Thursday, September 3, 2015

ঢং.....ঢং......ঢং...টং......টং......এবং .......টং


এতদ্বারা কলোনীর সকল ছেলে-মেয়েদের জানানো যাাতেছে যে, যাহারা কলোনীতে খেয়ে পড়ে থেকে ( ভেতরে ভেতরে ই-য়ে করে) বাহিরের লোক জন বিবাহ করিযা নানা জায়গায় ছবিসহ এ্যাড: দিযা বাহাদুরি দেখাইতেছেন,তাহাদের বিরুদ্ধে অচিরেই শ্পেসাল ট্রাইবুনাল গঠন করিয়া বিচারের ব্যবস্থা করা হইতেছে। ক্ষতিগ্রস্থ (যাহারা ই-য়ে করে উপেক্ষিত হয়েছেন) সকল পক্ষকে সাক্ষি প্রমানসহ (চিঠি-ছবি থাকলে ভাল হয়) প্রস্তুত থাকার জন্য অনুরোধ করা হইল। সেই সাথে পক্ষগনকে মন্তব্যের ঘরে ফরিয়াদী শব্দটি লিখে নাম লেখানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হইল...............ঢং.....ঢং......ঢং...টং......টং......এবং .......টং

পবিত্র ইচ্ছা পূরণ (......)


ঘটনাটি খুব সম্ভবত ১৯৯৮ সালের। রাত ১০ টার পর ৩ নাম্বার (F Type) বিল্ডিং এর পাশের রাস্তা দিয়ে আমি, কল্লোল, মানিক, ফুয়াদ, শাহিদ হাঁটতেছিলাম। উদ্দেশ্য প্রতিদিনের মত কল্লোল, মানিক এবং শাহিদ এর পবিত্র ইচ্ছা পূরণ। যথারিতি প্রতিদিনের মত তাদের পবিত্র ইচ্ছা পূরণ (......) চলিতেছে ...।। 

হটাত আগুন্তুপ এর মত কোত্থেকে মানিক এর আব্বা (ইলিয়াস মিয়া আঙ্কেল) এসে হাজির। আমরা সবাই কল্লোল, মানিক এবং শাহিদ এর ইচ্ছা পূরণ নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত ছিলাম যে মানিক এর আব্বা কখন আসছে আমরা একটুও টের পাইনি। উনি অনেকক্ষণ আমাদেরকে খেয়াল করছিলো যে আমরা কি করি। যখন বুস্তে পারল এইখানে পবিত্র ইচ্ছা পূরণ (......) চলিতেছে তখন ই টর্নেডো এর গতিতে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ল। আমি, কল্লোল এবং ফুয়াদ কোন রকম এ দৌড়ে পালিয়ে বাঁচলাম কিন্তু বেচারা মানিক এবং শাহিদ আঙ্কেল এর কাছে ধরা খেয়ে গেল। এরপর কি ঝারি টাই না খাইল ওরা ২ জন।

[sHujOn, 99 Batch]

“ ওষুধের নাম, কোকাকোলা !!! “


এইটা একটা বদঅভ্যাস হয়ে গিয়েছিলো, ( এইটাকে আমাদের কলোনির একটা জাতীয় শখও বলা যায়, সবারই প্রিয় শখ ছিলো এইটা ) কয়েকজন একসাথে হলেই ডাব খাওয়ার ভুত চাপতো, একজন না একজনের কাছ থেকে ডাব খাওয়ার কথা আসতোই অভ্যাসমত একরাতে আমি, রবিন, ছামির, হিমেল,রিপু, বেলাল (টারজান ) আরো কয়েকজন দল বেধে গেলাম বুইজ্জার বাগানে ( খালপাড়ের কাছে ) যেকোন একটা গাছে ডাব অপারেশনে গাছ সিলেক্ট হলো, এখন অপারেশনের পালা, আজকে আমাকেই উঠতে হবে !! 

