজয় দেখা টা কি বেশী চাওয়া ??????????
পুনশ্চ :এ লেখাটার শেষ পর্য্যায়ে বসের ফোন--- “ আতিক মাঠে খেলা দেখবেন আজ ? “
------টিকেট পেলে অবশ্যই দেখব, আমার উত্তর।
এবার বস বললেন : আপনার জন্য একটা ভিআইপি টিকেট রাখা হয়েছে।
আমি বসকে একটা থ্যাংকস দিলাম, আর মনে মনে বললাম : ওরে খেলা ফুলের টব।
যাক সকাল টা ভালো একটা খবর দিয়ে শুরু হলো, আশা করি বিজয় আনন্দ করতে করতেই বাসায় ফিরব, ষ্টেডিয়াম থেকে আমার বাসা হাাঁটা দুরত্ব।
No comments:
Post a Comment