কারন প্রতিদিন কেউ না কেউ উঠে কিন্তু আমি উঠি না, তার উপরে গাছ একটু বড় বলা যায়, নিচে থেকে কেই একজন ডাবগুলো ধরতে হবে !!! সাহসী বেলাল বলল, “ ধুর আমি ধরবো, এইটা কোন ব্যাপার না, আরো বড় গাছ থেকেও অনেক ডাব আরামচে ধরে ফেলছি !!” আমি বললাম আরেকটু ছোট গাছ থেকে খেলেওতো হয়, উঠাটাতো সমস্যা না কিন্তু ধরাটাতো একটা ব্যাপার, না... কে শুনে কার কথা !! এই গাছেই আজকের আপারেশন হবে

“২৯শে এপ্রিল ১৯৯১”


কলোনির কাউকে মনে হয় ওইদিনের অবস্থার বিবরন দিতে হবে না, কারন সবাই জানেন সারাদিন রাত আবহাওয়ার কি অবস্থা ছিল, কিন্তু আমার কাছে ওই দিনের একটা ঘটনা আলাদা করে মনে থাকবে সারাজীবন ওই ঘটনা মনে হলে এখনো অবাক হই


আমার দেখা আজ পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা, আমাদের বাসা তখন ছিল F/2 নিচতলা সিগন্যাল বাড়তে বাড়তে ১০ নাম্বার বিপদ সংকেত হয়ে গেলো, সন্ধ্যার পর বাতাস শুরু হল, আস্তে আস্তে বাড়তে লাগলো, রাত ১২ টার পরে প্রচন্ড ঝড় তুফান, আমরা বাসায় মোম জালিয়ে বসে আছি আর বাতাসের তাণ্ডব দেখছি বিল্ডিং এর আঙ্কেলরা মাঝে মধ্যে একবাসা থেকে আরেক বাসায় যাচ্ছেন, তারা নিজেরাও বোধহয় বুঝতে পারছিলেননা আসলে কি করা দরকার মুখে সবাই বলছেনআরে কিছু হবে না, ১০ নাম্বার সিগন্যাল তাই ঝড় হচ্ছেকিন্তু সবাই আতঙ্কে আছেন 

" হোম অফ মার্বেল "


এখানে কেউ কি আছে কলোনিতে থাকা অবস্থায় মার্বেল খেলে নাই !!!

কলোনির সব জায়গাতেই মার্বেল খেলা হত, তবে কলোনিরহোম অফ মার্বেলযদি বলা হয় সেটা ছিলোবুইজ্জার বাগান (মাঠ) খাল পাড়অনেক আইটেমের মার্বেল খেলা ছিলো, এর মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ছিলোবাত

তখন অনেক বড়ভাইরা ছিলো এই বাত খেলার তুখড় খেলোয়াড়, অনেকে টিনের কোউটা করে মার্বেল নিয়ে আসতো, ৫০, ৭০, ১০০ মাঝেমধ্যে জনপ্রতি ১৫০, ২০০ টা করে দিয়ে বাত খেলতো, যখন এতগুলো মার্বেল একসাথে মাটিতে গড়িয়ে মারতো, সে এক দেখার মত দৃশ্য হতো !!! আমরা নিজেরাও মার্বেল খেলা নিয়ে ব্যাস্ত থাকতাম, এর মধ্যে যখন বড়ড়া প্রচুর পরিমানে মার্বেল দিয়ে এই স্পেশালবাতখেলতো তখন পাশে দাঁড়িয়ে তাদের খেলা দেখতাম, মার্বেলগুলোর দিকে তাকিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকতাম আর ভাবতাম, …………


ভাইয়েরা কত বড়লোক !! কত্ত মার্বেল তাদের কাছে !! শালা…… আমার কাছে যদি এত টাকা থাকতো তাহলে মার্বেল কিননা ভরাইয়া ফালাইতাম

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss